মৃন্ময়ী pdf – বিনোদ ঘোষাল Mrinmoyee pdf – Binod Ghoshal

মৃন্ময়ী pdf - বিনোদ ঘোষাল Mrinmoyee pdf - Binod Ghoshal

বিনোদ ঘোষাল pdf রচিত শিহরণ জাগানো ভৌতিক উপন্যাস Mrinmoyee pdf মৃন্ময়ী pdf বিভৎসতা আর গা-গুলিয়ে ওঠার মতো উপাদানে ভরপুর। মৃন্ময়ী আজব এক ফুল। কীভাবে ফোটে এই ফুল? মালি বিজুই বা কে? শেষ পর্যন্ত কী পরিণতি অপেক্ষা করছে তন্ময়ের জীবনে? Mrinmoyee pdf এই প্রাপ্তবয়স্ক ভৌতিক কাহিনি পাঠকদের রাতের ঘুম কেড়ে নেবে ৷

মৃন্ময়ী pdf - বিনোদ ঘোষাল Mrinmoyee pdf - Binod Ghoshal

Mrinmoyee pdf নমুনাঃ

এই ভূতকেল্লা নিয়ে অনেক ইতিহাস রয়েছে স্যর। ভয়ংকর সব ঘটনা। বলল দিলবাগ সিং। তন্ময় সামান্য মাথা নাড়িয়ে বলল, হুঁ, সেটাই আন্দাজ করছি। নইলে কি আর সাইনবোর্ডে এমন কথা লেখা থাকে? বলে জয়কে জিজ্ঞাসা করল, পড়লি?
জয় ততক্ষণে ওর ডিএসএলআর নিয়ে ফটো তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। লেন্সে চোখ রেখেই বলল, অতটা হিন্দি পড়ার ধৈর্য আমার নেই ভাই। তুই পড়ে নে। পরে আমাকে বলে দিস। Mrinmoyee pdf

কেল্লায় ওঠার ঠিক মুখে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগের নির্দেশিকায় প্রথমেই লেখা রয়েছে, এই কেল্লায় সূর্যোদয়ের আগে এবং সূর্যোদয়ের পরে প্রবেশ নিষেধ। এই কেল্লায় রাত্রিবাস কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। এই কেল্লার কোনো জিনিসে হাত দেওয়া বারণ।
এই সকল বিধিনিষেধ অমান্য করলে কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
তন্ময় দিলবাগকে জিজ্ঞাসা করল, এখানে নিয়ম অমান্য করলে শাস্তি দেওয়ার মতো কে আছে?
দিলবাগ বলল, কেউ নেই স্যর। একটা বুড়ো সিকিউরিটি গার্ড রয়েছে। সে কখন আসে, কখন চলে যায় আর এলেও কোথায় ঢুকে বসে থাকে কেউ জানে না। আসলে এখানে তো জেনারেল টুরিস্ট আসে না, ওই আপনাদের মতো অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় দু- চারজন মাঝে মাঝে আসে। খুব কম। Mrinmoyee pdf

আচ্ছা। চলো তাহলে দেখা যাক তোমার ভূতকেল্লায় ভূত দেখতে পাওয়া যায় কি না। দিলবাগের সঙ্গে হাঁটতে শুরু করল তন্ময়। জয় বেশ খানিকটা এগিয়ে গেছে।
জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহের সকাল নটা। মাথার ওপর ঝকঝকে আকাশ আর চারদিকে যতদূর চোখ যায় শুধু ফাঁকা আর ফাঁকা। এবং সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে বিক্রমগড়ের বহু প্রাচীন কেল্লা, যাকে সকলে ডাকে ভূতকেল্লা। Mrinmoyee pdf

ব্যাপার হল জয় আর তন্ময় ছোটবেলার বন্ধু। আগে একই পাড়ায় বাড়ি ছিল দুইজনের। তারপর তন্ময় পুরোনো জায়গায় থেকে গেলেও জয়ের বাবার চাকরিসূত্রে বদলি হয়ে যায়। ভিন রাজ্যে। বছর কয়েক পর ওর বাবা আবারও বদলি হয়ে ফেরেন বাংলায়। ততদিনে তন্ময় আর জয় বেশ খানিকটা বড় হয়েছে। ভৌগোলিক দূরত্ব ওদের মনদুটোকে দূরে করতে পারেনি, তার অন্যতম একটা কারণ ছিল দুইজনেরই রক্তে অ্যাডভেঞ্চারের নেশা। স্কুলবয়সে হেমেন রায়ের জয়ন্ত মানিক সিরিজ পড়ে দুজনেই প্রতিজ্ঞা করেছিল আমরাও ওদের মতো হব। সেইমতো দুইজনে ক্লাস সিক্সে পড়ার সময় বিকেলে অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে একটা দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে বসেছিল, যথারীতি হারিয়েও গেছিল।

রেলপুলিশের তৎপরতায় দুজনে বাড়ি ফিরতে পেরেছিল বটে, কিন্তু তবু অ্যাডভেঞ্চারের নেশা মন থেকে মুছে যায়নি। স্কুল পেরিয়ে কলেজে পা দেওয়ার পরেই এতদিন ধরে গুটিয়ে রাখা ডানা মেলে ওড়ার সুযোগ মিলল, প্রথমে ছোটখাটো টুর, তারপর রাজ্যের বাইরে। কমন টুরিস্ট স্পটের থেকে ওদের বেশি আগ্রহ একটু অন্যরকম স্পর্ট, যেখানে অ্যাডভেঞ্চারের সুযোগ রয়েছে। গত দশ বছরে অনেক জায়গায় ওরা গেছে। নানারকমের অভিজ্ঞতা। বেশ কিছু রোমহর্ষক ঘটনাও অভিজ্ঞতার ঝুলিতে রয়েছে। ওদের স্বপ্ন নিজের দেশ ভারতবর্ষকে এক্সপ্লোর করা। সেই উনিশ বছর থেকে পিঠে রুকস্যাক চাপিয়ে পুরোদমে ভারত অভিযান শুরু করেছিল। এখন দুজনের ঊনত্রিশ, অভিযান অব্যাহত। দুজনের কেউই আর ছাত্র নয়, জয় সরকারি চাকুরে আর তন্ময় চাকরিবাকরির দিকে ঘেঁষেইনি, ওর বরাবরের বাগানের শখ ছিল, ফুলের বাগানের। তাই ফুলের সঙ্গেই থাকবে বলে ওটাকেই পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

সেটাই উপার্জন। মাস গেলে বিশাল না হলেও ভদ্রস্থ রোজগার। কর্মচারী রয়েছে একজন। ছেলেটির নাম রাজেশ। নার্সারিতেই একটা ছোট ঘরে থাকে। নিজে রান্না করে খায়। মুর্শিদাবাদের ছেলে। অনেকদিন হল কাজ করছে তন্ময়ের কাছে।ভালো ছেলে। জয় বিয়ে করবে না পণ করলেও তন্ময়ের বিয়ের যথেষ্ট ইচ্ছে। প্রেম করার সময় পায়নি, তাই আত্মীয়স্বজনরাই দায়িত্ব নিয়ে সুপাত্রীর সন্ধান করে গেছেন। বেশ কিছু ছবি এবং বায়োডাটা নাকচ করার পর অবশেষে মানকুন্ডুর তন্ময় সেন ভবানীপুরের মৃন্ময়ী রায়কে পছন্দ করেছে। দুই বাড়ির মধ্যে পাকা কথা ইত্যাদি যা যা হওয়ার সবকিছু হয়ে অবশেষে বিয়ের দিন হল জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে। সব শুনে জয় বলল, ভাই বীরু, এরপর তো বউয়ের সঙ্গে বেড়াতে যাবি, শেষবারের মতো চল তাহলে কোথাও ঘুরে আসি। জয় শোলের কায়দায় তন্ময়কে মাঝে মাঝে বীরু বলে ডাকে।

Mrinmoyee pdf download link
Download / Read Online

 

Be the first to comment

Leave a Reply