সোনালী শিশির pdf – রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ Shonali Shishir pdf – Rudra Mohammad Shahidullah

সোনালী শিশির pdf - রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ Shonali Shishir pdf - Rudra Mohammad Shahidullah
সোনালী শিশির pdf - রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ Shonali Shishir pdf - Rudra Mohammad Shahidullah

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর Shonali Shishir pdf সোনালী শিশির pdf ডাউনলোড করুন ও Shonali Shishir pdf সোনালী শিশির pdf পড়ুন।

সোনালী শিশির pdf - রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ Shonali Shishir pdf - Rudra Mohammad Shahidullah
সোনালী শিশির pdf – রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ Shonali Shishir pdf – Rudra Mohammad Shahidullah

Shonali Shishir pdf সোনালী শিশির pdf

কিবরিয়া চলচ্চিত্রের ব্যবসায় নামবে।
কাহিনী রচনার জন্যে প্রথমেইসে নির্বাচন করলো গল্পকার ইসহাক খানকে মুক্তিযোদ্ধা এই তরুন গল্পকার রাজনীতি সচেতন লেখার জন্যে অনেকের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে। তবে বাজারে পরিচিতি কম। ছাত্রজীবনে উভয়ে প্রায় একই আডডায় ছিলো বোলে বোধহয় কিবরিয়ার এই নামটিই প্রথম মনে পড়েছে তা ছাড়া কেনই বা সে ইসহাককে নিবাচিত করবে।

মনের মতো সালাত – ডা. শামসুল আরেফীন Moner Moto Salat pdf – Dr Shamsul Arafin

ব্যবসার জন্যে যে চলচ্চিত্র এখানে তৈরি হচ্ছে ইসহাক তো সেই ধারার বিরুদ্ধ শিবিরের লোক। তবে ইসহাক সম্মত হলো।
ভাবলো, যদি কিছু বাড়তি টাকার বন্দোবস্ত হয় মন্দ কি! জীবনযাপনটা একটু মসৃন হবে। ঝলমলে পৃথিবীর আলো-ছায়ায় কিছুদিনবেশ স্বচ্ছন্দে সোনালি শিশির পান করা যাবে। এই তো, এর বেশি আর কি চাই! তো থালি মুখে তো আর ছবির কাহিনী নিয়ে আলাপ করা যায় না, চলো সাকুরা যাওয়া যাক।

বন্ধুর প্রযোজিত চলচ্চিত্রে যে কোনো একটি চরিত্র জুটিয়ে নেবার আশা এবং সোনালি শিশিরপানের নিশ্চয়তা নিয়ে আমিও ওদের সাথে শরিক হয়ে পড়লাম। আহ কতোদিন বিলেতি খাই না! গুরুত্বহীন অতিথি হিশেবে আমাকেই রিকশার হেলানে উঁচু হেয়ে বসতে হলো। পশ্চাদেশের জন্যে জায়গাটি মোটেই সুখপ্রদ নয়।

তবু নিকটবর্তী সৌভাগ্যের স্বপ্নে পশ্চাদেশের কষ্টটুকু হজম কোরে নিলাম। এক রিকশায় তিনজন এবং রাস্তা শর্টকাট করার জন্যে উল্টোপথে আসা টাফিক আইনে এই দুটি অপরাধ কোরে আমরা যখন সাকুরায় পৌঁছলাম তখন মাইকে এশার নামাজের আজান বাজছে হে বিশ্বাসীগন সৃষ্টিকতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো— আমি আপাতত কিবরিয়ার জন্যে কৃতজ্ঞচিত্তে বারের প্রবেশ দরোজ খুলে দিলাম। জমজমাট অবস্থা ভেতরে।

সারাদিন সবাই যেন মুখে ঠুলি বেঁধে কথা বন্ধ কোরে রেখেছিলো। স্যাম্পেপনের ছিপি খোলার মতো সবাই এখন উতলে পড়ছে। মহিলাও আছে কয়েকজন, অনুজ্জ্বল আলোয় বয়স বোঝা যায় না। তারকাবিহীন এই একটিই বার, যেখানে মহিলাদের সঙ্গে বসা যায়। আর সবকটিতে হোমোসেক্সচুয়াল পরিবেশ। কোনের দিকে একটু নিরিবিলিতে আমরা জায়গা নিলাম। পাশের টেবিলে একদল নাট্যকর্মী, সাথে একজন জনপ্রিয় নাট্যকার। এই নাট্যকার শ্রমিকদের জীবন নিয়ে বেশ কয়েকটি নাটক রচনা করেছেন।

তার সব নাটকের শেষ দৃশ্যে লাল সূর্য উদিত হয়। একটু দূরে একজন বিদেশিনীর সাথে দুজন তরুন তরুনী। দুজন অভিনেতা আর জনাতিনেক কবি গলা সপ্তমে তুলে গান গাচ্ছে। কিছু ব্যবসায়ি, দুএকজন তরুন আমলা ছাড়াও বেশ কজন মস্তানও বিভিন্ন টেবিল ঘিরে বসে আছে। দুচার মিনিটেই আমরা ধাতস্থ হলাম। আমি ভিক্ষুকের কাকুতি মেশানো কণ্ঠে বললাম- “কিবরিয়া, দোস্ত প্রথম পেগটা কালো কুত্তা নে!” কিবরিয়া জবাব না দিয়ে চুপ কোরে কি যেন ভাবছে। আমি চোখের ইশারায় ইসহাককে দলে টানার চেষ্টা করলাম।

ইসহাক বল্লো— কালো কুত্তা দিয়ে শুরু করতে পারলে মন্দ হয় না। কি কিবরিয়া, এত ভাবনার কি আছে? ভালো জিনিস পেটে পড়লে কাহিনীটাও জপেশ বেরুবে।” কিবরিয়া মুখে হাসি এবং কণ্ঠে কৃত্রিম হতাশা এনে বল্লো- বুচছি আমারে ধসানোর প্লান ঠিক আছে, কালো কুত্তা দিয়ে শুরু হোক। কিন্তু পরেরগুলো বংশীবাদক। আমরা উল্লাসে মারহাবা মারহাব ধ্বনি দিয়ে উঠলাম। দীর্ঘদিন অন্তজ পাড়ায় মাতৃভাষা মানে কেরু কম্পানির পানি মেশানো বাই প্রোডাক্ট খেয়ে খেয়ে আমার জিভের প্লাস্টার খসে গেছে।

কালো কুত্তার সুরভি আর সোনালি রঙ দেখে পান করার আগেই আমি উল্টো পাল্টা বকতে শুরু করলাম। আছ থামতো, বকর বকর করিস না। কিবরিয়া চাপা ধমক লাগায় আমাকে।

ইসহাক পরম করুনাময়ের নামে গ্রাসে ঠোঁট স্পর্শ করলো। আমরাও ওকে অনুসরন করলাম। হঠাৎ এক ধরনের বিষন্নতা গ্রাস করলো আমাকে। অভিনেতা হবার জন্যে সেই ছাত্রজীবন থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি অথচ তেমন কোনো সুবিধাই করতে পারলাম না এখনো নিজের জীবনযাপনের জন্যে যে সামান্য উপার্জনটুকু দরকার তা-ও সম্ভব হচ্ছে না।

সবাই শুধু আশা দিয়ে ঘোরাচ্ছে। সৌভাগ্যের ঘোড়ায় চড়া তো দূরের কথা, ঘোড়াটার দ্যাথা পেলাম না আজো। অথচ কিবরিয়া পারিবারিক ব্যবসায় ঢুকে পড়েছে। সংবাদপত্রে চাকরি আর গল্প লিখে ইসহাকও মন্দ করছে না। আমি শালা কুফা। ইতিমধ্যে ওরা ব্যবসায়িক আলাপ শুরু কোরে দিয়েছে। ইসহাক বেশ অনুভূতিপ্রবন কণ্ঠে কাহিনীর কাঠামো বর্ণনা কোরে যাচ্ছে আর কিবরিয়া মনযোগের সাথে শুনছে।

মন্তব্য করছে মাঝে মধ্যে আমরা কালো কুত্তার সঙ্গ ছেড়ে বংশীবাদকের পেছনে ছুটে চলেছি। আমি ইসহাকের কথায় মনোযোগ দিলাম। হ্যাঁ, প্রথম খুনটা সে করেনি। মিথ্যে খুনের মামলায় জেল খাটতে হয়েছে তাকে। এরপর সাজা খেটে জেল থেকে বেরিয়েই তাকে জেলে পাঠানোর নায়ককে সে খুন করে। এবং গা ঢাকা দেয়। আর ফেরারি জীবন যাপন করার সময়েই সে ভাড়াটে খুনিতে পরিনত হয়।

টাকা পেলে সে যে কাউকেই খুন করতে প্রস্তুত কিবরিয়া নাড়ে চড়ে বোসে প্রশ্ন করে তার মানে লোকটা একটা ক্রিমিনাল হিশেবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে তাই না?” ইসহাক গ্রাসের দিকে তাকিয়ে থেকে বলে ‘হ্যাঁ, ক্রিমিনাল হিশেবেই চরিত্রটা দাঁড়াচ্ছে এবং এটাই মূল চরিত্র। এণ্ডিং এ তাহলে কি হচ্ছে? মানে মূল চরিত্রের পরিনতি কি? কিবরিয়া জিগ্যেস কোরেই গ্রাসে চুমুক দেয়। সিগারেট ধরায়।
ইসহাক একটু ভেবে উত্তর দেয় পরিনভিটা আমি ভেবেছি — লোকটা পুলিশ ইনেস্পেক্টরকে খুন কোরে উধাও হয়ে যাবে। কেউ জানবে না সে কোথায় গেলো।

রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর Shonali Shishir pdf সোনালী শিশির pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে ও Shonali Shishir pdf সোনালী শিশির pdf পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply