সাপ্তাহিক বর্তমান ২৬ মার্চ ২০২২ পিডিএফ Saptahik Bartaman 26 March 2022 pdf

সাপ্তাহিক বর্তমান ২৬ মার্চ ২০২২ পিডিএফ Saptahik Bartaman 26 March 2022 pdf
সাপ্তাহিক বর্তমান ২৬ মার্চ ২০২২ পিডিএফ Saptahik Bartaman 26 March 2022 pdf

সাপ্তাহিক বর্তমান ২৬ মার্চ ২০২২ পিডিএফ Saptahik Bartaman 26 March 2022 pdf ডাউনলোড করুন ও পড়ুন।

সাপ্তাহিক বর্তমান ২৬ মার্চ ২০২২ পিডিএফ Saptahik Bartaman 26 March 2022 pdf
সাপ্তাহিক বর্তমান ২৬ মার্চ ২০২২ পিডিএফ Saptahik Bartaman 26 March 2022 pdf

সাপ্তাহিক বর্তমান ২৬ মার্চ ২০২২ পিডিএফ Saptahik Bartaman 26 March 2022 pdf সূচিঃ

প্রচ্ছদ নিবন্ধ
• অতিরিক্ত গাম কেন হয়? মুক্তির উপায় কী? ১০
ডাঃ জ্যোতির্ময় পাল, ডাঃ শামসম্রাট সমাজদায় ডাঃ গৌতম আশ, ডাঃ বিশ্বজিৎ ঘোষ, তুমার শীল
ধারাবাহিক
• সাক্ষী আরব সাগর ২৩ প্রফুল্ল রায়
• পলাশির পরে ৩৪
শান্তনু বসু
জলঙ্গীর অন্ধকারে ৪৮ হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত
অগস্থিত গল্প
• নরগণ রাক্ষসগণ ৩৮ আশুতোষ মুখোপাধ্যায়
বিশেষ রচনা
দেবী রায় বনাম অনন্ত সিংহ ৪০ দীপ মুখোপাধ্যায়
গল্প
• • সম্পত্তি ৪৫ শ্যামলী আচার্য
• ঈশ্বরের দেশ মরক্কো ২৬ সঞ্জীব রায়
সিনেমা
• প্রভাস ৬০
নিয়মিত বিভাগ
চিঠি ৪ অমৃতকথা ৫ শব্দ ৬ বইপাড়া ৭ সুখে থাকুন ২২ ব্যাখ্যা নেই ৪৪ পুলিস কাস্টডি ৫২ সাম্প্রতিক ৫৪ বিজ্ঞান ৫৫ খেলা ৫৬ সংস্কৃতি ৫৮ ভাগ্যচক্র ৬৪

Saptahik Bartaman 26 March 2022 pdf সম্পাদকীয়

নিবাস থেকে অযোধ্যায় ফিরেছেন দশরথ পুত্র রাম। পিতৃসত্য পালনের জন্য বারো বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। রাক্ষসরাজ রাবণের সঙ্গে মহারণ সাঙ্গ করে অবশেষে উদ্ধার হয়েছেন রাজ্ঞী সীতা। অযোধ্যায় ফিরে আসার পর রাজা রূপে রামের অভিষেক সম্পন্ন হবে। রাজা রামের সঙ্গে অযোধ্যায় উপস্থিত হয়েছেন বানররাজ সুগ্রীব আর লঙ্কার রাজা বিভীষণ।
রামের রাজ্যাভিষেকের নির্দিষ্ট দিনের আগে বানররাজ সুগ্রীব অন্যান্য বানরদের আদেশ দিলেন, ‘প্রভু রামের অভিষেক স্নানের জন্য নদী ও সমুদ্রের পবিত্র জল প্রয়োজন। তোমরা নদী ও চার সাগরের জল সংগ্রহ করে নিয়ে এসো।’

আনন্দলোক ১২ আগস্ট ২০২৩ পিডিএফ Anandalok 12 August 2023 pdf

সুগ্রীবের আদেশ পেয়ে বানরেরা তখনই জল সংগ্রহে চলে গেল। বানর শ্রেষ্ঠ হনুমান, বেগবান ঋষভ এবং জাম্বুবান মিলে পাঁচশো নদীর জল কলসপূর্ণ করে তুলে আনলেন। বলশালী সুষেণ পূর্বসমুদ্র থেকে রত্নখচিত কলসে জল সংগ্রহ করলেন। ঋষভ রক্তচন্দন ও কর্পূরলেপ দেওয়া সোনার ঘটে দক্ষিণ সমুদ্র থেকে জল নিয়ে এলেন। বলশালী গবয় বৃহৎ রত্ননির্মিত কুণ্ডলের মাধ্যমে পশ্চিম মহাসমুদ্র থেকে জল আনলেন। নদী ও সাগরের জল সংগৃহীত হলে রামের প্রিয় ভ্রাতা শত্রুঘ্ন সেই জলপূর্ণ কলসগুলো খুব ভালোভাবে দেখে মনের আনন্দে চললেন ঋষি বশিষ্ঠের কাছে। ঋষির কাছে আনত হয়ে বললেন, ‘হে গুরুবর, অনুগত বানরকুল দেখি অসাধ্যসাধন করেছে।

তাঁরা প্রিয় জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার অভিষেকের জন্ নদী ও সাগরের জল সংগ্রহ করে এনেছে। জল সংগ্রহ সম্পন্ন রামের হয়েছে যখন, তখন আর অভিষেকে বিলম্ব করার দরকার কী? ‘ দশরথ পুত্র শত্রুঘ্নের মুখে এই কথা শুনে কুলগুরু বশিষ্ঠ রাজ্যাভিষেকের সমস্ত আয়োজন সম্পন্ন করলেন। ব্রাহ্মণেরা রাজা রামচন্দ্র ও সীতাকে রত্ননির্মিত পীঠে উপবেশন করালেন। তারপরে বসুরা যেমন দেবরাজ ইন্দ্রের অভিষেক সম্পন্ন করেন ঠিক তেমন ভাবে ঋষি বশিষ্ঠ, ঋষি বিজয়, জাবালি, কাশ্যপ, কাত্যায়ন, বামদেবকে নিয়ে সুগন্ধ যুক্ত জল দিয়ে অভিষিক্ত করলেন। যজ্ঞ শুরু হল। যজ্ঞের ঋত্বিকরা সমবেতভাবে রামের অভিষেক করলেন। তারপর প্রথমে মন্ত্রীরা, পরে রাজঅন্তঃপুরের কন্যারা অভিষেক করালেন। কন্যাদের পরে নগরের শ্রেষ্ঠীরা এগিয়ে এলেন। সবশেষে এলেন পুরবাসীরা।

নগরে উপস্থিত সকলে রামের অভিষেক শেষ করলে দেবতারা লোকপালদের সঙ্গে সব রকমের ঔষধি মিশ্রিত জল দিয়ে রামকে স্নান করালেন। তারপর স্বয়ং ব্রহ্মা নিজের তৈরি যে কিরীট দিয়ে মনুর অভিষেক করিয়েছিলেন, কুলগুরু বশিষ্ঠ রামকে রত্নসিংহাসনে বসিয়ে সেই কিরীটটি মাথায় পরিয়ে দিলেন। তারপর নানা অলঙ্কারে সজ্জিত করা হল রাজা রামকে। শত্রুঘ্ন তাঁর মাথায় শ্বেতছত্র ধারণ করলেন। বানররাজ সুগ্রীব শ্বেতচামর দিয়ে বাতাস করতে লাগলেন। রাক্ষসরাজ বিভীষণও চাঁদের মতো শুভ্রবর্ণ পৃথক এক চামর দিয়ে বাতাস করলেন। বায়ুর দেবতা দেবরাজ ইন্দ্রের প্রতিনিধি হয়ে নিয়ে এলেন শতপদ্মশোভিত কাঞ্চনমালা আর মণিরত্নভূষিত রত্নহার। অন্তরীক্ষে গন্ধর্বদের পরিবেশিত সঙ্গীতের মিষ্টি সুর শোনা যেতে লাগল। সঙ্গে অপ্সরাকুলের নূপুরের ঝঙ্কার। সেই দিব্য পরিবেশে রাজা হয়ে রাম দান করতে শুরু করলেন।

স্বপ্নময় চক্রবর্তীর শ্রেষ্ঠ গল্প পিডিএফ Sheshthra Golpa pdf – Swapnamoy Chakraborty

প্রথমে তিনি ব্রাহ্মণদের কত যে গো, বৃষ, অশ্ব দিলেন তার সীমা নেই। তার সঙ্গে দিলেন স্বর্ণ, রত্ন ও রত্ননির্মিত দ্রব্য ও সুন্দর বস্ত্রসম্ভার। তারপর সুগ্রীবকে দিলেন সূর্যকিরণের মতো উজ্জ্বল দিব্য মণিময় এক সোনার মালা। বালির পুত্র অঙ্গদকে দিলেন বৈদুৰ্য্য নির্মিত দুটি কেয়ূর। আর জনক নন্দিনীকে এক ছড়া মণিখচিত মুক্তা হার। হারটি সীতা হাতেই ধরে রাখলেন, আর বারবার তাঁর দৃষ্টি হনুমানের দিকে সঞ্চারিত হতে লাগল।

রাম সীতার মনোভাব বুঝে বললেন, “সীতে, তুমি যখন হনুমানের উপর তুষ্ট হয়েছ তখন এই হার তুমি তাকেই দাও।’
স্বামীর আজ্ঞা পেয়ে সীতা সেই হারে তেজ, ধৃতি, যশ, নিপুণতা, সামর্থ্য, বিনয়, বিক্রম এবং বুদ্ধি ইত্যাদি গুণ সংযুক্ত করে হনুমানকে দিলেন।
এবার রাজা রাম লক্ষ্মণকে যুবরাজ পদ গ্রহণ করতে আদেশ করলেন। কিন্তু লক্ষ্মণ কোনও পদ গ্রহণে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে অবশেষে রাম ভরতকে যুবরাজ করে রাজ্যশাসন করতে লাগলেন।
পূর্বা সেনগুপ্ত

সাপ্তাহিক বর্তমান ২৬ মার্চ ২০২২ পিডিএফ ডাউনলোড করুন এখান থেকে ও সাপ্তাহিক বর্তমান ২৬ মার্চ ২০২২ পিডিএফ পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply