অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর আরো একটি অনিলিখা সিরিজ pdf উপন্যাস রহস্য যখন সংকেতে pdf শেয়ার করা হলো। Rahasya Jakhan Songkete pdf ডাউনলোড করুন ও পড়ুন banglabookspdf.com থেকে। Rahasya Jakhan Songkete pdf
Rahasya Jakhan Songkete pdf কাহিনীঃ
ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সটিটিউটের নামকরা প্রফেসার গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় খুন ব্যারাকপুরে। কিন্তু যে লোক কয়েক ঘণ্টা আগেও হেঁটে চলে বেড়াচ্ছিল, হঠাৎ করে কী হতে পারে যে সে রাতারাতি কঙ্কালে পরিণত হল। মৃত্যুর কোনও কারণ এখনও পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় খুন ইন্দ্ৰনীল মুখার্জি। এখানেও রাতারাতি কঙ্কালে পরিণত হল। এভাবেই রহস্যজনক খুন হতে থাকে। প্রতি ঘটনায় থাকে রহস্যজনক সংখ্যা। রহস্য যখন সংকেতে উপন্যাসটি ভিন্ন ধারার এক উপন্যাসের স্বাদ পাঠককে দিবে।
রহস্য যখন সংকেতে রিভিউঃ
Rahasya Jakhan Songkete pdf এ রহস্যজনক খুনের রহস্য উদঘাটনের জন্য সংখ্যার রহস্যকে ভেদ করে নানা ঘটনার জন্ম নেয়া উপন্যাসটি পাঠক মনে নতুন রহস্য সন্ধানের স্বাদ নিতে সহায়ক হবে। উপন্যাসটি বেশ সুখপাঠ হবে আশা করি। সকলকে পড়ার অনুরোধ রইলো।
Rahasya Jakhan Songkete pdf নমুনাঃ
দু’মিনিট বাদে ভিকি একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোককে সঙ্গে নিয়ে ঘরে ঢুকল। মাঝারি হাইট। চোখে গোল চশমা। চুল দাড়ি সাদা। ট্যান্ড চামড়া। দেখে মনে হয় বয়স সত্তরের কাছাকাছি হবে। সে তুলনায় যথেষ্ট শক্ত সমর্থ। গায়ে দামি নীল সুট, আকাশি টাই।
হ্যা-আ-আ-লো—একটা অদ্ভুত সুরেলাভাবে কথাটা বলে ভদ্রলোক অপরাজিতর করমর্দন করল। এমন ভাবে ‘হ্যালো’ বলল যে অন্য কেউ বললে মনে হত, কেউ যেন ইয়ার্কি করছে।
অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী সকল পিডিএফ লিংক Abhijnan Raychowdhury pdf download link
তার পরে অপরাজিতর টেবিলের উলটো দিকের একটা চেয়ার টেনে ভদ্রলোক বলতে শুরু করলেন – আপনার কাজে আমি মুগ্ধ। আপনি যা বললেন তার আসল তাৎপর্য বুঝতে লোকেদের বহুবছর লেগে যাবে। এটা একটা দু-হাজার বছরের রহস্যের সমাধান শুধু নয়, এই আবিষ্কারের গুরুত্ব তার থেকে আরও অনেক বেশি।
দুটো কফি আনতে বলে দিল অপরাজিত। ভদ্রলোককে বেশ ভালো লাগতে শুরু করেছিল ওর।
ও বলে উঠল—হ্যাঁ, ঠিক তাই। আমি তো শুধু মৌলিক সংখ্যা বার করার একটা সূত্র বলেছি একটা প্যাটার্নের উপর নির্ভর করে, কিন্তু সত্যিকারের প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। এই প্যাটার্নটা কি অন্য কিছু বোঝায়? এ যেন কোনও অজানা মহাজাগতিক সঙ্কেত – অন্যমনস্ক হয়ে পড়ল অপরাজিত। ফের বলে উঠল—তা আপনি – মানে আপনার নামটা তো কার্ডে দেখলাম না।
—এটাই কি ঠিক নয়? একজন বিজ্ঞানীর পরিচয় তার কাজে। তার নাম কী তাতে কী এসে গেল? তার কাজ শুধু বিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। তা আপনার জন্য বলি। আমার নাম ডেভ। আমি ‘নিউ লাইফ’ সংস্থার অধিকর্তা ও চিফ সায়ান্টিস্ট। সরাসরি কাজের কথায় চলে আসি। আমি চাই আপনি আমাদের সংস্থায় মুখ্য পরামর্শদাতা ও পার্টটাইম ডিরেক্টার হিসেবে যোগ দিন।
—আমি? তা আপনাদের গবেষণার মূল বিষয়?
—আমরা নতুন মাইক্রোবায়োলজিকাল বা আণুবীক্ষণিক প্রাণ তৈরির চেষ্টা করছি।
– মানে? নতুন প্রাণসৃষ্টি। আমাদের হাতে তৈরি হবে নতুন আণুবীক্ষণিক প্রাণী? যেমন বিজ্ঞানী ভেন্টার-এর টিম সাম্প্রতিককালে করেছেন?
—হ্যাঁ, অনেকটা তাই। ভেন্টার খুব কম সংখ্যক জিন আছে এরকম কিছু ব্যাকটেরিয়া নিয়ে তাদের বেঁচে থাকার জন্য সব থেকে দরকারি জিনগুলো বেছে নেন। একবারে সেটা সম্ভব হয়নি। বারবার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে, মূলত প্রসেস অফ এলিমিনেশনের ভিত্তিতে ওনারা কৃত্রিমভাবে কীভাবে প্রাণ তৈরি করা যায় তার সন্ধান পান। মাইক্রোব তৈরি করেন।
উনি কিন্তু জানতেন না, যে কৃত্রিমভাবে প্রাণ – ওই মাইক্রোব তৈরি করার জন্য ঠিক কোন জিনটা থাকা দরকার, আর তা কী জন্য জরুরি।
আমাদের পদ্ধতি সম্পূর্ণ আলাদা। আমরা যে কৃত্রিম মাইক্রোব তৈরি করেছি, তার প্রত্যেকটা জিন কীসের জন্য তা আমরা জানি। অন্ধকারে হাতড়ানো নয়। এবার আমরা তার পরবর্তী পর্যায়ে কাজ করছি।
— পরবর্তী পর্যায়? মানে?
—আমরা শুধু কৃত্রিম প্রাণ তৈরি করতেই চাই না, আমরা চাই তাদেরকে বিশেষ ভাবে ব্যবহার করতে।
যেরকম চাই, ঠিক সেরকম ভাবে যেন আমাদের হাতে তৈরি এই প্রাণী কাজ করে। ওরা থাকবে সম্পূর্ণ আমাদের নিয়ন্ত্রণে। আমাদের সঙ্গে বেশ কিছু নামকরা জেনেটিক সায়েন্টিস্ট আছেন, নামকরা সিনথেটিক বায়োলজিস্টরা, বায়োটেকনলিজিস্টরা আছেন। এখন শুধু আপনার সাহায্য পেলেই হবে।
অবাক হয়ে বলে উঠল অপরাজিত—কিন্তু আমি তো বায়োলজিস্ট নই। আমি কীভাবে সাহায্য করব বুঝতে পারছি না।
হেসে উঠল ডেভ। বলে উঠল – সে ব্যাপারটা আমার উপরেই ছেড়ে দিন না। এটুকু বলব প্রাণের সন্ধান অনেকটা কোড ব্রেকিং-এর মতো। ধরুন আপনাকে হাজার হাজার বুদ্ধিমান প্রাণী, তাদের চরিত্র আর তাদের জিনের গঠন দিয়ে দেওয়া হল। এবার আপনার কাজ হল তার ভিত্তিতে বোঝা কোন জিন ঠিক কীভাবে কাজ করে। এটা বোঝার জন্য দরকার আপনার স্কিল, আপনার প্যাটার্ন বোঝার ক্ষমতা।
একটু থামল ডেভ।—আমি জানি আপনি অর্থের জন্য একাজ করবেন না। না হলে বলতাম, আমরা যা করতে চলেছি তা আমাদেরকে পৃথিবীর সবথেকে ধনী করে তুলতে পারে। আমরা আমাদের নিজস্ব জিন ব্যাঙ্ক তৈরি করতে পারি। আর প্রয়োজন মতো তা দিয়ে নতুন নতুন প্রাণী তৈরি করতে পারি।
এভাবে তৈরি একটা মাইক্রোব দিয়ে পরিবেশ ক্ষতিকর গ্যাস সরিয়ে নিতে পারি, কোনও দামি ড্রাগ তৈরি করতে পারি, এমনকী যুদ্ধেও ব্যবহার করতে পারি। এ আবিষ্কারের মূল্য আর চাহিদা কী হতে পারে ভাবতে পারছেন? তবে সবার আগে আমার লাগবে আপনার মতো সেরা ব্রেন, কোড ব্রেকিং ক্ষমতা আর অঙ্কের পারদর্শিতা। আমরা দেখেছি প্রাণ তৈরির রহস্যের মূলে আছে এই মৌলিক সংখ্যা। পরে সেকথা বলব।
অভিজ্ঞান রায়চৌধুরীর Rahasya Jakhan Songkete pdf রহস্য যখন সংকেতে pdf অনলাইনে পড়ুনে এখান থেকে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.