জগুমামা রহস্য সমগ্র ৪ pdf link – ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় Jagu Mamar Rahasya Samagra 4 pdf by Tridib Kumar Chattopadhyay book pdf download link
Jagu Mamar Rahasya Samagra 4 pdf জগুমামা রহস্য সমগ্র ৪ pdf ভূমিকাঃ
আমার লেখালেখির মধ্যে জগুমামার পাঠকপ্রিয়তা যে একটু আধটু আছে, সেটা জানতাম। কারণ এক আদ্যন্ত বিজ্ঞানী যে রহস্যও ভেদ করতে পারেন, তেমন নজির সাহিত্যে আর নেই বলেই মনে হয়। সেইসব রহস্য কিন্তু সাধারণ মার্ডার বা ক্রাইম নয়, কোনাে না কোনাে ভাবে বিজ্ঞানের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কোনােসময় কিছুটা অসম্ভব। সি আই ডি বা সি বি আই যখন হার মেনে যান, তখন জগুমামার ডাক পড়ে। এবং শেষপর্যন্ত রহস্যের জাল ছেড়া সম্ভব হয়।
এতকাল পর্যন্ত জমামার এইসব কাহিনি ছােট-ছােট বই হয়ে বেরােত। কিন্তু গত বইমেলায় ‘জগুমামা রহস্য সমগ্র’ তৃতীয় খণ্ড ৬টি কাহিনি নিয়ে প্রকাশের পরে বন্ধুরা নাছােড়বান্দা দাবি জানাল, জগুমামার খুচরাে বই চলবে না। এখনাে পর্যন্ত বই হয়ে প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত সব মিলিয়ে চতুর্থ খণ্ড চাই-ই চাই।
অক্ষরের রূপকথা শারদ সংখ্যা ১৪৩০ পিডিএফ Sharadiya Aksharer Rupkotha 1430 pdf
সেই ভালােবাসার আবদার মেটাতে গিয়েই এই চতুর্থ বইয়ের আত্মপ্রকাশ। আর আমারও লেখাগুলােকে প্রাণপণ ঘষামাজা করে বইয়ের উপযুক্ত করে তােলার চেষ্টা ফের জারি। শারদীয় সংখ্যায় স্থানাভাব থাকে, থাকে তাড়াহুড়াে, থাকে ছােটখাটো ভুলভ্রান্তি।
তাই এই খণ্ডের ৫টা উপন্যাসকেই কমবেশি কাটাছেড়া করতে হয়েছে, কাহিনির প্রয়ােজনে বাড়াতে হয়েছে, কমাতে হয়েছে, পাল্টাতেও হয়েছে।
যেমন ‘রক্তরহস্য’। অনেক কাল আগের লেখা, এখন নিজেরই কিছু জায়গায় কাঁচা মনে হয়েছে। আবার গত তিন বছরে লেখা ‘জব চার্ণকের চাবুক’ (আগের নাম শিয়ারব্রুক রহস্য), “আড়ালে যারা থাকে এবং ‘রাইকুর বিষ’—এদেরও বেশকিছু দুর্বলতা মেরামত করার চেষ্টা করেছি, যার ফলে আয়তনেও খানিকটা বেড়ে গেছে। দ্বীপের নাম কালাডেরা’-য় অবশ্য ততটা করতে হয়নি। তেমন ঘষামাজা করিনি জমামার গল্পগুলাের ক্ষেত্রে। তবে শেষঅব্দি এই জগুমামা রহস্য সমগ্র ৪ উতরে গেল কিনা, সে বিচার করবে জগুমামার ভক্ত বন্ধুরা। তাদের উপর ভালােমন্দের দায় চাপিয়ে এই কলমচি নিশ্চিন্ত।
Jagu Mamar Rahasya Samagra 4 pdf সূচীপত্র
উপন্যাস
রক্তরহস্য দ্বীপের নাম কালাডেরা
জব চার্নকের চাবুক
আড়ালে যারা থাকে
রাইকুর বিষ
গল্প।
জীবন্ত মাটি
বিনামেঘে বজ্রাঘাত
মাটিতে মৃত্যু
ইনভেষ্টিগেট
Jagu Mamar Rahasya Samagra 4 pdf নমুনাঃ
গোপীনাথ ঘড়ি দেখলেন। সাড়ে ছ’টা বাজে। আশ্চর্য! নাগার্জুন এখনও এল না। কী হল? শরীর খারাপ?
ও তো ভীষণ পাংকচুয়াল, ঠিক তাঁরই মতো। খুব ভালো করেই জানে, আজকের দিনটা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ। কাল প্রায় শিখরের কাছে পৌঁছে গেছেন। আজ রেসাল্ট এবং অবসারভেশন।
তার পরে আসল কাজ। মোক্ষম কাজ। এভারেস্টের মাথায় পতাকা পোঁতা। সেটা সম্ভব হলে যে কী অবস্থা হবে! ভাবতেই গোপীনাথের শরীরে কাঁটা দিল।
কৃষ্ণাপ্পা বারদুয়েক উঁকি দিয়ে গেছে। গোপীনাথ হাত তুলে অপেক্ষা করতে বলেছেন।
প্রায় বছরদুয়েক ধরে এক রুটিন। ঘড়ির কাঁটা ধরে নাগার্জুন ভোর সাড়ে পাঁচটার মধ্যে ঢুকে পড়ে। গুরু- শিষ্য একসঙ্গে বসে প্রাত:রাশ সারেন। সেই সময় গবেষণা নিয়ে নিভৃত আলাপ-আলোচনাও হয়। ঘড়ির কাঁটা ৬টা স্পর্শ করার আগেই দুজনে সাজগোজ করে ঢুকে পড়েন ল্যাবরেটরিতে। গবেষণার অন্য জগৎ। একটানা দুজনের কাজ চলে বেলা একটা পর্যন্ত। একঘণ্টার লাঞ্চ ব্রেক। ফের গবেষণা, সাতটা-সাড়ে সাতটা বেজে যায়। কৃষ্ণাপ্পাকে বলা আছে, ল্যাবরেটরিতে দুজনে ঢোকার পর ‘ডু নট ডিস্টার্ব’। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন। কে-কে ফোন করছেন, সেটা ও অবশ্য টুকে রাখে।
বাইরে গাড়ির শব্দ। গোপীনাথ উঠে দাঁড়ালেন। একটা ঝাঁ-চকচকে লাল কোয়ালিস এসে থেমেছে। কে এল সাতসকালে? নাগার্জুনের তো স্কুটার। তবে কি ওর বাড়ির কেউ? খবর আছে? ফোনে জানালেই তো পারত।
Daak Ele Jetei Hoy pdf – Tridib Kumar Chattopadhyay ডাক এলে যেতেই হয়: ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়
ভাবতে-ভাবতেই অবাক হলেন গোপীনাথ। দরজা খুলে নেমে এল নাগার্জুন নিজেই। ড্রাইভারের দিক থেকে অন্য একটি ছেলে। স্মার্ট, হ্যান্ডসাম চেহারা। রিমোট দিয়ে গাড়ি লক করল। দুজনে বাড়ির দিকেই এগিয়ে এল।
গোপীনাথের কপালে ভাঁজ পড়েছে। গলা তুলে বললেন, – কৃষ্ণ, ব্রেকফাস্ট তিনজনের।
স্যর, ইকবাল আমার স্কুলের বন্ধু। – নাগার্জুন স্যরের মুখ পড়ে ফেলেছে। কিছুটা সঙ্কুচিতভাবে বলল, ইকবাল কাশিম। আমাদের দু-চারটে বাড়ির পরেই ওদের বাড়ি। পার্ল-এর ফ্যামিলি বিজনেস। আপনার সঙ্গে আলাপ করতে চাইছিল অনেকদিন ধরে। সকালে ছাড়া তো সময় নেই, তাই! বলেছিল, পাঁচটার মধ্যে আমায় বাড়ি থেকে তুলবে। ওর জন্যেই দেরি হয়ে গেল স্যর। সরি স্যর।
— না-না, অল রাইট। একদিন হতেই পারে।… বোসো, বোসো।
ইকবাল এসে গোপীনাথের হাঁটু ছুঁয়ে কদমবুসি করল। সামনের সোফায় বসে বলল, – নাগের মুখে সবসময় আপনার কথা। একটা রিসার্চ নিয়ে এতদিন পড়ে আছেন! আলাপ করতে এলাম সার।
কৃষ্ণাপ্পা ব্রেকফাস্ট সাজিয়ে দিয়ে গেছে। ইডলি, ওমলেট, আপেল। টি-পটে চা।
নাও, শুরু করো।— গোপীনাথ অল্প হাসলেন। ইউলিতে কামড় দিয়ে বললেন, বিজ্ঞানীদের কাজটাই এ- রকম। যেটা ধরবে, শেষ দেখে ছাড়বে। তাতেও যে সবসময় জেতা যাবে, তার কোনও সিওরিটি নেই। হয়তো শেষ ধাপে পৌঁছে দেখলে, তোমার পুরো ক্যালকুলেশন ভুল। তখন হয় নতুন করে জিরো থেকে শুরু করো, নতুবা লিভ ইট। কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম নেই ইকবাল।
জি স্যর। — ইকবাল বলল, আমি তো নাগকে দেখে অবাক হয়ে যেতাম। কীসের নেশায় ও লড়ে যাচ্ছে? শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষা একদিনও বাদ নেই, সেই ভোরে বেরিয়ে যাচ্ছে, ফিরছে রাতে।
রাইট। — গোপীনাথ বললেন, আয়াম প্রাউড অব হিম। আজকালকার ছেলেদের মধ্যে এই টেনার্সিটি দেখা যায় না।…বলো, কী জানতে চাও।
—আপনাদের এই রিসার্চ কি সাকসেসফুল হবে স্যার?
— তুমি কী জানো আমাদের রিসার্চের সম্পর্কে?
—একটু-একটু শুনেছি নাগের কাছ থেকে। সামথিং লাইক ক্রিয়েটিং লাইফ, মানে নতুন জীবন সৃষ্টি। গোপীনাথ চকিতে তাকালেন নাগার্জুনের দিকে। নাগার্জুন মুখ নামিয়ে নিল। গোপীনাথ কেঁপে উঠলেন। সর্বনাশ! এ কী করল নাগার্জুন? ও তো ভালো করেই জানে, তাঁদের গবেষণা কতটা গোপনীয়।
Jagu Mamar Rahasya Samagra 4 pdf download link
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.