রকিব হাসান ও শামসুদ্দীন নওয়াব এর তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১১৭/২ pdf আমিই কিশোর, আলাস্কা অভিযান, আমাজানের গহীনে Tin Goyenda Volume 117/2 pdf ডাউনলোড করুন ও Tin Goyenda Volume 117-2 pdf পড়ুন।
Tin Goyenda Volume 117/2 pdf তিন গোয়েন্দা ভলিউম ১১৭/২ pdf কাহিনিঃ
আমিই কিশোর: শামসুদ্দীন নওয়াব
সকালে ঘুম থেকে উঠে নীচে নেমে এল কিশোর। কিন্তু এ কী! রাশেদ চাচা, মেরি চাচী, ডন কেউই ওকে চিনতে পারছে না কেন? বাসা থেকে বেরিয়ে যেতে বলা হলো কিশোরকে। স্কুলের বন্ধু-বান্ধব, শিক্ষক, শিক্ষিকারাও ওকে চেনে না। এ কোন বিপদে পড়ল কিশোর? এ থেকে উদ্ধার পাবে কীভাবে?
আলাস্কা অভিযান: রকিব হাসান
আলাস্কার ইডিটারোড পিটসের বিখ্যাত ডগস্লেজ রেস দেখতে বরফে ঢাকা গ্লিটার টাউনে উড়ে এল কিশোর ও মুসা। ওরা শহরে ঢুকতে না ঢুকতেই শুরু হলো বোমাবাজি। খুন করতে চায় ওদের কেউ। তেড়ে এল মানুষখেকো নেকড়ের দল । গোটা শহর হুমকির মুখে। আগুন জ্বলে ওঠার আগেই ঠেকাতে হবে খেপা উন্মাদকে। রুখে দাঁড়াল গোয়েন্দারা।
আমাজানের গহীনে: শামসুদ্দীন নওয়াব
জাদুর ট্রী হাউসে চড়ে তিন গোয়েন্দা এবার আমাজানে। মরগ্যানের জাদুর মায়া কাটাতে একটি বিশেষ জিনিস খুঁজে বের করতে হবে। চারদিকে বিপদ। রাক্ষুসে পিরানহা, ভয়াল সাপ, ভয়ঙ্কর কুমির আর হিংস্র জাগুয়ারের কবল থেকে নিরাপদে ফিরে আসতে হবে। পারবে তো?
Tin Goyenda Volume 117/2 pdf সম্পর্কে
হ্যালো, কিশোর বন্ধুরা-আমি কিশোর পাশা বলছি, আমেরিকার রকি বিচ থেকে। জায়গাটা লস অ্যাঞ্জেলেসে, প্রশান্ত মহাসাগরের তীরে, হলিউড থেকে মাত্র কয়েক মাইল দূরে। যারা এখনও আমাদের পরিচয় জানো না, তাদের বলছি, আমরা তিন বন্ধু একটা গোয়েন্দা সংস্থা খুলেছি, নাম : তিন গোয়েন্দা ৷ আমি বাঙালী। থাকি চাচা-চাচীর কাছে। দুই বন্ধুর একজনের নাম মুসা আমান, ব্যায়ামবীর, আমেরিকান নিগ্রো; অপরজন আইরিশ আমেরিকান, রবিন মিলফোর্ড, বইয়ের পোকা। একই ক্লাসে পড়ি আমরা। পাশা স্যালভেজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের জঞ্জালের নীচে পুরনো এক মোবাইল হোম-এ আমাদের হেডকোয়ার্টার। তিনটি রহস্যের সমাধান করতে চলেছি এবার- এসো না, চলে এসো আমাদের দলে!
Tin Goyenda Volume 117/2 pdf নমুনাঃ
চোখ মেলে বিছানায় উঠে বসলাম। আড়মোড়া ভেঙে হাই তুললাম। আউ! বাঁ কাঁধ ব্যথা করছে! কাঁধ ডলে দেয়াল ঘড়ির দিকে চাইলাম। সকাল সাতটা পঁচিশ? চাচা-চাচী আমাকে ডাকেনি কেন? স্কুলে তো দেরি হয়ে যাবে আমার! বিছানা থেকে লাফিয়ে নেমে বাথরুমের দিকে এগোলাম। আয়নায় কাঁধটা দেখে নিলাম। জখমটা গুরুতর, কালশিটে পড়ে গেছে। কীভাবে হলো এটা? গতকালকের ফুটবল প্র্যাকটিসের সময়? নাকি দু’একদিনের মধ্যে বাইক থেকে পড়ে গেছিলাম? মনে করতে পারলাম না।
কাঁধ নিয়ে ভাবতে ভাবতে নীচে নেমে এলাম। রাশেদ চাচা, মেরি চাচী আর ডন টেবিলে ব্রেকফাস্ট করতে বসেছে।
থমকে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আমার চেয়ারটা নেই! আমার জন্য খাবারও দেওয়া হয়নি। ‘আজব তো!’ বললাম, ফাঁকা জায়গাটার দিকে চেয়ে রয়েছি। ‘ডন, ঠাট্টা করছ আমার সাথে? আমার চেয়ার কোথায় সরিয়েছ? এখন মজার সময় নয়। স্কুলে দেরি হয়ে যাবে-‘ হঠাৎই অনুভব করলাম ঘরে কীরকম পিনপতন নিস্তব্ধতা নেমে এসেছে। চাচা-চাচী আর ডনের দিকে চাইলাম।
চাচা চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়াচ্ছে। চাচী সরে গিয়ে ডনের পিছনে দাঁড়াল। ভাবখানা এমন যেন ওকে রক্ষা করছে! ওরা তিনজন আমার দিকে এমনভাবে চেয়ে রয়েছে, আমি যেন… অচেনা কেউ।
‘এখানে কী ঘটছে?’ বলতে শুরু করলাম।
“আমরাও সেটাই জানতে চাই, ইয়াং ম্যান, ক্রুদ্ধ কণ্ঠে বলল চাচা। গম্ভীর শোনাল তার কথাগুলো।
থমকে গেলাম আমি, চোখ পিট-পিট করলাম, হাসার চেষ্টা করলাম।
‘আগে বলো আমার চেয়ার কই?’ বললাম।
চাচী ঝুঁকে পড়ে ডনের কানে কানে কী যেন বলল। মনে হয় ওকে নিজের কামরায় যেতে বলছে।
‘আমরা যতক্ষণ না আসি ঘরেই থাকিস, চাচীকে বলতে শুনলাম। *ও কি খারাপ লোক, আণ্টি?’ আমার দিকে আঙুল তাক করে বলল ডন।
“হ্যাঁ, আমি খুব খারাপ লোক,’ বলে কটমট করে চাইলাম ওর দিকে। ‘আমি কিশোর পাশা, খুনে দানব।’
‘ডন, চলে যা!’ চাচী বলল, এবং ডন চেয়ার ছেড়ে লাফিয়ে উঠে বেরিয়ে গেল কিচেন থেকে।
চাচা ঘুরে দাঁড়িয়ে চাইল আমার দিকে। মুখের চেহারা কঠোর। সরাসরি চোখ রেখেছে আমার চোখে।
‘শোনো, ইয়াং ম্যান,’ বলল, ‘আমরা এখানে কোন ঝামেলা চাই না। তুমি এক্ষুনি চলে যাও এবাড়ি ছেড়ে। দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাও, আমরাও ভুলে যাব ঘটনাটা, নইলে ‘
‘নইলে কী? কী বলছ তুমি এসব, চাচা?’
নইলে,’ চাচী চাচার কথাগুলো শেষ করল, ‘আমরা পুলিস ডাকতে বাধ্য হব। আর আমাদেরকে ‘চাচা’ ‘চাচী’ বলা বন্ধ করো। আমরা তোমার চাচা-চাচী নই এবং কোন কিশোর পাশার নামও আমরা ‘শুনিনি!’
‘ঠিক আছে,’ শ্রাগ করলাম। ‘তোমরা যা বলো।’ স্বীকার করতেই হবে এটাই এখন অবধি আমাদের সেরা পারিবারিক কৌতুক। কিন্তু আমাকে এর শেষ দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ এখন বাজে পৌনে আটটা, আর পনেরো মিনিট পর প্রথম ঘণ্টা পড়বে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.