নিশাচরী বিভীষিকা pdf – হেমেন্দ্রকুমার রায় Nishachori Bivishika pdf – Hemendra Kumar Roy

নিশাচরী বিভীষিকা pdf - হেমেন্দ্রকুমার রায় Nishachori Bivishika pdf - Hemendra Kumar Roy
নিশাচরী বিভীষিকা pdf - হেমেন্দ্রকুমার রায় Nishachori Bivishika pdf - Hemendra Kumar Roy

দেব সাহিত্য কুটির প্রকাশিত হেমেন্দ্রকুমার রায়ের বিচিত্রা সিরিজের রচনা সম্ভার Nishachori Bivishika pdf নিশাচরী বিভীষিকা pdf ডাউনলোড করুন ও Nishachori Bivishika pdf পড়ুন।

নিশাচরী বিভীষিকা pdf - হেমেন্দ্রকুমার রায় Nishachori Bivishika pdf - Hemendra Kumar Roy
নিশাচরী বিভীষিকা pdf – হেমেন্দ্রকুমার রায় Nishachori Bivishika pdf – Hemendra Kumar Roy

Nishachori Bivishika pdf নিশাচরী বিভীষিকা pdf নমুনাঃ

সংবাদপত্রের কাহিনী শুনে ভারত নিস্তব্ধ হয়ে বসে রইল খানিকক্ষণ। আমি একেলে সভ্যতার যুগে ঐ সেকেলে রূপকথাটা যে কতখানি হাস্যকর, তাই নিয়েই মনে মনে নাড়া-চাড়া করতে লাগলুম। তারপর ব’লে উঠলুম, “বংশানুক্রমিক অভিশাপ! অগ্নিময়, অতিকায় মূৰ্ত্তি! গগনবিদারী শঙ্খধ্বনি! এ-সব গালগল্পে আড্ডা বেশ জ’মে ওঠে বটে, কিন্তু সুস্থচিত্তে হজম করা অসম্ভব! ফণীবাবু, আপনি কি এইসব গুজর বিশ্বাস করেন?”
ফণীবাবু গম্ভীরভাবে বললেন, “আমার বিশ্বাস করা না করার কোন প্রশ্নই ওঠে না। খবরের কাগজও দিয়েছে একটা চলতি কিংবদন্তীর বর্ণনা। তবে আমার বন্ধু বীরেন্দ্রনারায়ণের মৃত্যু- সম্পৰ্কীয় কতকগুলি উল্লেখযোগ্য কথা আছে। সেই সম্বন্ধেই আমি ভারতবাবুর সঙ্গে পরামর্শ করতে এসেছি।”

হেমেন্দ্র কুমার রায় এর পিডিএফ All Hemendra Kumar Roy PDF Download

ভারত সিগারেট-কেসের উপরে একটা সিগারেট ঠুকতে ঠুকতে বললে, “এতক্ষণ পর্য্যন্ত যা শুনলুম তা হচ্ছে কতকগুলো অসম্ভব আর আজগুবি ঘটনার খিচুড়ী। ও-সব নিয়ে আমার মাথা ঘামাবার দরকার নেই। কিন্তু কোন বিষয়ে কোন মত প্রকাশ করার আগে আমি জমিদার বীরেন্দ্রনারায়ণের পরিচয় আরো ভালো ক’রে জানতে প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে, বীরেনবাবুর আর্থিক অবস্থা ছিল কি
রকম।

ফণীবাবু বললেন, “শুনলেন তো, বীরেনবাবুর পিতামহ আর পিতা দুইজনে মিলেই জমিদারির অবস্থা বেশ কাহিল ক’রে এনেছিলেন। কিন্তু বীরেনবাবু, কেবল শিক্ষিত নন, বিশেষ বুদ্ধিমানও ছিলেন। জমিদার হিসাবে তাঁর অবস্থা খুব সচ্ছল হবে না বুঝেই নানা ভাবে তিনি নিজের আয় বাড়াবার চেষ্টা করতেন। দীর্ঘকাল ধ’রে বোম্বাই প্রদেশেই ছিল তাঁর কার্য্যস্থল। সেখানকার ফটকার বাজারে অত্যন্ত পয়মন্ত বলে তাঁর নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। বৎসরের পর বৎসর ধরে দুইহাতে তিনি রাশি রাশি টাকা রোজগার ক’রে গিয়েছিলেন। লোকে বলত, তাঁর হাতে ধুলোমুঠোও সোনামুঠো হয়ে দাড়ায়। কিন্তু আগেই বলেছি তিনি ছিলেন খুব বুদ্ধিমান ব্যক্তি। ভালো ক’রেই জানতেন যে, ভাগ্যদেবীর প্রসন্নতা দীর্ঘস্থায়ী হয় না। তাই সময় থাকতেই সাবধান হয়ে জাল গুটিয়ে যখন নিজের দেশে ফিরে আসেন, তখন তাঁর অর্থসৌভাগ্য হয়েছিল রাজরাজড়ারও পক্ষে হিংসাজনক।

সুতরাং জমিদারির আয় কমে গিয়েছিল বলে তাঁকে কোন দিনই দুশ্চিন্তা ভোগ করতে হয়নি।”
ভারত বললে, “বীরেনবাবু কি কুসুমপুরে স্থায়ীভাবে বাস করতেন, না কলকাতা থেকে সেখানে মাঝে মাঝে বেড়াতে যেতেন?”

– “ঠিক উল্টো ব্যাপার। বীরেনবাবু মাঝে মাঝে কলকাতায় আসতেন বটে, কিন্তু ঐ পর্যন্ত। কুসুমপুরেই ছিল তাঁর নিজস্ব আস্তানা। তাঁর মতন পল্লী-প্রীতি সচরাচর দেখা যায় না। দশ বৎসর আগেও কুসুমপুর ছিল প্রায় অজ-পাড়াগাঁয়ের মত। কিন্তু বীরেনবাদুরই প্রাণপণ চেষ্টায় আর অর্থব্যয়ে কুসুমপুর আজ হয়ে উঠেছে মফস্বলের একটি উল্লেখযোগ্য ছোট সহরের মত। ওখানকার বিদ্যালয়, হাসপাতাল, দাতব্য চিকিৎসালয়, আর লাইব্রেরী প্রভৃতির মূলে আছে তাঁরই বদান্যতা। স্বগ্রামের উন্নতির জন্যে আরও কতদিকে তিনি যে কত অর্থব্যয় করেছেন, তার আর কোন হিসাব নেই। বলতে গেলে তাঁর ধ্যান-জ্ঞান-প্রাণ ছিল কুসুমপুরেরই সৰ্ব্বাঙ্গীন উন্নতি-বিধান। এই সব কারণে স্থানীয় বাসিন্দারাও তাঁকে শ্রদ্ধা করত দেবতার মত।

বিমল কুমার সমগ্র ১ pdf – হেমেন্দ্রকুমার রায় Bimal Kumar Samagra 1 pdf – Hemendra Kumar Ray

তাঁর একটি বিশেষ মত ছিল যে, দিনে দিনে পল্লীগ্রামকে বেশী অসভ্য ক’রে তোলবার জন্যেই বাঙালীরা সহরে গিয়ে সভ্য নাম কিনতে চায়। যে সব জমিদার স্বগ্রামে ফিরে এসে নিজেদের প্রবাসী ব’লে মনে করে, তাদের প্রতি তাঁর বিজাতীয় ঘৃণা ছিল। এইজন্যে নিজের উইলে তিনি স্পষ্ট ভাষায় ব্যবস্থা ক’রে গিয়েছেন যে, তাঁর উত্তরাধিকারী কুসুমপুরের স্থায়ী বাসিন্দা না হলে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হবেন।”
ভারত শুধোলে, “তাঁর উত্তরাধিকারী কে?”

-“হিতেন্দ্রনারায়ণ রায়চৌধুরী। বীরেন্দ্রবাবু ছিলেন নিঃসন্তান হিতেন্দ্র হচ্ছেন তাঁর একমাত্র ভ্রাতুষ্পুত্র। কুসুমপুরের রায়চৌধুরী পরিবারের একটিমাত্র বংশপ্রদীপ বলতে এখন ঐ হিতেন্দ্রকেই বোঝায়।”
—“হিতেন্দ্রবাবুর কোন সন্তান নেই ?”
– “হিতেন্দ্র এখনও বিবাহই করেননি। গত চার বৎসর ধরে তিনি বিলাতে বাস করছিলেন, এইবারে দেশে ফিরে এসেছেন। বীরেনবাবুর যেদিন মৃত্যু হয় তার পরদিনই হিতেনে কলকাতায় পৌঁছবার কথা ছিল। সেইজন্যে বীরেনবাবুও নিশ্চয়ই কলকাতা
এসে উপস্থিত হতেন, কিন্তু নিয়তির নিষ্ঠুর বিধানে তা সম্ভবপর হ’ল না। তার বদলে আসতে হয়েছে আমাকেই।”
—“তাহলে হিতেন্দ্রবাবু ছাড়া এখন আর কেউ বীরেন্দ্রবাবুর সম্পত্তির উপরে দাবি করতে পারবে না ?”
—“না।”

পঞ্চাশটি গল্প pdf – সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় Pancashti Galpo pdf – Sukanta Gangopadhyay

—“বীরেনবাবুর মৃত্যু সম্বন্ধে আপনার ব্যক্তিগত মতামত কি এইবারে আমি সেই কথাই জানতে চাই। আপনি যখন কেবল তাঁর বন্ধু নন——চিকিৎসকও ছিলেন, তখন এ সম্বন্ধে কোন নূতন কথা বলতে পারবেন কি ?”
–“নূতন কথা বলতে কি বোঝেন ?”
—“বীরেনবাবুর বুকের অবস্থা সত্যই কি ভালো ছিল না ?” —“না।”
—“সেইজন্যেই কি তিনি হঠাৎ মারা পড়েছেন ?”
ফণীবাবুর মুখ আরও গম্ভীর হয়ে উঠল। ইতস্ততঃ ক’রে তিনি বললেন, “আমি যে কি বলব, ঠিক বুঝতে পারছি না।”
– “কেন?”
—“এমন কিছু কিছু জিনিস আমি লক্ষ্য করেছি, মনে মনে যার কোন যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পাই নি।”
-“কারণগুলো একে একে বলুন।”
—“প্রথমতঃ আমি জানি আহারের পর নৈশ-ভ্রমণের সময় বীরেনবাবু কোনদিনই বাগানের বাইরে পা বাড়াতেন না। তবে মৃত্যুর রাত্রে তিনি পাঁচিলের ওপারে জলাভূমির ভিতরে গিয়েছিলেন কেন? কোন দৃশ্য কি তাঁর কৌতূহল জাগ্রত করেছিল?

Nishachori Bivishika pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply