হেমেন্দ্রকুমার রায় এর ক্রিস কিশোর হরর থ্রিলার ও অ্যাডভেঞ্চার সংকলন Bimal Kumar Samagra 1 pdf বিমল কুমার সমগ্র ১ pdf ডাউনলোড করুন ও Bimal Kumar Samagra 1 pdf পড়ুন।
Bimal Kumar Samagra 1 pdf বিমল কুমার সমগ্র ১ pdf সূচিপত্রঃ
১. যকের ধন
২. অসম্ভবের দেশে
৩. নীল সায়রের অচিনপুরে
৪. জেরিনার কণ্ঠহার
৫. সুন্দরবনের রক্তপাগল
৬. কুমারের বাঘা গোয়েন্দা
৭. গুহাবাসী বিভীষণ
৮. মেঘদূতের মর্ত্যে আগমন
৯. ময়নামতীর মায়াকানন
১০. যক্ষপতির রত্নপুরী
Bimal Kumar Samagra 1 pdf ভূমিকা
একসময় বাংলা কিশোর সাহিত্যের উদগ্রীব পাঠক নানা ধরনের সাহিত্য রস পান করা সত্ত্বেও সেখানে বড়ই অভাব ছিল এক ধরনের রসের তা হল বাংলায় অ্যাডভেঞ্চার কাহিনি। এমন কোনো কাহিনি ছিল না যেখানে অজানার আকর্ষণে আর দুঃসাধ্য সাধনের উৎসাহে ছোটদের মনে বিপদ – বাধার সঙ্গে লড়াই করবার দুঃসাহস যোগাবে। ঊনবিংশ শতকের গোড়ায় বাংলা শিশু কিশোর সাহিত্যে “মৌচাক” পত্রিকা ছিল এক অবিচ্ছেদ্য নাম। সে সময়ে মৌচাক পত্রিকার সম্পাদক সুধীরচন্দ্র সরকারকে হেমেন্দ্রকুমার রায় বলেছিলেন। — “অ্যাডভেঞ্চার গল্প হচ্ছে বিলেতের ছোটদের সাহিত্যের একটি প্রধান অবলম্বন। আমার মনে হয়। এখানেও ছোটদের মহলে এরকম রচনার আদর কম হবে না। Bimal Kumar Samagra 1 pdf পড়ুন।
শুকতারার-১০১ গোয়েন্দা ও রহস্য গল্প পিডিএফ Shuktara-r 101 Goenda O Rahsya Galpo pdf
একবার পরীক্ষা করে দেখলে কেমন হয়।” প্রত্যুত্তরে সায় দিয়েছিলেন সুধীরবাবু। ১৯২৩-এ “মৌচাক” পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশিত হল কালজয়ী উপন্যাস “যকের ধন’। এই উপন্যাসে হেমেন্দ্রকুমার নিয়ে এলেন এক জোড়া চরিত্র—বিমল ও তার বন্ধু কুমার যারা কিনা খাঁটি বাঙালি হয়েও জড়িয়ে পড়তে চাইত নানারকম ভয়ংকর অভিযানে ও বিপদের মধ্যে। সঙ্গে ছিল কুমারের পোষা কুকুর বাঘা ও বিমলের বিশ্বস্ত চাকর রামহরি। গুপ্তধনের সন্ধানে তারা পাড়ি দিয়েছিল দুর্গম খাসিয়া পাহাড়ে। প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে এই উপন্যাস। এই কাহিনির মাধ্যমে বাংলা কিশোর সাহিত্যে খুলে গেল এক নতুন দরজা যা অ্যাডভেঞ্চার- এর টানে মুগ্ধ করল ছোট-বড় সবাইকে। বাঙালির আপন হয়ে গেল বিমল কুমার চরিত্র দুটি।
‘যকের ধন’ এর বিপুল জনপ্রিয়তাই হেমেন্দ্রকুমারকে উদ্বুদ্ধ করেছিল এই একই চরিত্রদের নিয়ে আরো কাহিনি লিখতে। আর তাই তিনি এরপর লিখলেন “আবার যকের ধন’। আর এরপর তিনি থেমে থাকেননি। বিমল – কুমার — রামহরি — বাঘা একের পর এক পাড়ি দিতে থাকল দুঃসাহসিক সব অভিযানে। কখনো দেশে ও কখনো বিদেশে, কখনো গভীর সমুদ্রের অজানা দ্বীপে তো কখনো পৃথিবীর বাইরে মঙ্গল গ্রহে। হেমেন্দ্রকুমারের অ্যাডভেঞ্চারধর্মী কাহিনিতে প্রথম দিকে মূলত এই দুই চরিত্রই ছিল মূল নায়ক – এক অসীম সাহসী তরুণ বিমল ও তার বন্ধু কুমার। কোনো অসাধ্য কাজ যেন তাদের কাছে বাধা বলে মনে হয় না।
হেমেন্দ্র কুমার রায় এর পিডিএফ All Hemendra Kumar Roy PDF Download
এই দুই চরিত্রকে নিয়ে তিনি এত গল্প – উপন্যাস লিখে গেছেন যে ছোটরা যেন বিশ্বাসই করতে পারত না যে এই দুই চরিত্র সত্যি সত্যি বাস্তব চরিত্র নয়, আসলে হেমেন্দ্রকুমারের কল্পনা থেকেই তাদের জন্ম। শোনা গেছে ইংরেজি গোয়েন্দা লেখক আর্থার কোনান ডয়েলের শার্লক হোমস ও ওয়াটসনকেও অনেক লোক ওইরকম রক্তমাংসের মানুষ মনে করে হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াত। Bimal Kumar Samagra 1 pdf পড়ুন।
এবারে জেনে নেওয়া যাক এই বিমল কুমার সম্বন্ধে দু-চার কথা। মনে রাখা প্রয়োজন যে হেমেন্দ্রকুমার এই দুটি চরিত্রকে তৈরি করেছিলেন দুই দুঃসাহসিক বাঙালিকে তৈরি করার উদ্দেশ্যে যারা ভালোবাসে বিপদকে জয় করতে, বিপদহীন জীবন যাদে কাছে আলুভাতের মতো মনে হয় তাদের জন্য। আসলে চার দেওয়ালে বন্দি ভেতো বাঙালির মধ্যে এক উদ্দামতা আনাই ছিল তাঁর মূল উদ্দেশ্য। বিমলের পুরো নাম ছিল বিমলচন্দ্র দে আর কুমারের নাম ছিল কুমারনাথ সেন। বিমলের প্রাণের বন্ধু ছিল কুমার। দুজনেই অবিবাহিত যুবক। তারা জীবনে কখনো বিবাহের বন্ধনে আবদ্ধ হতে চায়নি। কুমারের চেয়ে বছর তিনেকের বড় বিমল।
রাঘববাবুর বাড়ি pdf – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Raghab Babur Bari pdf – Sirshendu Mukhopadhyay
সে বি. এ. পাশ। শরীরচর্চা তার নেশা। গায়ে ছিল তার অসুরের মতো জোর। রোজ সে দুশো ডন আর তিনশো করে বৈঠক দিত। কুস্তি লড়তে সে ছিল পারদর্শী। বিমল আর কুমারের মধ্যে শুধু মনের মিলই ছিল না, ভাগ্যক্রমে তাদের জন্মতারিখও ছিল একই মাসের একই দিনে। বিমল ও কুমার দুজনকেই হেমেন্দ্রকুমার গল্পের প্রয়োজনে আর্থিক ভাবে খুবই সচ্ছল দেখিয়েছিলেন কারণ আর্থিক ভাবে সচ্ছল না হলে কখনোই দেশ থেকে দেশান্তরে অনায়াসে জাহাজ ভাড়া করে পাড়ি দিতে পারত না কেউ। বিমলের বাড়ি প্রসঙ্গে হেমেন্দ্রকুমার লিখেছেন যে একই রাস্তায় বিমলদের দুটি বাড়ি ছিল। একখানা খুব বড় আর একখানা ছোট। বড় বাড়িতে বাস করত বিমলের আত্মীয়স্বজনেরা আর ছোট বাড়িতে বিমল নিজে একা থাকত।
তার ফাইফরমাশ খাটার জন্য ছিল বিশ্বস্ত চাকর রামহরি। বড় বাড়িতে বিমল যেত শুধু দুবেলা আহার করবার জন্য। বাকি সময়টা তার কেটে যেত ছোট বাড়ির ছোট বৈঠকখানায় বা লাইব্রেরিতে বসে পড়াশোনা করে বা কখনো কুমারের সঙ্গে বিচিত্র ও অসম্ভব সব স্বপ্ন দেখে। শান্তিপূর্ণ নির্জনতায় বাড়িখানা কখনো মনে হত আশ্রমের মতো। ওই বাড়ির আর এক বিশেষত্ব ছিল পিছনকার বাগান। বিমলরা পৃথিবীর যে সব দেশেই গিয়েছে সেখান থেকে এনেছে নানা জাতের গাছ-গাছড়ার চারা। ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা ও এশিয়ার নানা দেশের গাছ ও চারার সঙ্গে এই বাগানে মিলেমিশে বাস করত গ্রামবাংলার নিজস্ব গাছ গাছড়ারা। সেই বাগানেই আঁকাবাঁকা করে কাটা ছিল এক কৃত্রিম খাল যা নদীর অভাবকে পূর্ণ করেছিল।
টলমলে জলে দুলত পদ্মফুল, আশেপাশে ছিল বাহারি ঝোপঝাড় আর সেই সঙ্গে ছিল নকল ছোট পাহাড়। এক জায়গায় পাহাড়ের ওপর ছিল কৃত্রিম ঝরনা। এত অল্প জায়গার মধ্যে এত বৈচিত্র্যের সমাবেশ ঘটেছিল বিমলের নিজস্ব সৌখিনতার জোরে। বিমলের চাকর রামহরি ছিল প্রত্যেক কাহিনির অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। রামহরি পুরোনো, বিশ্বস্ত, বুদ্ধিমান, বিমলদের জন্য হাসতে হাসতে প্রাণ দিতে পারত সে। স্বভাবে ছিল বিমলদের বিপরীত ধর্মী যে মোটেই চাইত না সুদূর ভয়ংকর দেশে অ্যাডভেঞ্চার- -এ বেরিয়ে পড়ে নিজেদের প্রাণকে বিপন্ন করতে, কিন্তু তার নাড়ির টান ছিল বিমলের সঙ্গে জড়িয়ে তাই সেই মুহূর্তে প্রবল আপত্তি করলেও কখনো পিছুপা হয়নি অ্যাডভেঞ্চার বা অভিযানে যোগ দিতে।
সে দু—চক্ষে দেখতে পারে না যে কোনো রকমের খবরের কাগজ। তার মতে সেগুলো হচ্ছে মানুষের শত্রু আর বিপদের দূত। ওই কাগজের জন্যই সৃষ্টিছাড়া খবর আসে যা কিনা ঘরছাড়া করে বিমল – কুমারকে। রামহরির বয়স পঞ্চান্ন পেরিয়েছে বলে উল্লেখিত আছে একটি কাহিনিতে। তার গায়ে ছিল প্রবল জোর। যক্ষপতির রত্নপুরী – তে প্রবল বিক্রমে এক গাছা দড়িকে শূন্যে তুলে সে একসঙ্গে তিন চিনে মূর্তির মাথার ওপর দিয়ে ফেলে হ্যাঁচকা টান দিয়ে তাদেরকে কুপোকাত করেছিল। রামহরি সব থেকে বেশি ভয় পেত ভূতকে আর সে ছিল মহাদেবের একনিষ্ঠ সাধক ও ভক্ত। যে —কোনো স্থানে সে আফ্রিকাই হোক বা অন্য কোথাও, যেখানেই সে বরফাবৃত শৃঙ্গ দেখত সেটাকেই সে কৈলাস বলে মনে করে ভক্তিভরে প্রণাম করত।
রোদ্দুরে জ্যোৎস্নায় pdf – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Roddure Jyotsnay pdf – Atin Bandyopadhyay
তার আর এক নাম ছিল “রন্ধনশিল্পের জাদুকর। কারণ বিমলরা যতই ভয়ংকর অ্যাডভেঞ্চার এ গভীর জঙ্গলে বা সুদূর হিমালয়ে বা অজানা দ্বীপে যাক না কেন, রামহরির হাতের রান্না সেখানে তাদের মধ্যে এক নতুন প্রাণের সঞ্চার করত। কতরকম পদ যে সে অনায়াস দক্ষতার সঙ্গে বানিয়ে ফেলতে পারত তার শেষ নেই। এবারে আসা যাক কুমারের পোষা বাঘার কথায় যে কিন্তু অজস্র অ্যাডভেঞ্চারের অলিখিত নায়ক। বহু জায়গায় জয়ের চাবিকাঠি ছিল বাঘার মাথায়। কতবার যে বিমলরা কতরকম মারণ বিপদে পড়েছে আর সেখান থেকে বাঘাই তাদেরকে উদ্ধার করেছে সে কথা বলে। শেষ করা যাবে না। সে ছিল দিশি কুকুর। বাঘের মতো মস্ত। ঠিকভাবে পালন করলে বাংলার নিজস্ব কুকুরও যে কতটা তেজস্বী হয় আর কতটা সাহসী হয় সেটা সে বিমল-কুমারের নানা অভিযানে প্রমাণ করেছে।
Bimal Kumar Samagra 1 pdf download link
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.