স্মরণজিৎ চক্রবর্তী জোনাকিদের বাড়ি উপন্যাস প্রকাশিত হওয়ার পর আর লেখককে পেছন ফিরে তাকাতে হয় নি। যদিও লেখক আগেওে বেশ কিছু জনপ্রিয় উপন্যাস লিখেছেন। লেখকের Sada Sonar Deshe pdf তেমনই একটি জনপ্রিয় ও নতুন উপন্যাস pdf বই। স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর সাদা সোনার দেশে pdf উপন্যাসটি হরর থ্রিলার আর রোমাঞ্চে ভরপুর একটি উপন্যাস। একজন জীবন সঙগ্রামী মানুষের জীবনের ভয়ংকর সব ঘটনার বর্ণনা পাবেন এখানে।
Sada Sonar Deshe pdf সূচীপত্রঃ
২০১২: রনিতের কথা
২০১৩: আয়সেনের কথা
ছয় বছর পরে: ২০১৯
উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf – স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Ushnadweeper Pratishod pdf – Smaranjit Chakraborty
সাদা সোনার দেশে pdf রিভিউঃ
রাশিয়ার প্রিজন ছেলে আটকে থাকা রনিদের দুঃসহ জীবন কাহিনী দিয়ে উপন্যাসের সূচনা। তুষারপাতের মধ্যে কিভাবে দুঃসহ জীবন যাপন করতেছেন তার ভয়াবহ বর্ণনা রয়েছে রনিতের বয়ানে। এই বন্দী তশা থেকে পালানোর প্রাণপণ চেষ্টা নিখুঁত বর্ণনাও পাওয়া যাবে উপন্যাসটির লাইনে লাইনে।
মনে হচ্ছে সাইবেরিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চলের নেকড়ে যেন কামড়ে ধরেছে হাত।
রনিত জানে এমন প্রচণ্ড ঠান্ডায় কী করে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে হয়। গত উনিশ বছর ধরে রাশিয়ান প্রিজন ক্যাম্পে আটকে ছিল ও। সেই ক্যাম্পের প্রচণ্ড ঠান্ডা আর অমানুষিক অত্যাচার সহ্য করা খুব কঠিন। কিন্তু তাও রনিত পেরেছে। ওর এই বিশাল লম্বা-চওড়া ছ’ফুট আট ইঞ্চির শরীরটা অত সহজে কাবু হয় না।
রনিত মেটালার্জি নিয়ে লেখাপড়া করলেও সেই নিয়ে কাজ করেনি। এখন ও একজন ফোটোগ্রাফার। কলকাতার ছেলে হলেও, কাজের সূত্রে লন্ডনে থাকত। লন্ডনের একটা বড় ম্যাগাজিনের হয়ে ট্র্যাভেল সেকশনের ফোটো তুলত ও। পরে সেটা ছেড়ে দিয়ে নিজেই ফ্রিলান্স করতে শুরু করে। আসলে সারা পৃথিবীর নানা দর্শনীয় আর টুরিস্ট স্পটে ঘুরে-ঘুরে ফোটো তুলে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল ও।
রনিতের মনে হত ওর এমন কাজ করা উচিত, যা মানুষের কাজে লাগে। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় নানা রাজনৈতিক অস্থিরতা, যুদ্ধ, গৃহযুদ্ধ, মহামারি, সাধারণ মানুষের উপর ক্ষমতাশালী মানুষের অত্যাচার আর তার ফলে সাধারণ মানুষের প্রতিরোধের মতো নানা ঘটনা প্রতিদিন ঘটে চলেছে। সেসবের ফোটো যদি সারা পৃথিবীর মানুষের কাছে না পৌঁছনো যায়, তা হলে ফোটোজার্নালিস্ট হিসেবে ওর কাজের কোনও মূল্য নেই।
তাই পৃথিবীর নানা উপদ্রুত জায়গায় ঘুরতে শুরু করে রনিত। ফোটো তুলতে শুরু করে। আর খুব কম সময়ের মধ্যে রনিত সেনগুপ্তর নাম ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে।
আর ঠিক সেই সময়েই, মানে এখন থেকে উনিশ বছর আগে, সেই ১৯৯৩ সালে অস্থির হয়ে ওঠে বাণিমা।
আয়সেনের কথা অংশে সাদা সোনার মানে হাতির দাঁত নিয়ে চোরাকারবারীদের ভয়ংকর সব কাণ্ডকারখানার উদ্ভব হতে থাকে। সারা বিশ্বে হাতির দাঁতের যে কি পরিমান চাহিদা ও চোরাকারবারি রা কিভাবে সেই হাতির দাঁত হস্তগত করে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনে এবং হাতিদেরকে কিভাবে হত্যা করে সে বিষয়ে লেখক দারুণভাবে উপস্থাপন করেছেন।
যুগ-যুগ ধরে সারা পৃথিবীতে হাতির দাঁতের খুব চাহিদা। রাজারাজড়া থেকে সাধারণ মানুষ, সবার কাছে এর মূল্য ও চাহিদা বিশাল।
কিন্তু হাতির দাঁত তো গাছেও ফলে না বা মাটির তলাতেও পাওয়া যায় না। তাই এর বিশাল চাহিদা জোগান দিতে গিয়ে যুগ-যুগ ধরে হাতিদের মেরে তাদের দাঁত কেটে নেওয়া হয়। এর ফলে দাঁতাল হাতি বা টাস্কারদের সংখ্যা ব্যাপক হারে কমতে থাকে সারা পৃথিবীতে। নানা দেশের সরকার হাতি মারার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।
ছয় বছর পরে: ২০১৯ সাদা সোনা দেশে হাতির দাঁত সংগ্রহের নানান ফোন দিতে কি ও দুরন্ত কিংবা দুর্নিবার ঘটনা ঘটে থাকে। সাদা সোনার দেশে pdf উপন্যাসটিতে রাশিয়ার কনকনে শীতল বরফে ঢাকা প্রকৃতির অসাধারণ বর্ণনা খুঁজে পাবেন। কনকনে শীতল প্রকৃতি কতটা রুক্ষ হয়ে উঠতে পারে মানুষের জন্য তার কিছুটা আন্দাজ করা যায় সাদা সোনার দেশে pdf থেকে। এই রুক্ষ প্রকৃতির মাঝেও মানুষ কতটা ভয়ংকর রূপ ধারণ করে তার সর্ব খুঁজে পাওয়া যাবে এই উপন্যাসটি থেকে। হাতির দাঁতের শিল্প সারা বিশ্ব জুড়ে সমাদৃত ও বিশ্বব্যাপী এর রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। কিন্তু প্রকৃতি থেকে সহজেই এই দুর্লভ বস্তুটি সংগ্রহ করা যায় না। তাই দুর্বৃত্তরা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে হাতি হত্যা করে এবং তাদের দাঁতগুলো সংগ্রহ করে। প্রকৃতির জন্য বিপদজনক এই কাজটি নিয়েই উপন্যাসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর Sada Sonar Deshe pdf পড়ুন ও ডাউনলোড করুন এখান থেকে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.