শারদীয়া আনাড়ি মাইন্ডস ১৪৩০ পিডিএফ Saradiya Anari Minds 1430 pdf

শারদীয়া আনাড়ি মাইন্ডস ১৪৩০ পিডিএফ Saradiya Anari Minds 1430 pdf এ থাকছে উপন্যাস, গল্প, কবিতা, অনুবাদ, নিবন্ধ, স্মৃতিকথা ও সাক্ষাৎকার। Saradiya Anari Minds 1430 pdf সংখ্যাটি অলঙ্করণর করেছেন নিবেদিতা দাস। Saradiya Anari Minds 1430 pdf  পড়ুন অনলাইনে।

Saradiya Anari Minds 1430 pdf সূচীপত্র

বিশেষ নিবন্ধ মুহূর্তের পর – রাজা ভট্টাচার্য – ৯
উপন্যাস
লিওনার্দোর ছোটবেলা – সুব্রত কুমার আচার্য্য – ১৪৫
উপন্যাসিকা যুদ্ধ – পিউ দাশ ২১
হাইওয়ে ৩০২ – অতনু বন্দ্যোপাধ্যায় ৪০১
স্মৃতি কথা
মিলনের উৎসবে – ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় ৮৭

রম্য রচনা
নৈশভোজ কয় যাহারে অরিজিৎ গাঙ্গুলি ৩২২
অনুবাদ সন্দেহের অবকাশ নেই – পিয়া সরকার ৩০৭
যারা ওমেলাস থেকে চলে যায় দেবায়ণ কোলে ৬৭০
নিবন্ধ
একচালা দুর্গা পূজা – তমোঘ্ন নস্কর ১২৮
ফেলুদা কাহিনীঃ একটি সাংস্কৃতিক ও সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ
বিপ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য ২৮৫

কাউন্ট ড্রাকুলা – সায়ন্তনী পূতত্ব – ৫৩২
অঙ্ক শুধুই আতঙ্ক নয় – অদিতি ঘোষ দস্তিদার ৬৩২
মাল্টিভার্স, রামায়ণ এবং – অন্বয় গুপ্ত ৬৫৩
হলিউড, ডাইভারসিটি, ইকুইটি, ইনক্লুশন এবং অস্কার – এলজা রায়
সাক্ষাৎকার
রজতাভ দত্ত – এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার ১৮
অনির্বাণ ভট্টাচার্য – এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার ৫০৮
ইন্দ্রাশিস আচার্য্য – এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার ৬৮৪
গল্প
বুল্টি নামে এক জাদুকরি – সৈকত মুখোপাধ্যায় ১৩৪
জোনাকি – দোলনচাঁপা দাশগুপ্ত ৩৫৯

সকল শারদীয়া ম্যাগাজিনের পিডিএফ ডাউনলোড করুন এখান থেকে।

এইবার ঘোর যুদ্ধ আরম্ভ হল। কালী শূল দিয়ে অসুরদের বধ করতে লাগলেন। ব্রহ্মাণী কমণ্ডলু থেকে জল ছিটিয়ে তাদের বলহীন করতে লাগলেন। মাহেশ্বরী ত্রিশূল দিয়ে, বৈষ্ণবী চক্রের আঘাতে এবং কৌমারী শক্তি-অস্ত্রের আঘাতে দৈত্যদের বিনাশ করতে লাগলেন। ঐন্দ্রী বজ্রাঘাতে শত শত অসুরকে বধ করলেন। অষ্ট-মাতৃকারা এইভাবে আপন বল প্রদর্শন করে চললেন।

অসুরেরা ভয়ে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যাচ্ছে দেখে মহাবীর রক্তবীজ স্বয়ং যুদ্ধে এল। এর কথা, বা বলা ভাল, এর অদ্ভুত বৈশিষ্ট্য আমাদের সব্বার জানা। এই অসুরের এক বিন্দু রক্ত যখনই মাটিতে পড়ে, তখনই তার মতোই শক্তিশালী এক-একজন অসুরের জন্ম হয়, তাই এর নাম এমন।
দেবী ঐন্দ্রী একে আক্রমণ করলেন ভয়ঙ্করভাবে। বজ্রাঘাতে রক্তবীজের দেহ থেকে রক্তপাত হতে লাগল, আর সঙ্গে সঙ্গে অসংখ্য বীর অসুরের আবির্ভাব হয়ে চলল। তারাও সমান বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করতে লাগল। মাতৃকারা বুঝে উঠতে পারলেন না, এর কী উপায় করা যায়।
তখন চণ্ডিকা হাসতে হাসতে চামুণ্ডাকে বললেন, “তুমি রক্তবীজের দেহ থেকে নির্গত সমস্ত রক্ত পান করে নাও। তাহলে ও দুর্বল হয়ে পড়বে, নতুন অসুরের সৃষ্টিও হবে না!”

তাই করলেন কালী। দেবীর শূলের আঘাতে রক্তবীজের দেহ থেকে নির্গত রক্ত আর মাটিতে পড়ার সুযোগ পেল না, তার আগেই কালী তা পান করে নিতে লাগলেন। অবশেষে অবসন্ন অসুর প্রাণ হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল।
মহাবীর রক্তবীজ মারা যাওয়ায় ক্রোধে আত্মহারা হয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ল শুম্ভনিশুম্ভ। অষ্ট-মাতৃকারা অসামান্য বীরত্বের সঙ্গে যুদ্ধ করলেন তাদের সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত দেবী চণ্ডিকা শূলের আঘাতে নিশুম্ভর বক্ষ বিদীর্ণ করে দিলেন। সেই শূলবিদ্ধ হৃদয় থেকে আবার আর এক অসুর ‘তিষ্ঠ! তিষ্ঠ!!’ বলতে বলতে বেরিয়ে আসছিল। দেবী অট্টহাস্য করে তাকে খড়গাঘাতে বধ করলেন।

প্রাণের চেয়েও প্রিয় ভাইকে প্রাণ হারাতে দেখে শুম্ভ উগ্রভাবে বলল,“অহঙ্কার করো না, দেবী! যতই গর্ব করো, আসলে তুমি অন্য দেবীদের শক্তির সাহায্য নিয়েই জয়লাভ করছ।”
চণ্ডিকাদেবী বললেন, “আমাকে কে সাহায্য করবে? আমিই তো সব! একমাত্র আমিই আছি! এই মাতৃকারা আমারই বিভূতি। এই দ্যাখ, এঁরা আমার মধ্যেই বিলীন হয়ে যাচ্ছেন।”
তখন ব্রহ্মাণী এবং অন্য দেবীরা চণ্ডিকার দেহের মধ্যে লীন হয়ে গেলেন।

চণ্ডিকা বললেন, “আমি নিজের শক্তিকে নানান রূপ দান করেছিলেন। আমিই আবার সেই মায়া সংবরণ করলাম। এবার আমি একা। যুদ্ধ কর।” ভয়ঙ্কর যুদ্ধ হল এই দুই যোদ্ধার মধ্যে। কিন্তু দেবী চণ্ডিকা শেষ পর্যন্ত অসুরের সমস্ত অস্ত্র ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে শূলের আঘাতে তাকে বধ করলেন। তখন আকাশ আবার নির্মল হল, সুপবন বইতে লাগল। দেবতারা তাঁর স্তব করতে লাগলেন। পুনরুক্তি দোষ ঘটে ঘটুক; আবার বলি, এই স্তবগান আমাদের দেশের সনাতন সম্পদ। এর মৃত্যু নেই।

ভবিষ্যতে যেকোনও বিপদে তিনি দেবতাদের ত্রাণ করবেন, এই বর দিয়ে দেবী চণ্ডিকা অন্তর্হিত হলেন।
আচ্ছা, এই গোটা গল্পটাই যে মেধা ঋষি বলছেন রাজা সুরথ এবং বৈশ্য সমাধিকে, সেটা নিশ্চয়ই মনে আছে আপনাদের? তো এইবার, এই পূর্ণ দেবীমাহাত্ম্য বর্ণনার পালা সাঙ্গ করে ঋষি বললেন, “রাজা সুরথ! জেনে রাখো, এই ভগবতী বিষ্ণুমায়াই তো মাদেরও মোহগ্রস্ত করে রেখেছেন।

Saradiya Anari Minds 1430 pdf