আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী pdf – অভিজিৎ রায় Alo Hate Choliyachhe Adharer Jatree pdf by Avijit Roy

আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী pdf – অভিজিৎ রায় Alo Hate Choliyachhe Adharer Jatree pdf by Avijit Roy
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী pdf – অভিজিৎ রায় Alo Hate Choliyachhe Adharer Jatree pdf by Avijit Roy

অভিজিৎ রায় এর Alo Hate Choliyachhe Adharer Jatree pdf আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী pdf পড়ুন ও আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী pdf ডাউনলোড করুন।

আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী pdf – অভিজিৎ রায় Alo Hate Choliyachhe Adharer Jatree pdf by Avijit Roy
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী pdf – অভিজিৎ রায় Alo Hate Choliyachhe Adharer Jatree pdf by Avijit Roy

Alo Hate Choliyachhe Adharer Jatree pdf নমুনাঃ

গ্যালিলিওর কথা শুরু করার আগে প্রথমে এই বিশ্বব্রহ্মান্ডের ব্যাপারে সে সময়কার জ্যোতির্বিদদের ধ্যান-ধারণাগুলো একটু ঝালিয়ে নেওয়া যাক। আসলে পৃথিবী যে গোল এবং গতিশীল, এই ধারণায় পৌঁছাতেই মানুষের সময় লেগেছে বহুদিন। প্রাচীন কালের সাহিত্য আর ধর্মগ্রন্থ গুলো পড়লে বোঝা যায়, সে সময়র মানুষেরা শুধু পৃথিবীকে শুধু সমতলই ভাবত না, ভাবত গতিহীন স্থির! ভাবত সারা আকাশ এই স্থির পৃথিবীর চারিদিকে ২৪ ঘন্টায় পাক খেয়ে চলেছে। এমনকি থেলসের (৬২৪ – ৫৩৭ খ্রী.পু) মত প্রথিতঃমশা গ্রীক বিজ্ঞানী পর্যন্ত ভাবতেন, পৃথিবী দেখতে অনেকটা সমতল চাকতির মত – জলাদির উপরে ভাসমান কর্ক খন্ড যেন! তবে মানুষ ধীরে ধীরে তার ভুল ধারণা পালটাতে পেরেছে; পেরেছে মহাকাশ নিয়ে তার অনন্ত কৌতূহল আর পর্যবেক্ষণশক্তির কারণেই।

অভিজিৎ রায় ইবুক পিডিএফ ইপাব মুবি download link

যেমন, খুব সহজেই আকাশের দিকে তাকিয়ে বুঝেছে ক্যানোপাস (Canopus) নামে উজ্জ্বল যে তারাটা আলেকজান্দ্রিয়া থেকে দৃশ্যমান, এথেনস থেকে মোটেই দেখা যায় না, দিগন্তরেখার উপরে না আসনার কারণে। আবার চন্দ্রগ্রহণের সময় মানুষ খেয়াল করে দেখেছে, চাঁদের উপরে পৃথিবীর যে ছায়া পড়ে তা গোলাকার। এভাবে বিভিন্ন ধরণের পরোক্ষ প্রমাণ পেয়ে সমতল পৃথিবীর ভুত মাথা থেকে অবশেষে সরাতে পেরেছে। তবে গ্রীক দার্শনিকরা সৌরজগতের কেন্দ্রে বসে থাকা “আপোনহীন পৃথিবীকে’ ক্যু করে তখনও নামাতে পারেনি।

আসলে মধ্যযুগের শেষ পর্যন্ত গ্রীক দার্শনিকদের গুরু অ্যারিস্টটল আর আর গ্রীক- মিশরীয় গনিতবিদ টলেমীর (যিনি দ্বিতীয় খ্রীষ্টাব্দের দিকে আলেকজান্দ্রিয়ায় বাস করতেন) ভুকেন্দ্রিক (Geocentric) মতবাদ পৃথিবীবাসীকে দৃশ্যত সম্মোহিত করে রেখেছিল। দু’ জনেই বিশ্বাস করতেন যে পৃথিবী স্থির আর অবস্থান করছে সৌরজগতের কেন্দ্রবিন্দুতে। আর এই পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত পাক খেয়ে চলেছে সুর্য, চন্দ্র আর অন্যান্য নক্ষত্ররাজি। এই মতবাদ অ্যারিস্টটলের (৩৮৪-৩২২ খ্রী.পু) পুর্নে প্লেটোও তার ছাত্রদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচার করেছিলেন। এদের সবারই ধারণা ছিল যে, সুর্য, চন্দ্র সহ সকল মহাজাগতিক বস্তু একটি বৃত্তাকার পথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করছে।

ভালোবাসা কারে কয় pdf – অভিজিৎ রায় Bhalobasa Kare Koy pdf – Avijit Roy

ধরণের ধারণা সূর্য আর চাঁদের গতিপথের ক্ষেত্রে একধরণের আপাতঃ সন্তোষজনক’ ফলাফল দিলেও গ্রহাদির ঔজ্জ্বল্য আর তাদের অধোগতি কিন্তু কোন ভাবেই ব্যাখ্যা করতে পারছিল না। প্রয়োজন পড়ল আরেকটু জটিল মডেলের। গ্রীক জ্যোতির্বিদ টলেমী ১৪০ খ্রীষ্টাব্দের দিকে ‘সর্বকালের শ্রেষ্ঠ ভু-কেন্দ্রিক মডেলের একটি নক্সা প্রণয়ন করলেন। কোপার্নিকাস রংগমঞ্চে আসার আগ পর্যন্ত টলেমীর এই ভুল মডেলটি প্রায় তের শতক ধরে অবলীলায় জন-মানসে রাজত্ব করেছে ‘সঠিক মতবাদ’ হিসেবে; কারণ সাদা চোখে পাওয়া নিত্যদিনকার ‘এভিডেনসের সাথে টলেমীর মতবাদের কোন আপাতঃ নিরোধ ছিল না।

একটু ভুল হল। কোপার্নিকাসের আগে কেউ যে এই ভু-কেন্দ্রিক মডেলে কখনও সন্দেহ পোষণ করেনি এই ধারণা কিন্তু ঠিক নয়। যেমন, গ্রীক জ্যোতির্বিদ অ্যারিস্টাকাসের কথা বলা যায়। অ্যারিস্টাকাস ( ৩১০-২৩০ খ্রী পুঃ) অভ্যস্ত সাহসের সাথে অ্যারিস্টটলের মতবাদকে অস্বীকার করে সে সময় বলেছিলেন পৃথিবী এক বছরে সুর্যের চারিদিকে ঘুরে আসে। তিনি এমনকি পৃথিবীর নিজ অক্ষের উপর আহ্নিক গতির কথাও বলেছিলেন। আকাশ-মন্ডলী আর গ্রহ-নক্ষত্রের চলাচল সম্পর্কিত বহু অনুমানই পরবর্তীতে সঠিক বলে প্রমাণিত হলেও তখনকার সময়ে তাঁর মতবাদ মোটেও জনগণের কাছে সমাদৃত হয় নি। এর কারণও ছিল। অ্যারিস্টাকাস তাঁর বক্তব্যের সপক্ষে কোন গানিতিক প্রমাণ হাজির করতে পারেন নি।

সুখী গৃহকোণ সব ভৌতিক ১লা মে ২০২৩ পিডিএফ Sukhi Grihakon May 2023 pdf

আর তা ছাড়া অ্যারিস্টটল ছিলেন সে সময়কার ‘মহানবী’। সমাজে তাঁর প্রতিপত্তি ছিল বিশাল, অনুরাগীর সংখ্যাও ছিল বিপুল। অ্যারিস্টটলের বানী সমাজে গৃহীত হত প্রায় “ঈশ্বরের বাণী হিসেবে! অ্যারিস্টটলের জনপ্রিয় মতবাদের সাথে পাল্লা দিতে না পেরে অ্যারিস্টাকাসের ‘সুর্যকেন্দ্রিক’ (Heliocentric) মতবাদ খড়-কুটোর মতই ভেসে গেল।

এই রকম আবস্থা চলছিল প্রায় চৌদ্দ শতক পর্যন্ত যখন প্রথমবারের মত টলেমীর ভু-কেন্দ্রিক মতবাদ প্রবলভাবে বাঁধার সম্মুখিন হল Mikolaj Kopernic (1473-1543) নামে এক পোলিশ যাজকের কাছ থেকে, সিনি পরবর্তী জীবনে Nicholas Copernicus নামে জনপ্রিয় হন। তাঁর পেশাগত জীবনের শুরুতেই তিনি টলেমীর ভু-কেন্দ্রিক মতবাদে সন্দেহ প্রকাশ করতে শুরু করেন এবং বুঝতে পারেন টলেমীর মডেলের অনেক সমস্যাই খুব সহজে সমাধান করা যায় যদি পৃথিবীকে সৌরজগতের কেন্দ্র থেকে সরিয়ে সুর্যকে বসানো যায়।

Alo Hate Choliyachhe Adharer Jatree pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply