নীলাঞ্জন মুখার্জ্জী এর শতী সহস্রাননা pdf Shoti Shohosranona pdf উপন্যাসটিতে মূলত একজন সাইকায়াট্রিস্ট এর বিবরনীতে মাইথলজিক্যাকেল থ্রিলার বর্ণিত হয়েছে। ওই সাইকায়াট্রিস্ট বিশ্বাস করে পৃথিবীর সব ঘটনারই কোন না কোন ব্যাখ্যা আছে, অপ্রাকৃত বলে এ জগতে কিছুই হয় না। এক আধিদৈবিক চিকিৎসক, যে জানে এ পৃথিবীতে কোন ঘটনাই অবান্তর নয়। সে ঘটনার কোন ব্যাখ্যা থাক বা তা হোক ব্যাখ্যাতীত, কোন কিছুই বিচ্ছিন্ন ভাবে ঘটে না। প্রতিটি ঘটনার একটি উদ্দেশ্য আছে এবং তা যুক্ত আছে অন্য একটি ঘটনার সাথে। সেই উদ্দেশ্য কখনও বুদ্ধি দিয়ে জানা যায় আর কখনও তা সম্ভব হয় না। Shoti Shohosranona pdf
শতী সহস্রাননা pdf Shoti Shohosranona pdf ভূমিকা
সাহিত্যের এক ভাষা, অতীন্দ্রিয় রহস্যময় ভয়ের ভাষা। “শতী সহস্রাননা’ সেই রহস্যময় ভয়ের ভাষায় লেখা হয়েছে। বিজ্ঞানের মতে, পৃথিবীতে মানুষের সৃষ্টি হয়েছে মোটামুটি ছ’ কোটি বছর আগে। অথচ তার ইতিহাস লেখা হচ্ছে মাত্র কয়েক হাজার বছর ধরে। আগের কয়েক কোটি বছরের কোন লিখিত ইতিহাস নেই। কিন্তু ইতিহাস লেখা হয়নি বলে কি ইতিহাসও নেই? কিছু আপাত বিচ্ছিন্ন ঘটনায় সেই না লেখা ইতিহাস বারবার কিছু বলার চেষ্টা করে কি? কালের কলমে বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের পৃষ্ঠায়, মিথ আর মিথ্যার মোড়কে, বারবার মুখ বদলে সেই শাশ্বত সত্য শত সহস্রবার লেখা হয়েছে কি? ‘শতী সহস্রাননা’ সেই অলিখিত ইতিহাসের কাহিনী।
এই লেখা কোন হাইপোথেসিস নয়। এটি একটি ফ্যান্টাসি ফিকশন। ফিকশনের প্রয়োজনে এখানে বিভিন্ন রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। সেই তথ্য ব্যবহারের উদ্দেশ্য কোন ঐতিহাসিক বা মনোবিজ্ঞানের সত্যাসত্য প্রমাণ করা বা কোন জাতি, ধর্ম, বর্ণের কারোকে কোনরকম আঘাত দেওয়া নয়। কোন ব্যক্তি বা ঘটনার সাথে কোনরকম মিল সম্পূর্ণভাবে আকস্মিক হিসাবে ধরতে হবে। Shoti Shohosranona pdf
গুরুত্বপূর্ণ সাবধানবাণী, ‘শতী সহস্রাননা’ কোন বৈঠকি ভূতের গল্প নয়। শুধুমাত্র পরিণতমনস্ক পাঠকদের জন্য বইটিতে অনেক বিষয়ের অবতারণা করা হয়েছে। তারা ছাড়া অন্য কারোর বইটি পাঠ করা থেকে শতহস্ত দূরে থাকা উচিৎ। পাতা ওলটাতে গিয়ে সিন্ধু লিপি ও মনোবিজ্ঞানের রেফারেন্স দেখে অভিভাবকেরা এই বই অল্পবয়েসীদের হাতে তুলে দেবেন না। Shoti Shohosranona pdf
যদিও এই লেখা একটি রহস্যময়তাকে খুঁজেছে, তবু শুধুমাত্র ভয় বা রহস্যময়তা দিয়ে একটা ছোটগল্প হয়তো লেখা যায়, কিন্তু একটা সত্তর হাজার শব্দের উপন্যাস লেখা সম্ভব নয়। পাঠক এই বই পড়ার সময় অন্য বিভিন্ন ভাষা খুঁজে পেতেই পারেন। পাঠকের সেই স্বাধীনতা অবশ্যই আছে।
নীলাঞ্জন মুখার্জ্জী
মাসুদ রানা সিরিজের সকল বই পিডিএফ পার্ট ০১ (মাসুদরানা ১ – ১০০ পর্যন্ত) Masud Rana 1-100
শতী সহস্রাননা pdf Shoti Shohosranona pdf নমুনাঃ
এই ছেলেটা কিছুই পারে না। ব্যাটিং পারে না, বোলিংও না। তাই বেশির ভাগ সময় ওকে ফিল্ডিং দেওয়া হয়। কখনও সবার শেষে ব্যাটিং পায়, কখনও পায় না। ওর খেলার আগেই সময় শেষ হয়ে যায়। বয়েস বছর চোদ্দ হলেও ফিল্ডিংয়েও ওকে অনেক অনেক দূরে দাঁড় করানো হয়। যেখানে ফিল্ডিং করার চেয়ে আলতু ফালতু জায়গা থেকে বল আনতে আনতেই ওর সময় চলে যায়।
খেলতে খেলতে ওর বন্ধুটা এতো জোরে ব্যাট চালালো যে বলটা উড়ে গিয়ে পড়ল ভাঙা বাড়িটার পাঁচিলের ওপারে। ওদিকটায় কেউ যেতে চায় না। কেন যেতে চায় না কেউ জানে না। কিন্তু কেউ যায় না। মাঠের পাশে একাবোকা ধরনের বাড়িটা বহুদিন ধরে রয়েছে। কেউ সেখানে থাকে না। ইঁট আর রঙ এতো পুরনো হয়ে গিয়েছে যে দেখলে মনে হয় বাড়িটায় যেন কোনদিন আগুন লেগেছিল। ঝলসে ঝলসে গিয়েছে সবকিছু। জং ধরা মেন গেটটা লতাপাতা দিয়ে এমন জড়িয়ে পেঁচিয়ে রয়েছে যে, হঠাৎ রাতের অন্ধকারে টর্চ পড়লে মনে হয় একটা বিশাল অক্টোপাস যেন তার শুঁড় মেলে ডাকছে। বাড়ির গেটের থামদুটোর কাছে দুটো শিং। দেখলে মনে হয় ভাঙা ষাঁড় বা মহিষের মাথা। ঠিক একইরকম দুটো ভাঙ্গা শিং রয়েছে বাড়িটার ছাদে।
বাড়িটা এখানকার লোকেরা বহুকাল ধরে দেখছে। কে বানিয়েছিল কে জানে ইছামতীর ধারে এমন বিশাল বাড়ি? নাকি যখন বানিয়েছিল তখন ইছামতীও এখানে ছিল না। বাড়িটার একদিকে খেলার মাঠটা, অন্যদিকে রয়েছে চওড়া ইছামতী নদী। তারও ওপাশে বাংলাদেশের দক্ষিণ শ্রীপুর। ইছামতী দিয়ে নৌকা করে যাওয়ার সময় যাত্রীরা দেখে নদীর ঠিক উপরে প্রকাণ্ড গা ছমছমে বড় বাড়িটা যেন একটা বিশাল লাল পাটকিলে মহিষের মতো ঝুলে রয়েছে। মাঝখান দিয়ে শুঁড়ের মতো এদিক ওদিক বেরিয়ে রয়েছে গাছের মোটা মোটা ডাল, রাজ্যের গাছা-পরগাছা, যেন কী একটা অমোঘ শক্তি বাড়িটাকে মাটির সাথে আটকে রেখেছে বছরের পর বছর ধরে। কিছুতেই সে এই বাড়িকে নদীর গর্ভে চলে যেতে দেবে না।
শতী সহস্রাননা pdf Shoti Shohosranona pdf download link
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.