গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস সাক্ষাৎকার সংগ্রহ pdf – উৎপল ভট্টাচার্য Sakshatkar Sangrah pdf – Gabriel García Márquez

Sakshatkar Sangrah pdf - Gabriel García Márquez
Sakshatkar Sangrah pdf - Gabriel García Márquez

পাঠকদের কাছে সুপরিচিত গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস এর banglabookspdf Sakshatkar Sangrah pdf গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস Sakshatkar Sangrah pdf সাক্ষাৎকার সংগ্রহ pdf ডাউনলোড করুন ও পড়ুন।

Sakshatkar Sangrah pdf - Gabriel García Márquez
Sakshatkar Sangrah pdf

Sakshatkar Sangrah pdf সাক্ষাৎকার সংগ্রহ pdf সুচিঃ

উৎসমুখে যাত্রা ১১
সাহিত্য : সূত্রধরবিদ্যারই রকমফের ২৬
লেখকদের লেখার কাজটাই করে যাওয়া উচিত ৪৬
নস্ট্যালজিয়া নিয়ে আমি বেঁচে আছি ৬৯
লেখনীশৈলী ৭৭
দ্য অটম্ অফ দ্য প্যাট্রিয়ার্ক ৮৩
রাজনীতি ৯৩
কুসংস্কার, ম্যানিয়া ১০২

Sakshatkar Sangrah pdf রিভিউঃ

বাংলাদেশে মার্কেজরে বাংলা ভাষায় পড়া হইছে নাকি? মার্কেজ এখনো বাংলা ভাষায় তো আবির্ভাব করতে পারেন নাই ওইভাবে। মার্কেজের জন্য এখনো ইংরেজির গ্রেগরি রাবাসা সাহেবই ভরসা। তবুও পশ্চিমবঙ্গে অমিতাভ রায় নামে একজন আছেন, সাহিত্যিক কিংবা অনুবাদক। তিনি মার্কেজের সব গল্পগুলারে ‘মার্কেজ টোন’-এ অনুবাদ তো করছেনই, পাশাপাশি নতুন একটা কিছু তৈরি করারও চেষ্টা চালাইছেন। আপনি মার্কেজের ইন্টারভিউয়ে এই জিনিসটা খেয়াল করবেন, অনুবাদের বিষয়ে এই বিষয়ে তিনি কনভিন্সড : অনুবাদ হইতেছে আপনার নিজের ভাষায় ‘রি-ক্রিয়েট’ করা, নতুন কিছু তৈরি করা, যেইখানে আপনি বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় মার্কেজরে আপন ভাবতে শুরু করবেন।

হাসির বারোটা লেখ্য ও আলেখ্য pdf – দীপঙ্কর বিশ্বাস Hasir Barota pdf – Dipankar Biswas

এইজন্য, স্প্যানিশ ভাষার ওপর ডিগ্রি কিংবা ‘তথাকথিত’ প্রথিতযশা অনুবাদক হওয়া সত্ত্বেও মার্কেজের সেই ‘টোন’ ধরতে না পারার কারণে কিংবা তার দাদিমার মার্কেজের সেই ‘টোন’ ধরতে না পারার কারণে কিংবা তার দাদিমার ‘ন্যাচারাল এক্সপ্রেশন’ না ধরতে পারার কারণে মার্কেজ এখনো বাংলা ভাষায় ওইভাবে পা রাখতে পারে নাই বলেই আমার মনে হয় । এখন কেউ যে এই কৌশল আয়ত্ত কইরা তার কিছু কাজ যে অনুবাদ করবে, মার্কেজ অনুবাদ সাহিত্যের সেই ব্যবসাপ্রক্রিয়ার দুর্দশা নিয়াও ডিটেইলে কথা বইলা গেছেন।

মার্কেজের সাহিত্য বলেন কিংবা আলোচনা-দুইটাই বাংলাদেশের জন্য প্রাসঙ্গিক। দুশ বছর না হলেও কলম্বিয়া প্রায় সাড়ে চারশ বছর স্প্যানিশদের দ্বারা কলোনাইজড ছিল। কলোনাইজড হওয়ার যে অভিজ্ঞতা কিংবা রেজাল্ট, কমবেশি হইলেও অনেকখানি মিল থাকে অন্য কলোনাইজড দেশগুলার সাথে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, স্বাধীনতা লাভের পরও যে একটা নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়, সেই দেশে তা মার্কেজ ছোটবেলা থেকেই দেইখা আসছেন। তার মনে হইছে, এই জিনিসগুলারে ইগনোর করা হয়তো ঠিক হবে না এবং তিনি তার উপন্যাসে করেনও নাই। যে রাজনৈতিক আবহাওয়ার ভিতর দিয়া বড় হইছেন তিনি-ড্রাগস, খুন, রাহাজানি, ভোটচুরি সবকিছুকেই তিনি মহাকাব্যিক টোনে টাচ কইরা গেছেন, যে স্পর্শটা আরও মজবুত হইছিল তার ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ার্স অফ সলিট্যুড-এ।

বাংলাদেশেও ‘সম্ভবত’ পরিস্থিতি খুব একটা আলাদা কিছু না। তবে আমাদের এই দেশে জিনিসগুলা, যেমন : সাহিত্য করা কিংবা লেখালেখি ধীরে ধীরে এতই কঠিন হয়া উঠতেছে, আমাদের সাহিত্যরে বাইরে রিপ্রেজেন্ট করাটাও সম্ভবত আরও কঠিন হইয়া উঠবে। এই কথা বলার যথেষ্ট কারণ আছে। আপনি যখন মার্কেজের লেখাগুলা পড়বেন, তখন আপনার মনে হবে কিংবা অন্য কারো লেখা পড়লেও মনে হবে, আরে! এই মার্কেজের মতোই আরও বহুত লেখক আছেন বাংলাদেশে, যারা অন্তত ম্যাজিক রিয়ালিজম নিয়া হইলেও বিশ্বমানের কাজ করছেন।

সাপ্তাহিক বর্তমান ১৯ আগস্ট ২০২৩ পিডিএফ Saptahik Bartaman 19 August 2023 pdf

মনে হইতে পারে, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস কিংবা শহীদুল জহির কিংবা আরও অনেকজন, যাদের ভালো মানের ইংরেজিতে অনুবাদ করা গেলে হয়তো সারভেন্তেসের পরে মার্কেজরে সবাই যেমনে লুফে নিছে, তেমনি রবীন্দ্রনাথের পরে বাংলা ভাষার আরও কয়েকজনরে বিশ্বসাহিত্যের লুফে নিতে অসুবিধা হইত না। উপন্যাসের ক্ষেত্রে আমাদের শক্তিমত্তাটা হয়তো আরও একটু ব্যাপক আকারে জানান দেয়া যাইত। এই জিনিসটা ঘটলে বাংলাদেশিদের ইংরেজি ভাষায় সাহিত্য করার উদীয়মান যে টেন্ডেন্সি, তাও হয়তো কমত। কারণ, মার্কেজরা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে তারা স্প্যানিশেই লেখালেখি করার জোর পাইছেন, যেটাতে তাদের স্প্যানিশ ভাষারই বিস্তৃতি বাড়ছে, বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেও একই জিনিস ঘটতে পারত।

আর দিনশেষে, এক ভাষার সাথে আরেক ভাষার শব্দ-সাহিত্য অনুবাদ হইলে ভাষা আসলে মারা যায় না, বরং ভাষাই শক্তিশালী হয়। কালচারাল আদানপ্রদানের এই একটা সুন্দর বৈশিষ্ট্য। লেখালেখির ক্ষেত্রে আরেকটা জিনিস এই ফিল্ডটাকে আরও শক্তিশালী কইরা দিছে বলে আমার লাগে, তা হইল ইন্টারনেট-মিডিয়ার জোর। এখন ঘরে ঘরে লেখক। যত বেশি কন্টেন্ট, তত বেশি লেখক। পার্টিকুলার কোনো লেখকের যে অস্তিত্ব, তা ধীরে ধীরে হারায়া যাইতেছে। রোলা বার্থের ’৬৭-র যে কথা ‘লেখক মইরা গেছে’, তা এই দেশে দুই হাজার বিশে আইসা যেন আরও প্রকট হয়া উঠতেছে। অন্তত আপনি যদি একটা ফেসবুক পেজও খুলেন নামমাত্র, আপনার একটা লেখা দরকার।

সবাই লিখতে ব্যস্ত, নট নেসেসারিলি তা সাহিত্য হইতে হবে, একটা কন্টেন্ট থেকে শুরু করে একটা স্ট্যাটাস-বাংলা, ইংরেজি যাই হোক না কেন, এক্সপ্রেশন বা নিজেরে প্রকাশ করা এত সহজ হয়া উঠছে, নিজের ‘ইমেজ’ কিংবা সবাই যখন নিজেরে ‘লেখক’ ভাবতে আরম্ভ করে, তখন সেই ‘লেখক’ পরিচয়টাই ক্যানো জানি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়া ওঠে, তখন লেখক আসলে কী লেখছে বা তার লেখা কী, তার আর অত গুরুত্ব থাকে না । লেখার থেকে ‘লেখক’ ইমেজটাই মুখ্য হয়া ওঠে। আর লাখ লাখ ইমেজের ভিড়ে যেমন কোনো ইমেজরেই আলাদা কইরা চিনা যায় না, তেমনি কোনো লেখকরেও আলাদা কইরা চিনা যায় না । এই রকমই ক্রাইসিসে এখনো আমরা পুরাপুরি পড়ি নাই, বরং বলা চলে ধীরে ধীরে সেদিকে আগাইতেছি।

একটা টাইমে লেখার আসলে তেমন কোনো গুরুত্ব থাকবে না। টেক্সটের সংজ্ঞা খুব দ্রুতই পাল্টাতে শুরু করছে। সবকিছুই ধীরে ধীরে ‘লেখা’ হইয়া উঠতেছে। তবে আপনি যদি লেখারে একটা ‘কনজ্যুমার প্রোডাক্ট’ হিসাবে গড়ে তুলতে পারেন, তাইলে সেইটার টিকে থাকার সম্ভাবনা বহুগুণে বাইড়া যাবে। লেখার নিজের টিকে থাকার তাগিদেই লেখার সাথে রয়ালিটি যুক্ত হবে, আর্থিক মূল্য যুক্ত হবে এবং যা শুরু হইতেছেও, এবং যেইটার প্রভাব আমাদের উপর পড়ছে, পড়তেছে, পড়বে এবং যেইটা মার্কেজ তার আশপাশের তরুণদের মধ্যে দেখছেন, যেইটা নিয়া তিনি খেদও প্রকাশ করছেন, যেই কারণে তার শেষের দিকের লেখাগুলা লিখতে খুব কঠিনই লাগত।

মার্কেজের এই ইন্টারভিউটা অনেক বেশি ডিটেইলড। আমি বরং দেখছি, ইন্টারনেটে তার যতগুলা ইন্টারভিউ পাওয়া যায়, তার প্রায় সবগুলাতেই মার্কেজ খুব আগ্রহী কথা বলতে। এই কারণে, তার আর্ট অফ ফিকশন নিয়া তারে যখন জিজ্ঞেস করা হয়, হেমিংওয়ের মতো এড়ায়া যান নাই । বরং ধৈর্য নিয়া, সময় নিয়া জিনিসগুলা একটা একটা কইরা ভাঙতেছেন, কাহিনির সাহায্যে কিংবা স্মৃতির ওপর ভিত্তি কইরা আগাইতেছেন, যাতে মাঝে মাঝে মনে হয়, তার লেখার জীবনের মতো চিন্তার জগৎটাও খুব বেশি কালারফুল, বিচিত্র। Sakshatkar Sangrah pdf সাক্ষাৎকার সংগ্রহ pdf ডাউনলোড করুন ও পড়ুন।

মার্কেজ সাংবাদিক ছিলেন জীবনের লম্বা সময় ধইরা। ইউনিভার্সিটি অফ বোগাতাতে ঢুকার পর যখন দেখলেন ‘এই পড়াশোনা তার দ্বারা সহিবে না’, তখন ১৯৪৮ সালে ইউনিভার্সিটি অফ কার্টেগানাতে এনরোলড হন। সেইখানে তিনি এল এস্পেকতাদোর-এ সাংবাদিক হিসাবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এই সাংবাদিকতা তার জীবনজুড়ে প্রভাব রাইখা গেছে। তিনি ইন্টারভিউতে আলোচনা করছেন, কীভাবে সাংবাদিকতার ক্যারিয়ার কিংবা টেকনিক উভয়েই ফিকশন রাইটিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এবং যেই সম্পর্কটা অনেকাংশে পারস্পরিক, আদানপ্রদানের মাধ্যমে ঘইটা থাকে। এই জায়গাতেও তিনি খুব ডিটেইলে জিনিসগুলা বলতে পারছেন বলে আমার মনে হয়।

তাকে একটা জায়গায় প্রশ্ন করা হইছিল, সিনেমা না জার্নালিজম-দুইয়ের মধ্যে আপনি কোনোটাকে বাইছা নিবেন? তিনি ইন্টারেস্টিং উত্তর দিছেন, জার্নালিজমই বাইছা নিবেন, তবে সিনেমার সাথে তার যে সম্পর্ক, তা এমন একটা কাপলের মতো, যারা একসাথেও থাকতে পারে না আবার আলাদা হইয়াও থাকতে পারে না। ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ার্স অফ সলিট্যুডকে সিনেমা করার জন্য অনেক প্রস্তাব আসছিল তার সেই জীবিতকালেই । কিন্তু তার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল, এইটারে সিনেমা করা সম্ভব না, আর সিনেমা করলেও স্প্যানিশ ভাষাতেই করা উচিত। মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবও এই ইচ্ছার কাছে তার জীবদ্দশায় হার মানে। কিন্তু তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পরেই গুরুত্বপূর্ণ খবর-নেটফ্লিক্স খুব শিগগিরই তার উপন্যাসকে সিরিজ আকারে আনতেছে, অন্তত তার কপিরাইট কিনে রাখছে, তবে সেইটা কত মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে, তা আমি ঘাঁটাঘাঁটি কইরাও খুঁইজা পাইলাম না।

হয়তো সেইটা এই বিশ সালেই আসবে কিংবা পরে। মার্কেজ যদি বাঁইচা থাকতেন, নেটফ্লিক্স তার ভালো ধরনের শত্রুই হইত বইলা মনে হয়। এর আগে ১৯৯৬ সালে মার্কেজ নিউজ অফ আ কিডন্যাপিং সিরিজে কলম্বিয়ান ড্রাগ ট্রাফিকার পাবলো এসকোবাররে নিয়া বিশদ লেখা লিখছিলেন। নেটফ্লিক্স সেই ‘নারকোস’ দিয়াও কোটি কোটি ডলার কামাইয়া নিছে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালে। মার্কেজের সবশেষে একটা আফসোস ছিল, তার একটা মেয়ে ছিল না। Sakshatkar Sangrah pdf সাক্ষাৎকার সংগ্রহ pdf ডাউনলোড করুন ও পড়ুন।

যদিও জাস্ট এই একটা লাইনই আসছে পুরা ইন্টারভিউয়ে, কিন্তু আমার মনে হইছে, এই মেয়ে না থাকার যে শূন্যতা, তা তার ফিকশনরে অন্য রকম ওয়েতে প্রভাবিত করছে। এই পর্যন্ত তার গল্পগুলা কিংবা উপন্যাসে একটা মেয়ে সন্তান হিসাবে থাকাটা কিংবা মেয়ে চরিত্ররে মার্কেজ ফিকশশাসভাবে একটু সহানুভূতির চোখেই রাখছেন। যেমন তার এরেনদিরার গল্প কিংবা সোলো ভিনে আ আবলার পোর তেলিফানোর মারিয়া কিংবা ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ার্স অফ সলিট্যুড-এর উরসুলার জীবনসায়াহ্নে তার মেয়েদের নিয়া রিয়ালাইজেশন-এই রকমও আরও নানান উদাহরণ দেয়া যায়। Sakshatkar Sangrah pdf সাক্ষাৎকার সংগ্রহ pdf ডাউনলোড করুন ও পড়ুন।

আরেকটা জিনিস মার্কেজ ক্লিয়ার করছেন, তিনি কোনো ম্যাজিকাল কল্পকাহিনি লেখক ছিলেন না, বরং খুব ভালোভাবেই রিয়ালিস্ট লেখক, যিনি নিজের জীবন, শৈশবরে রিয়ালিস্ট চোখ দিয়াই ফিকশনে তুইলা আনছেন। যিনি ভাবছেন, আমার শৈশবই তো ফিকশন হয়া উঠতে পারে এবং তা হইছেও।

Sakshatkar Sangrah pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply