দগ্ধজাতক pdf || বিনোদ ঘোষাল Dagdhajatak pdf || Binod Ghoshal best pdf

দগ্ধজাতক pdf || বিনোদ ঘোষাল Dagdhajatak pdf || Binod Ghoshal
দগ্ধজাতক pdf || বিনোদ ঘোষাল Dagdhajatak pdf || Binod Ghoshal

বিনোদ ঘোষাল এর হরর থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার উপন্যাস Dagdhajatak pdf দগ্ধজাতক pdf ডাউনলোড করুন ও Dagdhajatak pdf দগ্ধজাতক pdf পড়ুন।

দগ্ধজাতক pdf || বিনোদ ঘোষাল Dagdhajatak pdf || Binod Ghoshal
দগ্ধজাতক pdf || বিনোদ ঘোষাল Dagdhajatak pdf || Binod Ghoshal

Dagdhajatak pdf দগ্ধজাতক pdf রিভিউঃ

বই – দগ্ধজাতক
লেখক – বিনোদ ঘোষাল
প্রকাশনা – বসাক বুক স্টোর
মুদ্রিত মূল্য – ১৯৯/-

“আসলে কর্ণ নাম যাদের তাদের ভাগ্য এমনই হয়”

এই উপন্যাসের মুখ্য চরিত্রের নাম কর্ণ। সে তার মা কে দাহ করে ফিরে আসার পথে চার ঘণ্টার সময়কালে নিজের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার স্মৃতিচারণ করছে। তার জীবনকে বোঝাতে এই উপরের লাইনটি ব্যবহার করেছেন লেখক। কারণ মহাভারতের কর্ণর মতোই আমাদের এই উপন্যাসের কর্ণেরও রথের চাকা বার বার মাটিতে গেঁথে যায়, আর তাকে চিরকালের মতো একাই লড়ে যেতে হয়, দুনিয়ার যত খারাপ ঘটনা তার সাথেই ঘটে, তবু দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে যায় সে।

আমার মতে শুধু কর্ণ নামের মানুষরা নন, এমনকি কর্ণ কে যারা নিজের মহাভারতের প্রিয় চরিত্র বলেও আখ্যা দেন তাদের নিয়তিও একই হয়, একই কষ্ট দুঃখ যন্ত্রণা আর একা দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। অন্তত নিজের জীবনের সাথে দগ্ধজাতক কর্ণের এত মিল পেয়ে এটাই আমার ধারণা হয়েছে এখন। কর্ণের জন্য প্রতি ছত্রে কান্না পেয়েছে, তারপর মনে হয়েছে এরকম কত কর্ণ এখনও দুনিয়ার বিভিন্ন জায়গায় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ঠিক এভাবেই। কর্ণ যখন তার মামাকে জিজ্ঞেস করে, “আমার সাথেই কেন?”

“আমি তো আর পারছি না” তখন নিজের অজান্তেই চোখের জল মুছতে মুছতে বুঝতে পারি এই প্রশ্নগুলো তো প্রতিনিয়ত আমিও করে চলেছি নিজেকে, তবু উত্তর কি পেলাম কিছু! নাহ। কর্ণের দিদির জন্য খারাপ লাগে ঠিকই, কিন্তু তার চেয়েও বেশি খারাপ লাগে কর্ণ ও তার বাবা মায়ের জন্য। কারণ যারা চলে যায়, তারা শুধু নিজেরা যায় না বেঁচে থাকা মানুষগুলোকেও একপ্রকার শুষে নিয়েই যায়। এই অভিজ্ঞতাটাও আমি চোখের সামনে ঘটতে দেখেছি। এইজন্যই বইটা আত্মস্থ করেছি এত বেশি।

দি প্যাশনেট গার্ল pdf – জেমস হেডলি চেজ The Passionate Girl pdf by James Hadley Chase

আবার অন্যদিকে তিলোত্তমার মতো একটি চরিত্র, যার বাবা মা কোনোদিন নিজেদের বিবাহে খুশি ছিলেন না, রাতের পর রাত, দিনের পর দিন শুধু ঝগড়া করতেন। এরকম পরিস্থিতিতে বড় হয়ে তিলোত্তমা ভেতর থেকে মরেই গিয়েছিল প্রায়। এই যে এরকম একটা চরিত্রের উপস্থাপনা, এটা তো দরকার ছিল, ব্যক্তিগতভাবে আমার ভীষণ দরকার ছিল। কারণ বাবা মা সারারাত সারাদিন ঝগড়া করলে যে একটা বাচ্চার উপর দিয়ে কি যায় সেটা যাঁরা এই পরিস্থিতিতে বড় হয়েছেন শুধু তারাই বলতে পারবেন। তাও তো তিলোত্তমা ভাগ্যবতী যে সে পালিয়ে যাওয়ার সাহস দেখিয়েছিল, পালিয়ে গিয়ে সে অবশেষে তার মা বাবাকে আলাদা করতে পেরেছিল। আমার মতো অনেকের তো এই সাহসটাও নেই, তাই তিলোত্তমার জন্য চোখে জল আসে, আবার মনে মনে এক অদ্ভূত গর্ব বোধ হয়।

তিলোত্তমা কে যখন কর্ণ জিজ্ঞেস করে এই যে তার বাবা মা আলাদা থাকে তাতে তার কষ্ট হয় না? তিলোত্তমা সপাটে উত্তর দেয়, “নাহ, তুমি কোনোদিন বাড়িতে বাবা-মায়ের অশান্তি দেখেছ? যদি দেখতে তাহলে বুঝতে এর চেয়ে বড় নরক আর হয় না। তখন মনে হয় আইদার আমি মরি, অথবা এরা আলাদা হোক, মরুক যা খুশি হোক কিন্তু একটু শান্তি পাই…..” শুধু কয়েকটা লাইন বুঝিয়ে দিয়ে গেল আমার প্রত্যেকটা কেঁদে কঁকিয়ে ওঠা ছোটবেলা, ও কিশোরবেলা। হয়তো এই জন্যই আমি বই পড়ি, বুঝতে পারি আমি একা নই।

“…তবে সংসারে নিপাট, নির্ঝঞ্ঝাট, নির্ধন ভালমানুষদের প্রতি বিধাতার যে একটা ক্ষোভ রয়েছে, তা বোঝা যায়, নইলে তিনি বেছে বেছে শুধু তাদেরই কেন দুনিয়ায় যত কষ্ট, যত অশান্তির ডালি উজাড় করে দেন? এর উত্তর মানুষের জানা নেই। মানুষ শুধু লড়তে থাকে, তার ওপরে চাপিয়ে দেওয়া সকল অভিশাপের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকে জীবনভর। কেউ কিছুটা জেতে, কেউ মুখ থুবড়ে পড়ে।..”

আসলে দিনের শেষে আলাদা আলাদা পরিস্থিতিতে আমরা প্রত্যেকেই এক একটি দগ্ধজাতক। কেউ কিছুটা করে জিতছি, মুখ থুবড়ে পড়ছি, আবার উঠছি, আবার লড়ছি, কিছুটা বাঁচছি, কিছুটা মরছি। এইভাবেই ক্রমাগত ঘুরে চলেছে জীবন নামক চক্র। নিপাট ভালমানুষরা প্রচুর খেটেও নিজেদের পাওনা সম্মান, টাকা কোনোটাই পাচ্ছেন না অন্যদিকে একদল লোভী খারাপ নিষ্ঠুর মানুষরা কিছু না চাইতেই সব পেয়েও যাচ্ছে। অথচ বিধাতা আছেন, সব দেখছেন, কিছু করছেন না। এইজন্যই বোধহয় বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সম্ভবামি’ বইতে লিখেছিলেন ‘ভগবান এই দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ছিনাথ বহুরূপী’।

অজানা দ্বীপে ড্রাগন pdf – স্বপন কুমার Ajana Dwipe Dragon pdf – Swapan Kumar

আসলে অনেক মানুষ হয়তো বই খুলে বসেন সামান্য সময়ের জন্যেও রিয়্যালিটি থেকে একটু আলাদা হওয়ার জন্য, সেই রিয়েলিটিটাই কেউ যখন বইয়ের পাতায়, লাইনে লাইনে বসিয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় তখন হয় আপনি হুহু করে কাঁদবেন, বুকের ভেতর কম্পন অনুভব করবেন অথবা ‘বইটা অত্যন্ত বাজে হয়েছে’ বলে এড়িয়ে যাবেন বাস্তবতাকে। তাই দগ্ধজাতক নিয়ে কোনো খারাপ রিভিউ এলে বুঝে নিতে হবে দ্বিতীয়টিই ঘটছে। তার মানে এই নয় যে দ্বিতীয় শ্রেণীর মানুষকে বইটি ছোঁয়নি, ছুঁয়েছে আলবাত ছুঁয়েছে। কিন্তু তারা যথাসম্ভব সেটাকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা চালাচ্ছেন। এই উপন্যাস যুগান্তকারী মাস্টারপিস হয়তো নয়, কিন্তু এই উপন্যাস সৎ, বাস্তব, মর্মস্পর্শী, হৃদয়বিদারক উপন্যাস, সাধারণ মানুষের উপন্যাস। অসংখ্য ধন্যবাদ লেখক কে এমন একটি অসাধারণ উপন্যাস লেখার জন্য।

শেষে বলি, বইটির প্রচ্ছদটি অসাধারণ হয়েছে। প্রচ্ছদ শিল্পী কৃষ্ণেন্দু মণ্ডল যথেষ্ট প্রশংসার দাবী রাখেন। সবাইকে এই বইটি পড়ার অনুরোধ জানাই।

Dagdhajatak pdf দগ্ধজাতক pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply