জগুমামা রহস্য সমগ্র ৩ pdf – ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় Jagu Mama Rahasya Samagra 3 pdf – Tridib Kumar Chattopadhyay book pdf

জগুমামা রহস্য সমগ্র ৩ pdf – ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় Jagu Mama Rahasya Samagra 3 pdf  by Tridib Kumar Chattopadhyay book pdf download link

Jagu Mama Rahasya Samagra 3 pdf জগুমামা রহস্য সমগ্র ৩ pdf ভূমিকাঃ

দেখতে দেখতে ৩০ বছর পেরিয়ে গেল। ১৯৮৫ সালের শারদীয়া কিশাের ভারতীতে ‘হাত’ উপন্যাসে মামাভাগ্নে জুটি যখন আত্মপ্রকাশ করেছিল, তখন সুদূর কল্পনাতেও ভাবতে পারিনি, এত বছর ধরে জওমামা এরকম ঘটনা বা দুর্ঘটনা নিয়ে বারবার হাজির হবেন। এর জন্যে যা কিছু ক্রেডিট, তার সবটাই প্রাপ্য জগুমামার ভক্তদের। আর সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হল, আমার পরম স্নেহের তরতাজা তরুণ সমুদ্র বসু, যে একইসঙ্গে ছােটদের সাহিত্যের একনিষ্ঠ গবেষকও বটে, সে একদিন জমামাকে নিয়ে প্রায় আস্ত একখানা রিসার্চ পেপার এনে আমায় ধরিয়ে দিল। তার মধ্যে এযাবৎ প্রকাশিত ‘জগুমামা’ কাহিনির সংক্ষিপ্তসার, চরিত্রগুলির সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য নিখুঁতভাবে দেওয়া আছে। এই কাজে তার সঙ্গে জড়িয়ে ছিল প্রতিশ্রুতিমান আরেক কিশাের সাহিত্যিক, অত্যন্ত স্নেহের অনন্যা দাশ। অনন্যা সুদূর আমেরিকায় থেকে একনিষ্ঠভাবে ছোটদের জন্যে চমৎকার সব গল্প-উপন্যাস লিখে যাচ্ছে।

আমি তাে স্তম্ভিত, আপ্লুত। এই পরিশ্রমসাধ্য কাজটি ওরা স্রেফ ভালােবেসে করেছে বলে জমামাকাহিনি লিখতে আমার কীই যে সুবিধে হয়েছে, বলার অপেক্ষা রাখে না।
সমুদ্র ও তার বন্ধু সােমনাথ, রাজর্ষি এবং আরও একদল পাগল সেদিন থেকে আমায় ‘জগুমামা’ বলে ডাকতে শুরু করল। এবং স্পষ্ট দাবি জানাল, আমায় প্রতিবছর ‘জগুমামা’ লিখে যেতে হবে। আর জগুমামার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৃতীয় খণ্ড চাই-ই চাই। ওদের ভালােবাসার দাবি অগ্রাহ্য করার সাধ্য আমার নেই।

Jagu Mama Rahasya Samagra 3 pdf সূচীপত্র

রহস্যে ঘেরা
রাক্ষসখালি সাবধান!
লালি গুরান
অন্ধকার ভালাে নয়
ভয়ের আড়ালে ভয়
বিষাক্ত রাত
অনন্তবাবু কোথায়?

Jagu Mama Rahasya Samagra 3 pdf নমুনাঃ

ডোম্মনপালের নাম শুনেছিস?
— ডোম্মনপাল! সে কে?
—এই বাংলার একজন স্বাধীন রাজা। রাক্ষসখালি ছিল তার রাজ্য। রাক্ষসখালি চিনিস?
—না। তবে একটু চেনা চেনা লাগছে। সন্দেশখালি… বকখালি….ওই দিকে কি?
—ঠিক আন্দাজ করেছিস। সুন্দরবনে। জলজঙ্গলের মধ্যে। শ-দেড়েক বছর হল, ওইসব দ্বীপগুলোর মানুষ বন কেটে আবাদ করেছে। বসতি করেছে। অথচ রাজা ডোম্মনপালের তাম্রলিপি, মানে সনদ পাওয়া গেছে রাক্ষসখালি দ্বীপের ভগ্নস্তূপ থেকে। পাঠোদ্ধার করে ঐতিহাসিকরা বলছেন, ডোম্মনপাল রাজত্ব করেছেন ১১৯৬ খ্রিস্টাব্দে।
— বলিস কী! অতকাল আগে সুন্দরবনের দ্বীপগুলোয় মানুষ থাকত?
—হিসেবমতো থাকার কথা নয়। রালফ ফিচ ১৫৮৩ সালে লিখে গেছেন, বেঙ্গালার দক্ষিণভাগ জুড়ে গভীর জঙ্গল-জলাভূমি-দ্বীপ। বাঘ, বুনো মোষ ও অন্যান্য জন্তু অধ্যুষিত।

সোনালী জিশুর মূর্তি pdf – সুযোগ বন্দ্যোপাধ্যায় Sonali Jishur Murti pdf by Sujog Bandyopadhyay

এ এমন কিছু আশ্চর্যের নয় স্যার। ডোমপাল নামের মধ্যেই মানেটা ঢুকে আছে। — অনন্ত সরখেল প্লেট থেকে একটা বড় চিকেন পাকোড়া তুলে টমাটো সস মাখিয়ে মুখে পুরলেন। আমরা হাঁ!
তারপর খুব বিজ্ঞের মতো বললেন, খুব সোজা হিসেব। ডোমদের পাল। সোজা কথায় বলতে পারেন, ডোমদের সর্দার। ডোম মানে নীচুজাতের বুনো লোক। হয়তো বিশ-পঁচিশজন জেলেদের পাণ্ডা। বাঁশবনে শেয়ালরাজা আর কি! হেঁ হেঁ!
– ডোমদের সদ্দার? অ্যাঁ! এ তথ্য পেলেন কোথায়? আরে মশাই, ডোম্মনপাল একজন রাজা! তার মুদ্রা, সনদ পাওয়া গেছে। আপনি কি হিস্ট্রির লোক?

আরে না-না। অনন্তবাবু মজা করেছেন। — জগুমামা তাড়াতাড়ি বলে উঠলেন, তুই বল নিশীথ। দারুণ ইন্টারেস্টিং। এখন কি তুই সুন্দরবন নিয়ে কাজ করছিস?
—তা একরকম বলতে পারিস। প্রায় দুবছর হল, রিসার্চ করছি। গরমকালটা লানডানে থাকি। জানিস তো, ওদেশে আছি বছর পঁচিশেক। ঘরবাড়ি-ফ্যামিলি সবই ওখানে। বাকি মাসগুলো এদেশে। আরও স্পেসিফিক্যালি সাউথ বেঙ্গলে।
– তোর এই কাজের খবর সরকারি লেভেলে জানে?
— নারে। সত্যি কথা বলছি, জানাবার কোনও আর্জ ফিল করিনি। এতকাল কম তো ইনকাম করলুম না। আমার ইন্টারন্যাশনাল হিস্ট্রির বইগুলো থেকে প্রচুর রয়্যালটি আসে। য়ুনিভার্সিটি থেকে ভি আর এস নিয়েছি। পেনশন প্রচুর। মানি ইস নো ফ্যাকটর। স্বাধীনভাবে মনের আনন্দে রিসার্চ করছি।
— সেটা ঠিক। কোনও অবলিগেশন নেই।

— রাইট য়ু আর। আসলে আমিও আগে জানতুম না, আমাদের বাংলার দক্ষিণ দিকটা এত মিস্টিরিয়াস। কত যে অদ্ভুত ইতিহাস ছড়িয়ে আছে। নীহাররঞ্জন রায়ের পরে কয়েকজন একটু ঘাঁটাঘাঁটি করেছিল। নতুন কিছু বেরোয়নি। যেমন ধর, এই ডোমনপাল। টুলি স্পিকিং, ওই নামটাই আমাকে টেনে এনেছে সুন্দরবনে। ভেবে দ্যাখ, ১৫৮৩ সালে যা ছিল ঘন জঙ্গলে ঢাকা নোম্যানস আইল্যান্ড, সেই রাক্ষসখালিতে ওই লোকটা রাজত্ব করেছে তারও চারশো বছর আগে।
—আশ্চর্য!

অক্ষরের রূপকথা শারদ সংখ্যা ১৪৩০ পিডিএফ Sharadiya Aksharer Rupkotha 1430 pdf

—হান্ড্রেড পার্সেন্ট। শুধু রাক্ষসখালি নয়, সুন্দরবন জুড়ে পরপর সব দ্বীপ। শিরা-উপশিরার মতো নদী। ডেনস ফরেস্ট। জলপথে নৌকো ছাড়া কোনও যানবাহন নেই। সেখানে রাজত্ব করেছে লোকটা। জানা যাচ্ছে, শিবের উপাসক ছিল। ওখানে এখনও টেম্পলের রেলিকস আছে। কোন সময়ে এসব করেছে? তার ত্রিশ বছর আগে বাংলার পালরাজত্ব শেষ হয়েছে। এমনকী তুর্কী আক্রমণে শেষ হচ্ছে সেনরাজত্বও।
—হ্যাঁ। স্কুলের ইতিহাসে পড়েছি, লক্ষণ সেন পালিয়ে গেছিলেন, যুদ্ধ-টুদ্ধ না করে।

Jagu Mama Rahasya Samagra 3 pdf download link

Download / Read Online