দেশ ১৭ অক্টোবর ২০২৩ পিডিএফ Desh 17 October 2023 pdf

দেশ ১৭ অক্টোবর ২০২৩ পিডিএফ Desh 17 October 2023 pdf
দেশ ১৭ অক্টোবর ২০২৩ পিডিএফ Desh 17 October 2023 pdf

দেশ ১৭ অক্টোবর ২০২৩ পিডিএফ Desh 17 October 2023 pdf ডাউনলোড করুন ও Desh 17 October 2023 pdf পড়ুন।

দেশ ১৭ অক্টোবর ২০২৩ পিডিএফ Desh 17 October 2023 pdf
দেশ ১৭ অক্টোবর ২০২৩ পিডিএফ

দেশ ১৭ অক্টোবর ২০২৩ পিডিএফ Desh 17 October 2023 pdf সূচিপত্র

প্রচ্ছদ কাহিনি
এক বোধ কাজ করে

এআই। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তাকে নিয়ে কৌতূহল-কৌতুক শঙ্কা। মনুষ্যত্বের অস্তিত্ব কি সঙ্কটের মুখে? লিখছেন বিমান নাথ, যুধাজিৎ দাশগুপ্ত ও অতনু বিশ্বাস।

মন্তব্য
অনন্তের ইশারা

ইয়ন ফসে। লেখা তাঁর কাছে শ্রুতিও। তিনি শোনেন নীরবতার কন্ঠস্বর। বিগত এক দশক ধরেই শোনা যাচ্ছিল সাহিত্যে নোবেল পাবেন তিনি। অবশেষে পেলেন। লিখছেন সায়ম বন্দ্যোপাধ্যায়।

ভ্ৰমণ
হেলেনিক বিস্ময়

অ্যাক্রোপলিস, ডেলস, মিকনস — গ্রিক মিথোলজি এখানে যথাবিন্যস্ত। এথেন্সে ইতিহাসের অমোঘ হাতছানি। লিখছেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্পাদকীয় ৭ মন্তব্য
প্রচ্ছদ কাহিনি
যন্ত্রসংলাপীর নতুন জগৎ বিমান নাথ ১৮
বুদ্ধির চূড়ায় বোধের ভরাডুবি যুধাজিৎ দাশগুপ্ত 12
শ্রমের স্থানান্তর, সভ্যতার ইতিহাস ও এআই অতনু বিশ্বাস ২৭

কবিতা
জয় গোস্বামী অনিতা অগ্নিহোত্রী
স্বামী শিবপ্রদানন্দ মলয় ঘোষ ৩২
ধা রা বা হি ক উপন্যাস শূন্য পথের মল্লিকা স্মরণজিৎ চক্রবর্তী ৩৫
ধা রা বা হি ক র চ না তিমির অবগুণ্ঠনে • রজতকান্ত রায় ৪৩
খিদে • অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় ৫০
মনের বিষ সন্দীপন দত্ত ৫৬
ভ্রমণ
হেলেনিক বিস্ময় – দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ৬৪
গ্রন্থলোক ৭৫ শিল্পসংস্কৃতি ৮০. চিঠিপত্র ৮৫ সুদোকু ৮৮
নামমাত্র ৮৯ শেষকথা ৯০

Desh 17 October 2023 pdf সম্পাদকীয়

এআই এবং আমাদের ভবিষ্যৎ
“ভাবব ওই তো জয়ধ্বজা, শ্মশান, বড়ো ধুম লেগেছে হৃৎকমলে- আটের দশকের শেষে যখন প্রকাশিত হচ্ছে শঙ্খ ঘোষের এই কবিতা, কবির কল্পনায় কি ছিল অদূর ভবিষ্যতের এমন কোনও সত্তার কথা, এমন এক অস্তিত্ব, যে জানে কেবল যান্ত্রিক নির্দেশ পালন, হৃদয় সেখানে গৌণ। বিগত আড়াই দশকে আমাদের চারপাশের পৃথিবীতে সেই যন্ত্রশক্তির ধুম লেগেছে বললে অত্যুক্তি হবে না। এআই তারই সাম্প্রতিকতম উদ্ভাবন। আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কিছুটা আচম্বিতেই তা যেন ঢুকে এসেছে আমাদের ইদানীংকালের সংলাপে, আমাদের নিত্যদিনের বেঁচে থাকায়, পারস্পরিক কৌতুকে কৌতূহলে আশঙ্কায়।

চ্যাটজিপিটি তো এখন আমাদের ঘরের ছেলে। আজ থেকে প্রায় সাত দশক আগে, মার্কিন কম্পিউটার ও কগনিটিভ সায়েন্টিস্ট জন ম্যাকার্থিই প্রথম প্রস্তাবক ছিলেন আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স শব্দবন্ধের, যার সংজ্ঞার্থ তাঁর কাছে ছিল ‘দ্য সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অফ মেকিং ইনটেলিজেন্ট মেশিনস’। ম্যাকার্থি ও তাঁর সহযোগীরা দু’মাসের ফান্ডিং চাইলেন এ আই নিয়ে কাজ করার, কাজ করবেন মাত্র ১০ জন লোক। ১৯৫৬-তে ওয়র্কশপের অনুমোদন পাওয়া গেল। সেদিক থেকে এই সালটিকেই এআই-এর জন্মসাল বলা চলে। আর তার সম্ভাব্য বিকাশ ও প্রয়োগের ইতিহাস তার পর থেকে আমাদের চোখের সামনেই গড়ে উঠেছে বলা চলে।

এই সময়ে প্রযুক্তির বিপ্লব ঘটে গেছে বিশ্বে। সে বিপ্লবে উল্লেখনীয় ভূমিকা তথ্যের, সংযোগের, ভাবনার। অভাবিত সব ‘আইডিয়া’-র প্রয়োগে নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় থেকে ডিজিটাল প্রযুক্তিকে সাদরে বরণ করে নিয়েছি আমরা। শিল্পে, বাণিজ্যে, গবেষণায় ব্যবহারিক প্রয়োগের পাশাপাশি জেনারেটিভ এআই-এর সাহায্যে আজ উপন্যাস লেখা হচ্ছে, ছবি আঁকা হচ্ছে, সঙ্গীত সৃষ্টি হচ্ছে, কণ্ঠস্বর নকল হচ্ছে। মনুষ্যনির্ধারিত দক্ষতার এমনই উৎকর্ষে পৌঁছেছে যন্ত্র যে, বোঝার উপায় নেই কোনটি মনুষ্যসৃষ্ট আর কোনটি এআই সঞ্জাত। তাই আশঙ্কার মেঘও ঘনাচ্ছে ধীরে, সৃষ্টি কি শেষে ছাপিয়ে যাবে স্রষ্টাকে?

মানুষের নির্দেশ মেনে কাজ করতে অভ্যস্ত যন্ত্র যদি একদিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বলে মানুষকে হারিয়ে দেয়? মনে করে মানুষ স্বয়ং তার একাধিপত্যে এক বিষম বাধা, অতএব বশ্যতা না মানলে সরিয়ে দাও তাকে। কেমন হবে সেই ভবিষ্যৎ অনাগত সেই সব দিনে মানুষের চেতন বা অবচেতনের বোধ যন্ত্রের নেপথ্যচালকের আসনে অবতীর্ণ হবে। এ এমন এক বোধ, যাকে হয়তো সাধারণ স্থূলবুদ্ধিতে ব্যাখ্যা করা সহজ নয়, কিছু ক্ষেত্রে তো বাক্যমনাতীত। কল্পবিজ্ঞানধর্মী আখ্যানে, চলচ্চিত্রে সে সব রূপায়িত হচ্ছে বহু আগে থেকেই। কিন্তু আজ আর তা নিছক কল্পনার স্তরে নেই, নেমে এসেছে বাস্তবের মাটিতে।

মানবসভ্যতার নিরাপত্তাই আজ প্রশ্নের মুখে। সে প্রশ্ন নিয়ে আগামী নভেম্বরে ব্রিটেনের ব্লেচলি পার্কে আয়োজিত হতে চলেছে এআই সেফটি সামিট, ঋষি সুনকের সরকার চাইছে এআই-এর সম্ভাব্য সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে বাকি বিশ্বের ক্ষমতাশালী দেশগুলিকে একজোট হয়ে আলোচনা করুক এর নেপথ্যে মানবজাতির কল্যাণচিন্তা আছে নাকি বিশ্বচালকের ভূমিকায় বসার গোপন বাসনা, সে তো ভবিষ্যৎ জানে। কিন্তু আশ্চর্য সমাপতন হল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়, জার্মানির পাঠানো কোড ‘ব্রেক’ করার একটি দল কাজ করত সেই ব্রেচলি পার্কেই।

দলের নেতৃত্বে ছিলেন অ্যালান টিউরিং। যন্ত্রের বহুবিধ দক্ষতা নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা তাঁর মনে একটি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছিল। ‘ক্যান মেশিন থি?’ যদি তেমনটাই হয়, যন্ত্র তো তখন মানুষের সমকক্ষ। সমকক্ষ এক অপর প্রজাতিকে এ ভাবে খোলা মাঠ ছেড়ে দেওয়ায় কি মনুষ্যত্বকেই সঙ্কটে ফেলে দেওয়া হচ্ছে? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সেই সাদা-কালো এবং ধূসর পরিসরটি ধরা থাকল দেশ-এর এই সংখ্যার তিনটি প্রচ্ছদনিবন্ধে।

Desh 17 October 2023 pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply