রহস্য যখন রক্তে pdf – অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Rahasya Jakhan Rakte pdf – Abhijnan Roychowdhury ebook

রহস্য যখন রক্তে pdf – অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Rahasya Jakhan Rakte pdf – Abhijnan Roychowdhury ebook
রহস্য যখন রক্তে pdf – অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Rahasya Jakhan Rakte pdf – Abhijnan Roychowdhury ebook

অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর রহস্য, গোয়েন্দা, ভৌতিক, থ্রিলার, গোয়েন্দা কল্পকাহিনী ও অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস Rahasya Jakhan Rakte pdf রহস্য যখন রক্তে pdf ডাউনলোড করুন ও পড়ুন। Rahasya Jakhan Rakte pdf এ পাবেন অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীর আসল স্বাদ।

রহস্য যখন রক্তে pdf – অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Rahasya Jakhan Rakte pdf – Abhijnan Roychowdhury ebook
রহস্য যখন রক্তে pdf – অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী Rahasya Jakhan Rakte pdf – Abhijnan Roychowdhury ebook

Rahasya Jakhan Rakte pdf নমুনাঃ

বাড়ির গ্যারেজে বসে কম্পিউটার মেরামতি করছিল পিকু। ছুটির দিন মানেই বাড়ির বিকল হওয়া যন্ত্রগুলো নিয়ে দিন কাটানো। বেশ লাগে পিকুর। প্রত্যেকটার সঙ্গেই বহুবছরের পরিচয়। শৈশব কৈশোর— পুরোটাই কেটেছে এসব নিয়ে। এদের ছায়াতেই পেরিয়েছে নিঃসঙ্গ দিনগুলো। তাই যখনই এদের কোনও একটা সামান্য খারাপ হয়- ডাক্তারি করতে বসে যায় ও।
অপারেশন যে সবসময় সফল হয় তা নয়। তবে অত সহজে হাল ছাড়ার পাত্র নয় পিকু। তাই গ্যারেজটা হল ওই সব পেশেন্টের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট।

বহুদিনের পুরোনো কম্পিউটার, স্টার্ট হয়েই আপনা থেকে শাট ডাউন হয়ে যায়। এ সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে আজ যাঁর কথা খুব মনে হচ্ছে তিনি হলেন ওর বাবা। এই কম্পিউটারেই বাবা কাজ করত। মাঝে কুড়ি বছর পেরিয়ে গেছে। অনেক স্মৃতি অস্পষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু বাবার সঙ্গে কাটানো প্রত্যেকটা মুহূর্তের রং আজও ফিকে হয়নি। আজও অনেক রাতে বাবার স্বপ্ন দেখে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠে বসে পিকু। আর ঘুম আসে না। বাবার দেওয়া ছোট ছোট ধাঁধাগুলো চোখের সামনে ভাসে। ‘বলতো সোনা, এই ঘরেই আছে- তিন হাত তিন দিকে, শুয়ে থাকে শীতে সুখে।’—ফ্যান।

অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী সকল পিডিএফ লিংক Abhijnan Raychowdhury pdf download link

তখন না পারলেই বাবার ওপর রাগ করত। তর্ক করত। কিন্তু কীভাবে জানি এসব কিছুই নেশা হয়ে উঠেছিল পিকুর কাছে। স্কুল ফেরত অন্য ছেলেরা যখন ভিডিয়ো গেমস খেলত—ও মজে থাকত ধাঁধায়। মনে হত ধাঁধার ওপারেই দাঁড়িয়ে আছে বাবাই।

এই তো সেদিন একটা শক্ত পরীক্ষার আই কিউ টেস্টের অংশটা দেখে ও আনমনে পুরো দু-ঘণ্টার পরীক্ষাপত্র মাত্র কুড়ি মিনিটে শেষ করে ফেলল। কিন্তু পরীক্ষা দিতে ওর ভালো লাগে না। কেন যেন ওর মনে হয় যে পরীক্ষা মানেই একটা বাঁধন। চারদিক থেকে দাগকাটা একটা মাঠ—তার মধ্যে আরও কয়েকজনের সঙ্গে অহেতুক দৌড় । এই দৌড়ই ওর কোনওদিন ভালো লাগেনি। মনে হয় এই দৌড়ই হয়তো বাবাকে কেড়ে নিয়েছে ওর কাছ থেকে। না হলে তো বেশ ছিল লুডোর বোর্ডের দুনিয়া। হার-জিত হয়, কিন্তু বারবার শুরু করা যায় শুরু থেকে।

এত বছর হয়ে গেছে, এখনও বাবার পড়ার ঘরে যেতে ওর খুব খারাপ লাগে। ওঘরে সার দিয়ে বইয়ের আলমারি, নানান ধরনের বই। বাবার ছুটির দিনের অনেকটা সময় জুড়ে থাকত বই। আর ছোট্ট পিকু উঁকিঝুকি মারত দরজার ফাঁক দিয়ে। ভারি রাগ হত বইগুলোর ওপর। বাবার সঙ্গে খেলার সময়টা কেড়ে নিচ্ছে ওরা।

হুমায়ুন আহমেদ pdf ৩০০+ বই Humayun Ahmed pdf 300 + books download link

বাবা পিকুকে বলত, – বুঝলি পিকু, এসব বই তোর জন্য। বড় হয়ে পড়বি। দেখবি এদের জগৎ একেবারে আলাদা। এ জগতে ঢুকতে গেলে শুধু মনের দরজাটা খুলে রাখতে হয়। এরা তখন তোর সঙ্গে কথা বলবে, আর বলে দেবে কীভাবে সত্যিকারের মানুষ হতে হয়। —দাদাবাবু, ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে এ লুডোটা পেলাম — ফেলে দেব? রোবট চাকর গণেশের কথায় হুঁশ ফিরল পিকুর।
গণেশ ঘর পরিষ্কার করে। ওকে আজকে বাবার পড়ার ঘরটা পরিষ্কার করতে বলেছিল পিকু।
– কই দেখি!
—আলমারির পিছনে পড়ে গিয়েছিল। কী নোংরা যে হয়েছিল ঘরটা!
লুডোটা হাতে নিয়েই চোখে জল এল পিকুর। কুড়ি বছর আগে কত দিন কেটেছে এই লুডো নিয়ে।

—না, ফেলো না। বলে লুডোর পাতা ওলটাল পিকু। সাপলুডোর পাতাটা দেখে মনে হল কতবার দান ফেরত নিত। সাপ পড়লে চলবে না। সিঁড়ি মিস করলে চলবে না। বায়না করে ঠিক আদায় করে নিত। জীবনের সাপলুডোতেও যদি একইভাবে বায়না করে বাবার কয়েকটা দিন আরও আদায় করা যেত!
সাপলুডোর 4 আর 18—ওই নাম্বার দুটোতে ক্রশ। লাল পেন্সিলের দাগ। লুডোটা হাত থেকে নামিয়েই রাখছিল পিকু, হঠাৎ একটা কথা খেয়াল হতেই প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে পড়ল।

হরর ও গোয়েন্দা উপন্যাস পার্ট ১ পিডিএফ ডাউনলোড Horror Goyenda Uponnas pdf download

বাবার আমেরিকা যাওয়ার কয়েকদিন আগের কথা। সেদিন বাবা অফিস থেকে ফিরে এসে অফিসের পোশাকেই পিকুর সঙ্গে লুডো খেলছে। হঠাৎ একটা ফোন এল। বাবা উঠে অন্য ঘরে চলে গেল। খানিকবাদে ফিরে এল। সেদিন বাবা বারবার খুব অন্যমনস্ক হয়ে পড়ছিল। বারবার পিকুর মাথায় হাত রেখে আদর করছিল। আর স্পষ্ট মনে আছে ওই দুটো বক্সে বাবা পিকুর পেনসিল দিয়ে ক্রস করে বলেছিল, কী বলত এটা পিকু?

তারপর একটু থেমে ভারী গম্ভীর গলায় বলেছিল,—দুটো সাপ— যাদের আমি কখনও ডিঙোতে পারব না ।
পিকু তখন সংখ্যা ভালো চিনত না, সাপ চিনত। তাই অদৃশ্য সাপের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে ছিল খানিকক্ষণ। আর আজ খুব অবাক লাগছে যে ওই সংখ্যাদুটো পাশাপাশি বসালে যেটা হয় সেটা হল বাবার মৃত্যুদিন। 18 এপ্রিল। 2002 সালের ওই দিনেই বাবার এয়ার ক্র্যাশ হয়। এটা শুধুই কোইনসিডেন্স?

অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর Rahasya Jakhan Rakte pdf রহস্য যখন রক্তে pdf পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply