ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চার pdf – অনিল ভৌমিক Voyongkor Adventure pdf – Anil Bhowmick

ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চার pdf - অনিল ভৌমিক Voyongkor Adventure pdf - Anil Bhowmick
ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চার pdf - অনিল ভৌমিক Voyongkor Adventure pdf - Anil Bhowmick

অনিল ভৌমিক হরর থ্রিলার সম্পাদনা Voyongkor Adventure pdf ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চার pdf ডাউনলোড করুন বা Voyongkor Adventure pdf ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চার pdf পড়ুন।

ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চার pdf - অনিল ভৌমিক Voyongkor Adventure pdf - Anil Bhowmick
ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চার pdf – অনিল ভৌমিক Voyongkor Adventure pdf – Anil Bhowmick

Voyongkor Adventure pdf ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চার pdf নিবেদন

ছোটবড় সকলের কাছেই অ্যাডভেঞ্চারধর্মী কাহিনীর আবেদন সমান। অন্য অনেক কাহিনী ভুলে গেলেও অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী কিন্তু আমাদের স্মৃতিতে বেঁচে থাকে দীর্ঘকাল। আসলে সকলের মধ্যেই কমবেশি অ্যাডভেঞ্চার-প্রিয় একটা মন বেঁচে থাকে। অ্যাডভেঞ্চার কাহিনী তার প্রেক্ষাপট কাহিনীর নায়ক অন্য চরিত্র— সব মিলিয়ে মিশিয়ে এমন একটা চিরকালীন ভালো- লাগার ছাপ মনে ফেলে যায় যা আমরা কোনদিন ভুলতে পারি না। সেইদিকে তাকিয়েই বর্তমান অ্যাডভেঞ্চার কাহিনীর সংকলন।

সোনালী শিশির pdf – রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ Shonali Shishir pdf – Rudra Mohammad Shahidullah

অনিল ভৌমিক Voyongkor Adventure pdf ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চার pdf সূচীপত্র

গল্পের নাম
১। ইতিহাসের কয়েকজন দুঃসাহসী ছেলে-মেয়ে
(ক) সবচেয়ে দুঃসাহসী ছেলে
(খ) বিদ্রোহী পিতার বিদ্রোহী পুত্র
(গ) কিশোরী মেয়ের অমর কীর্তি
(ঘ) প্রথম মেয়ে যে আকাশে উঠেছিল
(ঙ) এক ঐতিহাসিক হত্যার বিচিত্র অপরাধী রবিদাস সাহারায়
২। আইফেল টাওয়ারের সেই দুঃসাহসী তরুণটিবীরু চট্টোপাধ্যায়
৩। কোরিয়ার বীর বালকনিখিল সেন
৪। মৃত্যুহীন প্রাণরাহুল মজুমদার
৫। হাঙরের মুখ থেকেধ্রুবজ্যোতি রায়চৌধুরী
৬। হারমাদরবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়
৭। দেশপ্রেমিক দুঃসাহসিক জলদস্যুকুমার মিত্র
৮। মরণের কবল হতে সোনার খনিতেসত্যব্রত ভঞ্জচৌধুরী
৯। দুঃস্বপ্নের দিনগুলি
(ক) ভয়ঙ্কর সাতান্নটা দিন
(খ) হীরকদ্যুতি
(গ) আতঙ্কের বিকেল তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়
১০। বাহাদুর বাঙালীবৈদ্যনাথ ভট্টাচার্য

১১। বেদগাঁওয়ের সেই যুদ্ধস্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়
১২। নেপোলিয়নের বিখ্যাত গুপ্তচরবিশু মুখোপাধ্যায়
১৩। শ্রীলঙ্কার বিমানদস্যু জয়তিলকপৃথ্বীরাজ সেন
১৪। মৃত্যুর মুখোমুখিত্রিদিব কুমার চট্টোপাধ্যায়
১৫। লণ্ডনে জালিয়ানওয়ালাবাগসুধীরঞ্জন মুখোপাধ্যায়
১৬। নীল সায়রে লড়াইভৈরব প্রসাদ হালদার
১৭। বাঁশের কেল্লাবীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্র
১৮। হাত-পা না থাকলেওপূরবী দেবী
১৯। আজব এক দুঃসাহসিক কাহিনীবিশু মুখোপাধ্যায়
২০। বল যার সাহস তারসনৎকুমার ঘোষ

Voyongkor Adventure pdf ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চার pdf নমুনাঃ

যুদ্ধ শুরু হয়ে গেল আমেরিকার সঙ্গে স্পেনের ১৮৯৮ সালের এপ্রিল মাসে। শক্তিতে আমেরিকা দুর্বল নয়। তবু কিছুদিন যুদ্ধ চলার পরই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন খুবই ভাবনায় পড়ে গেলেন। কিউবার স্পেনীয় বিদ্রোহী নেতা গার্সিয়া এখনো কোন পক্ষেই যোগ দেন নি। তিনি যে পক্ষে যোগ দেবেন সে দেশেরই পাল্লা ভারী হবে।

উড্রো উইলসন একটা জরুরী গোপনীয় চিঠি লিখলেন গার্সিয়ার নামে। সেই চিঠি পড়লে নিশ্চয়ই গার্সিয়ার মন নরম হবে, হয়তো ঝুঁকে পড়বে আমেরিকার দিকে।

চিঠি তো লিখলেন, এখন পাঠাবেন কি ভাবে?

গার্সিয়া কোথায় আছেন কেউ সঠিক জানে না। মাঝে মাঝে তাঁর সৈন্যরা রাত্রিবেলায় অতর্কিতে দেখা দেয়, আবার কোথায় অদৃশ্য হয়ে যায় কেউ বলতে পারে না। যতদূর খবর পাওয়া গিয়েছিল তাতে জানা যায়, কিউবা শহর থেকে বহুদূরে পর্বতের ওপর এক গভীর জঙ্গলের ভেতর গার্সিয়া থাকেন। সেখানে ডাক বিভাগের কোন লোক কোনদিন চিঠি বিলি করতে যায় নি।

আমি আর ফেলুদা pdf – সন্দীপ রায় Ami Ar Feluda pdf – Sondhip Roy

এখন সমস্যা হল নিউইয়র্ক থেকে সেই অজানা জায়গায় গিয়ে গার্সিয়াকে খুঁজে বার করে কে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের গোপন চিঠি দেবে? এমন দুঃসাহসী মানুষ কে আছে?

দিনের পর দিন যায়, উইলসনের মন হতাশায় ভরে ওঠে। অনেক চেষ্টা করেও গার্সিয়ার কোন সঠিক খবর পাওয়া যাচ্ছে না। কে যাবে সাহস করে সেই পাহাড়ের ঘন অরণ্যে? সেজন্য প্রচুর পুরস্কার দিতেও তিনি রাজী।

এমন সময় এক সেনানায়ক এসে প্রেসিডেন্টকে গোপনে খবর দিলেন, একজন সাহসী লোকের খবর পাওয়া গেছে।

উইলসন জিজ্ঞেস করলেন, কে সেই লোক?

সেনানায়ক জবাব দিলেন,—আমাদের এক প্রাক্তন সেনাধ্যক্ষের ছেলে। —তাকে সত্বর আমার কাছে নিয়ে এসো।

নিয়ে আসা হল ছেলেটিকে। স্বাস্থ্যোজ্জ্বল প্রতিভাদীপ্ত চেহারার এক কিশোর যুবক। নাম, রোয়েন।

তার দিকে তাকিয়ে উল্লসিত উইলসন জিজ্ঞেস করলেন, — তুমি সব কিছু শুনেছ তো? পারবে এই কাজ করতে?

রোয়েন ধীর স্থির ভাবে জবাব দিল, —নিশ্চয়ই পারব।

–এ কাজে খুব বিপদ, তা তুমি জান?

– হ্যাঁ জানি।

—এই কাজের বিনিময়ে তুমি কি পুরস্কার চাও ?

—পুরস্কার কিছুই চাই না। তবে আমাকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আর কিছু সাজ পোশাক দিতে হবে। দিতে হবে নৌকো ভাড়া করার টাকা।

—বেশ, তা সবই দেওয়া হবে তোমাকে। কিন্তু কি স্বার্থে তুমি এই দুঃসাহসের কাজ করতে চাইছ?

—দেশের স্বার্থে। আমাদের মহামান্য রাষ্ট্রপতির দুশ্চিন্তার কারণও আমি বুঝতে পেরেছি।

প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন খুব খুশি হলেন। বুঝলেন, এই কিশোর ছেলেটিই হয়তো পারবে। তিনি মূল্যবান গোপন চিঠিটি দিলেন রোয়েনের হাতে। বললেন,—এই চিঠি অন্য লোকের হাতে যেন না পড়ে। তা হলে ভয়ানক ক্ষতি হবে। তোমার প্রাণ তো যাবেই, দেশেরও সর্বনাশ হবে।

রোয়েন বলল,—দেহে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমি এ চিঠি অন্যের হাতে দেবো না। কেউ ছিনিয়েও নিতে পারবে না।

উইলসন বললেন, – বেশ। তুমি বিশ্রাম কক্ষে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো। অন্য সব প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই তোমাকে দিয়ে দেওয়া হবে।

রোয়েন বিশ্রাম কক্ষে চলে গেল। কোমরের বেল্টের ভেতর একটা গোপন পকেটে লুকিয়ে রাখল মূল্যবান চিঠিটা।

কিছুক্ষণের মধ্যেই তার প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এসে গেল। নিজের একটা ডায়েরীও সে সঙ্গে করে এনেছিল। সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে পিঠে-ঝোলানো ব্যাগে ভরে রোয়েন বিদায় নিয়ে চলে গেল সেখান থেকে।

চারদিন পর দেখা গেল এক অন্ধকার রাত্রিতে কিউবার ধার দিয়ে সরু পাহাড়ী নদীর বুকে একটা ছোট ডিঙি নৌকা ভেসে চলেছে। নৌকোয় কোন ছাউনি নেই। এক পাহাড়ের গায়ে নৌকাটা রেখে এক তরুণ যুবক পাহাড়টার গা বেয়ে ওপরে উঠে গেল। সেই তরুণ আর কেউ নয়, রোয়েন।

কিন্তু তারপর তিন সপ্তাহ চলে গেল, রোয়েনের আর কোন খবর পাওয়া গেল না।

হঠাৎ একদিন রাত্রির অন্ধকারে এক তরুণকে দেখা গেল নদীর বুকে। কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য মাত্র। ডিঙি নৌকো নদীর ঢেউয়ের বুকে দুলতে দুলতে কোথায় চলে গেল।

তারপর রোয়েনের আর কোন খবর পাওয়া যায়নি। আর কোনদিন ফিরেও আসেনি রোয়েন। কিন্তু অনেকদিন পরে তার নাম লেখা ডায়েরীটা পাওয়া গিয়েছিল। তাতে লেখা :

২৩ এপ্রিল ১৮৯৮। সকাল দশটার সময় একজন ইংরেজ শিকারীর বেশ ধারণ করলাম। জামাইকা পার হলাম। তার পরের দিন রাত একটার সময় এসে পৌঁছলাম সেন্ট এ্যানির উপসাগরে। একটি ছোট নৌকা নিলাম। ভোর বেলা ক্যারিবান সাগরে এসে পৌঁছলাম। সেখান থেকে কিউবার উপকূলে এলাম রাত প্রায় এগারোটার সময়। সেখানে আমাকে ভোরের জন্য অপেক্ষা করতে হল। একটু সূর্যের আলো দেখা দিতেই বনের মধ্যে ঢুকে পড়লাম।

১মে। দুপুর বেলা বিদ্রোহীদের ঘটিতে এসে পৌঁছলাম। বিদ্রোহী নেতা গার্সিয়ার সঙ্গে দেখা হল। চিঠি দিলাম। গার্সিয়া আমার সঙ্গে একটি লোক দিলেন। ফেরবার পথ সে-ই দেখিয়ে দিল।

৫মে। নতুন পথ দিয়ে সূর্যাস্তের পর আবার সমুদ্রের ধারে এলাম। সামনেই স্পেনীয়দের দূর্গ। সারি সারি কামান পাতা। তারই মধ্য দিয়ে রাত্রি বেলা অন্ধকারে পেরিয়ে এলাম বিস্তীর্ণ জলরাশি। যখন ভোর হল তখন কিউবার তীর আর দেখা যায় না।

অনিল ভৌমিক হরর থ্রিলার সম্পাদনা Voyongkor Adventure pdf ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চার pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে বা Voyongkor Adventure pdf ভয়ঙ্কর অ্যাডভেঞ্চার pdf পড়ুন এখান থেকে

Be the first to comment

Leave a Reply