Daak Ele Jetei Hoy pdf – Tridib Kumar Chattopadhyay ডাক এলে যেতেই হয়: ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়

Daak Ele Jetei Hoy pdf - Tridib Kumar Chattopadhyay ডাক এলে যেতেই হয় ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়
Daak Ele Jetei Hoy pdf - Tridib Kumar Chattopadhyay ডাক এলে যেতেই হয় ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়

ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় এর হরর পিডিএফ ডাক এলে যেতেই হয় ডাউনলোড করুন। Get Tridib Kumar Chattopadhyay pdf book Daak Ele Jetei Hoy pdf free.

Daak Ele Jetei Hoy pdf - Tridib Kumar Chattopadhyay ডাক এলে যেতেই হয় ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়
Daak Ele Jetei Hoy pdf – Tridib Kumar Chattopadhyay ডাক এলে যেতেই হয় ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়

Daak Ele Jetei Hoy pdf নিয়ে কিছু তথ্য

বইঃ ডাক এলে যেতেই হয় (Daak Ele Jetei Hoy pdf)
লেখকঃ ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়
সাইজঃ ২.৬
পৃষ্ঠাঃ ১৭০

ডাক এলে যেতেই হয় নিয়ে দু-একটা কথা

আঠারোটা ছোট-বড় গল্প। এর বেশিরভাগ লিখেছি গত দেড় বছরে, অতিমারির সময়ে। সবকয়টিই প্রাপ্তমনস্ক পাঠকের জন্য। এদের মধ্যে আছে নানা স্বাদ—অলৌকিক, রহস্য, কিছুটা প্রেম, উদ্ভট মজা…আর আছে অতিমারীর অবধারিত ছায়া। সে ছায়ায় যেমন যন্ত্রণা আছে, আবার প্রেমের প্রেক্ষিতেও কোভিড এসেছে একটা গল্পে। আশ্চর্য সমাপতন হল, ‘এসপার ওসপার’ গল্পটি যখন ২০২০ পুজোর কিছু আগে আজকাল পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, তখন আমি কোভিড আক্রান্ত হয়ে একটি হাসপাতালের ইন্টেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি। বন্ধ মোবাইলে বারবার ফোন করছেন আমার অতি প্রিয় মানুষ, বিশিষ্ট লেখক স্বপ্নময় চক্রবর্তী। না পেয়ে শেষে মেসেজ করেছেন অভিনন্দন জানিয়ে। বাড়ি ফিরে তাঁর সঙ্গে কথা বলতে তিনি আমার অবস্থা জেনে আঁতকে উঠেছিলেন।

গত বছরটা আমার জীবনে এক দুঃস্বপ্নের বছর। অভিভাবক অনীশ দেব থেকে শুরু করে রক্তের সম্পর্কহীন ভাই দেবাশিস, একমাত্র দিদি এবং সবশেষে আমার ছোটবেলার প্রিয়তম বন্ধু ও ভাই নির্বাণ আমাকে নিঃস্ব করে দিয়ে চলে গেছেন। এই পাঁচমিশেলি গল্পের বই, আপনাদের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরাও যদি পড়েন, একটু স্বস্তি পাব।

ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়

Daak Ele Jetei Hoy pdf সূচিপত্র

আমায় এখনো চিনতে পারলে না?
টান
কেউ কোত্থাও নেই সুন্দরবনে বিভ্রাট
কাগজ-বুড়ি
এই বেশ আছি!
ভালো খবর
এসপার ওসপার
নতুন বৌঠান
চেনা-অচেনা
আড়ালেই আছেন
অতঃপর
তিন্নি হেরে গেছে
বত্রিশ বছর পরে
আমিই চেয়েছিলাম
সেই চোখ
সেলিব্রেশন
ডাক এলে যেতেই হয়

Daak Ele Jetei Hoy pdf একটু পড়ে দেখুনঃ

মুখের অবস্থাটা একেবারে যাচ্ছেতাই। ফাউন্ডেশনের সঙ্গে ঘাম, ময়লা মিশে পুরো সিমেন্টের মতো এঁটে গেছে। তুলো ভিজিয়ে রগড়ে রগড়ে সব তুলতে প্রায় দশ মিনিট লাগল।
সেই সকাল থেকে কলেজের রবীন্দ্রজয়ন্তী অনুষ্ঠান একটানা কম্পেয়ার করতে হয়েছে। শুধু কি মুখে! সারা শরীরেও ঘামের উৎকট গন্ধ, ময়লা কিচকিচ করছে।
শাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে—আহ! স্বর্গের আরাম। প্রতিটা রোমকূপ জুড়িয়ে যাচ্ছে। আজ যাচ্ছেতাই গরম পড়েছে! যেমন তাপ, তেমন ঘাম। হঠাৎ শাওয়ারের শব্দ ছাপিয়ে মোবাইলের রিংটোন। কে আবার ফোন করল এই ভর দুপুরে? মা? হতেও পারে। সারাক্ষণই তো তার মেয়েকে নিয়ে চিন্তা!
বাথরুম থেকে বেরিয়ে টেবিলে রাখা মোবাইলটা দেখলাম। নীলার মিসড কল। নীলা আমার স্কুলের বন্ধু। বহরমপুর কলেজে পড়ছে। সপ্তাহে একবার বাড়ি আসে। পুরোনো বন্ধুদের মধ্যে একমাত্র ও-ই আমার সঙ্গে রেগুলার ফোনে যোগাযোগ মেনটেন করে যায়।

কিন্তু ও তো এইসময় করে না। ওর টাইম রাত ন’টার পরে। আর সেই ফোন বেশ লম্বা। পাঁচ-দশ মিনিটে শেষ হয় না। কথার পরে কথা বলতেই থাকে। কলেজের কোন ছেলেটা ওকে ঝাড়ি মারে, আবার ওর কাকে বেশ ম্যানলি লাগে, টিচারদের মধ্যে কে সবচেয়ে ভালো পড়ায়… সহজে ফুরোতেই চায় না।
আগে বরঞ্চ একটু ধাতস্থ হয়ে নিই। সকাল থেকে পেটে কিছু পড়েনি, খিদেয় পেট চুঁইছুঁই করছে। মেসেজ করলাম, একটু পরে করছি। সঙ্গে সঙ্গে জবাব এল, খুব জরুরি।
নীলার এটা অভ্যেস! ওর যা কিছু কথা, সবই আর্জেন্ট !
বাড়িতে এই মুহূর্তে কেউ নেই। বাবার পোস্ট অফিস খোলা, মা’র স্কুলে রবীন্দ্রজয়ন্তী এখনও নিশ্চয়ই শেষ হয়নি। মানদা মাসি পাঁচটার আগে আসবে না। ফ্রিজ খুলে ডিম বের করে ফেললাম। পাউরুটি ঢুকিয়ে দিলাম টোস্টারে। চায়ের জল চড়িয়ে দিয়েছি গ্যাসে।
মিনিট দশেকের মধ্যে পোচ টোস্ট চা রেডি। সোফায় গুছিয়ে বসেছি। পাউরুটিতে কামড় দিয়ে চায়ে চুমুক। ফোন টিপলাম।

‘হ্যাঁরে নীলা, বল। আবার কী আর্জেন্ট? মাসিমা মেসোমশাই সবাই ঠিকঠাক তো?’
‘হ্যাঁরে, ওরা ঠিক আছে।…ইয়ে…আত্রেয়ী, তুই কিছু শুনিসনি? তুই এখন শহরে তো?’
‘হ্যাঁ রে, শহরেই আছি। কেন? কী শুনব?’
‘বলছি, তুই অয়ন স্যারের কোনও খবর পেয়েছিস? স্যার তো তোকে অসম্ভব ভালোবাসতেন।’
‘নাহ! কী হয়েছে রে স্যারের?
‘অয়ন স্যার আর নেই রে আত্রেয়ী। কাল রাত একটায় ওনার ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই সব শেষ।’
‘ক-কী! কী বলছিস?’ আমার মাথাটা ঘুরে গেল, কাপ থেকে খানিকটা চা চলকে পড়ল ম্যাক্সিতে! পরশু – হ্যাঁ, পরশুই তো স্যারের সঙ্গে – না না, এটা সিম্পলি রিউমার। ইমপসিবল!’
‘সেটা হলেই খুশি হব। এইমাত্র ফেসবুকে দেখলাম। আমাদের ব্যাচমেট বরুণ পোস্ট দিয়েছে।’ নীলা কেটে দিল।

Daak Ele Jetei Hoy pdf

Be the first to comment

Leave a Reply