কিশোর ভারতী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পিডিএফ খুশিয়াল গল্প সংখ্যা Kishore Bharati 5 February 2021 Magazine pdf

কিশোর ভারতী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পিডিএফ খুশিয়াল গল্প সংখ্যা Kishore Bharati 5 February 2021 Magazine pdf
কিশোর ভারতী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পিডিএফ খুশিয়াল গল্প সংখ্যা Kishore Bharati 5 February 2021 Magazine pdf

কিশোর ভারতী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পিডিএফ খুশিয়াল গল্প সংখ্যা Kishore Bharati 5 February 2021 Magazine pdf download link

কিশোর ভারতী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পিডিএফ খুশিয়াল গল্প সংখ্যা Kishore Bharati 5 February 2021 Magazine pdf
কিশোর ভারতী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পিডিএফ খুশিয়াল গল্প সংখ্যা Kishore Bharati 5 February 2021 Magazine pdf

Kishore Bharati 5 February 2021 pdf কিশোর ভারতী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পিডিএফ সূচী

রালু, সালু আর গুপ্তধনের চাবি প্রচেত গুপ্ত ৯ নীল পাথর
তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় ১৮
‘হাসির গল্প’ সঞ্জীব চৌধুরী ৩৮
জ্যান্ত হল ছবির বিড়াল সুস্মিতা নাথ ৪১
চরাং চরাং! গৌরাঙ্গ শ্রীবাল ৪৪ মধুমন্তীর মাধুরী
রাখী মাইতি মণ্ডল ৪৭ জিজ্ঞাসা
জয়দীপ লাহিড়ী ৩১
আশ্চর্য ধারাবাহিক
রূপকথার শহরে প্রফুল্ল রায় ২১

কাগজ-বুড়ি
ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় ১২ ফুলবাড়ি
চুমকি চট্টোপাধ্যায় ১৫ দ্বিতীয়া কর্ণ শীল ৫০
কানু
কাকলী দেবনাথ ২৯ আজব চিড়িয়াখানা
নন্দিনী নাগ ৫৩ প্রতাপপুরে লক-ডাউন
মানস সরকার ৫
নিবন্ধ
গাছেরও রক্ত ঝরে সায়মুন যশ ৫৯
ঐতিহাসিক ধারাবাহিক
শেষ চিহ্ন
হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত ২৫
সকল কিশোর ভারতী ম্যাগাজিনের পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
নানাস্বাদের কমিকস
বন্ধু ডাক্তার আর অনন্ত রায়ের বাক্স
ডাঃ সায়ন পাল s
সিরিয়াল গ্রাফিক নভেল
মুখোশের আড়ালে
কাহিনি ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়
চিত্রনাট্য ও ছবি প্রদীপ্ত মুখার্জি ৬৩
কুকুরের ডাক্তারি
কাহিনি সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়
চিত্রনাট্য ও ছবি নচিকেতা মাহাত ৩৬
ছড়া-কবিতা
দীপ মুখোপাধ্যায় জয়নাল আবেদিন
তন্ময় ধর
গৌতম হাজরা ৬১
নিয়মিত আসর
আমাদের কথা ৭
তোমরা বলছ ৮ তোমাদের দপ্তর ৬২ হারে কর কম ৩৩

Kishore Bharati 5 February 2021 pdf সম্পাদকীয়
তাঁর নাম কি কিশোর ভারতীর পাঠকরা মনে রেখেছেন? বলা মুশকিল। লেখক হিসেবে তিনি যে প্রথম সারির, সেও বলতে পারি না। তবু আজও তিনি রয়ে গেছেন। আমার স্মৃতিতে। তাঁর প্রথম লেখা বেরিয়েছিল কিশোর ভারতীর প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যায় – ১৯৬৮ সালের নভেম্বর মাসে। প্রাচীন বাঁধানো বার্ষিকী ওল্টাতে গিয়ে মনে পড়ে গেল। বোম্বেটে জাহাজের বন্দী। লেখাটা পড়ে রক্ত গরম হয়ে উঠেছিল সদ্য এক কিশোরের। লেখকের নাম অধীরকুমার রাহা। ঐতিহাসিক পটভূমিতে নৃশংস পর্তুগিজ জলদস্যুদের বিরুদ্ধে এক বাঙালি যুবকের দুঃসাহসিক লড়াইয়ের কাহিনি।

বোতামঘর pdf – স্মরণজিৎ চক্রবর্তী Botamghar pdf – Smaranjit Chakraborty

“বাবা, ইনি কি সুধীন্দ্রনাথ রাহার কেউ হন? নাকি তাঁরই ছদ্মনাম ?” “না-না বাবা। অধীরবাবু তো শুকতারা, সন্দেশ পত্রিকাতেও লিখেছেন। তুমি আগে দ্যাখোনি?’
‘… পড়েছি।’ ছেলেটা একটু থমকে গিয়ে বলে, ‘একই লেখক! কিন্তু ওইসব লেখা এরকম তো নয়, ম্যাদামারা গল্প।’

‘হ্যাঁ, একই মানুষ!’ বাবা মৃদু হাসলেন, ‘লেখকরা যা লেখা দিলেন, সেগুলো জড়ো করে ছেপে দিলাম পত্রিকায়, এটা সম্পাদকের দায়িত্ব নয়। তার কাজ লেখকের কাছ থেকে তাঁর সেরা সৃষ্টি বের করে নেওয়া। ভদ্রলোক ক’দিন আগে রূপকথার গল্প নিয়ে এসেছিলেন। আমার মুখ দেখে বুঝে গেলেন, পছন্দ হয়নি। তখন বললেন, ওনার কাছে কয়েকখানা ইতিহাসের বই আছে। আমি চাইলে তার থেকে ছোটদের মতো করে লিখতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে আমি বলেছি, অবশ্যই। কিন্তু রচনা নয়। তারপর—’
“তারপর?”

“তারপর উনি দিলেন। তবে যেটা উনি দিয়েছিলেন, আর যেটা বেরিয়েছে, তাতে অনেকটা তফাত। ধরো এডিট করতে হয়েছে।’
‘হ্যাঁ, পড়েই মনে হচ্ছিল, কোথাও কোথাও তোমার লেখার স্টাইল মিশে আছে। কিন্তু বাবা, একটা কথা বলো। অন্যের লেখায় তোমার এই খাটুনিতে কী লাভটা হচ্ছে ?’
“অনেক লাভ। প্রথমত, তোমার মতো কিশোর বন্ধুরা নতুন স্বাদের নিটোল গল্প পাচ্ছ। কিশোর ভারতীর সঙ্গে বন্ধুদের বন্ডিং তৈরি হচ্ছে। তাছাড়া এডিটেড লেখাটা পড়ে লেখক বুঝতে পারবেন, কোথায় তাঁর লেখার খামতি। সবচেয়ে বড় কথা, বানানো গল্পের চেয়ে অনেক রোমাঞ্চকর এইসব ঘটনা।’

এরপর কিশোর ভারতীতে নিয়মিত অধীর রাহার বোম্বেটে ও অন্যান্য টু লাইফ স্টোরি বেরোতে থাকে। কী ইউনিক বিষয়বস্তু! একনিঃশ্বাসে পড়ে ফেলতাম।
ওই বছরেই এলেন ভৈরবপ্রসাদ হালদার। মোটাসোটা চেহারা, ধুতির ওপর কলার দেওয়া লম্বা ঝুলের শার্ট। তিনিও সত্যি অভিযান কাহিনি লিখতে শুরু করলেন। আমরা তাঁরও ভক্ত হয়ে গেলাম।

শারদীয়া কিশোর ভারতী ১৯৬৯। সেই বছর বিশে জুলাই নিল আর্মস্ট্রং অ্যাপোলোয় চড়ে চাঁদে পৌঁছলেন। মানুষের প্রথম চন্দ্রবিজয়। সারা পৃথিবী জুড়ে তোলপাড়। যুগান্তকারী এই ঘটনাকে উপলক্ষ করে পুজোসংখ্যায় মাস্টার্স স্ট্রোক দিলেন বাবা। ক্যাপশন একটি চন্দ্রবিজয়। লেখা দুটি— বাস্তবে ও কল্পনায়। ভৈরবপ্রসাদ লিখলেন কল্পনায়, জুল ভের্নের সায়েন্স ফিকশন নিয়ে। ব্রহ্মগুপ্ত ছদ্মনামে অধীর লিখলেন বাস্তবে, সত্যি অভিযান। ওটা যে অধীর রাহার লেখা, বাবার কাছে শুনেছিলাম। কারণ, সেই পুজোসংখ্যায় স্বনামে ‘মেয়ে বোম্বেটে’ নামে তাঁর আরেকটি লেখা ছিল।

তৃতীয় বছরের শারদীয়া ১৯৭০। সেবারেও ফের চমক। ক্যাপশন – মেরুতলের অভিযাত্রী। বাস্তবে লিখলেন অধীরকুমার রাহা, কল্পনায় লিখলেন সত্যপ্রসাদ সেনগুপ্ত।
অথচ এর কিছুদিনের মধ্যে কিশোর ভারতীর পাতা থেকে আচমকা ভ্যানিশ হয়ে গেলেন অধীর রাহা। দিলীপ চট্টোপাধ্যায়কে জিগ্যেস করলাম, ‘কী হল বড়দা? উনি আর লেখা দিচ্ছেন না?’

‘ধুর! একদম লিখতে পারে না। বাবা প্রায় সবটাই রিরাইট করে দিতেন। ও আমার দ্বারা হবে না। তাই রিজেক্ট করতে হয়। আর এখন তো প্রসাদবাবু (শিল্পী ময়ূখ চৌধুরীর আসল নাম) ওই ক্যাটেগরির লেখা সাপ্লাই করছেন। ফার ফার বেটার।’

অধীরকুমার রাহার দ্বিতীয় স্পেল অদ্ভুতভাবে শুরু হল ১৯৮১ সালের জানুয়ারি মাসে। ট্রু লাইফ স্টোরি ‘হাইড্রোজেন বোমা যেদিন জলে পড়েছিল’ নিয়ে তিনি ফিরে এলেন পত্রিকার পাতায়। কী করে এটা ঘটল ? তৎকালীন সহ সম্পাদক দাদার সঙ্গে সেসময় বাবার মতানৈক্য চলছিল। পত্রিকার দশা তখন অতি করুণ। দাদার কাছ থেকে লেখার ফাইল নিয়ে বাবা নিজে দেখছেন, দেখতে গিয়ে অধীরবাবুর অনেক আগে জমা দেওয়া লেখা গাদার মধ্যে খুঁজে পেয়েছেন। সেই লেখা নিজে ঘষামাজা করেছেন।

এই পর্যায়েও অধীরবাবুর একের পর এক লেখা বেরিয়েছিল। দেশে বিদেশে রোমহর্ষক সব অভিযান। সত্য ঘটনা অবলম্বনে। ততদিনে আমাকে কিশোর ভারতীতে আসতে হয়েছে। ১৯৮১-র পুজো সংখ্যায় অধীরবাবুর উত্তর মেরু অভিযানের উপন্যাস ছাপা হয়েছিল। সে লেখা এডিট করতে আমার দম বেরিয়ে গেছিল। ততদিনে আমার সঙ্গে তাঁর যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতাও হয়েছে। কিন্তু আমিও দাদার মতো বুঝে পেতাম না, সিনিয়র এক লেখকের লেখা ঘষেমেজে বের করার মানেটা কী!

তো এইরকম চলল বছর তিনেক। অধীরবাবুর টু এক্সপিডিশনস-এর ভাঁড়ারও বোধহয় ফুরিয়ে এসেছিল। আর তাঁর বানিয়ে লেখা গল্প মোটে পাতে দেওয়ারই যোগ্য নয়। বাবা একদিন খুব নরমভাবে বললেন, “অধীরবাবু, আপনার এবার লাইব্রেরি রেফারেন্স দরকার। শুধু কল্পনা দিয়ে লেখাগুলো ঠিক… বুঝছেন তো!’

বাধ্য ছাত্রের মতো সায় দিলেন অধীরকুমার রাহা। কিন্তু সেই যে তিনি আমাদের দপ্তর থেকে বেরিয়ে গেলেন, আর কখনো আসেননি। বাবা একাধিক চিঠি দিয়েছিলেন, জবাব দেননি। কিশোর ভারতীতে ওঁর শেষ গল্প বেরিয়েছিল এপ্রিল ১৯৮৩ সালে। কোথায় যে হারিয়ে গেলেন, কে জানে! এত এত লিখেছেন, তার মধ্যে বেশ কিছু কাহিনি মনে দাগও কেটে গেছিল, তবুও পাঠকের দরবারে কী পেলেন তিনি? বিগ জিরো।

আমার এক লেখক-দাদা প্রায়ই বলেন, ‘যত ভালোই লিখুন, সরস্বতীর নেকনজর সবাই পায় না। কত ভালো কবি লেখক হারিয়ে গেছেন। একেই বলে দুর্ভাগ্য!
আজ এই পর্যন্ত। তোমরা সকলে আমাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা আর ভালোবাসা নিও। সুস্থ থাক। ভ্যাক্সিন এসে গেছে, এ এক বিরাট সুখবর। এবার বোধহয় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব সবাই।

ABP এর pdf book কিশোর ভারতী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পিডিএফ খুশিয়াল গল্প সংখ্যা Kishore Bharati 5 February 2020 Magazine pdf download করুন এখান থেকে কিশোর ভারতী ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পিডিএফ পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply