অদৃশ্য জলদস্যু pdf – অনিল ভৌমিক Adrisya Jaladasyu pdf – Anil Bhowmick

অদৃশ্য জলদস্যু pdf - অনিল ভৌমিক Adrisya Jaladasyu pdf - Anil Bhowmick
অদৃশ্য জলদস্যু pdf - অনিল ভৌমিক Adrisya Jaladasyu pdf - Anil Bhowmick

অনিল ভৌমিক pdf বই Adrisya Jaladasyu pdf অদৃশ্য জলদস্যু pdf ডাউনলোড করুন ও পড়ুন। অনিল ভৌমিকের ফ্রান্সিস সমগ্র পিডিএফ এর মতোই Adrisya Jaladasyu pdf সমান জনপ্রিয়।

অদৃশ্য জলদস্যু pdf - অনিল ভৌমিক Adrisya Jaladasyu pdf - Anil Bhowmick
অদৃশ্য জলদস্যু pdf – অনিল ভৌমিক Adrisya Jaladasyu pdf – Anil Bhowmick

Adrisya Jaladasyu pdf এর কথাঃ

আমার পূর্বলিখিত দু’টি উপন্যাস “সোনার ঘণ্টা” ও “হীরের পাহাড়”-এর মত বর্তমান উপন্যাসটি রচনার ক্ষেত্রেও চিত্র-কাহিনীর প্রেরণা কাজ করেছে। তবে ঘটনাস্থল, ঘটনা চরিত্র সব কিছুই আমাকে ঢেলে সাজাতে হয়েছে আগের উপন্যাস দু’টোর মতই।
বর্তমান উপন্যাসে একটি তরোয়ালের খাপের গায়ে খোদিত একটা পোর্তুগীজ ভাষার মন্ত্রের উল্লেখ আছে এভাবে-আজেভিনহো মিউ মেনিনো—ইত্যাদি। আসলে এটা মন্ত্র নয়—এটা একটা পোর্তুগীজ লোক-সংগীত। এটা আমি Rodney Gallop লিখিত “Portugal — a book of folk-ways ” থেকে নিয়েছি। কিশোর পাঠক-পাঠিকাদের কৌতূহল নিবৃত্তির জন্যে লোক-সংগীতটির বঙ্গানুবাদ দিচ্ছি—

Holly ( একরকমের গাছ )-বাছা আমার
দেখ তোমাকে আমি সংগ্রহ করতে এসেছি
যা’তে কেনাবেচার ক্ষেত্রে
এমন কি যে কাজই আমি করি না কেন
তাতে তুমি যেন সৌভাগ্য আনো ৷

উত্তর পোর্তুগালের অধিবাসীরা Holly গাছের ডাল কেটে গাছটার চারপাশে ঘুরে ঘুরে ঐ গানটা গায়। গঞ্জালো আরো দু’টো যে গান গেয়েছে সে দু’টোও উপরোক্ত পুস্তক থেকে নিয়েছি। সেই দু’টো গানের অর্থ গঞ্জালো নিজেই ব’লে দিয়েছে—আমার জন্যে অপেক্ষা করেনি। সবশেষে নিবেদন গঞ্জালোকে আমি বাঙালীর ঘরের মানুষ ক’রে তুলতে চেষ্টা করেছি। যদি সেটা পেরে থাকি তাহ’লেই “অদৃশ্য জলদস্যু” লেখা সার্থক হয়েছে মনে করবো।

পর্তুগীজ অভিযাত্রী ভাস্কো ডা গামা-র নাম সকলেরই জানা। আর একজন পর্তুগীজ নৌ-সেনাপতি রডার পরিচয়ও ইতিহাসে রয়েছে—বিশেষ ক’রে বাংলা দেশের ইতিহাসে। ডায়মণ্ডহারবারের কাছে গঙ্গাবক্ষে রডা যুদ্ধ করেছিল। এরা সব ইতিহাসপ্রসিদ্ধ ব্যক্তি। আজ যে পর্তুগীজ জলদস্যুর কাহিনী শোনাব তার নাম গঞ্জালো। কিন্তু গঞ্জালো কোন ইতিহাসপ্রসিদ্ধ চরিত্র নয়। তা ছাড়া তার কাহিনী অতীত যুগেরও নয়—এ যুগের—এ কালের।

Adrisya Jaladasyu pdf অদৃশ্য জলদস্যু pdf নমুনাঃ

পলাশগড়। ডায়মণ্ড হারবার যাওয়ার রাস্তার ধারে এই আধা শহর আধা গ্রাম। গঙ্গার ধারে পলাশগড়ের বাজার অঞ্চল বেশ জমজমাট। এদিকটাতে রয়েছে দোকানপাট, থানা, পোস্টঅফিস লোকজন গাড়িঘোড়ার আনাগোনায় জায়গাটায় প্রায় সব সময়ই ভিড়। এখন থেকে দক্ষিণমুখো আধ মাইলটাক এগোলেই পলাশ- গড় হাই স্কুল। বেশ কয়েক বিঘা জমি নিয়ে এই স্কুল। স্কুলের এলাকা উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। তার মধ্যে রয়েছে স্কুলবাড়ি, ছাত্রদের হোস্টেল, শিক্ষকদের কোয়ার্টার, ফুলের বাগান, বিরাট একটা খেলার মাঠ, দারোয়ান বেয়ারাদের পয়ার্টার। তাছাড়া রয়েছে অনেকখানি চাষের জমি। এই স্কুলের ছাত্ররাই চাষের কাজ করে। আলু, পটল, কাঁচা লঙ্কা যা কিছু হয় ছাত্রদের হোস্টেলে রান্নায় লাগে সেসব। মোটকথা ছাত্ররা যাতে স্বয়ংসম্পুর্ণ হতে পারে নানাভাবে সেই শিক্ষাই দেওয়া হয়।

মাত্র দুটো দর্শনীয় স্থান পলাশগড়ে। এক পলাশগড়ের পুবদিকের জংলা জায়গাটায় একটা খুব প্রাচীন শিবমন্দির। এখন মন্দিরটার ভগ্নদশা। বট অশত্থ আর জংলা গাছে মন্দিরের ভাঙ্গা ফাটলগুলো ঢেকে গেছে। মন্দিরের ভেতরটা এখনও ভেঙ্গে পড়েনি, সেখানে কালো পাথরের শিবলিঙ্গ রয়েছে। ভক্তরা এখনো দুধজল ঢেলে বেলপাতা দিয়ে পুজো করে । অবশ্য দিনের বেলাতেই ভক্তরা মন্দিরে যায়। পুজো সেরে সন্ধ্যের আগেই ফিরে আসে। রাত্রি বেলা কেউ ওদিকে পা বাড়ায় না। চোর ডাকাতের ভয় তো আছেই, তাছাড়া সাপের আড্ডা ওখানে।

আর একটা দর্শনীয় স্থান গঙ্গার গা ঘেঁষে দাঁড়ানো প্রাচীন দুর্গটা। লোকে বলে ওটা নাকি পর্তুগীজ জলদস্যুদের দুর্গ বা গড় । ঐ থেকে জায়গাটারও নাম হয়েছে পলাশগড়। দুর্গ টার প্রাচীর, পাথরের রাস্তা- এ সবই এখন গঙ্গাগর্ভে চলে গেছে। আছে শুধু একতলা সমান উঁচু কয়েকটা গোলমত ঘর। দূর থেকে পাথরের ঢিবির মত লাগে দেখতে। অনেক লোক এই গড়টা দেখতে আসে। গঙ্গা দিয়ে যেতেও গড়টা দেখা যায়। কিংবদন্তী চলতি আছে এই দুর্গটা নাকি মস্তবড় ছিল। হার্মাদ জলদস্যুদের আস্তানা ছিল এই দুর্গ। দুর্গের পাথুরে দেয়ালে এখনো কয়েকটা লোহার আঙটা ঝুলছে দেখা যায়। সেই আঙটাগুলোতে নাকি বাঁধা থাকতো বিরাট বিরাট জাহাজ। জলদস্থার দল রাত্রির অন্ধকারে জাহাজ ভাসাতো গঙ্গার বুকে।

একসময় নিঃশব্দে কোন গ্রামের ধারে জাহাজ গিয়ে ভিড়ত। উন্মুক্ত তরবারি হাতে জলদস্যুর দল ঝাঁপিয়ে পড়ত) ঘুমন্ত গ্রাম- গুলোর ওপর। গ্রামের মানুষের ঘুম ভেঙে যেত জল স্থাদের বিজাতীয় চিৎকারে। দরজা খুলে পালাবার জানা উঠোনে পা দিয়েই দেখত ইয়া দশাসই চেহারার হার্মাদখোলা তলোয়ার হাতে দাঁড়িয়ে আছে উঠোনে। পালানো অসম্ভব। কেউ তাদের বাধা দেবার কথা ভাবতেও পারতো না। যে বাধা দিতে যেত তারই মুণ্ডু কাটা পড়ত। জলদস্যুরা কখনো কখনো ঘরবাড়িতে আগুন দিত। আবার কখনো কখনো শুধু লুঠপাট করে চলে যেত। যে কাজটা তারা সবাই করত সেটা হল ক্রীতদাস সংগ্রহ করা । গ্রামের মানুষদের ধরে জাহাজে নিয়ে তুলতো।

Adrisya Jaladasyu pdf download link

Download link / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply