অজ্ঞাতবাস pdf – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় Oggatbas pdf- Sanjib Chattopadhyay

অজ্ঞাতবাস pdf - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় Oggatbas pdf- Sanjib Chattopadhyay
অজ্ঞাতবাস pdf - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় Oggatbas pdf- Sanjib Chattopadhyay

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় এর Oggatbas pdf অজ্ঞাতবাস pdf ডাউনলোড করুন ও Oggatbas pdf অজ্ঞাতবাস pdf পড়ুন।

অজ্ঞাতবাস pdf - সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় Oggatbas pdf- Sanjib Chattopadhyay
অজ্ঞাতবাস pdf – সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায় Oggatbas pdf- Sanjib Chattopadhyay

Oggatbas pdf অজ্ঞাতবাস pdf বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা:

সে এক অদ্ভুত বাড়ি। বিচিত্র সব মানুষজন, মনুষ্যেতর পোষ্য। আটটা কুকুর, আঠারটা গোরু, তিন খাঁচা পাখি, ডজনখানেক বেড়াল। ডাক্তার বড়মামা, অধ্যাপক মেজোমামা, সংসারের হাল ধরা মাসিমা, মিঠুন ভক্ত কাজের লোক—মুকুন্দ। সে-বাড়িতে প্রায়শই অতিথি হয়ে আসেন। ভোজনবিলাসী এক কবি, আসেন। বাল্যবন্ধু এক জজসাহেব আর, যার চোখ দিয়ে এই বাড়ির মানুষজন ও অতিথি-অভ্যাগতদের নিয়ে দম ফাটা হাসি ও মজা-মেশানো এই গল্প, সে এবাড়িরই এক ক্ষুদে সদস্য। প্রদ্যুম্ন, ওরফে বুড়ো। মজা এবাড়ির সর্বত্র।

আরোহী অন্ধ প্রহর pdf – রবিন জামান খান Arohee Andho Prohor pdf – Robin Zaman Khan

প্রতিদিনের কথাবার্তায়, চালচলনে, কাজেকর্মে। সে বড়মামার ডাক্তারি নিয়ে কি বাজার করা নিয়ে। মেজোমামার কীর্তনদল-তাড়ানো কি পুলিশ-ভাগানো নিয়ে। কবিপ্রবর শরৎবাবুর ভুলো মন। কি ভুল কোটেশন নিয়ে। জজসাহেবের সাইকেল হারানো কি হারানো সাইকেল ফিরে পাওয়া নিয়ে। গল্প এবাড়ির আনাচেকানাচে। পূর্বপুরুষের, জমিদারির, ঠাকুরদেবতার, ডাকাতির সেই অজস্র মজা ও গল্পের সঙ্গে নতুনতর এক বিপদের মজা নিয়েই এই ঠাসবুনন উপন্যাস, ‘অজ্ঞাতবাস’।

Aggatbas pdf অজ্ঞাতবাস pdf

বড়মামা চিঠিটা তিনবার পড়লেন। যতবার পড়ছেন ততবারই মুখের চেহারা উজ্জ্বল থেকে উজ্জ্বলতর হচ্ছে। শেষবার পড়ে যখন আমার দিকে তাকালেন, তখন মুখ একেবারে উজ্জ্বলতম। আমি এখন পণ্ডিতমশাইয়ের কাছে সংস্কৃত শিখছি। হাফইয়ারলি পরীক্ষায় সংস্কৃতে আমি মাত্র তিরিশ নম্বর পেয়ে কেঁদেকক্কে পাশ করায়, বড়মামা পুরো তিনটে দিন আমার সঙ্গে কথা বলেননি। মেজমামাকে বলেছিলেন, আমাদের হল গিয়ে পণ্ডিতের বংশ। আমার জ্যাঠামশাই ছিলেন বিখ্যাত তর্কচঞ্চ। মোচ্ছবতলায় নবদ্বীপের তর্কচূড়ামণিকে পরাজিত করে কৃষ্ণনগরের মহারাজের কাছ থেকে এই উপাধি পেয়েছিলেন। সেই বংশের কুলাঙ্গার হল এই কুষ্মাণ্ডটি। ইনি হলেন বাক্যচূড়ামণি। সকালে ওর মুখদর্শনে শরীরে পাপ সঞ্জাত হয়। গাত্রদাহ উপস্থিত হয়।

মেজমামা বললেন, দাদা, তোমার হলটা কী? পটাপট শুদ্ধ বাংলা বেরোচ্ছে। তোমার মুখে তো চিরকাল শুনে এলুম ধুর ব্যাটা, ধ্যার ব্যাটা, রামছাগল, ধেড়ে ইদুর, পটকে দে, লটকে দে। মনে হচ্ছে, তোমার নবজন্ম হল।
বড়মামা বলেছিলেন, “আমার ওপর পূর্বপুরুষের আবেশ হয়েছে। আজকাল মাঝে মাঝে আমার এইরকম হচ্ছে।
তাই তুমি উলটোপালটা বকছ ভুল বলছ। ইতিহাসকে বিকৃত করছ তর্কচঞ্চু আমাদের জ্যাঠামশাই ছিলেন না। তিনি ছিলেন পাক্কা সাহেব, ইঞ্জিনিয়ার। সাতবার বিলেত গিয়েছিলেন। বাংলা ভুলে গিয়েছিলেন। বাঙালিকে বলতেন কাওয়ার্ড। বোম্বেতে চাকরি করতেন। ঘোড়ায় চড়তেন। গলফ খেলতেন। জ্যাঠাইমাকে গাউন পরিয়ে ঘোড়ায় চাপা শেখাতে গিয়ে আছাড় খাইয়ে ঠ্যাং ভেঙে দিয়েছিলেন। তর্কচঞ্চু ছিলেন, আমাদের বাবার বাবা। আচ্ছা, ডাক্তার হলে কি এমন অজ্ঞ হতে হয়! নিজের পরিবারের ইতিহাসটুকু জানো না!

বড়মামা বলেছিলেন, একটা সুযোগ পেয়েছ, এখন বলে নাও। তবে তোমার ভাষা আমি দু’জায়গায় সংশোধন করব। বাবার বাবা নয় প্রপিতামহ।
মেজমামা হইহই করে হেসে উঠলেন, প্রপিতামহ নয় পিতামহ। শোনো, অর্ডারটা হল এইরকম, পিতা, পিতামহ, প্রপিতামহ, বৃদ্ধ প্রপিতামহ। ক’পুরুষ হল? চার পুরুষ। ব্যস, আর ওপরে ওঠার দরকার নেই।
বড়মামা বললেন, অত বক্তৃতা দেবার দরকার নেই। একে বলে, স্লিপ অব টাঙ্গ। জিহ্বাস্থলন। আমি রোজ পিতৃপুরুষের তর্পণ করি। তোমার কী মনে হয়, এই ওপরে ওঠাটা আমি জানি না? বালক! শোনো, আমি এইভাবে মনে রাখি, পি, প্ৰপি, বৃপ্ৰপি।”

হল না, একটা বাদ চলে গেল। ওটা হবে, পি, পিপি, প্রপি, বৃ পি৷
কী পিপি করছিস? একি মোটরগাড়ি নাকি? শ্রদ্ধা-ভক্তির প্রভূত অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। যে কারণে তুমি অনায়াসে, অক্লেশে বলতে পারলে, জ্যাঠাইমার ঠ্যাং। তুমি শিক্ষিত, অধ্যাপক, তোমার মুখ থেকে এ আমি আশা করিনি। তুমি মুরগির ঠ্যাং বলো, সংশোধন করব না, জ্যাঠাইমার ঠ্যাং বললেই প্রতিবাদ করব।

তুমি বড় হয়েছ, লেখাপড়া শিখেছ, তোমাকে দেখে ছোটরা শিখবে, তুমি এখানে বসে বসে ঠ্যাং নাচাচ্ছ, আর বলছ, জ্যাঠাইমার ঠ্যাং। ছিঃ ছিঃ। একে আমি বলতে পারি, তোমার অধঃপতন।
তুমি যে ঠ্যাং বললে?
কখন বললুম?
এই তো বললে, বসে বসে ঠ্যাং নাচাচ্ছ। জ্যাঠাইমার ঠ্যাংও বলেছ।
তোমার ঠ্যাংকে ঠ্যাং বলব না তো কি শ্রীচরণ বলব। তুমি কী আশা করো, আমার কাছ থেকে?
পুরু আলেকজান্ডারকে যেমন বলেছিলেন, ভদ্রলোকের প্রতি ভদ্রলোকের মতো ব্যবহার।
বড়মামা বললেন, থ্যাঙ্ক ইউ। এখন সমস্ত বিভেদ ভুলে ঐক্যমত হয়ে….. হল না বড়দা। চেষ্টা করছ বটে, হচ্ছে না। য’ফলা সরাও তিন ঘর। ঐকমত্য বলো।

ঠিক ওই সময় মাসিমা ঘরে ঢুকে বললেন, তখন থেকে ওঘরে কাজ করতে করতে শুনছি, তিন ঘর সরাও, য ফলা দুঘর সরাও, আর কাগের ঠ্যাং, বগের ঠ্যাং, মুরগির ঠ্যাং, এদিকে সকাল নটা বাজতে চলল, আজ কার বাজার করার পালা শুনি? কে আজ বাজার করে আমাকে উদ্ধার করবে!

বড়মামা সঙ্গে সঙ্গে বিশাল একটা দেওয়াল ক্যালেন্ডারের দিকে এগিয়ে গেলেন। ঠিক যতটা উৎসাহ নিয়ে গেলেন, ঠিক ততটা নিরুৎসাহ হয়ে ফিরে এলেন। মাসিমার মুখের দিকে তাকিয়ে বললেন, আজ আমার পালা, কিন্তু আজ আমার ভীষণ রুগির চাপ। আমি যেতে পারছি না। আমি নাতিশয় দুঃখিত।
মেজমামা বললেন, এঃ, অকারণে একটা ‘না’ যোগ করে মানেটাই পালটে দিলে। না অতিশয়, নাতিশয় মানে তুমি আদৌ দুঃখিত নও। তুমি ঠিক কী বলতে চাইছ! অতিশয় দুঃখিত, ভেরি সরি, তাই তো?

Oggatbas pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply