রাজধানী এক্সপ্রেসের হত্যারহস্য pdf – সমরেশ বসু Rajdhani Expresse Hatya Rahassa pdf – Samaresh Basu

রাজধানী এক্সপ্রেসের হত্যারহস্য pdf - সমরেশ বসু Rajdhani Expresse Hatya Rahassa pdf - Samaresh Basu

সমরেশ বসুর গোগোল সমগ্র ১ Gogol Samagra Vol. 1 এ অন্তর্ভূক্ত উপন্যাস রাজধানী এক্সপ্রেসের হত্যারহস্য Rajdhani Expresse Hatya Rahassa pdf বেশ জনপ্রিয় এক উপন্যাস। Rajdhani Expresse Hatya Rahassa pdf রাজধানী এক্সপ্রেসের হত্যারহস্য pdf ডাউনলোড করুন।

রাজধানী এক্সপ্রেসের হত্যারহস্য pdf - সমরেশ বসু Rajdhani Expresse Hatya Rahassa pdf - Samaresh Basu

রাজধানী এক্সপ্রেসের হত্যারহস্য Rajdhani Expresse Hatya Rahassa pdf নমুনাঃ

গোগোল দুটো চেয়ারকার কামরা পেরিয়ে ফার্স্ট ক্লাসের করিডরে এল। দেখা গেল সব বগিতেই প্রায় খাওয়া- পর্ব শেষ ও অশোক ঠাকুরের কামরার সামনে এসে দেখল, দরজাটা বন্ধ চোখ তুলে দেখে নিল, ‘c’ মার্ক আছে কি না দরজার মাথায় আছে দেখে ও দরজায় হাত দিয়ে ঠকঠক শব্দ করল। ভাবল অশোকদা কি খেয়ে শুয়ে পড়েছেন!
দরজাটা একপাশে সরে গেল। সামনে দাঁড়িয়ে অচেনা এক ভদ্রলোক। অশোকদার থেকে বয়স কিছু বেশি, ফর্সা দোহার চেহারা। গায়ে সাদা ট্রাউজারের ওপরে সাদার ওপরে ডোরাকাটা শার্ট। মাথায় ছোটখাটো টাক। গোগোলকে অবাক হয়ে ইংরেজিতে জিজ্ঞেস করলেন, “কী চাই?”

গোগোল জবাব দেবার আগে দেখে নিল, ভিতরে আলে জ্বলছে। অশোকদারই বয়সি প্রায় একজন, সাদা লঙ্গি অ পাঞ্জাবি পরে, নীচের সীটে এক পাশে বসে আপন মনে ঐ পড়ছে। রোগা লম্বা কিন্তু বেশ শক্ত চেহারার লোকটি অশোকদার থেকে কালো। মাথার চুলও ছোট করে কাটা। গোঁফ- দাড়ি কিছুই নেই। গোগোল দরজার সামনে ভদ্রলোকৰে ইংরেজিতেই জিজ্ঞেস করল, “এ কামরার আর একজন যাতে কোথায় গেলেন?” Rajdhani Expresse Hatya Rahassa pdf

ভদ্রলোক অবাক চোখে তাকিয়ে ভুর, কুচকে ভিতরে আঙুল দেখিয়ে বললেন, “তোমার সামনেই আর একজন যাত্রী বসে আছেন, দেখতে পাচ্ছ। তুমি কি ওকে খুঁজছ?’
গোগোল ভিতরে একট, মুখে বাড়িয়ে যাত্রীটিকে দেখল। সে নিজের মনে বই পড়েই যাচ্ছে, এদিকে ফিরেও তাকাচ্ছে না বোধহয় ইংরেজি জানে না। কিন্তু আশ্চর্য ব্যাপার। অশোকদা কোথায় গেল? সে তো এ কামরাতেই ছিল, আর গোগোলকে খাবার পরে এখানেই একবার আসতে বলেছিল! ও আবার দরজার মাথায় ‘c’ অক্ষরটা দেখল। মুখে সরিয়ে নিয়ে এসে মাথা নেড়ে বলল, “না, আমি ওই ভদ্রলোককে চিনি নে।”

দরজার সামনের ভদ্রলোক জিজ্ঞেস করলেন, “তা হলে তুমি কোন ভদ্রলোককে খাজেছ? তাঁর নাম কী ?” Rajdhani Expresse Hatya Rahassa pdf
গোগোল প্রায় বলে ফেলতে যাচ্ছিল, আমি যাকে খুজেছি তার নাম মিঃ অশোক ঠাকুর। ও মনে মনে জিভ কেটে ভাবল, এখনই কী সর্বনাশ করতে যাচ্ছিল। কারণ অশোকদা ছদ্মবেশে রয়েছে। তার নাম কোনরকমেই উচ্চারণ করা উচিত না। চোখের সামনে বড়মামার বড় ছেলে পেদোর কথা মনে পড়ে গেল, আর তার ভাল নামটাও। ও বলল, “আমি যাকে খুজছি তার নাম ডক্টর বিমল ব্যানার্জি’।” Rajdhani Expresse Hatya Rahassa pdf

ক্লাস আর দুটো চেয়ার- নিজেদের কামরায় এসে একেবারে দৌড় লাগাল। দুটো ফার্স্ট কার বগি পেরিয়ে, ছটতে ছটতে পড়ল। কোনো দিকে না তাকিয়ে সোজা মায়ের পাশে, জানালার ধারে বসে হাঁপাতে লাগল। আর প্যান্টের পকেটের ওপরে হাত দিয়ে টের পেল, একটা সিগারেটের প্যাকেটের মতো চৌকো কী যেন রয়েছে। কিন্তু সিগারেটের প্যাকেটের থেকে জিনিসটা ভারী আর শক্ত। ভাগ্যিস, এয়ার কনডিশনড গাড়িতে সারা রাত থাকতে হবে বলে মা ওকে ট্রাউজার পরিয়ে দিয়েছেন। পকেটটা বড় আছে। বাইরে থেকে কিছুই বোঝা যায় না।

মা অবাক হয়ে গোগোলের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, “এ কী, তুমি এভাবে ছটতে ছটতে কোথা থেকে এলে?” গোগোল প্রথমেই বলল, “অশোকদাকে দেখতে পেলাম না।” মা’র ভুর, কুচকে উঠল, “দেখতে পেলে না মানে? উনি চলন্ত গাড়ি থেকে কোথায় যাচ্ছেন ? নিশ্চয় বাথরম-টমে গেছেন ?” Rajdhani Expresse Hatya Rahassa pdf

অন্তর্ধানের ফার্স্ট ক্লাসে কেবল, সেই গোগোল মাথা নেড়ে সবিস্তারে অশোকদার কথা বলল, এমন কী ও যে আরও দুটো অশোকদাকে খাজতে গিয়েছিল, তাও বলল । খননের ঘটনাটা, আর ওর পকেটের জিনিসটার কথা বলতে সাহস পেল না। তা হলে, মা ওকে একেবারেই সাঁট ছেড়ে নড়তে দেবেন না। মা বললেন, “অশোকবাব, হয়তো কোনো কামরার মধ্যে তাঁর বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে গল্প করছেন, তাই তুমি দেখতে পাওনি। কিন্তু তোমার ছুটে আসা দেখে মনে হচ্ছে, তুমি যেন ভয়টয় পেয়েছ? কিছ, ঘটেছে নাকি ?”
গোগোল মায়ের চোখের দিকে তাকাতে সাহস পেল না, বলল, “না, কিছ, ঘটেনি। তবে আমি কী ভাবছি জানো মা? অশোকদা ছদ্মবেশে রয়েছেন, সেই অবস্থায় নিজের কামরা ছেড়ে কোথায় যেতে পারেন? আর ওই টাকমাথা মোটা গোছের লোকটাকে আমার একটাও ভাল লাগেনি।”

মা বিরক্ত হয়ে বললেন, “তাই তুমি একেবারে এভাবে ছড়তে ছাইতে এলে। সব বিষয়েই তোমার বাড়াবাড়ি। অশোকবাব, তাঁর নিজের কথা যথেষ্ট ভাবতে পারেন। তোমাকে এত ভাবতে হবে না। দেখছ, কামরার কয়েকটা আলো এর মধ্যেই নিভিয়ে দেওয়া হয়েছে, সবাই ঘুমোবার তাল করছে। তুমি ও-সব ভাবনা ছেড়ে এবার ঘুমোও। কাল সকালে অশোকদার সঙ্গে দেখা করার সময় পাবে।”
গোগোল আর কথা না বাড়িয়ে, লক্ষী ছেলের মতো মাথাটা পিছন দিকে এলিয়ে দিল। আসলে কথা বাড়াবার কোনো উপায় ছিল না। কথা বলতে গেলে, কী বলে ফেলবে, তার ঠিক নেই। মাঝখান থেকে মা অস্থির হয়ে পড়বেন। অবশ্য গোগোলও মনে মনে খুবই অস্থির আর চঞ্চল হয়ে উঠেছে। ওর চোখের সামনে, রিভলবার হাতে সেই লোকটার চেহারা ভেসে উঠল। লোকটা যেন তৈরি হয়েই ছিল, যেন জানত, সামনে থেকে কেউ আসবে।

রাজধানী এক্সপ্রেসের হত্যারহস্য Rajdhani Expresse Hatya Rahassa pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply