সঞ্চারী চক্রবর্তী চ্যাটার্জীর Riransha pdf রিরংসা pdf তান্ত্রিক মন্ত্রমুগ্ধে ভরা এক উপন্যাস যা লেখকের প্রথম প্রকাশিত লেখা। Riransha pdf রিরংসা pdf উপন্যাসটি পড়ুন আর তান্ত্রিকতার আসল রস উপভোগ করুন।
Riransha pdf কিছু কথা
‘রিরংসা’ আমার লেখা প্রথম উপন্যাস। যা আমার সন্তানসমও বটে। অনেক পরিশ্রম, অনেক রাত জাগা পড়াশোনার ফসল। তন্ত্র আজকাল বহুল চর্চিত একটি শব্দ। এই শব্দটির সাথে আমার প্রাথমিক পরিচয় থাকলেও কৌতূহল জন্মায় একটি বই পড়ার পর৷ আমার বন্ধু অনিন্দিতার দেওয়া তারানাথ তান্ত্রিকের গল্প। এক নিঃশ্বাসে বইটি শেষ করি। ভীষণ ভালো লাগে৷ মোহিত হয়ে যাই। এমন বৈঠকি ঢঙ্গে তন্ত্রের মতো জটিল বিষয়বস্তু নিয়ে লেখা যায় ? ভাবতেই অবাক লাগে। Riransha pdf
সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখি আমার মতো অনেকেই এই বইগুলি পড়ে মুগ্ধ। কিন্তু আমার মনে হয় আমাদের পরের প্রজন্ম এবং তারপরের প্রজন্ম কি এই বইগুলোর মর্ম বুঝবে? আমরা মেনে নিতে পারি একজন মানুষ মাসের পর মাস বাড়ি ছেড়ে পায়ে হেঁটে হেঁটে বিভিন্ন জায়গা ঘুরে তন্ত্র সাধনা করেছেন। কারণ আমাদের প্রজন্ম দেখেছে সমাজকে ম্যানুয়াল থেকে ডিজিটাল হতে। কিন্তু আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম, তারা তো জন্মেই পুরো পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় পেয়েছে। এরা কি মানতে পারবে? তবে কি এই অসামান্য সাহিত্য কীর্তি হারিয়ে যাবে কালের গর্ভে?
না তা হতে দেওয়া যায় না। বইটি খুব ভালো করে পড়লে দেখ যাবে এই কিংবদন্তী চরিত্রকে বাঁচিয়ে রাখার জিয়ন কাঠি লেখক নিজে রেখে গেছেন গল্পের মধ্যে। গল্পে উনি বলে গেছেন এই পুণ্য বংশে প্রতি এক পুরুষ অন্তর একজন এমন ভবঘুরে সাধক জন্মাবেন। এই ভাবনার ফলস্বরূপ আমার কলম থেকে জন্ম নেয় এমন একজন চরিত্র যিনি হবেন এই বংশের উত্তরসুরী, অথচ যার মধ্যে থাকবে আধুনিকতার ছোঁয়া, যিনি তন্ত্র সাধনার মধ্যে মারণ, উচাটনের বদলে খুঁজে পান পদার্থবিদ্যাকে, যুক্তি দিয়ে বিচার করেন প্রতিটি বিষয়, যিনি খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারবেন পরবর্তী প্রজন্মের অন্দরমহলে। সর্বোপরি যাকে পড়ে মানুষের জানতে ইচ্ছে করবে তার পূর্বপুরুষকে। সেই চরিত্রের নাম অধ্যাপক ব্রজমোহন চক্রবর্তী। এখন আপনারাই এই কাহিনী পড়ে বিচার করবেন এই চরিত্রের ভবিষ্যৎ।
পরিশেষে বলি সেই মানুষগুলোর কথা, যারা না থাকলে হয়তো এই উপন্যাস আমার লেখাই হয়ে উঠত না। সবার প্রথমে যার নাম আসে, সে হল আমার বন্ধু দোলা। এই উপন্যাস লিখতে আমায় যতটা খাটতে হয়েছে, ওকেও প্রায় সমপরিমান খাটতে হয়েছে। তথ্য সংগ্রহে ওর সাহায্য অনস্বীকার্য। সুতরাং বলা যেতেই পারে বইটি আমাদের দু’জনের যৌথ সন্তান। Riransha pdf
এছাড়া আমি কৃতজ্ঞ আমার প্রবাসী বন্ধু ঋতুপর্ণার কাছে। ও ছাড়া মেরুপ্রদেশের এত বিস্তারিত বর্ণনা আমার পক্ষে দেওয়া সম্ভব হতো না। রয়েছেন আমার জীবনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দু’জন মানুষ যাদের সাহায্য ছাড়া আমি নির্বিঘ্নে লেখা শেষ করতে পারতাম না। সেই দু’জনের মধ্যে একজন হলেন আমার পথ চলার সঙ্গী সৌমিত্র আর আমার সাত বছরের কন্যা রূহ। সর্বশেষ কৃতজ্ঞতা কিন্তু কোনভাবেই কম নয় যে দু’জন মানুষকে, তারা হলেন পালক পাবলিশার্সের বর্ণদীপ নন্দী ও পলাশ চৌধুরী। আমার এই বইয়ের প্রকাশনার দায়িত্ব যেভাবে তারা নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন তা সত্যি প্রশংসার দাবী রাখে। সবার সার্বিক সাহায্যে বইটি সম্পূর্ণ হয়েছে।
অগ্রিম ধন্যবাদ সবাইকে।
– সঞ্চারী চক্রবর্তী চ্যাটার্জী Riransha pdf
মুহূর্তের মধ্যে জলজ্যান্ত, প্রাণবন্ত একটা শরীর ছাইয়ে পরিণত হল। সেই ছাই দুই হাতে নিয়ে পাগলের মতো অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল এক নারী। তারপর হঠাৎ কাঁদতে শুরু করলো, কাঁদতে কাঁদতে সেই ছাইগুলো নিজের দুই মুঠিতে নিয়ে জ্বলন্ত চোখে দুর্বোধ্য এক ভাষায় বলে উঠল, “প্রতিশোধ। আমি প্রতিশোধ চাই। তোমার এই বলিদান আমি কিছুতেই বৃথা হতে দেব না।” বলতে বলতে পাগলের মতো অট্টহাসিতে ফেটে পড়ল সেই নারী। হাতের মুঠি খুলতেই দেখলো ওর হাতে লেগে রয়েছে কিছু আধ পোড়া চামড়া। হাত ঝাড়লেও সেগুলো হাতে আঠার মতো লেগে ঝুলে রয়েছে। কোনরকমে হাত থেকে সেই পাতলা চামড়া ছাড়িয়ে নিয়ে ছাইগুলো একসাথে জড়ো করলো। প্রথমেই সরিয়ে ফেললো সব আধ পোড়া হাড়গোড়। বেছে নিল শুধু ছাইয়ের গুঁড়োগুলো।
ছাইগুলো নিয়ে ওকে একটু দূরের গুম্ফায় যেতে হবে। এই বলিদান ও কিছুতেই বৃথা যেতে দেবে না। ওকে যে করেই হোক এই ছাই নিয়ে পৌঁছাতেই হবে বন-পা সম্প্রদায়ের সেই মানুষগুলোর কাছে যারা ওকে ওর স্বার্থসিদ্ধির পথে এগিয়ে দিতে পারবে। আর একটুও দেরি না করে ছাইগুলো একটা কাচের বয়ামে ভরে সে হাঁটতে শুরু করলো।
অনেকটা পথ হাঁটতে হবে ওকে। তারপর কাজটা মিটে গেলেই ও রওনা দেবে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে। কালকের মধ্যেই ওকে বাড়ি পৌঁছতেই হবে। আর আজকেই যে সেই অমাবস্যা, যে অমবস্যার এক বিশেষ তিথিতে বন-পা সম্প্রদায়ের শামানরা ওর উদ্দেশ্য সাধনে সহায়তা করবে।
Riransha pdf download link
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.