অজানা দ্বীপে ড্রাগন pdf – স্বপন কুমার Ajana Dwipe Dragon pdf – Swapan Kumar

অজানা দ্বীপে ড্রাগন pdf - স্বপন কুমার Ajana Dwipe Dragon pdf - Swapan Kumar
অজানা দ্বীপে ড্রাগন pdf - স্বপন কুমার Ajana Dwipe Dragon pdf - Swapan Kumar

স্বপন কুমারের ড্রাগন সিরিজের ৬ নং বই Ajana Dwipe Dragon pdf অজানা দ্বীপে ড্রাগন pdf ডাউনলোড করুন ও Ajana Dwipe Dragon pdf অজানা দ্বীপে ড্রাগন pdf পড়ুন।

অজানা দ্বীপে ড্রাগন pdf - স্বপন কুমার Ajana Dwipe Dragon pdf - Swapan Kumar
অজানা দ্বীপে ড্রাগন pdf – স্বপন কুমার Ajana Dwipe Dragon pdf – Swapan Kumar

Ajana Dwipe Dragon pdf অজানা দ্বীপে ড্রাগন pdf নমুনাঃ

হালসীবাগানের হলধর হালদার হাড়কিপটে। পাড়ায় তার হরেক রকম দুর্নাম। লোকে বলে, সকালে উঠে তার নাম করলে নাকি হাঁড়ি ফেটে যায় কপালে ভাত জোটে না।
কথাটা মিথ্যে নয়।
কৃপণ মানুষ অনেক দেখা যায় বটে, কিন্তু তাদের সকলকে ছাপিয়ে যায় হলধর।
বেলগাছিয়ার খাল-পুলের ঠিক নিচে হলধরের পৈতৃক আমলের তামাক আর চিটে গুড়ের দোকান।
আয় নেহাত কম হয় না তা থেকে! তা ছাড়া, ছোটখাট মহাজনী ব্যবসাও তার আছে। তাতেও কিছু কিছু আয় হয়।

নরক সংকেত pdf – দেবারতি মুখোপাধ্যায় Narak Sanket pdf – Debarati Mukhopadhyay

হলধর যে টাকা একবার ব্যাঙ্কে রাখা তা আর কোনও দিন তোলে না। তার ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স কত, তা সে জানে। কিন্তু তার সিন্দুকে যে কত টাকা জমেছে তা সঠিক বলতে পারে না।
পরনে ছঁহাতি ধুতি আর সাধারণ পাঞ্জাবি পায়ে নিউকাট জুতো। এই হলো তার পোশাক।
অনেকে প্রশ্ন করেন- আচ্ছা হলধরবাবু, এত টাকা আছে আপনার অথচ এত কম খরচে চালান কেন? এরকম পোশাকই বা পরেন কেন?
হলধর হেসে বলল– দেখুন, আমি হলুম মা লক্ষ্মীর সিন্দুকের পাহারাদার মাত্র। এ টাকা খরচ করার কোনও অধিকার আমার নেই। আমি শুধু খাওয়াপরা বাবদ আমার টাকা খরচ করি মাত্র।

বাড়িতে স্ত্রী নয়নতারা আর একটিমাত্র ছেলে বাবলু ছাড়া আর কেউ নেই। হলধরের বয়স প্রায় পঁয়তাল্লিশ হবে। নয়নতারার বয়স ছত্রিশ। নয়নতারা প্রকৃতই সুন্দরী। তবে অত্যন্ত নিরীহ ও নরম ধরনের মেয়ে সে। তাই স্বামীর কৃপণ স্বভাবের জন্যে সে কিছু বলে না।
সে ওকে ভাগ্য হিসেবে মেনে নেয়।
অনেকদিন থেকেই হলধরের ইচ্ছে, সে নতুন একটা ব্যবসায়ে কিছু লগ্নী করে।

ভাল ব্যবসা হ’লে টাকা খাটাতে তার কোনও আপত্তি নেই। তবে নিশ্চিত ভাল ব্যবসা সে পায় না বলে ও নিয়ে মাথা ঘামায় না।
এমন সময় একদিন হঠাৎ একটা ব্যবসায়ের সুযোগ এসে গেল তার সামনে । হলধরের এক দূর সম্পর্কের শ্যালকের নাম বিনয়।
বিনয় যে কি করে তা কেউ জানে না– তবে সে লোককে বলে যে, সে ছোটখাট ব্যবসা করে।
মাঝে মাঝে তার হাতে টাকা থাকে না—আবার কখনো বা প্রচুর অর্থ এসে যায়।
কোত্থেকে যে হঠাৎ টাকা সে পায়, তা কেউ বলতে পারে না।
এই বিনয় একদিন হঠাৎ এসে উপস্থিত হলধরের কাছে! পরনে দামী স্যুট, পায়ে জুতো, মুখে সিগারেট।
বললে—নতুন একটা ভাল ব্যবসার ব্যবস্থা করে দিতে পারি জামাইবাবু। করবেন?

আমার প্রিয় ভৌতিক গল্প pdf – হুমায়ূন আহমেদ Amar Priyo Voutik Galpo pdf – Humayun Ahmed

-কিসের ব্যবসা?
-ব্যবসাটা ভালই, তবে এতে টাকা যে লাগবে অনেক! তবে এতে প্রচুর লাভ। আর তা সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়।
—কিসের ব্যবসা?
-অর্ডার সাপ্লাইয়ের।
-তার মানে?
-মানে বিভিন্ন কোম্পানীর বিভিন্ন জিনিসের অর্ডার নিয়ে তা আমরা সাপ্লাই করব।
-অর্ডার দেবে কারা?
-বড় বড় যত সাহেব বা দেশী কোম্পানীরা নানারকমের জিনিসের প্রচুর অর্ডার দেয়। সেই সব মাল অনেক কম দামে বাজারে পাওয়া যায়। টাকা সঙ্গে সঙ্গেই পেমেন্ট।
ব্যবসাটা ভালই মনে হয়।
– তা বটে, তবে অনেক টাকা চাই। টাকা হলে সেন্ট পারসেন্ট লাভ। -কি রকম?
তা ধরুন চল্লিশ-পঞ্চাশ হাজার টাকা।
টাকা উপার্জন করতে ক’দিন লাগবে?
—বড় জোর দু’সপ্তাহ – তার বেশি নয়।
—ঠিক আছে। তা হলে চল ওদের অফিসটা দেখে আসি।

-হ্যাঁ, চলুন।
হলধর বললে—অফিস কটায় খোলে?
—বেলা সাড়ে দশটায়। সাহেব আসেন বেলা এগারটার সময়। তিনিই মালের অর্ডার দেন। এরকম দু’তিনটে অফিসে নিয়মিত মাল সাপ্লাই করতে পারলে প্রচুর লাভ হবে।
— বুঝেছি।
—আপনি তাড়াতাড়ি স্নান খাওয়া সেরে নিন। তারপর চলুন বেরিয়ে পড়ি। হলধর বিনয়ের জন্যে চা ও খাবারের ব্যবস্থা করে চলে গেল স্নান-খাওয়া করতে।
বেলা এগারোটা বেজে গেল। হলধর বিনয়ের সঙ্গে বের হলো ধর্মতলার দিকে সেই সাহেব-কোম্পানীর অফিসে।

বেশ সুন্দর সাজানো-গোছানো অফিস। চক্‌চকে ঝকঝকে সব ফার্ণিচার। তিন চারটি কেরানী কাজ করছে বসে।
একপাশে সুন্দরী দুটি লেডি টাইপিস্ট টাইপ করে চলেছে অবিরাম – খটাখট — খটাখট
অন্যদিকে এনকোয়ারি কাউন্টারে সুন্দরী একটি অ্যাংলো মেয়ে বসে আছে। বিনয় তার কাছে গিয়ে বলল— সাহেব আছেন?
-না, তিনি নেই–এক্ষুণি হয়তো আসবেন। আপনারা বসুন।
-ধন্যবাদ।
বিনয় আর হলধর বসে রইল চুপ করে। মিনিট কুড়ি পরে একজন সুদর্শন সাহেব প্রবেশ করলেন। পরনে দামী টা সকলে তাঁকে দেখে সসম্ভ্রমে উঠে দাঁড়ায়।

তিনি তাঁর চেম্বারে ঢুকে পড়লেন।
বিনয় কার্ড পাঠাল। তিনি একটু পরেই তাদের ডেকে পাঠালেন।
বিনয় ঢুকল হলধরকে সঙ্গে করে।
-কি চাই আপনাদের সাহেব প্রশ্ন করলেন।
-স্যার, আমরা আপনার মেশিনারী পার্টস-এর সাপ্লাইয়ের অর্ডারটার জন্য এসেছি।
—আপনারা পারবেন সাপ্লাই করতে?
হ্যাঁ। রেট কত করে দেবেন? ছ’টাকা পিস। দশ হাজার পিস্ চাই।
–ঠিক আছে। আপনি স্যাম্পল্ দেখান।

Ajana Dwipe Dragon pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply