পোড়া বাড়ির রহস্য pdf – অনিল ভৌমিক Pora Barir Rohosyo pdf – Anil Bhowmick

পোড়া বাড়ির রহস্য pdf - অনিল ভৌমিক Pora Barir Rohosyo pdf - Anil Bhowmick
পোড়া বাড়ির রহস্য pdf - অনিল ভৌমিক Pora Barir Rohosyo pdf - Anil Bhowmick

অনিল ভৌমিকি এর পশ্চিমবঙ্গের গল্প সংকলন Pora Barir Rohosyo pdf পোড়া বাড়ির রহস্য pdf ডাউনলোড করুন ও Pora Barir Rohosyo pdf পোড়া বাড়ির রহস্য pdf পড়ুন।

পোড়া বাড়ির রহস্য pdf - অনিল ভৌমিক Pora Barir Rohosyo pdf - Anil Bhowmick
পোড়া বাড়ির রহস্য pdf – অনিল ভৌমিক Pora Barir Rohosyo pdf – Anil Bhowmick

Pora Barir Rohosyo pdf পোড়া বাড়ির রহস্য pdf নমুনাঃ

কলকাতা থেকে খুব একটা দূর নয় । না শহর, না-গ্রাম মজিলপুর থানা আছে, আদালত আছে, পোস্ট অফিস আছে, স্কুল কলেজ তো আছেই। সেই মজিলপুরের দক্ষিণাংশে একটা বর্ধিষ্ণু পাড়া — বোসপুকুর। সেই পাড়ার বাসিন্দা আমার গল্পের তিন সত্যসন্ধানী। তাদের বয়েস তেরো চোদ্দ। একজন ছেলের নাম শান্তনু মাইতি, ডাকনাম শাস্ত। দ্বিতীয় জন জীমূতবাহন চট্টোপাধ্যায় – বন্ধুরা আদর করে নাম দিয়েছে মোটু। কারণ ওর দেহটা সত্যিই নামের উপযোগী। শান্তর বয়সী ছেলেদের তুলনায় সে অনেক মোটা। অল্পদূর দৌড়োলেই হাঁপায়। ইদানীং বোসপুকুর ব্যায়ামাগারে ব্যায়াম, আসন এসব করছে যদি রোগা হওয়া যায়। তৃতীয় জন – শেলী মিত্র। মেয়েটি শান্তদের বাড়ির কাছেই থাকে। খুব বুদ্ধিমতী। এই তিনজনকে নিয়ে ত্রয়ী সত্যসন্ধানী’। সংক্ষেপে ‘ত্রয়ী’।

দগ্ধজাতক pdf || বিনোদ ঘোষাল Dagdhajatak pdf || Binod Ghoshal best pdf

তিনজনেই বদলাবদলি করে অনেক ডিটেকটিভ বই পড়েছে। তারপর অনেক চিন্তাভাবনা করে এই ‘ত্রয়ী’ নামে একটি সত্যসন্ধানী সংস্থা গড়ে তুলেছে। মোটুর বাবা নকুলবাবু ওকালতি করেন। বাইরের ঘরে তাঁর মক্কেলরা আসে। সেই ঘরেই তাঁর ওকালতির কাজকর্ম। ওটার পাশেই একটা ঘর। সেই ঘরে দুটো আলমারি বোঝাই মামলার নথিপত্র। আইনের বইয়ে ঠাসা। দুটো আলমারিই ধূলিমলিন। কাচভাঙা। ঘরে একটা আধভাঙা টেবিল, বাতিল চেয়ার দুটো আর একটা প্রায় ভাঙা ইজিচেয়ার। এই ঘরই হলো ‘ত্রয়ী’র কার্যালয়। শান্তর খুব ইচ্ছে ঘরটার বাইরে একটা সাইনবোর্ড লাগায়। সাইনবোর্ডে লেখা থাকবে ‘ত্রয়ী সত্যসন্ধানী কার্যালয়’। কিন্তু উৎসাহ পায় না। কারণ মজিলপুরে এখনো একটা সাংঘাতিক চুরি কি ডাকাতি এসব হয়নি। অথচ শান্তর খুব ইচ্ছে সেইরকম একটা কিছু ঘটুক, তাহলেই ‘ত্রয়ী’ সত্যসন্ধানে নামতে পারবে এবং তার সমাধানও করতে পারবে।

বিকেলে অন্য ছেলেমেয়েরা যখন খেলাধুলো করে ওরা তখন ওদের কার্যালয়ে এসে বসে। যেসব ডিটেকটিভ বই ওরা পড়েছে সেসব নিয়ে আলোচনা হয়। কোনো অপরাধমূলক ঘটনার ‘ক্লু’ অর্থাৎ সন্ধানসূত্র, ‘মোডাস অপারেণ্ডি’ অর্থাৎ অপরাধের উদ্দেশ্য এসব নিয়ে আলোচনা করে। ডিটেকটিভ কীভাবে রহস্যের সমাধান করল এসব খুব গভীরভাবে ভাবে। কিন্তু বড় দুঃখ ওদের। ওরাও যে কোনো রহস্যের সমাধানে সক্ষম সেটা প্রমাণ করার সুযোগ ওরা পাচ্ছে না।
সেদিন বিকেলে ঐ ঘরে বসে তিনজন এই নিয়ে কথাবার্তা বলছিল। শেলী বলল- ‘দেখিস একটা সুযোগ আসবেই।’
শান্ত বরাবরই আধভাঙা ইজিচেয়ারটাতে বসে। ও নড়তে চড়তে যদি সুযোগ পাই সবাইকে চমকে দেব।’
বার করল। শান্ত আর শেলীকে একটু একটু দিল। বাকিটা মোটু সব সময় পকেটে কিছু না কিছু খাবার নিয়ে ঘোরে খেল। বলল–

ও চানাচুর পকেট থেকে মুখে পুরে চিবোতে লাগল।
কিছু বলল না। শরীরের তুলনায় ওর গলার স্বরটা ভীষণ সরু। এজন্যে ও বেশ লজ্জা পায়।
সন্ধ্যে হতেই শান্ত আর শেলী বাড়ি চলে গেল। মোটুও বাড়ির ভেতরে ঢুকল।

মাসটা মাঘ মাস। শীতটা বেশ জাঁকিয়েই পড়েছে। আটটার মধ্যেই শান্ত পড়াশুনো সেরে নিল।
রাতের খাওয়া দাওয়া সেরে শান্ত নিজের শোবার ঘরে ঢুকল। রাত তখন সাড়ে আটটা। একটা নতুন ডিটেকটিভ বই স্টেশনের হুইলার্স স্টল থেকে সেদিনই কিনে এনেছে। বইটা নিয়ে লেপের নিচে ঢুকতে যাবে তখনই হঠাৎ বাইরে লোকজনের হৈচৈ শুনল— ‘আগুন আগুন।’

শান্ত ছুটে জানালার কাছে গেল। জানালা খুলতেই দেখল পুবদিকের কুয়াশা-ঢাকা আকাশটা লালচে হয়ে উঠেছে। রাস্তায় লোকজনের ছুটোছুটি শুরু হয়ে গেছে। সবাই আগুন দেখতে ছুটছে। শান্ত মার গলা শুনল – ‘দ্যাখো তো কোথায় আগুন লাগল।’ বাবার গলা শুনল- ‘লেগেছে কোথাও। এই নিয়ে আমাদের হৈহৈ করার কিছু নেই। মশারিটা ফেলে দিয়ে যাও। কালকে অনেক কাজ। সকাল সকাল কোর্টে যেতে হবে।
শান্ত বেশ অস্থির হয়ে উঠল। আগুন দেখতে যেতেই হবে। কিন্তু কী করে ? চুপিচুপি বেরুতে হবে। দরজার কাছে এলো। দেখল বাবার ঘরের আলো নেভানো।

ও ছুটে এসে দ্রুত পায়জামার ওপরেই ফুলপ্যান্টটা পরে নিল। তাড়াতাড়ি বুকে নকশা আঁকা হলদে ফুলহাতা সোয়েটারটা পরে নিল। তারপর চটিটা পরে আস্তে আস্তে দরজা খুলল। বারান্দা ফাঁকা। দ্রুতপায়ে সিঁড়ি দিয়ে দোতলা থেকে নেমে এলো। বাইরের ছোট বাগানটা পেরিয়ে গেটের সামনে এসে দাঁড়াল। গ্রীলের গেট। গ্রীলের ফাঁকে ফাঁকে পা দিয়ে উঠে গেট টপকাল। রাস্তায় নেমেই ছুটল শেলীদের বাড়ির দিকে।
শেলীদের বাড়িটা রাস্তার ধারেই। শান্ত জানে শেলী কোন ঘরে শোয়। সেই ঘরের জানালাটা হাত বাড়ালেই পাওয়া যায়। শাস্ত বন্ধ জানালার গায়ে টোকা দিল। জানালার একটা পাট খুলে গেল। শেলী মুখ বাড়াল।

অনিল ভৌমিকি এর পশ্চিমবঙ্গের গল্প সংকলন Pora Barir Rohosyo pdf পোড়া বাড়ির রহস্য pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে ও Pora Barir Rohosyo pdf পোড়া বাড়ির রহস্য pdf পড়ুন এখান থেকে।

Be the first to comment

Leave a Reply