উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf – স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Ushnadweeper Pratishod pdf – Smaranjit Chakraborty

উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf - স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Ushnadweeper Pratishod pdf - Smaranjit Chakraborty
উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf - স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Ushnadweeper Pratishod pdf - Smaranjit Chakraborty

স্মরণজিৎ চক্রবর্তী ঐতিহাসিক ফ্যান্টাসি ফ্রিজের আরো একটি জমজমাট কাহিনী উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf প্রকাশিত হলো। Ushnadweeper Pratishod pdf উপন্যাসটি এক ভিন্ন দ্বারা ঐতিহাসিক থ্রিলার কাহিনী। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী এর ঐতিহাসিক সিরিজের যারা ভক্ত তাদের জন্য অসাধারণ একটি ঐতিহাসিক কাহিনী Ushnadweeper Pratishod pdf উপন্যাস। উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ উপন্যাসে এখন থেকে প্রায় তিন থেকে চার শত বছর আগে ঘটে যাওয়া গৌড় ও দক্ষিণ বাংলার ইতিহাস কেন্দ্রিক মুঘল ও বারো ভূঁইয়াদের শাসনের একটি সচিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে। উপন্যাসটিকে বিশ্বের ইতিহাস বই pdf হিসাবেও গ্রহণ করা যেতে পারে। ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে বই নাম উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ পাঠক মনে জায়গা করে নিতে পারবে। ঐতিহাসিক উপন্যাস pdf পড়ার আগ্রহ থাকলে উপন্যাসটি পড়ে নিতে পারেন। সেরা বাংলা ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসাবে উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ উপন্যাসটি স্থান করে নিতে পারবে।

উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf - স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Ushnadweeper Pratishod pdf - Smaranjit Chakraborty
উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf – স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Ushnadweeper Pratishod pdf – Smaranjit Chakraborty

Ushnadweeper Pratishod pdf কাহিনীঃ

ষোড়শ-সপ্তদশ শতকের বাংলা। সে এক ভয়ঙ্কর সময়। তখন বারো ভূইয়াঁদের রাজপাট। সাধারণ মানুষ চরম লাঞ্ছিত হচ্ছে জলদস্যুদের হাতে। উষ্ণদ্বীপ নামে দক্ষিণ বঙ্গের একটি দ্বীপ দখল করতে গিয়ে নিষ্ঠুর নরমেধ যজ্ঞ চালায় আলফাসো গঞ্জালেসের নেতৃত্বে পর্তুগিজ দস্যুরা। মারা যায় বহু মানুষ। দাদা তাহেরের জন্য প্রাণে বেঁচে যায় এক কিশোর, জামাল। তাকে আশ্রয় দেন কেল্লার এক পুরোহিত। সে ঠিক করে, বড় হয়ে প্রতিশোধ নেবেই। কী হয় এর পর?

উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf নেপথ্যেঃ

ষোড়শ শতকের মধ্য ভাগ থেকে সপ্তদশ শতকের বিস্তীর্ণ সময়কাল বাংলার ইতিহাসের এক অস্থির পর্ব। গৌড়ে পাঠানরা পরাজিত হলেও, মোগলরা সমগ্র বাংলায় সে ভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারছিল না। বরং দিকে দিকে বারো ভুইয়াঁরা স্বাধীন ভাবে রাজত্ব শুরু করেছিলেন। তার সঙ্গে ছিল দক্ষিণ বঙ্গ জুড়ে জলদস্যুদের উৎপাত ও অত্যাচার। কোনও কোনও জলদস্যু নেতা দক্ষিণ বঙ্গের নানান ছোট-বড় দ্বীপ দখল করে নিজেরাই রাজার মতো হয়ে উঠেছিল। যুদ্ধ-বিগ্রহ, গণহত্যা, জলদস্যুদের তাণ্ডব, ষড়যন্ত্র ও প্রতিশোধের মধ্যে সে ছিল এক উচ্ছৃঙ্খল ও উত্তাল সময়। এই কাহিনি সেই সময়কার।

উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf এর বৈশিষ্ট্যঃ

১. ইতিহাস, ঐতিহ্য ও উপমহাদেশীয় রাজনীতিকে জানার অনন্য মাধ্যম এই উপন্যাসটি। ষোড়শ ও সপ্তদশ শতকের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরা হয়েছে এই উপন্যাসটিতে।

২. ৫ টি ইতিহাস বইয়ের নাম এর মধ্যে উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ স্থান করে নেওয়ার মতো একটি উপন্যাস।

৩. সেরা বাংলা ঐতিহাসিক উপন্যাস তালিকা করলে উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ সময়ের সেরা ঐতিহাসিক উপন্যাস হিসেবে বিবেচিত হবে।

৪. ঐতিহাসিক সিরিজ বই pdf পড়ার জন্য আগ্রহী পাঠকরা উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf পড়ে ঐতিহাসিক উপন্যাসের আসল স্বাদ গ্রহন করতে পারবেন।

৫. উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf উপন্যাসের প্রতিটি চরিত্র ও সংলাপ খুবই শক্তিশালী যা পাঠককে কাহিনী থেকে এক চুলও নড়তে দিবে না। ফলে এক নিমিশেই উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ উপন্যাসটি পড়ে ফেলতে পারবেন।

উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf রিভিউঃ

ঐতিহাসিক উপন্যাস সিরিজ লেখার জন্য স্মরণজিৎ চক্রবর্তী এক বিস্ময়কর লেখকের নাম। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী এর বেশ কিছু ঐতিহাসিক উপন্যাস বাংলা ভাষাভাষীর পাঠকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। ঐতিহাসিক উপন্যাস সমগ্র তালিকা তালিকার খোঁজ নিলে স্মরণজিৎ চক্রবর্তী উষ্ণদীপের প্রতিশোধ উপন্যাসটি সেরা ১০ এ অবস্থান করবে। লেখকের এই উপন্যাসটি ঐতিহাসিক উপন্যাস এর এক অনন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। বাংলা ঐতিহাসিক উপন্যাস pdf লাভারদের জন্য এই উপন্যাসটি আগ্রহের শিষ্যে থাকবে। স্মরণজিৎ চক্রবর্তী তার সাহিত্য প্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে একত্র করে ঐতিহাসিক থ্রিলার রূপে এই উপন্যাসটিকে সাজিয়েছেন।

উপন্যাসের ঘটনাক্রম ষোড়শ থেকে সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যে। সেই সময়টা ছিল বাংলার রাজনীতি ও অর্থনীতিতে অস্থির এক সময়।  পর্তুগিজ জলদস্যুদর আক্রমণে তখন রাজা প্রজা সবাই ছিল অতিষ্ঠ। দক্ষিণবঙ্গের শেষে মেঘনা নদীর কাছেই অবস্থিত উষ্ণ দ্বীপ।  তৎকালীন রাজা তার প্রজাদের নিয়ে বেশ সুখে শান্তিতে বাস করে আসছিলেন। কিন্তু এর মধ্যেই দীপের উপর কুনজর পরে দস্যুদের সরদার আলফানসো গঞ্জালেসের।

উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf নমুনাঃ

জামাল নিচু হয়ে এগোল। রাত শেষ হয়ে এসেছে প্রায়। উষ্ণদ্বীপ প্রায় শশ্মশান এখন। পর্তুগিজরা যথেচ্ছ ভাবে অত্যাচার করেছে। সাধারণ মানুষদের মেরে গাছে গাছে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে তার মধ্যে মানুষজনকে আটকে রেখে তাদের ঝলসে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এখন চার দিকে শুধু রক্ত, ছাই আর হাহাকার। জামালের চোখের সামনে ওর বাবা আর দুই ভাইকে মারা হয়েছে। ওর মা আর বোনকে ঘরের মধ্যে আটকে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে। যে তিন জন এই কাজটা করেছে, তাদের নাম আর চেহারা জামালের মনের মধ্যে সারা জীবনের মতো গেঁথে গিয়েছে।

ওদের নাম বুন্দি খান, গরজ সিংহ আর সুরজমল। বুন্দি খানদের কয়েক জন সৈন্য জামালকেও মারতে গিয়েছিল, কিন্তু পারেনি। কারণ, ওদের সবার বড় ভাই তাহের এসে ঝাঁপিয়ে পড়ে ওকে বাঁচিয়েছে। তাহের কেল্লার প্রতিরক্ষার দিকটা দেখছিল। ফলে বাড়িতে ছিল না। পরে এসে পৌঁছেছিল এখানে। আর এসেই জামালকে বাঁচিয়ে নিয়ে, পিঠে করে তুলে নিয়ে কেল্লার গলিঘুঁজি দিয়ে দৌড়ে এসে লুকিয়েছে একটা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে।

তাহের বেশ আহত হয়েছে। কিন্তু দু’জন পর্তুগিজ় সৈন্যকে মেরেওছে। এমন নৃশংসতা যে ওকে কোনও দিন দেখতে হবে, সেটা ভাবতেই পারেনি জামাল। এই বারো বছর বয়সেই যেন এক রাতের মধ্যে বড় হয়ে গিয়েছে ও। উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf পড়ুন।

তাহেরের সঙ্গে একটা ভেঙে পড়া বাড়ির মধ্যে একটা বড় বাক্সের আড়ালে লুকিয়ে আছে জামাল। আর লুকিয়েই দেখছে পর্তুগিজ় সেনাদের তাণ্ডব। জওহরের আগুন, পোড়া মাংসের গন্ধ, মৃতদেহের স্তূপ সব কিছু যেন ওই সেনাদের কাছে কোনও ব্যাপারই নয়। ওরা একে অপরকে ডেকে এ সব নিয়ে মজা করছে। আর তখনই আবারও বুন্দি খান, সুরজ গরজ সিংহ এদের ভাল করে চিনে নিয়েছে জামাল। ওরা যখন আগুন লাগাচ্ছিল চার দিকে, তখন সেই আগুনে রাক্ষসের মতো ভাব ফুটে উঠেছিল, তা আর কোনও দিন ভুলতে পারবে না জামাল। আর ভুলতে পারবে না আর-এক জনকে সেই মধ্যম উচ্চতার, কটা চোখের লোকটাকে। জলদস্যুদের রাজা, আলফনসো গঞ্জালেসকে। জামাল মনে মনে ঠিক করে রেখেছে, এই সবের প্রতিশোধ ও নেবে। আজ হোক বা পঞ্চাশ বছর পরে, আলফনসো ও গঞ্জালেসকে ছাড়বে না।

“শব্দ করবি না। দ্রুত চল। এ দিকে মনে হয় কেউ নেই,” তাহের জামালের হাত ধরে ওই বাক্সের পিছন থেকে বেরিয়ে নানান ধ্বংসস্তূপের আড়ালে এগোতে লাগল। শেষ রাতের দিকে এখন সব একটু শান্ত হয়েছে। সৈন্যরা চলে গিয়েছে অন্য দিকে। কেল্লাটা বিশাল বড়। এর মধ্যে একটা গ্রাম আর কয়েকটা প্রাসাদ রয়েছে। দূরের থেকে মাঝে মাঝে চিৎকার আর হল্লা শোনা গেলেও এ দিকটা এখন শুনশান। আশপাশে অনেক বাড়িঘর ভেঙে দিয়েছে পর্তুগিজ় সৈন্যরা। তার ফাঁক দিয়ে ওরা এগিয়ে কিছুটা দূরে একটা মুখ বন্ধ কুয়োর সামনে দাঁড়াল।

তাহের এ-দিক ও-দিক তাকাল। তার পর কুয়োর মুখ ঢাকা চারটে বড় বড় পাথর সরিয়ে রাখল এক পাশে। এর মধ্যে দিয়ে একটা সুড়ঙ্গ চলে গিয়েছে অনেকটা দূরে, কেল্লার বাইরে। এক বার সেখানে পৌঁছোতে পারলে ওরা সুরক্ষিত থাকবে। তাহের লম্বা-চওড়া বেশ। সঙ্গে গায়ে খুব জোর। তাও লড়াই করতে গিয়ে ভাল জখম হয়েছে। পেটে ছুরি খেয়েছে। সেই জায়গাটা পাগড়ির কাপড় দিয়ে ঠেসে বেঁধে রেখেছে, কিন্তু তাতে কতটা রক্ত বন্ধ হয়েছে, কে জানে!

“আয়, আমার পিছনে আয়,” কথাটা বলে তাহের সুড়ঙ্গের মধ্যে ঢুকে গেল। নিকষ অন্ধকার। কিন্তু আগুনও জ্বালাতে পারছে না ওরা। একে তো কেউ দেখে ফেলতে পারে, এ ছাড়া এমন সুড়ঙ্গের মধ্যে কখনও এমন ‘বায়ু’ থাকে, যা আগুনের স্পর্শে জ্বলে উঠে মানুষকে পুড়িয়ে দিতে পারে। উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf পড়ুন।

বেশ কিছুটা এবড়োখেবড়ো পথে হাঁটার পরে বাইরের শেষ রাতের আকাশ দেখা গেল। ঠান্ডা হাওয়ায় গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল জামালের। যাক, কেল্লা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে শেষে।

তাহের সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে এ-দিক ও-দিক তাকাল। জামাল বসে পড়ল মাটির উপর। আর সঙ্গে সঙ্গে একটু দূরে কিসের যেন একটা আওয়াজ পাওয়া গেল তাহের কোমর থেকে তরোয়াল বের করে সেই দিকে ঘুরে বলল, “কে? কে ওখানে!”

এক জন লোক হাত তুলে বড় গাছের পিছন থেকে এগিয়ে এল ধীরে ধীরে। লোকটার পিছনে একটা ঘোড়াও আছে।

“কে তুমি?” তাহের চোয়াল শক্ত করে চাপা গলায় জিজ্ঞেস করল।

লোকটা বলল, “আমি মণীন্দ্রনাথ, মণীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। কেল্লার ছোট মন্দিরের পুরোহিত। গৌড়নিবাসী। কাল কেল্লা থেকে বেরিয়ে এসে লুকিয়েছিলাম নদীর পারের জঙ্গলে। ঘোড়াও জোগাড় করে রেখেছিলাম আগে। কিন্তু কেল্লার পতনের ফলে সামনের পথ আটকানো ছিল বলে পালাতে পারিনি। এখন সব শান্ত। তাই….”

“ও, আপনিও গৌড়ের লোক,” তাহের তরোয়াল নামাল, “আমরাও গৌড়ের পূর্বীয়া তোরাদারবাজ (মাস্কাট বন্দুক চালায় যারা)। আমার কাকা ইসমাইল খান। পূর্বীয়াদের সর্দার। কাল মারা গিয়েছেন যুদ্ধে। আমাদের বাবা, মা ও অন্য ভাইদেরও মেরে ফেলা হয়েছে।” লোকটি এগিয়ে এল আরও, বলল, “আরে, আপনি তো আহত!”

“না, ঠিক আছে,” তাহের বলল, “কিছু দূরে শুখা গাঁও আছে। সেখানে আমার এক পরিচিত থাকে। তার কাছে এক বার যেতে পারলে….” কথা শেষ করতে পারল না তাহের, আচমকা পিছন থেকে কানফাটানো বন্দুকের আওয়াজ এল একটা আর তাহের পড়ে গেল মাটিতে। পিঠে গুলি লেগেছে ওর।

জামাল দেখল, ওই সুড়ঙ্গের মুখ দিয়ে দু’জন পর্তুগিজ সৈন্য বেরিয়ে এসেছে। যে লোকটি গুলি ছুড়েছে, সে এ বার হাতের বন্দুকটি ফেলে দিয়ে কোমরের খাপ থেকে তরোয়াল বের করে ঝাঁপিয়ে পড়তে গেল মণীন্দ্রনাথের উপর।

তাহের ওই অবস্থাতেও মাটি থেকে উঠে লোকটিকে আটকাল। ঝটিতি হাত মুচড়ে তার তরোয়ালটা কেড়ে নিয়ে লোকটির পেটেই ঢুকিয়ে দিল। আর দ্বিতীয় লোকটা এই সুযোগে তাহেরের পিঠে একটা ছোরা আমূল বিধিয়ে দিল। চিৎকার করে উঠে তাহের পিছন ঘুরে সেই লোকটার গলার টুটি টিপে ধরল। তার পর হাতের তরোয়ালটা তার পেটে ঢুকিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দিল আর নিজেও পড়ে গেল একই সঙ্গে। তাহের আর পারছে না। ও দিকে সুড়ঙ্গের মধ্যে থেকে আরও কিছু পায়ের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। আরও কারা যেন এ দিকে আসছে। তাহের ওই অবস্থা থেকে উঠে বসার চেষ্টা করতে করতে মণীন্দ্রনাথকে বলল, “আপনি আমার ভাইকে নিয়ে চলে যান দয়া করে। আমি ওদের আটকাচ্ছি। আপনারা যান।” জামাল ভয়ে-কষ্টে কেঁদে উঠল, “ভাইয়া, আমি যাব না!”

“যা জামাল, তোকে বাঁচতে হবে, এই উষ্ণদ্বীপের কেল্লার যা অবস্থা হল, এর বদলা তোকে নিতে হবে… আমি থাকব না, কিন্তু জানবি মৃত্যুর ওই দিকে বসে আমি অপেক্ষা করব সেই দিনটার, যে দিন তুই এই শয়তানগুলোকে জাহান্নমে পাঠাবি! তুই যা ভাই…. যা…”

মণীন্দ্রনাথ জামালকে এক রকম জোর করেই ঘোড়ায় তুলে দিল। তার পর নিজেও উঠল। জামাল ছিটকে নামতে গেল ঘোড়া থেকে, মণীন্দ্রনাথ শক্ত করে ধরে রইল ওকে। তার পর তাহেরকে বলল, “আপনি আজ আমার জীবন বাঁচিয়েছেন। আপনার ভাইকে আমি নিজের সন্তানের মতো মানুষ করব। আপনি ভাববেন না । ”

মণীন্দ্রনাথ ঘোড়া ছুটিয়ে দিল। জামাল তার মধ্যেও পিছ ফিরে দেখল, সুড়ঙ্গ দিয়ে আরও পাঁচ জন সৈন্য বেরিয়ে আসছে আর ক্রমে তারা ঘিরে ধরছে তাহেরকে। আর ভীষণ ভাবে আহত তাহের তরোয়ালে ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াচ্ছে। মণীন্দ্রনাথ জামালের মুখটা ঘুরিয়ে দিল ধীরে, তার পর বলল, “চিন্তা কোরো না, আমি আছি।” পথের ধুলো উড়িয়ে সামনে ছোট্ট টিলার বাঁক পেরিয়ে গেল ঘোড়াটা। আকাশে তখন ভোরের আলো ফুটছে। আর সুড়ঙ্গের মুখের কাছে চার জন পর্তুগিজ় সৈন্যকে হত্যা করে নিজেও নিথর হয়ে পড়ে আছে তাহের। তাহলে নিচের লিংক থেকে উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf পড়া শুরু করুন এখনই।

স্মরণজিৎ চক্রবর্তীর ঐতিহাসিক উপন্যাস pdf উষ্ণদ্বীপের প্রতিশোধ pdf পড়ুন এখান https://rb.gy/fgze0q থেকে।

যে কোন প্রয়োজনে ফেসবুক পেজে মেসেজ দিন।

Be the first to comment

Leave a Reply