কুবেরের বিষয় আশয় pdf – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় Kuberer Bishoy Ashoy pdf – Shyamal Gangopadhyay

শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় এর উপন্যাস Kuberer Bishoy Ashoy pdf কুবেরের বিষয় আশয় pdf ডাউনলোড করুন ও Kuberer Bishoy Ashoy pdf কুবেরের বিষয় আশয় pdf  পড়ুন।

কুবেরের বিষয় আশয় pdf - শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় Kuberer Bishoy Ashoy pdf - Shyamal Gangopadhyay
কুবেরের বিষয় আশয় pdf – শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় Kuberer Bishoy Ashoy pdf – Shyamal Gangopadhyay

Kuberer Bishoy Ashoy pdf কুবেরের বিষয় আশয় pdf কাহিনিঃ

শ্রীকান্ত যেমন শরৎচন্দ্রের অপু নামের সঙ্গে বিভূতিভূষণ, শশী ডাক্তার মানিকের, দেবু পন্ডিত বললেই তারাশঙ্কর, তেমনিই কুবের নামটির সঙ্গে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়। বাংলা সাহিত্যে এইসব অবিস্মরণীয় চরিত্রের নামের সঙ্গে পাঠকের কাছে আইডেনটিফায়েড হয়ে আছেন লেখক স্বয়ং।
কুবের সাধারণ মানুষ। সংসারী। চাকুরে। যৌথ পরিবরের সদস্য। দেশভাগের প্রোডাক্ট। মাথায় তার স্বপ্নের বোঝা। কুবের দ্যা ড্রিম মারচেন্ট। এক ফালি জমি, নিজের একটি বাড়ি করতে গিয়ে কখন সে জমি কেনাবেচা করতে করতে নগর পত্তন করে ফেলে।

আসে ফসলের নেশা। অর্থবান কুবের কখন যেন দ্বীপের মালিক, পরিত্যক্ত দুর্গের দখলদার। কুবের দ্য চকদার তখন। একটা কিছু গড়ে তোলার নেশা যে তার রক্তের গভীরে। কিন্তু উচ্চাশা আর নিঃসঙ্গতা, গড়ে তোলা আর নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়াও কুবেরের রক্তের ভিতরে। সে জানে সব কিছুর পরও সর্বনাশ তার জন্য ওৎ পেতে বসে আছে। সে শুধুই একটা পুতুল। তার শুধু কাজ করে যাওয়া ছাড়া কোন উপায় নেই কোন রাস্তা নেই। বুঝতে পারে তার আকাঙ্খা, সাফল্য সবকিছুর শেষে অনিবার্য মানবজীবনের ব্যর্থতা। কুবের জানে এই পৃথিবীতে এক একদল লোক এসে ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট বাগান ফুলগাছ সব বানায়।

কত লোক পলেস্তারার সময় পঙ্খের কাজ করায়, ছাদের আলসেতে সিমেন্টের পরী বসায়, পুকুরঘাটে বেঞ্চ দেয়- অথচ শেষে সব একদিন রাবিশ হয়ে ঠিকাদারের লরিতে ওঠে, জঙ্গলে ঢাকা পড়ে- নতুন লোক জায়গা বদলে আর এক জায়গায় গিয়ে বসতি বানায়। এই ট্র্যাজিক চেতনাই এই উপন্যাসের মূল সুর। কাহিনীর বিভিন্ন বুননে ঘটনার ঘাত-প্রতিঘাত যা ছড়িয়ে আছে। এই উপন্যাস বাংলা সাহিত্যের একটি মাইলস্টোন।

Kuberer Bishoy Ashoy pdf কুবেরের বিষয় আশয় pdf লেখকঃ

শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্ম ২৫শে মার্চ ১৯৩৩ এখনকার বাংলাদেশের খুলনা শহরে দেশভাগের পর এই বঙ্গে এসে ম্যাট্রিক পাশ করেন। কলকাতায় এসে কেমিস্ট্রি অনার্স নিয়ে আশুতোষ কলেজে ভর্তি হন। ছাত্র রাজনীতি করার অপরাধে বিতারিত হন। সে সময় হাওড়ার বেলুড়ের একটি ইস্পাত কারখানায় আড়াই বছর ইস্পাত গলানোর কাজ করেন চাকরি ছেড়ে ফের চারুচন্দ্র কলেজে। সেখান থেকে বাংলায় অনার্স নিয়ে গ্র্যাজুয়েট। কিছুদিন মথুরানাথ বিদ্যাপীঠে শিক্ষকতার পর যাদবপুরে তুলনামুলক সাহিত্য বিভাগে শুরুর বর্ষে ভর্তি হন।

ঝাঁকে ঝাঁকে ছড়া pdf – প্রেমেন্দ্র মিত্র Jhake Jhake Chora pdf – Premendra Mitra

পড়াশুনা অসমাপ্ত রেখে ১৯৫৮ সালে যোগ দেন আনন্দবাজার পত্রিকায়। আনন্দবাজার ছেড়ে ১৯৭৬-র শেষাশেষি আসেন যুগান্তর-এ। এ সময়ই দায়িত্ব পান সাপ্তাহিক অমৃত এ সময়ই দায়িত্ব পান সাপ্তাহিক অমৃত সম্পাদনার। ১৯৯০ পর্যন্ত ছিলেন যুগান্তর-এ। তারপর আমৃত্যু আজকাল-এ। ‘বলরাম’ ছদ্মনামে লিখতেন আনন্দবাজার পত্রিক-র ‘ভূমিলক্ষী’-র পাতায়। ‘বৈকুন্ঠ পাঠক’ নামে সাপ্তাহিক ‘অমৃত’ তে সাহিত্যের কলাম। ১৯৬৫ সালের ১১ অক্টোবর থেকে বসবাস শুরু করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার চম্পাহাটীতে। বাড়ী করে গৃহপ্রবেশ করেন ১৯৬৭ সালের ৯ জুলাই। খবরের কাগজে চাকরি, ভূমিহীন চাষীদের নিয়ে বড় করে চাষ, পুকুর কাটা, সেই মাটি দিয়ে ইট বানানো ও বাড়ী তৈরী করা গো-পালন- সবই করেছেন চম্পাহাটী পর্বে। সত্তরের দশকের মধ্যভাগে চম্পাহাটী ছেড়ে আবার ফিরে আসেন কলকাতায়।

প্রথম উপন্যাস ‘বৃহন্নলা’, পরে ছাপা হয় ‘অর্জুনের অঞ্জাতবাস’ নামে। মোট উপন্যাসের সংখ্যা প্রায় পঁচাত্তর, গল্প লিখেছেন আড়াইশোরও বেশী। কুবেরের বিষয় আশয় লেখকের তৃতীয় উপন্যাস প্রকাশকাল ১৯৬৭, লেখকের বয়স ৩৪। ১৯৯৩-এ পেয়েছেন সাহিত্য অকডেমি পুরস্কার ‘শাহজাদা’ ‘দারাশুকো’ উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন বিভূতিভূষণ, তারাশঙ্কর, ভূয়ালকা শিরোমণি, মতিলাল, সর্বভারতীয় কথা পুরস্কার,গজেন্দ্রকুমার মিত্র স্মৃতি।

Kuberer Bishoy Ashoy pdf কুবেরের বিষয় আশয় pdf নমুনাঃ

বাঁ হাতখানা মেলে ধরলো কুবের। প্যান্ট শার্ট পরনে লোকটি ইংরাজী একটা নাম বললো কিসের। বার কয়েক শুনলে তবে মনে থাকে। কুবের বুঝতে পারেনি দেখে লোকটি বললো, ‘পেশেন্টকে নির্জলা সত্যি বললে শক্ খেতে পারে—তাই টি.বি হলে প্রথমে আমরা বলি কক্স ইনফেকশান।’
বেশ ভোরের ট্রেন, লোক নেই বলতে একেবারে নেই। ছুটন্ত চৌকো জানালায় সবুজ ধান শুধু। কামরার মেঝেতে আঁসটে গন্ধ, জল। রাত থাকতে মাছ বোঝাই দিয়ে কলকাতা ছুটছিল। এখন ফিরছে।
‘ভয়ের কিছু নয়—ড্রাই একজিমা। ধৈর্য ধরে ট্রিটমেন্ট করতে হবে।

আরও কঠিন কিছু বললে কুবের অবাক হতো না। কিছুদিন ধরেই ভয়ে ভয়ে আছে। হাতের আঙুলে কালচে এসব দাগ কোন সহজ ব্যাপার নয়। কুষ্ঠ হবে না তো? হলে বোধ হয় আস্তে আস্তে দাগের জায়গায় ব্যথা হয়, চামড়া ফাটে—শেষে ফুলুনি শুরু ।
গলিতে খেলুড়ে ছেলেমেয়েদের দু একজনের হাঁটুতে কী আরও নীচে জিনিসটা দেখেছে। মাখন মাখানো পোড়া কালো টোস্ট। ঘা শুকোয়, আবার ক’দিন অন্তর ব্যাগব্যাগ করে পেকে ওঠে। সেও এক রকমের একজিমা। তবে কুবেরেরটা শুকনো। ‘অল্প দিন আগে পড়ছিলাম- ‘
কুবের কিছুই শুনতে পেল না এরপর। সব শুনছি ভাবে তাকিয়ে থাকল। চোখ পোড়াচ্ছে। সকাল হতে না হতে বেরিয়ে এসেছে।

ফাঁকা কামরায় দেশলাই চেয়েছিল লোকটি—তা থেকে এতদূর গজালি। নাইন্টিন থার্টিফোরের ম্যাট্রিক, ফটিটুর এম.বি। সরকারী হেলথ্ সেন্টারের ডাক্তার। মাস পয়লা – নিজের, স্টাফেদের মাইনে আনতে কলকাতা গিয়েছিল।
কুবের এতক্ষণ সবই লোকটির মুখে শুনেছে। আপত্তি করেনি, অন্য দিকে তাকিয়ে থাকেনি। বছর কয়েক হলো, ডাক্তার পেলেই ভেতরটা দেখিয়ে নেওয়ার জোর ইচ্ছে হয় তার। এমনিতে কুবের দুর্বল না, দুপুরে ঘণ্টা তিনেক ঘুমিয়ে বিকেলে পাঞ্জাবি গায়ে বেরোলে নিদেন পক্ষে মফস্বলের হিরো লাগে তাকে। তবে, এদানিং মুঠো বাগিয়ে আগের সেই জোর আর পায় না ঘুষিতে।

Kuberer Bishoy Ashoy pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply