আবোল তাবোল pdf – সুকুমার রায় Abol Tabol pdf – Sukumar Roy

আবোল তাবোল pdf - সুকুমার রায় Abol Tabol pdf - Sukumar Roy
আবোল তাবোল pdf - সুকুমার রায় Abol Tabol pdf - Sukumar Roy

সুকুমার রায় এর Abol Tabol pdf আবোল তাবোল pdf পড়ুন ও Abol Tabol pdf আবোল তাবোল pdf ডাউনলোড করুন।

আবোল তাবোল pdf - সুকুমার রায় Abol Tabol pdf - Sukumar Roy
আবোল তাবোল pdf – সুকুমার রায় Abol Tabol pdf – Sukumar Roy

Abol Tabol pdf আবোল তাবোল pdf সূচিপাতা

আবোল তাবোল
খিচুড়ি কাঠবুড়ো গোঁফচুরি
সৎপাত্র
কাতুকুতু বুড়ো ভালরে ভাল
বাবুরাম সাপুড়ে
প্যাঁচা আর প্যাচানি
কুম্‌ড়োপটাশ বুড়ীর বাড়ী
গল্প বলা
শব্দ কল্প দ্রুম্
খুড়োর কল
গানের গুঁতো লড়াই-ক্ষ্যাপা
লড়াই-ক্ষ্যাপা
ছায়াবাজি ঠিকানা
বোম্বাগড়ের রাজা
সাবধান
কিম্ভূত হাতুড়ে
চোর ধরা
ন্যাড়া বেলতলায় যায় ক’বার
ভয় পেয়ো না
বুঝিয়ে বলা কি মুস্কিল
একুশে আইন
নারদ! নারদ!
হুঁকোমুখো হ্যাংলা
গন্ধ বিচার
দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম্
কাঁদুনে
বিজ্ঞান শিক্ষা
ভুতুড়ে খেলা
ডানপিটে
আহ্লাদী
রামগরুড়ের ছানা
হাত গণনা
হুলোর গান
ট্যাঁশ গরু
পালোয়ান
ফসকে গেল
নোট বই
আবোল তাবোল

Abol Tabol pdf আবোল তাবোল pdf নমুনাঃ

বুঝিয়ে বলা
ও শ্যামাদাস! আয়তো দেখি, বোস তো দেখি এখেনে,
সেই কথাটা বুঝিয়ে দেব পাঁচ মিনিটে ‘দেখে নে।
জ্বর হয়েছে ?মিধ্যে কথা! ওসব তোদের চালাকি
– এই যে বাবা চেঁচাচ্ছিলি, শুনতে পাইনি? কালা কি?
মামার ব্যামো বদ্যি ডাকৰি ? ডাকিস না হয় বিকেলে ;
না হয় আমি বাৎলে দেব বাঁচবে মামা কি খেলে!
আজকে তোকে সেই কথাটা বোঝাবই বোঝাৰ –
না বুঝবি তো মগজে তোর গজাল মেরে গোঁজাব।
কোন্ কথাটা ?তাও ভুলেছিস্ ?ছেড়ে দিছিস্ হাওয়াতে?
কি বলেছিলেম পরশু রাতে বিষ্টু বোসের দাওয়াতে?
ভুলিসনি তো বেশ করেছিস্, আবার শুনলে ক্ষেতি কি?
বড় যে তুই পালিয়ে বেড়াস্, মাড়ানে যে এদিক্‌!
বলছি দাঁড়া, ব্যস্ত কেন? বোস্ তাহলে নিচুতেই
আজকালের এই ছোক্রাগুলোর তর সয়না কিছুতেই।

নরক pdf – মনীষ মুখোপাধ্যায় Norok pdf – Manish Mukhopadhyay

আবার দেখ ! বসলি কেন ?বইগুলো আন্ নামিয়ে
– তুই থাকতে মুটের বোঝা বইতে যাব আমি এ ?
সাধানে আন্, ধরছি দাঁড়া সেই আমাকেই ঘামালি,
এই খেয়েছে! কোন আক্কেলে শব্দকোষটা নামানি? ঢের হয়েছে!
আয় দেখি তুই বোস্‌ তো দেখি এদিকে
– ওরে গোপাল গোটাকয়েক পান দিতে বল্‌ খেঁদিকে।
বলছিলাম কি, বস্তুপিণ্ড সূক্ষ্ম হতে স্থূলেতে,
গোড়ায় তবে দেখতে হবে কোত্থেকে আর কি ক’রে,
রস জমে এই প্রপঞ্চময় বিশ্বতরুর শিকড়ে।
অর্থাৎ কিনা, এই মনে কর্ রোদ পড়েছে ঘাসেতে,
এই মনে কর্,চাঁদের আলো পড়লো তারি পাশেতে- আবার দেখ!
এরই মধ্যে হাই তোলবার মানে কি? আকাশপানে তাকাস্ খালি, যাচ্ছে কথা কানে কি?

ফোরটি এইট আওয়ারস pdf – রবিন জামান খান Fourty Eight Hours pdf – Robin Jaman Khan

দাঁড়ে দাঁড়ে দ্রুম!
ছুটছে মটর ঘটর ঘটর ছুটছে গাড়ী জুড়ি,
ছুটছে লোকে নানান ঝোঁকে করছে হুড়োহুড়ি ;
ছুটছে কত ক্ষ্যাপার মতো পড়ছে কত চাপা,
সাহেবমেমে থমকে থেমে বলছে ‘মামা পাপা!
‘ আমরা তবু তবলা ঠুকে গাচ্ছি কেমন তেড়ে
“দাঁড়ে দাঁড়ে ক্রম্ ! দেড়ে দেড়ে দেড়ে!”
বর্ষাকালে বৃষ্টিবাদল রাস্তা জুড়ে কাদা,
ঠাণ্ডা রাতে সর্দিবাতে মরবিকেন দাদা?
হোক্‌ না সকাল হোক্‌ না বিকাল
হোক্ না দুপুর বেলা,
থাক্ না তোমার আপিস যাওয়া
থাক্ না কাজের ঠেলা-

এই দেখ না চাঁদনি রাতের গান এনেছি কেড়ে,
“দাঁড়ে দাঁড়ে ক্রম্! দেড়ে দেড়ে দেড়ে! ”
মুখ্যু যারা হচ্ছে সারা পড়ছে ব’সে একা,
কেউবা দেখ কাঁচুর মাচুব
কেউবা ভ্যাবাচ্যাকা ৷
কেউ বা ভেবে হদ্দ হল, মুখটি যেন কালি,
কেউ বা ব’সে বোকার মতো মুণ্ডু নাড়ে খালি।
তার চেয়ে ভাই,ভাবনা ভুলে গাওনা গলা ছেড়ে,
“দাঁড়ে দাঁড়ে ক্রম্! দেড়ে দেড়ে দেড়ে!”
বেজার হয়ে যে যার মতো করছ সময় নষ্ট,
হাঁটছ কত খাটছ কত পাচ্ছ কত কষ্ট !
আসল কথা বুঝছ না যে, করছ না যে চিন্তা,
শুনছ না যে গানের মাঝে তবলা বাজে ধিতা?
পাল্লা ধরে গায়ের জোরে গিটকিরি দাও ঝেড়ে,
“দাঁড়ে দাঁড়ে ক্রম্! দেড়ে দেড়ে দেড়ে!”

কাঁদুনে
ছিঁচকাঁদুনে মিচকে যারা সস্তা কেঁদে নাম কেনে,
ঘ্যাঁঙায় শুধু ঘ্যানর ঘ্যানর
ঘ্যানঘ্যানে আর প্যানপ্যানে
– কঁকিয়ে কাঁদে খিদের সময়, ফুঁপিয়ে কাঁদে ধম্‌কালে,
কিম্বা হঠাৎ লাগলে ব্যথা, কিম্বা ভয়ে চমকালে;
অল্পে হাসে অল্পে কাঁদে,কান্না থামায় অল্পেতেই,
মায়ের আদর দুধের বোতল কিম্বা দিদির গল্পেতেই
– তারেই বলি মিথ্যে কাঁদন, আসল কান্না শুনবে কে?
অবাক্ হবে থমকে রবে সেই কাঁদনের গুণ দেখে!
নন্দঘোষের পাশের বাড়ী বুধ সাহেবের বাচ্চাটার
কান্নাখানা শুনলে বলি কান্না বটে সাচ্চা তার।
কাঁদবে না সে যখন তখন রাখবে কেবল রাগ পুষে,
কাঁদবে যখন খেয়াল হবে খুন-কাঁদুনে রাক্ষুসে!

নাইকো কারণ নাইকো বিচার
মাঝরাতে কিভোরবেলা, হঠাৎ শুনি
অর্থবিহীন আকাশ ফাটন জোর গলা।
হাঁকড়ে ছোটে কান্না যেমন জোয়ার বেগে নদীর বান,
বাপ মা বসেন হতাশ হয়ে শব্দ শুনে বধির কান।
বারে সে কি লোহার গলা ?এক মিনিটও শান্তি নেই?
কাঁদন ঝরে শ্রাবন ধারে, ক্ষান্ত দেবার নামটি নেই!
ঝুমঝুমি দাও পুতুল নাচাও,
মিষ্টি খাওয়াও একশোবার, বাতাস কর চাপড়ে ধর,
ফুটবে নাকো হাস্য তার। কান্নাভরে উলটে পড়ে কান্না ঝরে নাক দিয়ে,
গিলতে চাহে দালানবাড়ী হাঁ খানি তার হাঁক দিয়ে,
ভূত-ভাগানো শব্দে লোকে ত্রাহি ত্রাহি ডাক ছাড়ে
– কান্না শুনে ধন্যি বলি বুধ সাহেবের বাচ্চারে।

সুকুমার রায় এর Abol Tabol pdf আবোল তাবোল pdf পড়ুন এখান থেকে ও Abol Tabol pdf আবোল তাবোল pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply