আরিফ আজাদের ধর্মীয় মূল্যবোধ, শিক্ষা, আদর্শ নিয়ে রচিত উপন্যাস Paradoxical Sajid pdf প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ pdf ডাউনলোড করুন ও Paradoxical Sajid pdf পড়ুন।
Paradoxical Sajid pdf প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ pdf বইয়ের সূচিপত্র
* একজন অবিশ্বাসীর বিশ্বাস / ১১
* ‘তাকাদির বনাম স্বাধীন ইচ্ছা’- ভ্ৰষ্টা কি এখানে বিতর্কিত? / ১৭
* স্ৰষ্টা খারাপ কাজের দায় নেন না কেন? / ২৬
* শূন্যস্থান থেকে স্রষ্টার দূরত্ব / ৩২
* তাদের অন্তরে আল্লাহ মোহর মেরে দেন। সত্যিই কি তাই? / ৪০
* মুশরিকদের যেখানেই পাও, হত্যা করো / ৪৭
* স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করলো? / ৫৩
* একটি সাম্প্রদায়িক আয়াত এবং… / ৬১
* কোরআন কি সূর্যকে পানির নিচে ডুবে যাওয়ার কথা বলে? / ৬৬
* মুসলমানদের কোরবানি ঈদ এবং একজন মাতব্বরের অযাচিত মাতব্বরি / ৭৩
* কোরআন কি মুহাম্মদ (সাঃ) এর বানানো গ্ৰন্থ? / ৮২
* রিলেটিভিটির গল্প / ৯১
* A Letter to David-Jessus wasn’t myth and he exited… / ৯৯
* কোরআন, আকাশ, ছাদ এবং একজন ব্যক্তির মিথ্যাচার / ১০৯
* আয়েশা (রাঃ) ও মুহাম্মদ (সাঃ) এর বিয়ে এবং কথিত নাস্তিকদের কানাঘুষা / ১১৫
* কোরআন কি মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিজের কথা? / ১২৪
* স্ৰষ্টা যদি দয়ালুই হবেন তাহলে জাহান্নাম কেন? / ১৩০
* কোরআন মতে পৃথিবী কি সমতল না গোলাকার? / ১৩৬
* একটি ডিএনএ’র জবানবন্দী / ১৪৫
* কোরআনে বিজ্ঞান- কাকতালীয় না বাস্তবতা? / ১৫৫
* স্রষ্টা কি এমন কিছু বানাতে পারবে, যেটা স্রষ্টা নিজেই তুলতে পারবে না? / ১৬২
* ভেল্কিভাজির সাতকাহন / ১৭০
Paradoxical Sajid pdf নমুনাঃ
আমি রুমে ঢুকেই দেখি সাজিদ কম্পিউটারের সামনে উবু হয়ে বসে আছে। খটাখট কি যেন টাইপ করছে হয়তো। আমি জগ থেকে পানি ঢালতে লাগলাম। প্রচন্ড রকম তৃষ্ণার্ত। তৃষ্ণায় বুক ফেটে যাবার জোগাড়। সাজিদ কম্পিউটার থেকে দৃষ্টি সরিয়ে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,- ‘কি রে, কিছু হইলো?!
আমি হতাশ গলায় বললাম,- ‘নাহ।’
‘তার মানে তোকে একবছর ড্রপ দিতেই হবে?’- সাজিদ জিজ্ঞেস করলো।
আমি বললাম,- ‘কি আর করা। আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন।
সাজিদ বললো,- ‘তোদের এই এক দোষ, বুঝলি? দেখছিস পুওর এ্যাটেন্ডেন্সের জন্য এক বছর ড্রপ খাওয়াচ্ছে, তার মধ্যেও বলছিস, আল্লাহ যা করেন ভালোর জন্যই করেন। ভাই, এইখানে কোন ভালোটা তুই পাইলি, বলতো?’
বেলা ফুরাবার আগে – আরিফ আজাদ Bela Furabar Age pdf – Arif Azad
সাজিদ সম্পর্কে কিছু বলে নেওয়া দরকার। আমি আর সাজিদ রুমমেট। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাইক্রো বায়োলজিতে পড়ে। প্রথম জীবনে খুব ধার্মিক ছিলো। নামাজ- কালাম করতো। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে কিভাবে কিভাবে যেন এগনোষ্টিক হয়ে পড়ে। আস্তে আস্তে স্রষ্টার উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে এখন পুরোপুরি নাস্তিক হয়ে গেছে। ধর্মকে এখন সে আবর্জনা জ্ঞান করে। তার মতে পৃথিবীতে ধর্ম এনেছে মানুষ। আর ‘ইশ্বর’ ধারনাটাই এইরকম স্বার্থান্বেষী কোন মহলের মস্তিষ্কপ্রসূত।
সাজিদের সাথে এই মূহুর্তে তর্কে জড়াবার কোন ইচ্ছে আমার নেই। কিন্তু তাকে একদম ইগনোর করেও যাওয়া যায়না।
আমি বললাম,- ‘আমার সাথে তো এর থেকেও খারাপ কিছু হতে পারতো, ঠিক না?’ ‘আরে, খারাপ হবার আর কিছু বাকি আছে কি?’
‘হয়তো।’
‘যেমন?’
‘এরকমও তো হতে পারতো, ধর, আমি সারাবছর একদমই পড়াশুনা করলাম না। পরীক্ষায় ফেইল মারলাম। এখন ফেইল করলে আমার এক বছর ড্রপ যেতো। হয়তো ফেইলের অপমানটা আমি নিতে পারতাম না। আত্মহত্যা করে বসতাম।’
সাজিদ হা হা হা হা করে হাসা শুরু করলো। বললো,- ‘কি বিদঘুটে বিশ্বাস নিয়ে চলিস রে ভাই।’
এই বলে সে আবার হাসা শুরু করলো। বিদ্রুপাত্মক হাসি।
রাতে সাজিদের সাথে আমার আরো একদফা তর্ক হোলো।
সে বললো,- ‘আচ্ছা, তোরা যে স্রষ্টায় বিশ্বাস করিস, কিসের ভিত্তিতে?”
আমি বললাম,- ‘বিশ্বাস দু ধরনের। একটা হোলো, প্রমানের ভিত্তিতে বিশ্বাস। অনেকটা, শর্তারোপে বিশ্বাস বলা যায়। অন্যটি হোলো প্রমান ছাড়াই বিশ্বাস।
সাজিদ হাসলো। সে বললো,- ‘দ্বিতীয় ক্যাটাগরিকে সোজা বাঙলায় অন্ধ বিশ্বাস বলে রে আবুল, বুঝলি?!
আমি তার কথায় কান দিলাম না। বলে যেতে লাগলাম-
প্রমানের ভিত্তিতে যে বিশ্বাস, সেটা মূলত বিশ্বাসের মধ্যে পড়েনা। পড়লেও, খুবই ট্যাম্পোরেরি। এই বিশ্বাস এতই দূর্বল যে, এটা হঠাৎ হঠাৎ পালটায়।
সাজিদ এবার নড়েচড়ে বসলো। সে বললো,- ‘কি রকম?’
আমি বললাম,- ‘এই যেমন ধর, সূর্য আর পৃথিবীকে নিয়ে মানুষের একটি আদিম কৌতূহল আছে। আমরা আদিকাল থেকেই এদের নিয়ে জানতে চেয়েছি, ঠিক না?! ‘হু. ঠিক।’
– ‘আমাদের কৌতূহল মেটাতে বিজ্ঞান আপ্রাণ চেষ্টা করে গেছে, ঠিক?!
“হ্যাঁ।”
‘আমরা একাট্টা ছিলাম। আমরা নির্ভুলভাবে জানতে চাইতাম যে, সূর্য আর পৃথিবীর রহস্যটা আসলে কি। সেই সুবাধে, পৃথিবীর বিজ্ঞানীরা নানান সময়ে নানান তত্ব
আমাদের সামনে এনেছেন। পৃথিবী আর সূর্য নিয়ে প্রথম ধারনা দিয়েছিলেন গ্রিক জ্যোতির বিজ্ঞানি টলেমি। টলেমি কি বলেছিলো সেটা নিশ্চয় তুই জানিস?” সাজিদ বললো,- ‘হ্যাঁ। সে বলেছিলো সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘুরে।।
– ‘একদম তাই। কিন্তু বিজ্ঞান কি আজও টলেমির থিওরিতে বসে আছে? নেই। কিন্তু কি জানিস, এই টলেমির থিওরিটা বিজ্ঞান মহলে টিকে ছিলো পুরো ২৫০ বছর। ভাবতে পারিস? ২৫০ বছর পৃথিবীর মানুষ, যাদের মধ্যে আবার বড় বড় বিজ্ঞানি, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার ছিলো, তারাও বিশ্বাস করতো যে, সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে। এই ২৫০ বছরে তাদের মধ্যে যারা যারা মারা গেছে, তারা এই বিশ্বাস নিয়েই মারা গেছে যে, সূর্য পৃথিবীর চারদিকে ঘোরে।
সাপ্তাহিক বর্তমান ১৫ জুলাই ২০২৩ পিডিএফ Saptahik Bartaman 15 July 2023 pdf
সাজিদ সিগারেট ধরালো। সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বললো, ভাতে কি? তখন তো আর টেলিস্কোপ ছিলো না, তাই ভুল মতবাদ দিয়েছে আর কি। পরে নিকোলাস কোপারনিকাস এসে তার থিওরিকে ভুল প্রমান করলো না?’
– “হ্যাঁ। কিন্তু কোপারনিকাস ও একটা মস্তবড় ভুল করে গেছে।’
সাজিদ প্রশ্ন করলো,- ‘কি রকম?’
“অদ্ভূত! এটা তো তোর জানার কথা। যদিও কোপারনিকাস টলেমির থিওরির বিপরীত থিওরি দিয়ে প্রমান করে দেখিয়েছিলেন যে, সূর্য পৃথিবীর চারপাশে নয়, পৃথিবীই সূর্যের চারপাশে ঘোরে। কিন্তু, তিনি এক জায়গায় ভুল করেন। এবং সেই ভুলটাও বিজ্ঞান মহলে বীরদর্পে টিকে ছিলো গোটা ৫০ বছর।
‘কোন ভুল?’
“উনি বলেছিলেন, পৃথিবীই সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘোরে, কিন্তু সূর্য ঘোরে না। সূর্য স্থির। কিন্তু আজকের বিজ্ঞান বলে, নাহ, সূর্য স্থির নয়। সূর্য ও নিজের কক্ষপথে অবিরাম ঘূর্ণনরত অবস্থায়।’
সাজিদ বললো,- ‘সেটা ঠিক বলেছিস। কিন্তু বিজ্ঞানের এটাই নিয়ম যে, এটা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হবে। এখানে শেষ বা ফাইনাল বলে কিছুই নেই।’
Paradoxical Sajid pdf download link
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.