সাহিত্যের শব্দার্থকোশ pdf – সুরভি বন্দ্যোপাধ্যায় Sahityer Sabdarthakosh pdf – Surabhi Bandyopadhyay

সাহিত্যের শব্দার্থকোশ pdf - সুরভি বন্দ্যোপাধ্যায় Sahityer Sabdarthakosh pdf - Surabhi Bandyopadhyay

Sahityer Sabdarthakosh pdf সাহিত্যের শব্দার্থকোষ pdf অনেকেরেই প্রয়োজনের কথা চিন্তা করে দেওয়া হলো। তেমনি গবেষণা প্রকরণ ও পদ্ধতি সুরভি বন্দ্যোপাধ্যায় pdf download ও সমান জনপ্রিয়তা পায়।

সাহিত্যের শব্দার্থকোশ pdf - সুরভি বন্দ্যোপাধ্যায় Sahityer Sabdarthakosh pdf - Surabhi Bandyopadhyay

Sahityer Sabdarthakosh pdf নিবেদন

ইংরেজি সাহিত্য যাঁরা চর্চা করেন নানা ধরনের সহায়ক গ্রন্থ ব্যবহারের সুযোগ তাঁরা পান। সেই তুলনায় বাংলা সাহিত্য-সম্পর্কিত অভিধান- সদৃশ গ্রন্থ প্রায় নেই বললেই চলে। ড. সুরভি বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচুর পরিশ্রম করে সেই অভাব খানিকটা মেটানোর চেষ্টা করেছেন। সাহিত্য আলোচনায় যে সমস্ত শব্দ আজকাল স্বতই ব্যবহৃত হচ্ছে সেগুলো সম্পর্কে সম্যক ধারণা তৈরি করার উপযোগী একটি শব্দার্থকোশ রচনার প্রয়াস এই গ্রন্থ। এর ফলে সাহিত্যের বিচার- বিশ্লেষণ, মূল্যায়ন, এমনকী সৃজনশীলতার ক্ষেত্রেও প্রভূত উপকার সাধিত হবে।

এককথায় সাহিত্যবোধকে স্বচ্ছ করে তোলায় এই গ্রন্থ সহায়ক হবে। শুধু সাহিত্যই নয় শিল্প-সংস্কৃতির নানা মহল এর দ্বারা উপকৃত হবে। এমন একটি প্রয়োজনীয় গ্রন্থ লিখে দেওয়ার জন্য ড. বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। ধন্যবাদ জানাই ড. পবিত্র সরকারকে, তিনি বইটি নিরীক্ষা করে পরামর্শ দিয়েছেন।
আশা করি, বাংলার সাহিত্যপ্রেমীসমাজের কাছে গ্রন্থটি সাদরে গৃহীত হবে। Sahityer Sabdarthakosh pdf

Sahityer Sabdarthakosh pdf ভূমিকা

‘অ্যাবসার্ড’ কাকে বলে? ‘অনুপ্রাস’ কয় ধরনের হয়? ‘চিত্রকল্পবাদ’ বলতে আমরা কী বুঝি? সাহিত্যে ‘অস্তিত্ববাদ’-এর অর্থ কী? ‘দৃশ্যকাব্য’ বা ‘অন্বয়’ কাকে বলে?—এমন অসংখ্য বিষয়ের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে এই শব্দার্থকোশে। বাংলা সাহিত্যে এবং সাহিত্য-সমালোচনায় আমরা অনেকসময় ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করে থাকি, যেমন- রোমান্টিক’ বা ‘কোরাস’, বা ‘ইমপ্রেশনিস্টিক’ ইত্যাদি। এর মূল কারণ হল বাংলা সাহিত্যের পরিভাষার প্রচলন এখনও তেমন ব্যাপকভাবে শুরু হয়নি। ফলে সাহিত্যে বহুল ব্যবহৃত অনেক শব্দ ও ধারণা এখনও অস্পষ্ট রয়ে গেছে। এই শব্দার্থকোশে সেইসব সাহিত্যিক শব্দের স্বচ্ছ ও স্বচ্ছন্দ ব্যাখ্যা দিতে চেষ্টা করেছি।

যেসব প্রচলিত ইংরেজি শব্দ বাংলা সাহিত্যচর্চার ভাষার অন্দরমহলে ঢুকে গিয়ে খাঁটি বাঙালিত্বের মর্যাদা পেয়ে গেছে, অবোধ্য বিদেশি শব্দ ব্যবহার করে তাদের সেই আত্তীকৃত মর্যাদাটুকু ক্ষুণ্ণ করিনি। তবে অনেক সহজবোধ্য নতুন বাংলা পারিভাষিক শব্দও সৃষ্টি করেছি। সাহিত্যের ইতিহাসে নিয়ত গতিশীল শব্দের দ্যোতনা বা ব্যঞ্জনামাত্র নয়, তথ্যবাহী অন্বর্থ দিতেও যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি। শব্দার্থকোশটি রচনা করার সময় মনে রেখেছি বাংলা সাহিত্যের পাঠক, গবেষক, লেখক এবং সমালোচকদের কথা। লেখক, পাঠক, সাহিত্যের ছাত্র, গবেষক এবং সমালোচক অর্থাৎ যাঁরা সাহিত্যচর্চা করেন অথবা যাঁরা সাহিত্যজিজ্ঞাসু, তাঁদের নিত্যপ্রয়োজন মেটানোর উদ্দেশ্যেই এই শব্দার্থকোশ রচনা করা হয়েছে।

‘ট্র্যাজেডি’ কাকে বলে? ‘ব্যারোক’-এর বাংলা কী? ‘দাদাবাদ’ বা ‘প্রতীকবাদ’ কবে থেকে শুরু হয়? ‘অবিনির্মাণ’ বা ‘ডিকনস্ট্রাকশন’ কাকে বলে? ‘দৃশ্যকাব্য’ কী? ‘ছন্দ’ বলতে কী বোঝানো হয়? ‘রস’-এর অর্থ কী? ‘নাটক’ বা ‘উপন্যাস’-এর সংজ্ঞা কী? ‘পয়ার’ বা ‘চতুর্মাত্রিক’ কাকে বলে? ‘অলংকার’ বলতে আমরা কী বুঝি? ‘উপমা’ কী? ‘উৎপ্রেক্ষা’ কী? ‘অস্তিত্ববাদী’ সাহিত্য কাকে বলে? – সাহিত্যে এবং সাহিত্য-সমালোচনায় নিত্যব্যবহৃত এমন অজস্র শব্দ ও বিষয়ের সংক্ষিপ্ত অথচ তথ্যঋদ্ধ আলোচনা রয়েছে এই কোশগ্রন্থে। যাঁরা লেখেন, পড়েন এবং পড়ান তাঁদের সকলের পক্ষেই এটি একটি অপরিহার্য গ্রন্থ।

এছাড়াও, গ্রন্থের ‘পরিশিষ্ট’ অংশে রয়েছে সাহিত্যচর্চায় ব্যবহৃত প্রচলিত ইংরেজি শব্দাবলির বাংলা পারিভাষিক প্রতিশব্দের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা। Sahityer Sabdarthakosh pdf

প্রথমেই বলি ভাষাতাত্ত্বিক অধ্যাপক পবিত্র সরকারের আন্তরিক সাহায্য ছাড়া এই শব্দার্থকোশটি সম্পূর্ণ করা আমার পক্ষে সম্ভব হত না। এ জন্য আমি পর্যায়ে আমাকে বিশেষ সাহায্য করেছেন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। আমার বিভিন্ন প্রশ্নের সদুত্তর দিয়ে সহায়তা করেছেন বাংলা সাহিত্যের অধ্যাপক ড. ক্ষেত্র গুপ্ত ও ড. ধ্রুবকুমার মুখোপাধ্যায়। উপযুক্ত দৃষ্টান্তের ব্যাপারে আমাকে সাহায্য করেছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় ও আফসার আহমেদ। এঁদের সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। পরিশেষে, প্রকাশনার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমির সচিব সনৎকুমার চট্টোপাধ্যায়কে বিশেষ ধন্যবাদ জানাই।

যাঁরা সাহিত্যচর্চা করেন, এই শব্দার্থকোশ তাঁদের নিত্যপ্রয়োজনে লাগলে আমার পরিশ্রম সার্থক হবে।

Sahityer Sabdarthakosh pdf নমুনা

অধিবাস্তববাদ : যদিও ‘সুররিয়ালিজম’ (Surrealisme) শব্দটি ১৯১৭ সালে ফরাসি কবি গিয়োম আপোলিনেয়ার প্রথম ব্যবহার করেন, সাহিত্য ও শিল্পের ক্ষেত্রে এই ‘সুররিয়ালিস্ট’ বা অধিবাস্তববাদী আন্দোলন শুরু করেন আঁদ্রে ব্রেতোঁ।
ব্রেতো ১৯২২ সালে দাদাবাদের প্রভাব থেকে বেরিয়ে এসে রচনা করেন ‘ম্যানিফেস্ত দু্যু সুররিয়ালিজম’ (Manifeste du Surrealisme, ১৯২৪)। বাস্তবতার সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়ার প্রয়াসকেই আপোলিনেয়ার ‘সুররিয়ালিজম’ বলে চিহ্নিত করেছেন। এই জন্যই বাংলায় এটিকে ‘অধিবাস্তববাদ’ বলা হয়। যৌক্তিকতা এবং অযৌক্তিকতার মধ্যে সীমারেখা মুছে ফেলাই অধিবাস্তববাদী শিল্পীর কাজ।

তাঁর মতে অন্তর্জগৎ ও বহির্জগতের, চেতন ও অবচেতনের মধ্যবর্তী কোনও সীমারেখা না থাকাই কাম্য। সাহিত্য ও শিল্পের জগতে স্বপ্ন ও কর্মের বাস্তবতা মেনে নিয়েছিলেন অধিবাস্তববাদীরা। যেমন ব্রেতোঁ ছিলেন স্বপ্ন ও বাস্তবের বৈপরীত্যের পরিবর্তে এদের মিলনজাত একটি বিশুদ্ধ বাস্তবের সম্ভাব্যতায় বিশ্বাসী। তিনি শব্দগত স্বয়ংক্রিয়তায় বিশ্বাসী ছিলেন না, কিন্তু গদ্য ও পদ্যের সনাতন বিভাজনরীতি ভেঙে দিয়েছিলেন।

Sahityer Sabdarthakosh pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply