পিপীলিকার ডানা pdf – সিদ্দিক আহমেদ Pipilikar Dana pdf – Siddiq Ahamed

পিপীলিকার ডানা pdf - সিদ্দিক আহমেদ Pipilikar Dana pdf - Siddiq Ahamed
পিপীলিকার ডানা pdf - সিদ্দিক আহমেদ Pipilikar Dana pdf - Siddiq Ahamed

সিদ্দিক আহমেদের Pipilikar Dana pdf পিপীলিকার ডানা pdf ডাউনলোড করুন ও Pipilikar Dana pdf পিপীলিকার ডানা pdf পড়ুন।

পিপীলিকার ডানা pdf - সিদ্দিক আহমেদ Pipilikar Dana pdf - Siddiq Ahamed
পিপীলিকার ডানা pdf – সিদ্দিক আহমেদ Pipilikar Dana pdf – Siddiq Ahamed

Pipilikar Dana pdf পিপীলিকার ডানা pdf ভূমিকাঃ

এই উপন্যাসের লেখার চিন্তাসূত্রটি বেশ পুরনো। একই ঘটনা কেমন করে বিভিন্ন মানুষের জীবনে দাগ কেটে যায় তেমন ভাবনা থেকেই লেখার শুরু। পুরো গল্পটি ভেবে শেষ করার পর আমি নিজেই বেশ খানিকটা চমকে থমকে গেছিলাম। আমার মনে বেশ ছাপ ফেলে গেছিল সেটি। যদিও লিখে শেষ করতে বেশ দেরিই হয়ে গেল, তবু এই বিশেষ ভাবনাটুকু ছিল বেশ চিন্তা জাগানিয়া। আসলে এই ভাবনাটুকু আমার দোষও বলা যায়। আমি গল্প পুরোটা ভেবে ফেলার পরেও অনেক অনেক দিন ফেলে রাখি। এতে দুটো সুবিধে হয়। প্রথমত, গল্পটিকে বিভিন্ন কোণ থেকে যাচাই বাছাই করার সুযোগ হয়। গল্পের উচ্ছিষ্টগুলো এই সময়ের ভেতর তলানি হয়ে পতিত হয়। ফলে সেগুলোকে সহজেই ফেলে দিতে সুবিধে হয়। আমার উল্টোটাও ঘটে, অনেক সময় গল্পের বিস্তর ডালপালাও গজিয়ে ওঠে।

১৪ই ফেব্রুয়ারী – নীলাঞ্জন মুখার্জী 14th February pdf – Nilanjan Mukherjee

সেটা অবশ্য ভাল, তাতে আমি তখন সেগুলোকে ছেঁটে-ছুটে আমার মতো আকৃতি দিয়ে বেশ গুছিয়ে লিখে ফেলতে পারি। দ্বিতীয় কারণটি অবশ্য আমার স্ত্রীর বক্তব্য অনুসারে আমার অজুহাত। যদিও আমি তা মানি না। আমার মতে কোনো গল্প মনের কোনে জমে না থাকলে, সেটা আসলে লেখার উপযুক্ত হয়ে ওঠে না। যে গল্প ভাবনার শেষে তাড়না সৃষ্টি করতে পারে না, সহজে ভুলে যাওয়া যায়, তা আসলে কাগজে কলমে লিপিবদ্ধ করার যোগ্য নয়। তা দিন শেষে কারো মনেই দাগ কাটতে পারে না।

এ গল্পটি আমার মনে দাগ কেটেছিল। পাঠকের মনে দাগ কাটবে কি না জানি না। যা হোক, এই সুযোগে দুজন মানুষের নাম করে যাই। একজন বন্ধু ‘ইমরান হোসেন’ এবং অন্যজন ছোটভাই ‘আবু সুফিয়ান’। দুজনেই এই গল্পের প্রথম শ্রোতা। দুজনেই আমাকে অদ্ভুত সব বুদ্ধি দিয়ে গল্পটি সমৃদ্ধ করেছে। তাদের অবদান অনস্বীকার্য।
সিদ্দিক আহমেদ

Pipilikar Dana pdf পিপীলিকার ডানা pdf নমুনাঃ

অলস সকাল। বৈদ্যুতিক তারের ওপর দুটো কাক বসে মিঠে রোদ পোহাচ্ছিল তারাও উড়ে গেল পাখা ঝাপটে, বিরক্ত হয়ে। সাত সকালে টাটকা লাশ দেখতে ওদেরও ভাল লাগে না নিশ্চয়ই। হাফিজেরও লাগে না। সে পুলিশের লোক হলেও লাশ ব্যাপারটার সাথে আজও ঠিক অভ্যস্ত হয়ে উঠতে পারেনি। নিতান্ত আপনজনও লাশ হয়ে গেলে কেমন জানি দূরের হয়ে যায়। একসাথে এক মুহূর্ত থাকতেও অস্বস্তি হয়। মানুষ মৃত্যুর আগ পর্যন্তই আসলে মানুষ থাকে। আলাদা পরিচয় থাকে। মরে গেলে সবাই সমান। তখন তাদের একটাই পরিচয়, লাশ।

হাফিজের চোখের সামনে হোগলা পাতার চাটাই দিয়ে জড়ানো লাশটা ভ্যানের ওপর তুলল ডোমের দল। লাশটার পা দুটো বীভৎসভাবে বের হয়ে আছে, চাটাইয়ের বাইরে। দেখলেই কেমন গা গুলিয়ে ওঠে।

লাশ ভ্যানে তুলে ডোমের দল হাফিজের দিকে রওনা দেয়ার অনুমতির জন্য চাইতেই, হাফিজ হাত নেড়ে লাশটাকে মর্গে নিয়ে যেতে ইশারা করল। যত দ্রুত এই আপদ বিদায় হয়, ততই ভাল এবং তার জন্য স্বস্তির। ওরাও আর দেরি না করে ভ্যানটা টান দিল, দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে আশেপাশের ভিড় পাতলা হওয়ার বদলে যেন জেঁকে বসেছে। চারপাশে, ঘাড়ের ওপরে, মুখের ওপরে অনেকগুলো মুখচোখ ওঠা নামা করছে, টুকরো টুকরো কথা, রোজ রোজ তো আর মৃত্যুর মতো মুখরোচক গুজব পাওয়া যায় না। হাফিজ জনগণের চাপ কমাতে সাথের কন্সটেবলদের ইশারা করল। কনস্টেবলরা যেন এমন আদেশের অপেক্ষাতেই ছিল। তারা লাঠি হাতে উপদ্রব কমাতে ঝাঁপ দিল। তাদের হাতের লাঠি নামক জাদুর কাঠিতে সমস্ত ভিড় উবে গেল মুহূর্তের ভেতর। একদম ফাঁকা হয়ে গেল মার্কেট এলাকা।

কয়েকজন উৎসুক জনতা এখনও অবশ্য দেয়ালের এদিক সেদিক দিয়ে ভীত হরিণীর মতো উঁকি-ঝুঁকি দিচ্ছে বটে, কিন্তু হাফিজ আর সেটুকু নিয়ে গা করল না। জনতার অহেতুক উৎপাত যে বিদায় হয়েছে এতেই সে সন্তুষ্ট হল। পুলিশের গাড়ির কাছে সরে গিয়ে আয়েশ করে একটা সিগারেট ধরাল। কড়া তামাকের গন্ধ ছাড়া সে সিগারেট খেয়ে ঠিক তৃপ্তি পায় না। আবেশ আসে না। যদিও তার স্ত্রী সিগারেটের গন্ধ একেবারেই সইতে পারে না। তবু আজও এই বস্তু বহু চেষ্টা চরিত্র করেও ঠিক ছেড়ে উঠতে পারেনি।

হাফিজ ফুসফুসে টেনে নেয়া ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে বৃদ্ধ কন্সটেবলকে ডেকে বলল, “যার দোকানের সামনে মার্ডার হইছে তারে কি পাওয়া গেছে, নানা?” থানার বয়স্ক কন্সটেবলকে ‘নানা’ ডাকাটাই রীতি।
কন্সটেবল বলল, “জি, স্যার।”
“তারে হাজির করো, বাতচিত করে দেখি তার বক্তব্য কী?”

বৃদ্ধ কনস্টেবল ঘাড় নেড়ে চলে গেলে হাফিজ আবার সিগারেটে মনোনিবেশ করল। আজকে সিগারেট খেয়েও তৃপ্তি পাচ্ছে না। কেমন যেন তিতকুটে ভাব মুখে। সকাল সকাল লাশ দেখার ফল মনে হয়। ইচ্ছে করলেই ব্যাপারটা এড়িয়ে যাওয়া যেত। সে পদবীতে ইন্সপেক্টর। চাইলেই তার অধীনস্ত কোনো একজন এসআই-এর ঘাড়ে ফেলে দেয়া যেত কেসটা। কিন্তু তদন্ত তার ভাল লাগে। লাশের অংশটুকু বাদ দিলে তদন্তের বাকি অংশটা তার খুবই প্রিয়। আজও সে ক্রাইম সিন খুঁটিয়ে দেখে তথ্য উদ্ধার করতে রোমাঞ্চ বোধ করে নিজের ভেতর। তার এই পেশায় আসার এটাও একটা বড় কারণ।


সিদ্দিক আহমেদের Pipilikar Dana pdf পিপীলিকার ডানা pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে ও Pipilikar Dana pdf পিপীলিকার ডানা pdf এখান থেকে পড়ুন

Be the first to comment

Leave a Reply