অদ্ভুতুড়ে Series by Shirshendu Mukhopadhyay বেশ জনপ্রিয় নিরিজ। Raghab Babur Bari pdf রাঘববাবুর বাড়ি pdf অদ্ভুতুড়ে সিরিজ ১৯ নম্বর উপন্যাস। বাচ্চাদের মজার গল্প অদ্ভুতুড়ে সিরিজ PDF অদ্ভুতুড়ে গল্প ও অদ্ভুতুড়ে সিরিজ সমগ্র এর কিছু বিখ্যাত উপন্যাস হলো আশুবাবুর টেলিস্কোপ PDF গড় হেকিমপুরের রাজবাড়ি pdf download মনোজদের অদ্ভুত বাড়ি PDF পড়তে পারেন।
Raghab Babur Bari pdf কাহিনী সংক্ষেপঃ
লোকটা যে ঠ্যাটা এবং তিরিক্ষে, তা বুঝে নন্দলাল একটু দমে গেলেন। চেহারাখানা দেখে যণ্ডাগুণ্ডা বলেই মনে হয়। ডাকাত বা খুন খারাপির আসামি হওয়াও বিচিত্র নয়। কথা হল, রাঘব চৌধুরীর বাড়িতে এসে জুটলই বা কী করে! আর এক কথা, লোকটাকে তিনি কোথাও দেখেছেন, কিন্তু কোথায় তা মনে পড়ছে না। রাঘব চৌধুরী বড়লোক হলে কী হয়, ভারী খামখেয়ালি মানুষ। পাট আর গুণচটের পৈতৃক কারবারে লাখো লাখো টাকা কামান বটে, কিন্তু লোকটার বাস্তববুদ্ধির একটু অভাব আছে। নইলে এ-বাড়িতে যেসব লোক এসে জোটে, দূরদর্শী হলে কদাচ তাদের আশ্রয় দিতেন না…
Raghab Babur Bari pdf লেখক পরিচিতিঃ
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ২ নভেম্বর, ১৯৩৫, ময়মনসিংহে। শৈশব কেটেছে নানা জায়গায়। পিতা রেলের চাকুরে। সেই সূত্রে এক যাযাবর জীবন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কলকাতায়। এরপর বিহার, উত্তরবাংলা, পূর্ববাংলা, আসাম। পঞ্চাশের দশকের গোড়ায় কুচবিহার মিশনারি স্কুল ও বোর্ডিং-এর জীবন ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আই.এ। কলকাতা কলেজ থেকে বি.এ। স্নাতকোত্তর পড়াশোনা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্কুল-শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু। এখন বৃত্তি-সাংবাদিকতা। ‘দেশ’ পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। ছাত্রজীবনের ম্যাগাজিনের গণ্ডি পেরিয়ে প্রথম গল্প ‘দেশ’ পত্রিকায়। প্রথম উপন্যাস ‘ঘুনপোকা’ ‘দেশ’ শারদীয় সংখ্যায় প্রকাশিত।
প্রথম কিশোর উপন্যাস- ‘মনোজদের অদ্ভুতবাড়ি’। কিশোর সাহিত্যে শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতিরূপে ১৯৮৫ সালে পেয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার। এর আগে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার। পরেও আরেকবার, ‘দূরবীন’-এর জন্য। ‘মানবজমিন’ উপন্যাসে পেয়েছেন ১৯৮৯ সালের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। শ্রীশ্রীঠাকুর অনুকূলচন্দ্রের মন্ত্রশিষ্য এবং সহপ্রতিঋত্বিক।
Raghab Babur Bari pdf রাঘববাবুর বাড়ি pdf নমুনাঃ
সকালবেলায় পুরুতমশাই নন্দলাল ভট্চয রাঘব চৌধুরীর বাড়ির নিত্যপূজা সেরে বেরোচ্ছেন। হঠাৎ নজরে পড়ল বাইরের দিককার বাগানে একটা মুশকো চেহারার লোক উবু হয়ে বসে বাগানের কাঁটাতারের বেড়া মেরামত করছে। মুখটা ভারী চেনা-চেনা ঠেকল। এ গাঁয়ের লোক নয়, তবে কোথাও একে দেখেছেন।
নন্দলালের টিকিতে একটা কলকে ফুল বাঁধা, গায়ে নামাবলী, বাঁ বগলে ছাতা, ডান হাতে সিধের পুঁটুলি, পরনে হেঁটো ধুতি, পায়ে খড়ম। দেখলেই মানুষের ভক্তিশ্রদ্ধা হওয়ার কথা। হয়ও। নন্দলালকে দেখলেই লোকে একটু তটস্থ হয়ে পড়ে। Raghab Babur Bari pdf
নন্দলাল দু’ পা এগিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “ওহে বাপু, মুখখানা বড্ড চেনা-চেনা ঠেকছে যে!”
অন্য কেউ হলে তাড়াতাড়ি উঠে হাতজোড় করে বলত,“পেন্নাম হই ঠাকুরমশাই” কিংবা, “পাতঃ পেন্নাম বাবাঠাকুর”, বা যা হোক ওরকম কিছু। এ লোকটা সেই ধার দিয়েই গেল না। দুখানা জ্বলজ্বলে চোখে একবার তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিক্ষেপ করে বলল, ‘চেনা-চেনা ঠেকলেই যে চিনতে হবে তেমন কোনও কথা আছে?’
লোকটা যে ঠ্যাটা এবং তিরিক্ষে, তা বুঝে নন্দলাল একটু দমে গেলেন। চেহারাখানা দেখে ষণ্ডাগুণ্ডা বলেই মনে হয়। ডাকাত বা খুন খারাপির আসামি হওয়াও বিচিত্র নয়। কথা হল, রাঘব চৌধুরীর বাড়িতে
এসে জুটলই বা কী করে! আর এক কথা, লোকটাকে তিনি কোথাও দেখেছেন, কিন্তু কোথায় তা মনে পড়ছে না।
রাঘব চৌধুরী বড়লোক হলে কী হয়, ভারী খামখেয়ালি মানুষ। পাট আর গুণচটের পৈতৃক কারবারে লাখো লাখো টাকা কামান বটে, কিন্তু লোকটার বাস্তববুদ্ধির একটু অভাব আছে। নইলে এ-বাড়িতে যেসব লোক এসে জোটে, দূরদর্শী হলে কদাচ তাদের আশ্রয় দিতেন না। Raghab Babur Bari pdf
পালোয়ান হাবু দাসের কথাই ধরা যাক। একসময়ে নাকি কুস্তিটুস্তি করত। রাঘববাবুর কাছে একদিন এসে ধরে পড়ল, “হুজুর, গতরখানা তো দেখেছেন। এই দেহের খোরাকটা একটু বেশিই। কিন্তু দিনকাল যা পড়েছে তাতে দুবেলা ভরপেট জোটানোই মুশকিল, যদি একটু আশ্রয় দেন তা হলে যা করতে বলবেন, করব।”
রাঘববাবু বললেন, “আহা, কুস্তিগির তো একজন আমিও খুঁজছি, তা ভালই হল। আমার ছেলেপুলেগুলোকে শেখাও, আমিও মাঝেমধ্যে একটু-আধটু তালিম নেবখন।”
তা হাবু দাস থেকে গেল। তার জন্য একটা আখড়াও তৈরি করে দিলেন রাঘববাবু। তাঁর দুই ছেলে প্রথম প্রথম উৎসাহের চোটে কুস্তি শিখতে লেগে পড়ল। কিন্তু দিনদুয়েক বাদেই গায়ের ব্যথায় দুইজনকে শয্যা নিতে হল। রাঘববাবুর গিন্নি বললেন, “ওদের হল নরম শরীর, দুধ-ননী খেয়ে মানুষ, ওদের কি ওসব আসুরিক কাণ্ড সহ্য হয়! কবে কোনটার ঘাড় মটকে যায়, হাত বা পা ভাঙে, দরকার নেই বাবা কুস্তি শিখে। বাছারা আমার ননীর পুতুল হয়েই থাকুক।”
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.