ভালোবাসা কারে কয় pdf – অভিজিৎ রায় Bhalobasa Kare Koy pdf – Avijit Roy

অভিজিৎ রায় pdf পড়তে তার লেখা মানব মনের জৈববিজ্ঞানীয় ভাবনা Bhalobasa Kare Koy pdf ভালোবাসা কারে কয় pdf ডাউনলোড করুন ও Bhalobasa Kare Koy pdf পড়ুন।

ভালোবাসা কারে কয় pdf - অভিজিৎ রায় Bhalobasa Kare Koy pdf - Avijit Roy

ভালোবাসা কারে কয় pdf Bhalobasa Kare Koy pdf ভূমিকা

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ যখন তার গানে প্রশ্ন করেছিলেন, সখি, ভালবাসা কারে কয়?’ তখন কি তিনি একটি বারের জন্যও ভাবতে পেরেছিলেন, এর উত্তর লুকিয়ে আছে তার সমসাময়িক একজন শখের প্রকৃতিবিদের গবেষণার ভিতর? হ্যা, প্রেম ভালবাসা, রাগ, অভিমান, ঈর্ষা কিংবা সৌন্দর্যের অস্তিত্বের সবচেয়ে আধুনিক তত্ত্বগুলোর জন্য আমরা যার কাছে ঋণী, তিনি প্রেম-পিরীতি বা মান অভিমান নিয়ে গবেষণা করা কোন কেউকেটা দার্শনিক, মনোবিজ্ঞানী বা আর্ট কালচারের বিশাল বোদ্ধা বা পোস্টমডার্নিস্ট সমালোচক নন, তিনি ছিলেন এক নিবিড় প্রকৃতিপ্রেমিক, যিনি বিশাল আকারের পারিবারিক বাগানে ঘন্টার পর ঘণ্টা পড়ে থাকতেন- চরম আগ্রহ আর পরম বিস্ময় নিয়ে অবলোকন করতেন যত রাজ্যের ফুল, পাখি, ছোট বড় উদ্ভিদ আর পোকামাকড়, যত্ন করে পালতেন গুবরে পোকা, কেঁচো আর কবুতর তিনি চার্লস ডারউইন।

অভিজিৎ রায় ইবুক পিডিএফ ইপাব মুবি download link

বলতে দ্বিধা নেই, আধুনিক পদার্থবিজ্ঞান আর দর্শনের টুকিটাকি বিষয় আমার আগ্রহের এবং লেখালিখির কেন্দ্রবিন্দু হলেও আমি বহুদিন ধরেই চার্লস ডারউইনের বিবর্তনতত্ত্বের বিশেষ করে যৌনতার নির্বাচনের এক বিশাল অনুরাগী। এ অনুরাগ এক দিনে জন্মেনি, গড়ে উঠেছে পলে পলে একটু একটু করে। আর এ অনুরাগ কেবল আমার একার নয়, আমার মত এই জামানার বিজ্ঞান লেখকদের অনেকরই। এ প্রসঙ্গে একটি ব্যাপার মনে পড়ছে। আমার জীবনসঙ্গিনী বন্যা আহমেদ তার বহুল প্রচারিত বিবর্তনের পথ ধরে’ বইটি লেখার সময় বইয়ের একদম প্রথমেই একটি উক্তি ব্যবহার করেছিল। উক্তিটি প্রখ্যাতজীববিজ্ঞানী ও বংশগতিবিদ থিওডসিয়াস ডবঝানস্কির__

“বিবর্তনের আলোকে না দেখলে জীববিজ্ঞানের কোন কিছুরই আর অর্থ থাকে না’।

ডবঝানস্কির এ উক্তিটি মূলতঃ জীবজগতকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়েছিল। এটি নিঃসন্দেহ—বিবর্তনের আলোকে না দেখতে পারলে সত্যই জীবজগতকে বোঝা আর ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। ডবঝানস্কি এই মহামূল্যবান কথাটা বলেছিলেন তার ১৯৭৩ সালে লেখা একটি গবেষণাপত্রের শিরোনামে। ডবঝানস্কি যে কথাটা আমাদের চারপাশের জীবজগতের জন্য সঠিক বলে মনে করেছিলেন, আমি তার প্রায় চল্লিশ বছর পরে আমার এ বইটি লিখতে গিয়ে দেখছি সেটা মানব সমাজকে ব্যখ্যা করার জন্যও সমানভাবে কার্যকর। সত্যি কথা বলতে কী – মানব সমাজের বিভিন্ন প্যাটার্ণ ব্যাখ্যা করতে গেলে বিবর্তনতত্ত্বকে আর বাইরে রেখে আমাদের পক্ষে এগুনো সম্ভব নয়।

বেলা ফুরাবার আগে – আরিফ আজাদ Bela Furabar Age pdf – Arif Azad

এতোদিন ধরে সমাজবিজ্ঞানী আর মনোবিজ্ঞানীরা বিবর্তনতত্ত্বকে বাইরে রেখে মানব সমাজের নানা সামাজিক ব্যাখ্যা প্রতিব্যাখ্যা জাহির করে চলেছিলেন। তাদের ব্যাখ্যায় ডারউইনীয় বিশ্লেষণ অনুপস্থিত থাকায় সেগুলো থেকে গেছে অনেকাংশেই অসম্পূর্ণ নয়তো হয়ে উঠেছে বৈজ্ঞানিক দিক দিয়ে একেবারেই অপাংক্তেয়। সেই সমস্যাগুলোর অসম্পূর্ণ সমাধানের পূর্ণতা দিতে বিবর্তন তত্ত্ব কীভাবে অগ্রসর বিশ্লেষণ হাজির করতে পারে তার বেশ কিছু নমুনা হাজির করেছি আমার এ বইয়ে।

ডারউইনীয় বিশ্লেষণকে সমাজ ব্যাখ্যার একটি হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের ব্যাপারটা সহজে হয়তো অনেকেই মেনে নেবেন না। যদিও অন্য সকল প্রাণীকে জীবজগতের অংশ হিসেবে মানতে তাদের আপত্তি নেই, এমনকি ডারউইনীয় বিবর্তনের প্রয়োগ ছাড়া যে পিঁপড়েদের সমাজ থেকে শুরু করে শিম্পাঞ্জিদের সমাজ পর্যন্ত কোন কিছুরই ব্যাখ্যা দেয়া সম্ভব নয়—সেটিও অনেকেই মানেন, কিন্তু মানুষকে ডারউইনীয় বিশ্লেষণের বাইরে রাখতেই অনেকে পছন্দ করেন। হয়তো তারা ভাবেন, হাতি, গণ্ডার, শিম্পাঞ্জি কিংবা গরিলা- –এ সকল প্রাণীরা যতই উন্নত হোক না কেন, তারা তো আর মানুষের মতো কবিতা লিখতে পারে না, পারেনা গলা ছেড়ে গান গেতে, কিংবা পারেনা স্থাপত্যকর্ম বা কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়ে পড়াশুনা করতে, তাই মানুষ বোধ হয় অন্য প্রাণীদের থেকে একেবারে আলাদা, অনন্য।

গ্লানির্ভবতি ভারত pdf – দেবারতি মুখোপাধ্যায় Glanibhabati Bharat pdf by Debarati Mukhopadhyay

এ থেকে তারা সিদ্ধান্ত টানেন যে, ডারউইনীয় বিশ্লেষণ মানব সমাজের জন্য প্রযোজ্য নয়। আমি আমার এ বইয়ে এই ধরনের দৃষ্টিভঙ্গির দুর্বলতাগুলো তুলে ধরেছি। আমি দেখিয়েছি, অনন্য বৈশিষ্ট্য থাকাটা ডারউইনীয় বিশ্লেষণকে বাতিল করে না। আসলে খেয়াল করলে দেখা যাবে, সব প্রাণীরই কিছু না কিছু বৈশিষ্ট্য আছে, যার নিরিখে মনে হতে পারে যে তারা হয়তো অনন্য। যেমন, বাদুড়ের আল্ট্রাসনিক বা অতিশব্দ তৈরি করে শিকার ধরার এবং পথ চলার ক্ষমতা আছে, যা অনেক প্রাণীরই নেই। মৌমাছির আবার পোলারাইজড বা সমবর্তিত আলোতে দেখার বিরল ক্ষমতা আছে, যা আমাদের নেই। এধরনের অনন্য বৈশিষ্ট্য থাকার পরেও কেউ কিন্তু বলছে না যে বাদুড় বা মৌমাছিকে জীববিজ্ঞানের বাইরে রাখতে হবে। তাহলে মানুষের ক্ষেত্রেই বা অযাচিত ব্যতিক্রম হবে কেন?

Bhalobasa Kare Koy pdf সূচিঃ

প্রথম অধ্যায় বিবর্তনীয় মনোবিজ্ঞান—মনের নতুন বিজ্ঞান ১৫
দ্বিতীয় অধ্যায় ব্ল্যাঙ্ক স্লেট ৩৯
তৃতীয় অধ্যায় সংস্কৃতির ‘ভূত’ ৫৯
চতুর্থ অধ্যায় সখি, ভালোবাসা কারে কয়? ৬৭
পঞ্চম অধ্যায় নারী ও পুরুষ : দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা? ১৪৩
ষষ্ঠ অধ্যায় জীবন মানে যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা ১৭২
সপ্তম অধ্যায় বিবর্তনের দৃষ্টিতে নৈতিকতার উদ্ভব ২৩৪
অষ্টম অধ্যায় যে প্রশ্নগুলোর উত্তর মেলেনি ২৭২

Bhalobasa Kare Koy pdf download link

Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply