উত্তরের বারান্দা pdf – অভিরূপ সরকার Uttarer Baranda pdf by Abhirup Bandyopadhyay

উত্তরের বারান্দা pdf - অভিরূপ সরকার Uttarer Baranda pdf by Abhirup Bandyopadhyay
উত্তরের বারান্দা pdf - অভিরূপ সরকার Uttarer Baranda pdf by Abhirup Bandyopadhyay

অভিরূপ সরকার এর উপন্যাস Uttarer Baranda pdf উত্তরের বারান্দা pdf পড়ুন ও Uttarer Baranda pdf ডাউনলোড করুন।

উত্তরের বারান্দা pdf - অভিরূপ সরকার Uttarer Baranda pdf by Abhirup Bandyopadhyay
উত্তরের বারান্দা pdf – অভিরূপ সরকার Uttarer Baranda pdf by Abhirup Bandyopadhyay

Uttarer Baranda pdf উত্তরের বারান্দা pdf নমুনাঃ

কৃষ্ণেন্দু বলে আদিত্যর এক বন্ধু এমএসসি পাশ করার পরে কিছুদিন শ্যামসুন্দর কলেজে পড়িয়েছিল। শ্যামসুন্দর নামটা তার কাছেই প্রথম শোনা। শ্যামসুন্দরে কৃষ্ণেন্দু একা একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত। আদিত্যকে বারবার আসতে বলত। যাব যাব করে আদিত্যর যাওয়া হয়নি। বহুদিন হল কৃষ্ণেন্দু অধ্যাপনা ছেড়ে ব্যাঙ্কে চাকরি করছে। আদিত্যর সঙ্গে তেমন যোগাযোগও আর নেই। আজ শ্যামসুন্দরের পথে যেতে যেতে কৃষ্ণেন্দুর কথা মনে পড়ে গেল।

চন্দ্রলেখা অন্তর্ধান রহস্য – অভিরূপ সরকার Chandralekha Antardhan Rahashya pdf

সকাল দশটা দশের হাওড়া-শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস কোথাও না থেমে এগারোটা কুড়ির মধ্যে বর্ধমান পৌঁছে দেবে। সেখান থেকে শ্যামসুন্দরের দূরত্ব আঠারো কিলোমিটার। একটা গাড়ি ভাড়া করে নিলে আধঘণ্টা কি বড়জোর পঁয়তাল্লিশ মিনিটে শ্যামসুন্দর। চেষ্টা করলে লালবাজার থেকে হয়তো একটা গাড়ি পাওয়া যেত। কিন্তু আদিত্য ভেবে দেখল ট্রেন ধরলে অনেক আরামে যাওয়া যাবে। গৌরাঙ্গ একমত।

আদিত্য এখন ট্রেনের জানলায়। একা। সবুজের স্বরগ্রাম পৌষ মাসের রোদ্দুরে ঝলমল করছে। কত রকমের সবুজ। কোথাও কচুরিপানার হালকা সবুজ, কোথাও বনস্পতির কালচে সবুজ, কোথাও কলাগাছে কচি কলাপাতা। কখনও কখনও আবার মাইলের পর মাইল কোনও সবুজ নেই। ধান কেটে নেওয়া মাঠে হলুদ খড়, স্তূপাকার সোনালি ধান, দিঘির জলে নির্মেঘ নীল আকাশের ছায়া। লাল-ডুরে শাড়ি পরা বউ স্বামীর সঙ্গে আলপথ ধরে হেঁটে যাচ্ছে। এতরকম রং প্রকৃতির সৃষ্টিকর্তা ঢেলে দিয়েছেন, জানলার ফ্রেমে সেসব দেখতে দেখতে আদিত্য তন্ময় হয়ে পড়েছিল।

অন্তর্গত খেলা pdf – অতীন বন্দ্যোপাধ্যায় Antargata Khela pdf – Atin Bandyopadhyay

পাশে বসে গৌরাঙ্গ অনেকক্ষণ নাক ডাকাচ্ছে। গৌতম ওর জন্যে পুলিস কোয়ার্টারে একটা সাময়িক থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। কিন্তু মনে হয় নতুন জায়গায় গৌরাঙ্গ এখনও ধাতস্থ হতে পারেনি। তাই রাত্তিরে ভালো ঘুম হচ্ছে না ৷

ঠিক এগারোটা আঠারোয় বর্ধমান পৌঁছে গেল শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস। স্টেশন চত্বর থেকে দরদাম করে একটা গাড়ি ভাড়া করতে আরও মিনিট কুড়ি লেগে গেল।

‘সকালে তেমন কিছু খেয়ে বেরতে পারিনি, আদিত্যদা। একটু কিছু খেয়ে নিলে হতো না?’ গাড়িতে উঠে গৌরাঙ্গ কিঞ্চিৎ কুণ্ঠিতভাবে বলল।

 ‘আপনারা শ্যামসুন্দর যাবেন তো? পথে দামোদরের ব্রিজ পড়বে। ব্রিজে ওঠার ঠিক আগে একটা কচুরির দোকান আছে। ওখানে খেয়ে নেবেন। দেখবেন কত লোক গাড়ি দাঁড় করিয়ে খাচ্ছে।’শকটচালক জানাল।

অভিরূপ সরকার pdf ডাউনলোড লিংক Abhirup Sarkar pdf download link

দামোদরে জল নেই। বালি ধুধু করছে। অনেকেই হেঁটে পার হয়ে যাচ্ছে, নদীর ওপর একজায়গায় ছেলেরা ক্রিকেট খেলছে। ড্রাইভার বলল, ‘এই নদী যদি বর্ষাকালে দেখতেন, ভয় পেয়ে যেতেন।’

কচুরিগুলো হাতে গরম। হিঙের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সঙ্গী আলুর তরকারি অতি সুস্বাদু। কচুরির পর রাজভোগ। অমন পেল্লায় রাজভোগ আদিত্য আগে খেয়েছে বলে মনে করতে পারল না। সলিড ছানা। কলকাতায় যেমন স্পঞ্জ রাজভোগ পাওয়া যায়, তেমন নয়। গৌরাঙ্গ মহাখুশি। গাড়িতে উঠে গুনগুন করে কী যেন একটা সুর ভাঁজতে লাগল, আদিত্য ঠিক ধরতে পারল না। গাড়ি যখন অনিল দাসের দোকানের সামনে থামল তখন একটা বাজতে সামান্য বাকি।

দোকানের নাম মহামায়া স্টোর্স। সাইন বোর্ডে দোকানের নামের নীচে লেখা এখানে পেরেক, স্ক্রু, হাতুড়ি, ছেনি, বেলচা, কোদাল, আলকাতরা, তারপিন তেল, সিরিশ কাগজ ইত্যাদি যাবতীয় লোহার জিনিস পাওয়া যায়।

বিজ্ঞাপিত সব ক’টি জিনিসই লৌহনির্মিত কি না এই সংশয় মনে নিয়ে দোকানের ভিতর ঢুকতেই এক লম্বা-চওড়া ব্যক্তির মুখোমুখি হল আদিত্য।

চক্র pdf – শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় Chokro pdf – Shirshendu Mukhopadhyay

‘আপনারাই কি ফোন করেছিলেন? কলকাতা পুলিস?’ লোকটা স্মিত হাসল। ‘আমিই অনিল দাস।’ লোকটাকে দেখে মনে হল আদিত্যদের জন্য অপেক্ষা করছিল।

‘হ্যাঁ, আমরা কলকাতা পুলিস। আপনার ভাই অমিত দাসের খুনের তদন্ত করছি। আপনাকে দু’-একটা প্রশ্ন করব।’ ‘ঠিক আছে। আসুন।’ দোকানের শেষ প্রান্তে একটা গদি। কুলুঙ্গিতে গণেশ। রাম-সীতা হনুমান। লোকটা আদিত্যদের নিয়ে সেখানে বসাল। নিজে আদিত্যদের মখোমুখি বসল। দূরবর্তী কারও উদ্দেশে হাত নেড়ে বলল, ‘দুটো চা।’ তারপর আদিত্যদের দিকে ফিরে বলল, ‘বলুন কী জানতে চান।’

‘আপনার ভাই অমিত আপনার থেকে কত ছোট ছিল?’ আদিত্য শুরু করল।

‘অমিত, ওর ডাকনাম বুবু, আমার থেকে প্রায় দশ বছরের ছোট ছিল।’

‘কেমন সম্পর্ক ছিল আপনার সঙ্গে?’

‘সম্পর্ক? বলতে পারেন আমিই ওকে বড় করেছিলাম। বাবা তো সারাদিন মাঠের কাজে ব্যস্ত থাকত। মা অবশ্য বাড়িতেই থাকত। কিন্তু আমিই ছিলাম ওর সঙ্গী। গাছে উঠে আম পাড়া, পুকুরে সাঁতার, সারা দুপুর বিলের ধারে বসে মাছ ধরা, সব ব্যাপারে বুবু আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকত। আমার খুব নেওটা ছিল বুবু।’ অনিল দাসের গলাটা ভিজে ভিজে। দৃষ্টিটা অনেক দূরের কোনও অতীতে।

‘আপনার ভাই কলকাতা চলে যাওয়ার পরও কি আপনার সঙ্গে অতটা ঘনিষ্ঠতা ছিল?’

Uttarer Baranda pdf download link

Download link / Read online

Be the first to comment

Leave a Reply