অ্যাসটেরিক্স কিসের জন্য বিখ্যাত জানতে পড়ুন রনে গোসিনি এর অ্যাসটেরিক্স সিরিজের ওবেলিক্স কিভাবে জাদুপানীয়র পাত্রে পড়ে গেছিল Asterix Obelix Kibhave Jadupanir Patre Pore Gecilo pdf।
একদিন তুই বড় হয়ে নিজের বাবার মতনই একজন শক্তিশালী যোদ্ধা হবি।
এর আগেও আমি অনেকবার তোমাদেরকে বলেছি, আমার জন্ম হয়েছে এই আরমোরিকার ছোট্ট গ্রামের মধ্যে! এখানেই আমার সবকিছুর সূত্রপাত। কিন্তু যখন আমি একটু বড় হলাম আমার মাথায় একটা চিন্তা বারবার আসতে লাগল যার ফলে আমি একটু ভয়ভীতও হয়ে থাকতাম। আমি বড় হলেও আমার উচ্চতা বাড়ছিল না সেভাবে, আমার মা ও বাবার মতন আমিও বেঁটেই ছিলাম। Asterix Obelix Kibhave Jadupanir Patre Pore Gecilo pdf অ্যাসটেরিক্সঃ ওবেলিক্স কিভাবে জাদুপানীয়র পাত্রে পড়ে গেছিল pdf
আমার মা ছিল খুবই সুন্দর একজন গল রমণী, কিন্তু বেঁটে। মায়ের উচ্চতা নিয়ে বাবা বরাবরই মস্করা করতেন, কিন্তু আমার মা সেগুলিকে কখনও গায়ে মাখতেন না। মা ছিল সদাই হাসিখুশি আর নানান রান্না -করতে সে খুব ভালবাসত। বিশেষত বুনো শুকরের রোস্ট খুবই সুন্দর বানাত।
তাই বলা যায় আমরাও আমাদের প্রতিবেশীদের মতন খুব সুখিই ছিলাম। Asterix Obelix Kibhave Jadupanir Patre Pore Gecilo pdf অ্যাসটেরিক্সঃ ওবেলিক্স কিভাবে জাদুপানীয়র পাত্রে পড়ে গেছিল pdf
– ‘ইয়ুহু, ওবেলিক্স এক লজ্জাবতী পোলা!!!’ “তোরা আমার বন্ধুকে এভাবে ডাকবি না, নাহলে আমার থেকে খারাপ কেউ হবেনা কিন্তু বলে দিলাম।’ Asterix Obelix Kibhave Jadupanir Patre Pore Gecilo pdf অ্যাসটেরিক্সঃ ওবেলিক্স কিভাবে জাদুপানীয়র পাত্রে পড়ে গেছিল pdf
এই গ্রামেই আমার অনেক বন্ধু ছিল। যেমন কলরবিক্স, যার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে চারনকবি হওয়া। দুর্ভাগ্যবশত বড় হয়ে ও নিজের স্বপ্ন সফল করেছিল। এছাড়া ছিল ফুলিওটোম্যাটিক্স, যার বাবা গ্রামে সবার হাতিয়ার বানাত। আনহাইজিনিক্স, যার বাবা গ্রামে মাছ বিক্রি করত। এদের সবার কথাই তোমরা জানো। তবে এদের সবার মধ্যে আমার প্রিয়বন্ধু ছিল আমাদেরই প্রতিবেশি ওবেলিক্স। যে আমার বাড়ি থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকত। ওর বাবা মেনহির বানাত ও বিলি করত। ওবেলিক্সের আকার ওর বয়সের তুলনায় একটু বড়ই ছিল, কারন ও খুব খেতে ভালবাসত। সাথে ও একটু সংবেদনশীলও ছিল।
আর তোমরা এটা শুনলে খুব আশ্চর্যই হবে ও তখন মারামারি করতে একেবারেই পছন্দ করতনা। ও খুবই লাজুক ছিল। তাই আমাদের বাকি বন্ধুরা ওকে সবসময়েই উত্যক্ত করত ও নানান উল্টোপাল্টা নাম নিয়ে ওর পেছনেও লাগত। কিন্তু আমি সর্বদাই হাত থেকে ওবেলিক্সকে রক্ষা করার মধ্যে চেষ্টা করতাম কাবির কলার গভীর বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। একসাথে খেলা ছাড়াও ওবেলিক্স আমাকে ওর সবথেকে প্রিয় খাবারের ভাগও দিত; সেটা হল বুনো শূকরের রোষ্ট Asterix Obelix Kibhave Jadupanir Patre Pore Gecilo pdf অ্যাসটেরিক্সঃ ওবেলিক্স কিভাবে জাদুপানীয়র পাত্রে পড়ে গেছিল pdf
খেলার সাথে সাথে তখন পড়াশোনারও চল ছিল। আজ্ঞে হ্যাঁ, আমরা ছোটোবেলাতে পুরোহিত এটাসেটামিক্সের বিদ্যালয়ে সবাই পড়তে যেতাম। উনিই তখন গ্রামের বাচ্চাদের পড়াতেন। আমাদের গ্রামে ওনার মতন জ্ঞানী ব্যক্তি আর কেউ ছিলেন না। উনি আমাদের সেই ছোটোবেলা থেকেই জ্ঞান, বিদ্যা ও সহমর্মিতা শেখাতেন।
সময়ের সাথে সাথে আমাদের সবার আকৃতিই বদলে গেলেও উনি সেই একইরকম রয়ে গেছেন। সেই লম্বা সাদা গোঁফদাঁড়ি ওনার তখনও ছিল এখনের মতন। Asterix Obelix Kibhave Jadupanir Patre Pore Gecilo pdf অ্যাসটেরিক্সঃ ওবেলিক্স কিভাবে জাদুপানীয়র পাত্রে পড়ে গেছিল pdf
ওনার দেওয়া শিক্ষা আমি আজও মনে রেখেছি৷ উনি আমাদেরকে জ্যামিতি নিয়ে অনেক কিছুই শিখিয়েছিলেন, যা ওবেলিক্স মেনহির বানাতে কাজে লাগিয়েছিল। উনি আমাদেরকে পাটিগণিত ও শিখিয়েছিলেন (যদি একজন গল তিনজন রোমানকে পেটাতে পারে, তাহলে ছয়জন গল কজন রোমানকে পেটাতে পারবে?)। এরপাশে উনি আমাদেরকে ভূগোলও পড়িয়েছিলেন (সব রাস্তাই রোমে যায়)। বিজ্ঞানের কিছু বিষয় (বুনোশূকর শিকার ও রন্ধনপ্রনালী)। সাথে সমসাময়িক ঘটনা (গলনেতাদের সাথে বুড়ো জুলিয়াসের সম্পর্ক)। আর সাথে গলের ব্যাকরণও শিখিয়েছিলেন।
‘শোন ওবেলিক্স, দুই আর দুই যোগ করলেও চার হয় আবার তিন আর এক যোগ করলেও চার হয়। Asterix Obelix Kibhave Jadupanir Patre Pore Gecilo pdf অ্যাসটেরিক্সঃ ওবেলিক্স কিভাবে জাদুপানীয়র পাত্রে পড়ে গেছিল pdf
“তাই নাকি? আমার তো এসব কিছুই মাথায় ঢোকেনা, অ্যাসটেরিক্স!”
জানি তোমাদেরকে বললে হয়তো তোমরা এই কথাটি শুনে হাসবে, কিন্তু বিদ্যালয়ে আমি বাকিদের থেকে অনেক বেশি বুদ্ধিমান ছিলাম। আমি সর্বদাই প্রথম হতাম।
কিন্তু এই একই কথা আমি ওবেলিক্সের ব্যাপারে কখনই বলতে পারবনা।ওবেলিক্ত একটু জড়বুদ্ধি প্রকৃতির ছিল, খাওয়া ছাড়া আর অন্য কোনো বিষয়ই তার মাথায় ঢুকতোনা।
আর সারাক্ষন একটু দিবাস্বপ্ন দেখতে ব্যস্ত থাকত ও। এইসবের জন্যে ও পুরোহিতের বকাও খেত। তাই বিদ্যালয়ের শেষে আমি রোজই ওকে ওর হোমওয়ার্ক করতে সাহায্য করতাম। আমার মনে আছে ওর মা ঐ সময়ে আমাদেরকে একটা সুন্দর খাবার বানিয়ে খাওয়াতো। আর সেই সুন্দর খাওয়ারটি ছিল বুনোশূকরের রোষ্ট।
যুদ্ধ শেষে গলযোদ্ধারা তাদের বিজয়ের স্মারক (রোমান সেনার শিরস্ত্রান) নিয়ে গ্রামে ফিরে আসত ও যুদ্ধজয়ের খুশিতে সবাই একে অপরকে পিঠ চাপড়িয়ে বাহবা দিত। সাথে রোমানদেরকে আক্রমন করার সময়ে তাদের মুখের প্রতিক্রিয়া কিরকম ছিল, তা নিয়ে ঠাট্টা তামাশা চলত।
অবশেষে সন্ধ্যাবেলা এই বিজয়কে উদযাপন করার জন্যে আমাদের দলপতি গ্রামের মাঝে এক বিরাট ভোজসভার আয়োজন করতেন। সেখানে সবার পছন্দের খাবার ও পানীয়র ব্যবস্থা থাকত। বিশেষত বুনোশুকরের রোষ্ট।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.