নবনীতা দেবসেনের রম্যরচনা Sobdo Pore Tapur Tupur pdf শব্দ পড়ে টাপুর টুপুর pdf ডাউনলোড করুন ও Sobdo Pore Tapur Tupur pdf পড়ুন। শব্দ পড়ে টাপুর টুপুর pdf পাঠক মনে ব্যঞ্জনার সৃষ্টি করবে।
Sobdo Pore Tapur Tupur pdf শব্দ পড়ে টাপুর টুপুর pdf সূচিপত্র
শব্দ পড়ে টাপুর টুপুর
এ শুধু মেঘের খেলা বুঝি কালান্তরে যাবে?
কবিতা, ফুটবল, মাছ ও মারুতি
পাকশালার পাকে পাকে
হাসতে মোদের মানা
হাসিরও নয়, গল্পও নয়
আমার কোনও তাড়া নেই
Sobdo Pore Tapur Tupur pdf ৷৷ জন্মবৃত্তান্ত ॥
নির্বাচিত নিবন্ধগুলি নানা সময়ে সম্পাদকের নির্দেশে তৈরি, শব্দ সংখ্যার ও সময়সীমায় বন্দী ছিল। কিন্তু আমার স্বভাব বেমক্কা, তাই বাইরের শর্ত যথাসাধ্য মানলেও অন্তরাত্মায় লেখাগুলি ফরমাশের বাইরে বেরিয়ে পড়ে, “ বেণীর সঙ্গে মাথা” গোছের হয়ে দাঁড়ায়। সম্পাদকের চাওয়া আর আমার দেওয়ার মধ্যে আরেকটা সুর ঢুকে পড়ে, সেটা আবার মাঝে মাঝেই বেসুর। সম্পাদক মশায়ের অশেষ গুণ, তাই প্রত্যেকবার সেই মিশ্রসুর ক্ষমা করে দেন। তার চরম প্রমাণ ‘দেশ’ ‘সরস গল্প’ সংখ্যায় যা বেরুলো তা “হাসিরও নয়, গল্পও নয়” (৩ ডিসেম্বর ১৯৮৮)। কারণ সদ্য এক তরুণ বন্ধুর মৃত্যু। সম্পাদকও প্রশ্রয় দিলেন। পাঠকরাও তথৈবচ। ‘দেশ’ ‘প্রেমসংখ্যার’ জন্য চাওয়া হলো পাশ্চত্যদেশের প্রেম বিষয়ে সুচিন্তিত প্রবন্ধ।
লেখা হলো “এ শুধু মেঘের খেলা” যার উপসংহারে আপনা- আপনিই এসে পড়েছে এক খাঁটি বাঙালী মেয়ের নিজস্ব প্রেমের কবিতা — ফাউ হিসেবে (১৬ জানুয়ারি ১৯৮৮)। একবার আজ্ঞা ছিলো ভ্রমণকাহিনী, আমার কলমে এলো ভ্রমণের মধ্য দিয়ে এক বাঙালী মেয়ের বড়ো হয়ে ওঠার কাহিনী — ভ্রমণ কীভাবে তার অন্তরাত্মায় অদলবদল ঘটাইলো সেই গল্প “বুঝি কালান্তরে যাবে?” (দেশ সাহিত্যসংখ্যা ১৩৯০)। এ বইয়ের নাম নিবন্ধটিও সাহিত্যসংখ্যা বেরিয়েছিল রম্যরচনা হয়ে (১৩৯৯)—এতে ধরা আছে লেখিকার জীবনে এসে পড়া একগুচ্ছ শব্দের অনুষঙ্গ, তাদের ওঠাপড়া, তাদের রং বদল। আধুনিক বাংলা কবিতা বিষয়ক সংখ্যার জন্য লেখা প্রবন্ধের নাম হয়ে গেল “কবিতা, ফুটবল, মাছ ও মারুতি— যতদূর মনে পড়ে মূল বিষয়টি ছিল এই ধরনের ‘আজকের মধ্যবিত্ত বাঙালীর জীবনে কবিতার স্থান।’
জৈষ্ঠের ঝড় pdf – অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত Jiosthor Jhor pdf – Achintya Kumar Sengupta
আরেকবার দেশে’র এক বিশেষ সংখ্যা বেরুলো, বিষয় রান্নাঘর। আমাকে তাতে লিখতে বলা হলো। সেই প্রবন্ধ “পাকশালার পাকে পাকে”—তাতে কেবল রান্নাঘর নয়, আজকের বাঙালীর মূল্যবোধের ভাঁড়র ঘর নিয়ে আলোচনা আছে। ছিলে বেড়াল হয়ে গেল রুমাল। দৈনিক আনন্দবাজার নববর্ষসংখ্যা (১লা বৈশাখ ১৩৯৭) ক্রোড়পত্রে বেরিয়েছিল “হাসতে মোদের সময়”, কিন্তু প্রবন্ধটির প্রকৃতপক্ষে লেখা হয়েছিলো ১৯৮৫-তে, ইংরাজিভাষায়। হায়দ্রাবাদে অনুষ্ঠিত World Human Conference এ Seminar on with a Humour এ সভাপতির ভাষণের অংশ। এটি মাত্র এক রাত্রির নোটিসে হায়দ্রাবাদে বসেই সারারাত্রি জেগে লিখে ফেলা, তখন লাইব্রেরি ওয়ার্ক করার সময় নেই।
ইন্দ্রজালের মায়া pdf – হেমেন্দ্র কুমার রায় Indrajaler Maya pdf – Hemendra Kumar Roy
ওই সম্মেলন নিয়ে আমার মনে কিছু প্রশ্ন জাম হয়েছিল। হিউমার কনফারেন্সে সমাগত দু’শোর বেশি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধির মধ্যে মাত্র জনাদশেক নারী কেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই ওই নিবন্ধের জন্ম। আর শেষ প্রবন্ধ বেরিয়েছে আনন্দবাজার ক্রোড়পত্রে (মহাসপ্তমী ১৪০১) অক্টোবর ১৯৯৪ তে। অনুরোধ ছিল কর্মময় নারীজীবনের সুখদুঃখ সাফল্য ব্যর্থতার ঘটনাবলি লেখার চিঠি পেলুম বিদেশে, তখন সময়ও প্রায় শেষ। যা লেখা হয়েছে তা সম্পাদক যা চেয়েছেন ঠিক তাইই, কিন্তু বহির্জীবনের ঘটনা নয়, অন্তর্জীবনের উত্থান-পতনের কাহিনী। ‘আত্মকথা’তো বটে?
নির্বাচিত প্রবন্ধগুলি সবই হয় সাহিত্য সংখ্যার জন্য, নয় কোনও প্রচ্ছদ নিবন্ধ হিসেবে রচিত। আরও কিছু প্রচ্ছদ নিবন্ধ হয়তো এ সংকলনে দেওয়া যেতো, কিন্তু আমি এলোমেলো বলে অনেক কিছু হারিয়ে ফেলেছি । বাছাইয়ের মধ্যে একটি যোগসূত্র রাখতে চেয়েছি—সব প্রবন্ধেই পাঠকও আছেন, আমিও আছি। কোথাও আমাদের কথা হয়েছে সরাসরি, কোথাও বা ঠারে ঠোরে। প্রত্যেকটির বিষয় বস্তুই সমাজ ও ব্যক্তি। রচনাগুলি মূলত বিশ্লেষণধর্মী, কোথাও তা স্পষ্ট, কোথাও প্রচ্ছন্ন। কিন্তু আটটি নিবন্ধেই বাঙালী পাঠক ও তাঁর নিত্যভাবনার ও একান্ত অনুভূতিমালার ছোঁয়া পাবেন—এটুকুই বিনীত আশা।
Sobdo Pore Tapur Tupur pdf download link
Download / Read Online
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.