রুমানা বৈশাখীর Shayatin pdf শায়াতিন pdf পড়ুন এখানে। শায়াতিন Banglabook ভৌতিক এক রহস্যময় উপন্যাস।অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক ধারার উপন্যাস শায়াতিন pdf না পড়তে হয়ত হরর উপন্যাসের আসল স্বাদ থেকেই বঞ্চিত হবেন।
Shayatin pdf কাহিনীঃ
এই কাহিনী সুপ্রাচীন মানব-মানবী থিও এবং লীমার, মহা পরাক্রমশালী দেবতাকে সাক্ষী রেখে যারা ওয়াদা করেছিল পুনর্জন্মের। Shayatin pdf
এই কাহিনী মিশরীয় রানী সেফ্রেনের, যে নিজ হাতে হত্যা করেছিল প্রেমিক পুরুষ মানেথোকে। কখনো কাহিনী গ্রিক সৈনিক আক্সিওকাস আর ইউমেলিয়ার, কখনো জিনান ও আইদার, এবং কখনো সাদামাটা এক পুরুষ আয়ানের জীবন জুড়ে অন্য ভুবনের এক কুহকিনীর। সবশেষে, এই কাহিনী প্রেমের। যে প্রেমের জন্ম অন্য কোনও এক ভুবনে, অন্য কোন বাস্তবতায়। যে প্রেমের খাতিরে একজন লঙ্ঘন করতে পারে সমস্ত সীমারেখা আর নিজেকে বদলে নিয়ে পারে ভয়াবহ পৈশাচিক এক অন্ধকার অস্তিত্বে।
মিলতে কি পেরেছিল থিও ও লীমা? পরম ক্ষমতাবান প্রভু কি রক্ষা করেছিলেন নিজের ওয়াদা? ভয়াল এক পিশাচীর গর্ভে কি জন্ম নিয়েছিল আয়ানের সন্তান? প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে নিতেই “শায়াতিন”…
Shayatin pdf লেখক পরিচিতিঃ
অনেকে রসিকতা করে বলেন, বয়সকে অতিক্রম করেছেন তিনি- তার লেখায়। তিনি রুমানা বৈশাখী। জন্ম ঢাকায়, ১২ মে ১৯৮৫। ঢাকায়ই বেড়ে ওঠা, পড়ালেখাও। স্নাতক করেছেন রসায়ন বিজ্ঞানে, ইডেন কলেজ থেকে। লেখালিখির সঙ্গে জড়িত দীর্ঘদিন। নেশার বশে শুরু করলেও এই সৃজনশীল পেশাটিকেই অবলম্বন করে বেঁচে আছেন, আর সেভাবেই বাঁচতে চান সারাটা জীবন। কাজ করেছেন মাসিক সাহিত্যপত্রিকা আলো ও ছায়া-র সহকারী সম্পাদক হিসেবে।
সাবলীলতা রুমানা বৈশাখীর লেখার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য। রহস্য, রোমাঞ্চ, রম্য, হরর, সায়েন্স ফিকশন- সাহিত্যের প্রায় সব শাখায়ই লিখছেন সমান তালে, স্বাচ্ছন্দ্যে। নাটকের বৈচিত্র্যময় জগতেও চিহ্ন রেখেছেন সম্প্রতি। টেলিভিশনের পর্দায় প্রথম প্রচারিত নাটকের নাম “ইস্টিশন”। রুমানা বৈশাখীর জীবনে কেবল আর কেবলমাত্র দুটো লক্ষ্য- প্রথমত লেখক হওয়া আর দ্বিতীয়ত ভালো লেখক হওয়া। বর্তমানে কর্মরত আছেন প্রিয় ডট কম-এ লাইফ-সায়েন্স এডিটর পদ-এ।
আয়নার বুকে নিজের নগ্ন দেহটার দিকে তাকিয়ে ভারি অদ্ভুত লাগে। সবসময় আর প্রতিদিন… প্রতিটি একক দিন!
কেমন যেন একটা শিহরণ বয়ে যায় শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে, একটা আশ্চর্য অচেনা অনুভব। কেমন যেন অন্ধকার লাগে নিজেকে… অন্ধকার আর বিভ্রান্ত। শুধুমাত্র তখন, যখন যখন পোশাকের বাহুল্য ঝেড়ে ফেলে নগ্ন শরীরে আয়নার সামনে দাঁড়ায় সে । যখন আয়নার বুকে ফুটে ওঠে নিজের নগ্ন অবয়ব… Shayatin pdf
এমন কোন আহামরি সৌন্দর্য তার নেই, বড় সাদামাটা একটি নারী শরীর ৷ ত্বকের রঙটা উজ্জ্বল সোনালি, মসৃণ আর মোলায়েম। কোন কিছুর আধিক্য নেই শরীরে, আবার কোন কিছুর কমতিও নেই, কেবল ঢেউ খেলানো চুলগুলো বাদে। দীঘল চুলের রাশি ঘাড় বেয়ে নেমেছে কাঁধে, বুকে, তারপর কোমর ছাপিয়ে আরও কিছুদূর । বাতাসে উড়ছে একটু একটু…
আয়নার বুকে অপার্থিব জোছনায় মাখামাখি নিজের শরীরটার দিকে দীর্ঘসময় তাকিয়ে থাকে মেয়ে। সে জানে দীঘল চুলের রাশির আড়ালে কী ঢাকা পড়ে আছে। একটা ক্ষতচিহ্ন! বড় বিচিত্র, বড় অদ্ভুত, বড় রহস্যময় একটা চিহ্ন। জন্ম দাগ নয়, অথচ এই ক্ষতের সৃষ্টি হবার কোন স্মৃতিও মনে পড়ে না । কোথা থেকে আর কীভাবে উৎপত্তি এই ক্ষতচিহ্নের জানে না মেয়ে, শুধু জানে যে তাঁর শরীরেই প্রতিদিন একটু একটু করে ঘটে যাচ্ছে রহস্যময় একটা কিছু। ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে এমন এক বীভৎস ক্ষতচিহ্ন, যা অন্তত এই জীবনে আঘাত পেয়ে তৈরি হয়নি!
তবে কি অন্য কোন জীবনে? অন্য কোন সময়ে? কে ছিল তখন সে আর কী ঘটেছিল তার সাথে? সত্যি সত্যি কি থাকে মানুষের একাধিক জীবন? মানুষের একাধিক জীবন করে হয়, বিজ্ঞান তো এমন কিছুকে সমর্থন করে না! কিন্তু তাহলে মানে কী এই ক্ষতচিহ্নটার? কেন এই ক্ষত এতটা পীড়া দেয় তাঁকে? Shayatin pdf
একটা হাড়ের ওপরে, যেন ঠিক হৃৎপিণ্ড বরাবর ভুলটা কী হ্যাঁ, মেয়েটি নিশ্চিত জানে এটা কোন ক্ষতচিহ্ন, যেটাকে না জানি কত সহস্র বছর যাবত বহন করে চলেছে তার শরীর। ঢেউ খেলাে দীঘল চুলগুলো একটু সরালেই দেখা যাবে তীব্র বেদনার স্পষ্ট প্রমাণ… বাম স্তনের ঠিক নিচে, পাঁজরের কালো একটা দাগ । দেখলে মনে হয়… মনে হয় কী যেন হৃৎপিণ্ড ভেদ করে গিয়েছিল চরম নৃশংসতার সাথে।
Shayatin pdf Download link
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.