ঋভু pdf – শরীফুল হাসান – Wribu pdf – Shariful Hasan

ঋভু pdf - শরীফুল হাসান - Wribu pdf - Shariful Hasan
ঋভু pdf - শরীফুল হাসান - Wribu pdf - Shariful Hasan

শরীফুল হাসানের ইতিহাস, বিজ্ঞান, ফ্যান্টাসি আর অ্যাডভেঞ্চারের এক দুর্দান্ত উপ্যাখ্যান Wribu pdf ঋভু pdf ডাউনলোড করুন ও Wribu pdf ঋভু pdf পড়ুন।

ঋভু pdf - শরীফুল হাসান - Wribu pdf - Shariful Hasan
ঋভু pdf – শরীফুল হাসান – Wribu pdf – Shariful Hasan

Wribu pdf ঋভু pdf বইয়ের পিছনের কভারের লেখা:

ঢাকায় পা রাখা মাত্রই অর্জুনের উপর আক্রমন, কেন? অর্জুন। ঢাকায় এসেছেই বা কী উদ্দেশ্যে! বান্দরবানের সীমান্তে সাকিব। আর অয়নের সাথে দেখা হলো এক অদ্ভুত মানুষের, নাম শাহরিয়ার সুলতান, বিশ্বখ্যাত অ্যাডভেঞ্চারার। দিনের পর দিন ক্যাম্প করে কিছু একটা খুঁজে চলেছে মানুষটা, কী সেটা? দুজন। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী পাহাড়ের তলার ল্যাবে গবেষণা করছেন কিছু – একটা নিয়ে, যার পেছনে আছে গোপন এক সংগঠন, পুরো। পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রন করতে চায় তারা। তেইশ’শ বছর আগে সম্রাট। অশোক শুরু করেছিলেন। অতিমানবীয় এক গবেষণা, তার ফল কি পাবে আজকের পৃথিবী?
পড়ন ইতিহাস, বিজ্ঞান, ফ্যান্টাসি আর অ্যাডভেঞ্চারের এক দুর্দান্ত উপ্যাখ্যান ঋভু।

Wribu pdf ঋভু pdf

সন্ধ্যার পরপর ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস গ্রামের সকলের, কিন্তু নুমংপ্রু মারমা ভিন্ন ধাঁচের মানুষ, রাত-বিরেতে বনে-জঙ্গলে ঘুরে বেড়াতে তার ভালো লাগে। মাঝেমাঝে সঙ্গীসাথী পাওয়া যায়, মাঝেমাঝে একাই বেরিয়ে পড়ে। আজ সঙ্গী পাওয়া যায়নি, অমাবশ্যার রাত, ছেলে-পুলেরা বুড়োদের কথামতো এইসবরাতে ঘর থেকে বের হওয়ার সাহস পায় না। নুমং-এর এসবে ভয় নেই, সে বরং আরো ভয় পেতে চায়, দেখতে চায় ভয় পাওয়ার মতো সত্যি সত্যি কিছু আছে কিনা, বুড়ো বয়সে নাতিদের সাথে গল্প বলতে বসলে ওদের বলার মতো অনেক গল্প থাকবে তার ঝুলিতে, অবশ্য নাতিনাতনি দেখার বয়স এখনো হয়নি তার, বিয়ে ঠিক হয়ে আছে কিছুদিন হলো, উত্তরপাড়ার মেয়ে শিং নুপ্রু’র সাথে, দস্যিমেয়ে, হবু স্বামীর নিত্যনতুন অ্যাডভেঞ্চারের গল্প না শুনলে নাকি ওর রাতে ঘুমই আসে না। রাত- বিরেতে বের হওয়ার এটাও একটা কারন।

অনাথবাবুর ভয় – সত্যজিৎ রায় Anath Babur Bhoy pdf – Satyajit Ray

একা একা বের হলে অস্ত্র হিসেবে সাথে থাকে একটা ছুরি, যা এখন পর্যন্ত ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় নি। পরনে হাতে বোনা কাপড়, শুধু নিম্নাঙ্গ ঢাকে তা দিয়ে, উর্ধাংগ উন্মুক্ত। এই এলাকায় তার যাতায়াত নেই বললেই চলে, বলা যায় নিজের গ্রাম থেকে অনেক উত্তরে চলে এসেছে সে। গ্রামের বুড়োদের কথামতো এসব এলাকায় যাওয়া নিষেধ। কেন, কী এসব প্রশ্ন করে লাভ হয় নি। বুড়োরা কোনকিছুতে একবার বারন করলে রাজি করানো কঠিন, কাজেই এই এলাকায় এর আগে কখনো আসা হয় নি। আজকেও আসার কোন প্ল্যান ছিল না। সন্ধ্যার পর পর নিজের এলাকার দিকেই ফিরছিল নু মং, অন্যান্য দিনের মতো, হতাশ মনে, গল্প বলার মতো কোন ঘটনা ঘটে নি, বরং সূচনা হচ্ছিল আরেকটা ঘটনাহীন রাতের।

তখন রক্ত হিম করা আওয়াজটা কানে আসে। এরকম অমানুষিক চিৎকার এর আগে কোনদিন শোনে নি সে। গায়ের লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছিল নু মং-এর এবং সেটাই এখানে আসার কারন, শব্দের উৎসের খোঁজে। ভয়ংকর আওয়াজটা আশপাশ থেকে এসেছে । কোন বন্যজন্তু এভাবে চিৎকার করতে পারে জানা ছিল না।
ছুরিটা চলে এসেছে হাতে। গ্রামের লোকজন এই পাহাড়টাকে বলে অভিশাপের পাহাড়, এখানে নাকি অভিশপ্ত আত্মারা ঘুরে বেড়ায়, অবশ্য এই শব্দটা ছাড়া তেমন কোন আলামত তার চোখে পড়ে নি এখনো। কান পেতে রইল আবারো শব্দটা শোনার অপেক্ষায় । দীর্ঘ বিরতির পর যখন ফিরে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়েছে শব্দটা এলো তখন। গা হিম করা একটানা চিৎকার, যেন কারো গায়ের চামড়া টেনে তুলে ফেলছে কেউ।

ভূতে একদম বিশ্বাস করে না নু মং, তার পঁচিশ বছরের জীবনে ভুত কখনো সামনে আসার সাহস করে নি। আজ হয়তো ওদের সাহস হয়েছে, আজ হয়তো দেখা দেবে। যাই হোক না কেন, মনোবল হারাবে না নু মং। গ্রামবাসীদের কাছে বলার মতো একটা গল্প পাওয়া যাবে, শিং নু প্রু নিশ্চয়ই আরো খুশি হবে।
পাহাড়ের ঢাল বেয়ে একটু নামতেই জায়গাটা সমতল। আওয়াজটা মনে হচ্ছে মাটির নীচ থেকে আসছে। মাটিতে কান দিয়ে শব্দের উৎস খোঁজার চেষ্টা করল নু মং। এখনো কোন শব্দ নেই, হাল্কা গোঙানির শব্দ ছাড়া। মাটির নীচ থেকে আরো কিছু শব্দ পাওয়া যাচ্ছে, মনে হচ্ছে কয়েকজন মানুষ যেন দৌড়াচ্ছে, একটু থেমে আবার দৌড়াচ্ছে।

গোঙানির শব্দটা থেমে গেল ধীরে ধীরে, এমনকি কয়েকজন মানুষের দৌড়ানোর শব্দও পাওয়া যাচ্ছে না আর। সোজা হয়ে দাড়াল নু মং, আজ আর বেশি ঝুঁকি নেয়ার দরকার নেই, এমনিতেই অমাবশ্যার রাত, সঙ্গীসাথীও কেউ নেই। জায়গাটা চিনে রেখেছে, এরপর কাউকে না কাউকে সাথে নিয়ে আসতে হবে। এই অদ্ভুত চিৎকার আর গোঙানির সত্যিকার উৎস খুঁজে বের করতে হবে।

এবার স্বাভাবিক মানুষের কণ্ঠস্বর শুনতে পেল নু মং, কেউ যেন কাউকে কিছু করার নির্দেশ দিচ্ছে। অন্ধকার চোখে সয়ে এসেছে, তারপরও কাউকে চোখে পড়ছে না। এবার চোখে পড়ল। হাতে বন্দুক হাতে বেশ স্বাস্থ্যবান একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে একটু দূরে, চমৎকার পোশাক পড়া, শহরে এ ধরনের কাপড়-চোপড় দেখেছে নু মং, কিন্তু পড়ার সৌভাগ্য হয় নি, নিজ গ্রাম ছেড়ে মাত্র একবারই শহরে গিয়েছিল সে।

স্বাস্থ্যবান লোকটার পেছনে দাঁড়িয়ে আছে আরো কয়েকজন, অন্ধকারে ওদের চেহারা পরিষ্কার দেখা যচ্ছে না। কোত্থেকে লোকগুলোর উদয় হলো বুঝতে পারছে না, শুধু এটুকু মনে হচ্ছে এখানে আর এক মুহূর্ত নয়।
আশপাশে দিয়ে বেশ কয়েকটা বুলেট চলে গেল, সুদর্শন লোকটা আবার চেঁচিয়ে উঠেছে, “আই নিড হিম অ্যালাইভ!”
কথাগুলো বুঝতে না পারলেও কাকে উদ্দেশ্য করে বলা হচ্ছে পরিষ্কার বুঝতে পারল নু মং। দৌড় দিয়েছে সে। স্বাস্থ্যবান লোকটার পেছন থেকে অন্তত দশজন লোক বেরিয়ে এসে দৌড়াতে শুরু করেছে।
আমি দুঃস্বপ্ন দেখছি, মনে মনে বলল নু মং, দৌড়াতে দৌড়াতেই নিজের হাতে চিমটি দিল, ককিয়ে উঠলো সাথে সাথেই, একটু বেশি জোরেই চিমটি দেয়া হয়ে গেছে।

শরীফুল হাসানের Wribu pdf ঋভু pdf ডাউনলোড করুনে এখান থেকে Wribu pdf ঋভু pdf পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply