সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়ের Rohossomoy Uppotokka pdf রহস্যময় উপত্যকা pdf ঝিনুক-দীপকাকু সিরিজের অন্যতম উপন্যাস। যারা ঝিনুক-দীপকাকু সিরিজ pdf এর অনুরাগী তাদের জন্য Rohossomoy Uppotokka pdf রহস্যময় উপত্যকা pdf নিয়ে আসলাম। সিরিজে অন্য উপন্যাসটি হলো নিঃশব্দ মৃত্যু pdf।
Rohossomoy Uppotokka pdf নমুনাঃ
ঝিনুকের ইদানীং একটা নতুন ঝোঁক চেপেছে। খবরটা এখন পর্যন্ত কেউ জানে না। গোপনীয়তার কারণ, একটা কাজও সে এখনও কমপ্লিট করতে পারেনি। সম্পূর্ণ না করে কোন স্পর্ধায় সে ঘোষণা করবে, আমি একজন সম্ভাবনাময় ডিটেকটিভ গল্পের রাইটার! গোয়েন্দার নাম ঠিক হয়ে গেছে, আদিত্য রায়। জম্পেশ নাম। Rohossomoy Uppotokka pdf
দীপঙ্কর বাগচীর চেয়ে অনেক ভাল। চেহারাও দীপকাকুর তুলনায় অনেক হ্যান্ডসাম। সাড়ে ছ’ফুটের মতো হাইট, ফরসা টকটকে গায়ের রং। ক্লিন শেভেন। চোখে চশমার বালাই নেই। মার্শাল আর্টে ওস্তাদ। তেমনই বন্দুকের নিশানা। মানে জাস্ট অপজিট দীপকাকু। আদিত্য রায়ের সহকারী ওঁর কলেজ মেট কানাই ঘোষ। ভীষণ ভালবাসেন আদিত্যকে। শার্লক হোমসের অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়াটসনের মতো সমস্ত ঘটনাপঞ্জি লিখে রাখেন তিনি।
চরিত্রের কাঠামো একদম তৈরি। এই ফ্রেমে তিনটে অসমাপ্ত গল্প লিখে ফেলেছে ঝিনুক। রহস্যের জট এতটাই পাকিয়ে গেছে যে, নিজেই খুলতে পারেনি। এসব গল্প কাউকে পড়ানো যাবে না। কেউ হাসবে, কেউ বা দেবে স্তোক, সান্ত্বনা। যার কোনওটাই ঝিনুকের কাম্য নয়। ক’দিন হল খুব হতাশ লাগছে। মনে হচ্ছে এ লাইন আমার নয়। Rohossomoy Uppotokka pdf
আজ সকাল থেকে চার নম্বর গল্পটা চেষ্টা করছে ঝিনুক। মাঝে কম্পিউটার ক্লাস, ক্যারাটে ক্লাব ঘুরে এসেছে। এখন সন্ধে, পাতা ছয়েক লেখাও হয়ে গেছে গল্পটা। ভাবা রয়েছে অনেক দূর। একটু আগে ভাবনাটা খতিয়ে দেখতে গিয়ে হোঁচট খেল প্রবল। Rohossomoy Uppotokka pdf
প্লটটা মোটামুটি এরকম, কলকাতার এক বড়লোক বনেদি বাড়ির অষ্টধাতুর একটি মূর্তি চুরি গেছে। বিষ্ণু মূর্তিটার হাইট এক ফুট, ওজন এক কেজি। এ-বাড়িতে আদিত্য রায় আগে এসেছেন, তাঁর দূর সম্পর্কের আত্মীয়র বাড়ি এটা।
বাড়ির লোক আদিত্য রায়কে তদন্তের ভার দেন। আত্মীয়র মধ্যে এত বড় ডিটেকটিভ থাকতে খামোখা পুলিশের কাছে কেন যাবেন। তদন্ত করতে গিয়ে আদিত্য রায়ের ধারণা হয়, মূর্তিটা এখনও এবাড়িতেই আছে, সরিয়ে ফেলা হয়নি। চোর এ-বাড়িরই কেউ। কোথায় লুকিয়েছে, সেটাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
গভীর চিন্তায় ডুবে থাকা আদিত্য দাঁড়িয়েছিলেন নাচঘরের ঝাড়বাতির নীচে। বাড়ির গা দিয়ে বয়ে গেছে হুগলি নদী। হাওয়া আসছিল এলোমেলো। ঝাড়বাতি দুলছিল রিনঠিন শব্দে। হঠাৎই কপালে ভাঁজ পড়ে আদিত্য রায়ের। এ-বাড়ির ঝাড়বাতির শব্দ তিনি আগেও শুনেছেন, আজ যেন কেমন অন্যরকম আওয়াজ।
আসলে চুরি যাওয়া মূর্তিটা লুকোনো আছে ওখানেই। সেটাই আবিষ্কার করবেন আদিত্য রায়। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, অত উঁচুতে ঝাড়বাতির মধ্যে জিনিসটা রাখল কে? যদি ছুড়ে দিয়ে থাকে, জিনিসটা আটকে না গিয়ে, পড়ে ভেঙে যেতে পারত। তাতে চোরের কোনও লাভ হত না। ভাবনা এখানে এসেই থেমে গেছে ঝিনুকের। এক ইঞ্চিও এগোতে পারছে না। এতটা লেখা পাতা কি শুধুই পণ্ডশ্রম?
পেনটা খাতার উপর নামিয়ে রাখে ঝিনুক। চেয়ারে ঠেস দিয়ে সিলিংয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে। গোয়েন্দা গল্প লেখা যে এত কঠিন কাজ, আগে বুঝতে পারলে কিছুতেই চেষ্টা করত না। তাকে এ কাজে প্রবৃত্ত করেছে একজনের উপেক্ষা। তিনি এখন ড্রয়িং রুমে বসে বাবার সঙ্গে দাবা খেলছেন। অর্থাৎ দীপকাকু। মিশরের রানির চিঠি উদ্ধারের পর থেকে তিনি আর কোনও কাজেই ঝিনুককে সহকারী করেননি। জিজ্ঞেস করলে বলেছেন, ‘এখন সব আজেবাজে কাজ নিয়ে আছি। তোমার ভাল লাগবে না ।
“কী ধরনের কাজ?” জানতে চেয়েছিল ঝিনুক।
উত্তরে দীপকাকু বলেছেন, “যেমন ধরো, এক ভদ্রলোক রোজ অফিস থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন, তাঁর পাঞ্জাবির পিঠে কালি ছিটোনোর দাগ। কে যে কোথায়, অফিসে না বাসে কাজটা করছে, ধরা যাচ্ছে না। আর একটা কেস, বরানগরে ঘোষালবাড়ির সামনে প্রত্যেক শনিবার সিঁদুর লাগানো ফুল, বেলপাতা, কাচ ভাঙা ছোট্ট আয়না পড়ে থাকতে দেখা যায়। এটা হচ্ছে তুক করা। ঘোষালবাড়ির অনিষ্ট কামনা করছে কেউ বা কারা। “
আরও কেসের কথা বলতে যাচ্ছিলেন দীপকাকু, বাবা সামনেই ছিলেন, বলে ওঠেন, “কেন এসব ফালতু কেস নাও, দর কমে যাবে তোমার। বুদ্ধিতে জং ধরে যাবে। যারা এসব কেসের অপরাধী, খুবই অল্প বুদ্ধির মানুষ। এদের সঙ্গে টক্কর দেওয়া কি তোমার মতো জিনিয়াসের মানায়!”
প্রশংসাটা হজম করে দীপকাকু বলেছিলেন, “উপায় নেই দাদা, এগুলোই আমার নেট প্র্যাকটিস। নেমে পড়েছি যখন এ লাইনে, মাথাটাকে সচল রাখতে হবে, চালাতে হবে খরচও। আমি তো আর শখের ডিটেকটিভ নই।”
Rohossomoy Uppotokka pdf download link
Download / Read Online
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.