উদ্যত খড়্গ pdf – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Udyato Khorg pdf – Achintya Kumar Sengupta

উদ্যত খড়্গ pdf - অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Udyato Khorg pdf - Achintya Kumar Sengupta
উদ্যত খড়্গ pdf - অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Udyato Khorg pdf - Achintya Kumar Sengupta

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত এর Udyato Khorg pdf উদ্যত খড়্গ pdf ডাউনলোড করুন এবং Udyato Khorg pdf উদ্যত খড়্গ pdf পড়ুন।

উদ্যত খড়্গ pdf - অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Udyato Khorg pdf - Achintya Kumar Sengupta
উদ্যত খড়্গ pdf – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Udyato Khorg pdf – Achintya Kumar Sengupta

Udyato Khorg pdf উদ্যত খড়্গ pdf রিভিউঃ

পিতার শৈশবে ধনী পিতার নির্দেশে মিশনারী কলেজে শিক্ষা। তারপর র‍্যাভেনশ কলেজিয়েট স্কুল-এ এক আদর্শ শিক্ষকের কাছে স্বদেশব্রতে দীক্ষা। আর সে দীক্ষা আজীবন লালন ও পালন করলেন সুভাষচন্দ্র উদ্যত খড়্গের মতোই।

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত পিডিএফ ডাউনলোড লিঙ্ক

বাঙালির কাছে সুভাষচন্দ্র শুধু নেতাজী নন, চোখের মণির মতো আদরের। ভারতের যতই দৃপ্ত নেতাই থাকুক না কেন, নেতাজীর মতো এত প্রিয় বাঙালির কাছে আর কেউ নেই। ধনীর সন্তান হয়েও কী অবর্ণনীয় কষ্ট সহ্য করেছেন, তা জানেন তাঁর সহকর্মীরা। স্বাধীনতার উদ্দীপ্ত আকাঙ্ক্ষা তিনি বহন করে গেছেন আমৃত্যু, উদ্যত খঙ্গের মতোই।

Udyato Khorg pdf উদ্যত খড়্গ pdf লেখক পরিচিতিঃ

‘কল্লোল’ পত্রিকার যে সব লেখক বাংলা সাহিত্যে আলোড়ন তুলেছিলেন, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত তাঁদের অন্যতম। জন্ম নোয়াখালিতে ১৯০৩ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর, তিরোধান কলকাতায় ২৯শে জানুয়ারি ১৯৭৬ সালে। প্রথমে ছোটো গল্প ও উপন্যাসে সুপ্রতিষ্ঠিত হন। পরে জীবনী-সাহিত্য রচনায় মনোনিবেশ করলে তাঁর সাহিত্যিক খ্যাতি এক বিশেষ মাত্রা পায়। পরমপুরুষ শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ, পরমাপ্রকৃতি শ্রী শ্রী সারদামণি, অখণ্ড অমিয় শ্রী গৌরাঙ্গ প্রভৃতি গ্রন্থ একে একে পাঠক ও ভক্তদের চিত্ত জয় করে নেয়। ‘উদ্যত খঙ্গ’ নেতাজী সুভাষচন্দ্রের এক অসামান্য জীবনী গ্রন্থ।

Udyato Khorg pdf উদ্যত খড়্গ pdf নমুনাঃ
উনিশ শো উনিশ সালের পনেরোই সেপ্টেম্বর। কলকাতার তক্তাঘাটে বিশালকায় জাহাজ, সিটি অফ ক্যালকাটা, নোঙর তুলছে। জাহাজের রেলিং ধরে ও কে দাঁড়িয়ে? সে কী, চেন না তাকে? ওই তো বাংলার নবজাগ্রত তারুণ্যের প্রতীক, সুভাষচন্দ্র।
চলেছে কোথায়? বিলেতে। আই.সি.এস. হতে। ছাত্র যেমন ভালো ঠিক উঁচু স্থান নিয়ে বেরিয়ে যাবে দেখো। সে তো খুব ভাগ্যের কথা। কিন্তু এমন সুখের দিনে ওর মুখখানা স্নান কেন? মোটে তো বাইশ বছর বয়েস, বাপ-মা আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে চলে যাচ্ছে কোন দূর-দূরান্তরে, একটু মন কেমন করবে না?
একজন সহযাত্রী সুভাষকে জিজ্ঞেস করলে, মুখ এত ভার কেন? কী ভাবছ? মা – বাবা?’
‘না।’
‘ভাইপো-ভাইঝি?’
তবে কী?”
‘জালিয়ানওয়ালাবাগ।

উনিশ শো উনিশ সালের তেরোই এপ্রিল রবিবার বিকেলে জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ড। সুভাষের বিলেত যাবার প্রায় পাঁচ মাস আগে। আই.সি.এস. পাশ করে ব্রিটিশের গোলামি করার উপযুক্ত পটভূমিই বটে। নিরস্ত্র নিরীহ জনতার উপর প্রায় দশ মিনিট অবিচ্ছিন্ন গুলি চালাল ভায়ার। কম করে সরকারী ভাষ্যে তিনশো উনআশি জন নিহত হল যার আহতের সংখ্যা প্রায় বারো শ। ভায়ার কোনো হুঁশিয়ারি দিলে না, জনতাকে বললে না চলে যেতে, আভাসেও ঝানতে দিল না তার কী নৃশংস মতলব, তিরিশ সেকেণ্ডের মধ্যেই সিদ্ধান্ত করে নিল তার করণীয় কী।
মঞ্চে দাঁড়িয়ে যে বক্তৃতা করছিল, হংসরাজ, জনতাকে উদ্দেশ করে বললে, ‘ভয় পেয়ো না। নির্দোষের উপর ওরা গুলি চালাবে না। তোমরা যে যার জায়গায় চুপ করে বসে থাকো।’

মৌষলকাল pdf – সমরেশ মজুমদার Moushalka pdf – Samaresh Majumdar

ব্রিটিশের সাধুতায় তার বুঝি তখনো বিশ্বাস ছিল। তাই যখন সত্যি-সত্যি গুলি ছোঁড়া শুরু হল তখনো একবার বলেছিল হংসরাজ ও সব ফাঁকা আওয়াজ। তোমরা উঠো না। নিরস্ত্রদের ওরা মারবে না।’
প্রায় সঙ্গে-সঙ্গেই শোনা গেল ডায়ারের গর্জন: ‘গুলি উঁচুতে ছুঁড়ছ কেন, নিচের দিকে ছোঁড়ো। নইলে তোমাদের কেন এনেছি?”
যারা গুলি ছুঁড়ছিল তাদের মধ্যে কিছু ভারতীয় সৈন্যও ছিল বোধহয়। হংসরাজ একটা শাদা রুমালও নেড়েছিল। আমরা নিরস্ত্র। আমরা নিরুপদ্রব।
গুলি ছোঁড়ো। নিচের দিকে, সিধে, মুখোমুখি ছোঁড়ো। মানুষ লক্ষ্য করে ছোঁড়ো। যেন একটা লোকও না পালাতে পারে।

তুমি গিয়ে কী দেখলে? জিজ্ঞেস করা হল ডায়ারকে।
গিয়ে দেখলাম মার্শাল ল অমান্য করা হয়েছে। আমার আদেশ লঙ্ঘন করে সভা করা হয়েছে। দেখেই আমি আমার কর্তবা ঠিক করে ফেললাম। তা জলের মত তরল, আলোর মত পরিস্কার।
কী কৰ্তব্য?
গুলি করা। গুলি করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া।
হান্টার কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে দাঁড়িয়েছে ডায়ার। স্বয়ং লর্ড হান্টার প্রশ্ন করলে: ‘তা হলে গুলি করার উদ্দেশ্য ছিল জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া?”
‘হ্যাঁ, ভাই।’
‘গুলি করার সঙ্গে সঙ্গেই ভজনতা ভেঙে যেতে শুরু করল?”
“সঙ্গে-সঙ্গেই!
‘তবুও, তার পরেও গুলি চালালে?”
‘চালালাম। ‘

‘জনতা যখন ছত্রখানই হয়ে গেল, তখন গুলি চালানো বন্ধ করলে না কেন?”
‘আমি মনে করলাম যতক্ষণ পর্যন্ত না জনতা একেবারে সরে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত গুলি চালিয়ে যাওয়াই আমার কর্তব্য। অল্প চালানো অর্থহীন। অল্প চালালে আশানুরূপ ফল হত না।’
‘কতক্ষণ চালিয়েছিলে?’
‘প্রায় দশ মিনিট।’
‘কত রাউণ্ড?’
যোল শো পঞ্চাশ রাউণ্ড।’
‘জনতা নিরন্ত্র ছিল ?’
‘সম্পূর্ণ নিরস্ত্র।’ ডায়ার একটা ঢোঁকও গিলল না । ‘সামান্য একটা লাঠিও কারু হাতে ছিল না ?’
‘বোধহয় ছিল না।’
‘বেশীক্ষণ গুলি না চালালে জনতা সরে যাবে না এ ধারণা তোমার হল কিসে ? অল্পক্ষণ চালাবার পরই জনতা সরে যাচ্ছিল- ‘

“প্রশ্নটা শুধু জনতার সরে যাওয়াই নয়।’ ডায়ার এবার বুঝি তার স্বরূপের আচ্ছাদন তুলল: “শুধু সরে যাওয়াই যদি প্রশ্ন হত তা হলে আমি মুখেই আদেশ দিতে পারতাম। সভা ভেঙে দেওয়ার পক্ষে আমার একটা মৌখিক আদেশই তো যথেষ্ট ছিল। প্রশ্নটা তার চেয়ে বেশি।’
‘সেটা কী? প্রতিশোধ নেওয়া? আইন অমান্যের প্রতিশোধ? না কি শিক্ষা দেওয়া?”
ডায়ার একবার ভুরু কুঁচকোলো। বললে, ‘শিক্ষা দেওয়া বলতে পারেন। যদি শুধু আদেশে জনতা সরে যেত, অল্পক্ষণের জন্যে সরে যেত। আবার আরেক সময় একত্র হত, আমার আদেশকে উপহাস করত। আমি বোকা বনেছি এ দৃশ্য আমার কাছে উপভোগ্য হত না।

অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত এর Udyato Khorg pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে এবং Udyato Khorg pdf উদ্যত খড়্গ pdf পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply