ভৌতিক ও থ্রিলার স্পেশাল অক্ষরের রূপকথা শারদ সংখ্যা ১৪৩০ পিডিএফ Sharadiya Aksharer Rupkotha 1430 pdf এবারের শারদীয়া সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে। ভৌতিক ও থ্রিলার স্পেশাল অক্ষরের রূপকথা শারদ সংখ্যা ১৪৩০ পিডিএফ ম্যাগাজিনে থাকছে বিখ্যাত সব লেখকদের ভৌতিক ও থ্রিলার গল্পের বিশাল সমাহার। অক্ষরের রূপকথা শারদ সংখ্যা ১৪৩০ পিডিএফ Sharadiya Aksharer Rupkotha 1430 pdf পড়ুন আজই। অভিষেক গুপ্ত ও পল্লবী সেনগুপ্ত সম্পাদনায় ও হিমাদ্রী শেখর চক্রবর্তী সহ সম্পাদনায় প্রকাশিত Sharadiya Aksharer Rupkotha 1430 pdf ডাউনলোড করুন।
অক্ষরের রূপকথা শারদ সংখ্যা ১৪৩০ পিডিএফ Sharadiya Aksharer Rupkotha 1430 pdf
সূচিপত্র
বিশেষ আকর্ষণ – স্মৃতি গদ্য
অন্য বাবা ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়
গল্প
আগন্তুক – ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়
রুদ্রপ্রয়াগের সেই রাত – জয়দীপ চক্রবর্তী
বারান্দার সেই রেডিও – রাজা ভট্টাচার্য আদমখোর হাভেলি – শ্যামল ঘোষ
ভূতচতুর্দশী – শঙ্কর চ্যাটার্জী
সোহিনী, কমলা মাসি আর চিংড়েজোল – প্রদীপ সেনগুপ্ত
লুচি পরোটা এবং আচার রহস্য – সুদীপ ভট্টাচার্য
উপহার – সপ্তর্ষি চ্যাটার্জী
তাহারা – পৌলমী সেনগুপ্ত
স্টেশনের এক রাত – অভীক দত্ত
বিপত্তারিণী – মৌমিতা ঘোষ
আলেয়া – রণদীপ নন্দী
রইল না আর কেউ – দেবদত্তা বন্দ্যোপাধ্যায়
রক্তরাঙা – রাখী আঢ্য
সাবধান, মৃতরা জাগছে! – মহুয়া ব্যানার্জী
শেষ পুরস্কার – শাশ্বতী চৌধুরী
আমার পরিচয় তবে কী? – অন্তরা বিশ্বাস
পরকাল – অভিজিৎ পাঁজা
অক্ষরের রূপকথা শারদ সংখ্যা ২০২৩ পিডিএফ
রুদ্রপ্রয়াগের সেই রাত জয়দীপ চক্রবর্তী
একলা বেরিয়েছিলাম মুখ্যত নির্জনতা উপভোগ করব বলেই। সারা বছর হাজার মানুষের ভিড়ে আর প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে কথা বলতে বলতে বাস্তবিক ক্লান্ত বোধ করছিলাম আমি। দিন কয়েকের ছুটি নিয়ে কাউকে কিচ্ছুটি না জানিয়েই হরিদ্বারের টিকিট করে নিয়েছিলাম। মনের মধ্যে একা একা এমন একটা যুদ্ধ লড়ছি, কিছুটা সময় নিজের সঙ্গে নিজে কাটানো এ সময় বড্ড দরকার আমার।
যাওয়ার আগের দিন, যখন ব্যাগ গুছোচ্ছি, তিস্তা এসে আমার পিছনে দাঁড়ালো। সাধারণত আমার সঙ্গে কথা বলার সময় ইদানীং যেমন ঝাঁজ থাকে গলায়, তেমনই রুক্ষ স্বরে সে বলে উঠল, ‘কোথায় যাওয়ার তোড়জোর হচ্ছে, সে কথা আমাকে কি বলা যাবে?”
‘হরিদ্বার’, ছোট্ট করে উত্তর দিলাম।
‘একাই, নাকি সঙ্গে কেউ যাচ্ছে?’ তিস্তার শেষ প্রশ্নটার মধ্যে তীব্র শ্লেষ ছিল। আজকাল এমন করেই কথা বলে সে। সত্যি বলতে কী, ওর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা এখন প্রায় তলানিতে গিয়েই ঠেকেছে। নতে গিয়েই ‘একাই যাচ্ছি’, আমি ওর দিকে মুখ না ঘুরিয়েই বললাম, ‘চাইলে এই অবসরে তুমি বিহানকে এ বাড়িতে এনে তুলতে পারো।’
তিস্তা রাগে ফেটে পড়ল, ‘আমাকে নিজের মতো ভেব না। তোমার সমস্ত কীর্তিকলাপ আমার জানা আছে। নিজে তো এমন ভাব দেখাও যেন সন্ন্যাসী। গত তিন মাস বিছানায় ছুঁয়ে দেখনি আমাকে। অথচ আর কেউ না জানুক আমি তো জানি, তুমি আসলে একটা পারভার্ট। আমি পুরনো হয়ে গেছি বলেই আমার শরীরে মন ওঠে না তোমার। তুমি মনে মনে সব সময় নতুন শরীর চাও…’
তিস্তার কথাগুলো মনে পড়তেই আমার মাথার মধ্যে ঝিন ঝিন করছিল। ‘মন্দাকিনী হোম স্টে’-তে আর কোনো অতিথি নেই। চমনজি ঠিকই বলেছিলেন। এখানে সাধারন ভ্রমনার্থীদের থাকার কথাও নয়। রুদ্রপ্রয়াগের মূল শহর থেকে হোম স্টে-টা বেশ দূরেই। মন্দাকিনীর একটানা বয়ে যাওয়ার শব্দ ছাড়া কোনো শব্দ নেই এখানে। আশেপাশে দোকান পাটও নেই একটাও। জঙ্গলের মধ্যে পাহাড়ের অনেকখানি ওপরে এই ছোট্ট বাড়িটা। সাকুল্যে খান তিনেক ঘর আর একটা ডাইনিং। যাতায়াতের পথে অনেকে এখানে খেতে আসে অবিশ্যি। তারপর চলে যায়। বিকেলের পর মন্দাকিনী হোম স্টে’ যেন অন্য গ্রহের আস্তানা। ভারি ভাল লেগে গেল আমার জায়গাটা। এমন একটা জায়গাই মনে মনে চাইছিলাম আমি।
এ জায়গাটা সম্পর্কে আমার ধারণাই ছিল না। আমি কেমন জায়গায় থাকতে চাইছি শুনে চমনজিই আমাকে এখানে এনে তুলেছেন। চমনজি আমার চেনা। আগেও তাঁর সঙ্গে এই অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়েছি। হরিদ্বার আমি প্রথম আসছি না।
যখনই হরিদ্বার আসি, বিষ্ণুঘাটের কাছে বিক্রম ট্রাভেলসে যোগাযোগ করে নিই। ওরা আমার পরিচিত। কোথায় যেতে চাই শুনে নিয়ে গাড়ি, ড্রাইভার সব বন্দোবস্ত ওরাই করে দেয়। এমনকি থাকবার জায়গা নিয়েও আমাকে ভাবতে হয়নি কক্ষনও। শেষ এদিকে এসেছিলাম বছর তিনেক আগে। তিস্তা সঙ্গে ছিল সেবার। তখনও ওরাই সব ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। একটুও অসুবিধা হয়নি আমার।
এবারে বিক্রমের সঙ্গে দেখা করতেই ও অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ। তারপর বলল, ‘কী ব্যাপার দাদা, একা যে? ভাবিজি আসেননি?’
‘হুঁ, একাই’, ওপর নীচে মাথা নাড়লাম আমি, দুই তিন নির্জনতা চাইছি বিক্রম।’
‘কোথাও ঘোরার প্ল্যান নেই?’
‘উঁহু।’
অক্ষরের রূপকথা শারদ সংখ্যা ১৪৩০ (২০২৩) পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.