পঞ্চাশটি গল্প pdf – সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় Pancashti Galpo pdf – Sukanta Gangopadhyay

পঞ্চাশটি গল্প pdf - সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় Pancashti Galpo pdf - Sukanta Gangopadhyay
পঞ্চাশটি গল্প pdf - সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় Pancashti Galpo pdf - Sukanta Gangopadhyay

সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় এর বাছাই করা সেরা গল্পের সংকলন Pancashti Galpo pdf পঞ্চাশটি গল্প pdf ডাউনলোড করুন ও Pancashti Galpo pdf পড়ুন।

পঞ্চাশটি গল্প pdf - সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় Pancashti Galpo pdf - Sukanta Gangopadhyay
পঞ্চাশটি গল্প pdf – সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় Pancashti Galpo pdf – Sukanta Gangopadhyay

Pancashti Galpo pdf পঞ্চাশটি গল্প pdf সূচিপত্রঃ

বনমালা
হারিয়ে যাওয়া গান
নিকজিষ্ট
বিউটি স্পট
মাতুলিপি
মহড়া
মায়াবন্ধন
গুজবে কান দেবেন না
মা- ভূমি
ছায়া শহর
স্বজন
ধানের গন্ধ
এবার দেখি
কৃষ্ণভামিনী
পাওনা
মেঘলা দিন
পড়শি
গরবিনি
পাড়ার মেয়ে
ক্ষেত্রভূমি
দখল
বনবাসী
খোঁজ
আয়নার
ভিটেমাটি
ধারাপাত
পুষ্পবৃষ্টি
একলা এবং একা
বীজতলা
এবার গুড়ো
সহচরী
অনাম্নী
করনা
मा
নিভৃত বেদনা
অমল শ্রেষ্ঠ
বসুন্ধরা
গো অ্যাজ ইউ লাইক
প্রতিপক্ষ
কবি
অনন্তচাঁদ
গ্রেট ওয়েল সন
বৃষ্টি হবেই
নদী দুটি
রাক্ষস
দ্বীপ
নতুন ও
সূর্যাস্তের পাখি
লেখক পরিচিতি

Pancashti Galpo pdf নমুনাঃ

গ্রামের নাম ছিল চন্দনপুর। ‘ছিল’ বলার কারণ, চন্দনপুর থেকে এক ক্রোশ দূরে চড়ুইপোতায় পৌঁছে কেউ যদি জানতে চায়, চন্দনপুর গ্রামটা কোথায়? নিশ্চয়ই জবাব পাবে, সে নামে এক গ্রাম ছিল বটে, অজয়ের এলোপাথাড়ি বন্যায় সেসব ধুয়েমুছে সাফ। উত্তরদাতার একবারও খেয়াল পড়বে না, আজও রায়চৌধুরী, মানে জমিদারদের ভাঙা বাড়িটা চন্দনপুরের শেষ স্মারক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। তদুপরি সে বাড়িতে দুজন বাসিন্দা আজও যে বর্তমান, এ কথাও কারও স্মরণে থাকে না। না থাকারই কথা। বছর বিশেক হল নদীর খামখেয়ালিপনায় বিরক্ত হয়ে জনপদবাসীরা সরে গেছে দূরে। কতবার লুটিয়ে পড়া বাড়ি গড়া যায়! পলিমাটিতে শেষ হয় চাষের সম্ভাবনা। জমির সীমানাও মুছে যায়। অতএব চন্দনপুর এখন বিস্মৃতির গহরে। তবে এ নিয়ে কোনও আক্ষেপ বা অনুযোগই নেই রায়বাড়ির দুই বাসিন্দার।

Arshir Akash pdf | Sukanta Gangopadhyay আরশির আকাশ best pdf সুকান্ত গঙ্গোপাধ্যায়

চন্দ্রভানু শেষ করে লোকালয়ে গেছেন, নিজেরই খেয়াল নেই। কালেভদ্রে কুণ্ঠই বাজার দোকান করতে বাইরে যায়। তাও তার প্রয়োজন মিটে যায় চড়ুইপোতা ঢোকার মুখেই। সেখানে ঘোষালবাড়ির দালানে হরেক মালের ছোট দোকান। গ্রামের গরিব মানুষরা সেখান থেকে আট আনার চাল, চার আনার তেল, চারটে দেশলাই কাঠি কেনে। কুঞ্জর বাবুর অবস্থা অত খারাপ নয়। হাটবাজার যাওয়ার ব্যাপারে কুঞ্জরই প্রবল অনীহা। দোকানি শ্রীদাম ঘোষাল মাঝমধ্যেই জানতে চায়, হ্যাঁরে কুঞ্জ, তুই আর তোর বাবু ওই ভুতুড়ে বাড়িতে কী করিস বটে সারাদিন? সাপ-শামুকে ভরা ওই চরায় মানুষ থাকে!

কুঞ্জ হাসে। বলে, বাবু আমার বিরাট পণ্ডিত লোক। দিনরাত মোটা মোটা কেতাব পড়েন, কী সব লেখেন! দেশ-বিদেশ থেকে কত চিঠি আসে বাবুর… এ সবই কৃষ্ণর বানানো কথা। রায়বাড়িতে প্রচুর বই আছে ঠিকই, কিন্তু বাবু কোনওদিনই সেসব উলটে পালটে দেখেন না। লেখালিখি বালাই নেই। লণ্ঠনের পলতে উসকে দিলে বলেন, কী দরকার মিছিমিছি তেল অপচয় করার!

দন্ত্যন রুহমান pdf – সুমন্ত আসলাম Dontyon Ruhman pdf – Sumanto Aslam

সারাদিন ওয়েবসেই কেটে যায়। মাঝে মধ্যে সারাবাড়ি পায়চারি করেন। যান বাগানে। কখনও সখনও বারবাড়ির দালানে আরামকেদারা পেতে দিতে হয়। বিকেল হলে নিয়মিত ছাদে যান। পাঁচিলের সামনে দাঁড়িয়ে বেভুল তাকিয়ে থাকেন সামনে। সেখানে হেলে পড়া সূর্যের আলোয় চকচক করে অজয়ের ক্ষীণ জলধারা। কথাবার্তা বলেন খুব কম। সন্ধে উত্তরে গেলে নীচের তলায় নেমে আসেন। গান শোনেন হাতল ঘোরানো গ্রামোফোনটা চালিয়ে। সে যে কী গান, মাথামুণ্ডু কিছুই বোঝে না কুঞ্জ। মনে হয় যেন চোঙা থেকে বেরিয়ে আসছে তিন কুড়ি পার করা কোনও বুড়ির কান্না। ভীষণ একঘেয়ে। যস্তরটার বোধহয় অবস্থা শেষ।

সেই গান শুনে বাবুর মন ভাল হয়। তখনই কিছু কথা বলেন, সবই ওঁদের বংশের প্রতাপের কথা। ওঁর ঠাকুরদার বাবা কেমন ছিলেন, কেমন সম্পর্ক ছিল সুলতানদের সঙ্গে, কটা ঘোড়া ছিল, হাতি ছিল… অবিশ্বাস। করার উপায় নেই। ঘোড়া না থাকলেও, আস্তাবল এখনও আছে। পোর্টমানে যত্ন করে রাখা গদি, লাল জাজিম, ঘণ্টা দেখে বোঝা যায় হাতিও ছিল। প্রকাণ্ড হলঘরের মাথায় ভাঙা ঝাড়বাতি প্রমাণ করে এ-বাড়িতে নটীর নূপুর হেসে উঠত একদিন।

বড় বড় চোখ-মুখ করে জমিদারবাবু সেইসব গল্প করে যান। নাকের পাটা, গাল লাল হয়ে ওঠে। ঘনঘন শ্বাস নেন। গল্পের প্রতি তবু কোনও আগ্রহ জন্মায় না তৃপ্তর। পুরু ধুলো ভরতি নাচঘর, অজস্র ফাটল আর আগাছায় ভরা এই প্রাসাদের প্রাণ যেন ফেরে না। কুঞ্জ ঢুলে ঢুলে পড়ে। বাবুর সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসা করেন, কী রে, ঘুমুলি নাকি?

ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে গড়িয়ে পড়া নাল মুছে, কুঞ্জ ঢুলুঢুলু চোখে মাথা নাড়ে। বাবু বলে যান, আমার ঠাকুরদার এক দিদি ছিল জানিস। রেবতীদেবী। কী সাংঘাতিক মহিলা! ঠাকুরদার বকলমে উনিই তো জমিদারি দেখতেন। একবার হয়েছিল কী, এক ইংরেজ সাহেব এলেন আমাদের মহালের ওপর ট্যাক্স বাড়ানোর অর্ডার নিয়ে। চিকের পরদার এপারে রেবতীদেবী, ওপারে সাহেব। কথা চলছে দোভাষীর মাধ্যমে। সাহেব ব্যাটা ইংরেজিতে দোভাষীকে নিজের দলে টানার চেষ্টা করছিল। সাহেবকে পুরো ঘাবড়ে দিয়ে রেবতীদেবী ইংরেজিতে কথা বলতে শুরু করেন। তখন সাহেবের একদম ল্যাজেগোবরে অবস্থা…. হাসতে থাকেন জমিদারবাবু। হাসতে হাসতে উঠে পড়েন আরামকেদারা ছেড়ে।

বাতিদানের আলোয় তাঁর ছায়া বিশাল হয়ে আছড়ে পড়ে দেওয়ালে। হাসির চোটে আলো কেঁপে উঠলেও, কুঞ্জর কোনও বিচলন হয় না। এসবে সে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। বাড়ির পিছনে শিয়াল ডেকে ওঠে। আস্তাবল থেকে বাদুড়ের ডানা ঝাপটানোর শব্দ পাওয়া যায়। ঘুমে চোখ জুড়ে আসে কুঞ্জর। মনিব নিশ্চয়ই রাগ করেন। মুখে কিছু বলেন না। তবে ইদানীং ঘুম তাড়ানোর একটা ব্যবস্থা হয়েছে। খুবই কুৎসিত, অপমানজনক সে ব্যবস্থা। সভ্য সমাজে কহতব্য নয়।

সে যাই হোক, সকালে উঠেই কুঞ্জর কাজ শুরু হয়ে যায়। এই বিশাল বাড়ির যতটুকু অংশ পদচারণ ও বিশ্রামের জন্য ব্যবহার করেন জমিদারবাবু, সেটুকু সে ঝাড়পোঁছ করে রাখে। তারপর ইঁদারা থেকে জল তোলা, রান্নাবান্না, কাচাকাচি … তার কি কাজের শেষ আছে। এই যেমন এখন ছাদে উবু হয়ে বসে বাবুর গড়গড়াটা ভাল করে মুছছে। যেন ধুলো-ময়লা সরিয়ে জমিদারবাবুর গল্পকথাগুলো সত্যিকারের করার চেষ্টা। পশ্চিম আকাশে এখনও লাল ছোপ ধরেনি। বাবু গিয়ে দাঁড়িয়েছেন পাঁচিলের ধারে। এই সময়টা চেয়ারে বসে তামাক খেতে খেতে বাবু সন্ধে নামা দেখেন।

গড়গড়ার মুখ থেকে কলকে তুলে তামাক, টিকে সাজাতে যাচ্ছিল কুঞ্জ, হঠাৎ চন্দ্রভানু বলে ওঠেন, হ্যাঁরে, মুক্তাপুরে কি মেলা লেগেছে?
অবাক হয়ে মাথা নাড়ে কুঞ্জ। মুক্তাপুর হচ্ছে বাগদিদের বাস। গরিব গাঁ। মেলাফেলা ওদিকে হয় না। শনিবার করে টিমটিমে হাট বসে।
এদিকে আয়। বলে, বাবু অজয়ের দূর জলের দিকে হাত তোলেন। পাশে দাঁড়িয়ে কুঞ্জও জলের দিকে তাকায়। মনে হয় যেন মৃদু স্রোত বইছে দক্ষিণ পানে। ভাঁটার টান। কিন্তু মেলার সঙ্গে অজয়ের জলের কী

Pancashti Galpo pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply