রক্ষাকবচ pdf – মনীষ মুখোপাধ্যায় Rokkhakoboch pdf – Manish Mukhopadhyay

রক্ষাকবচ pdf - মনীষ মুখোপাধ্যায় Rokkhakoboch pdf - Manish Mukhopadhyay
রক্ষাকবচ pdf - মনীষ মুখোপাধ্যায় Rokkhakoboch pdf - Manish Mukhopadhyay

মনীষ মুখোপাধ্যায় এর Rokkhakoboch pdf রক্ষাকবচ pdf ডাউনলোড করুন ও Rokkhakoboch pdf রক্ষাকবচ pdf পড়ুন।

রক্ষাকবচ pdf - মনীষ মুখোপাধ্যায় Rokkhakoboch pdf - Manish Mukhopadhyay
রক্ষাকবচ pdf – মনীষ মুখোপাধ্যায় Rokkhakoboch pdf – Manish Mukhopadhyay

Rokkhakoboch pdf রক্ষাকবচ pdf সূচি

অভিশাপ
পিশাচ
রাতপরী
রক্ষাকবচ

Rokkhakoboch pdf রক্ষাকবচ pdf ভূমিকা
সাধক রামপ্রসাদ সেন গেয়েছিলেন, “ডুব দে এ রে মন কালী বলে।” কালী বলে দিয়েই দিলাম সাহিত্যসাগরে ডুব। সাঁতার জানা নেই, তাই বাঁচব না মরব তাও জানি না। তবে যেটা আঁকড়ে ধরলাম তা আমার জীবনের অনেকটা জায়গা জুড়ে রয়েছে। তা হল তন্ত্র আর অতিপ্রাকৃত বিষয়ের প্রতি আগ্রহ।

Ekhane Ojon Mapa Hoy pdf : Sumonto Aslam এখানে ওজন মাপা হয় pdf : সুমন্ত আসলাম

এই গল্প সংকলনটিতে আছে চারটি গল্প, যে গল্পগুলি আমি তন্ত্র ও অতিপ্রাকৃত বিষয়ের ওপর অনেকটা অনুপ্রাণিত হয়েই লিখেছি। আমি তান্ত্রিক নই এবং কোনো কালেই তান্ত্রিক হওয়ার বাসনাও মনের মধ্যে পোষণ করি না। তবে তন্ত্রকে জানার চরম একটা অভিলাষ নিয়ে বেঁচে আছি। তন্ত্র আমায় কেবলই হাতছানি দেয়। সে আগম হোক বা নিগম, অথবা নির্বাণ হোক বা ক্রিয়োডিস এমনকী প্রাচীন বৌদ্ধ তন্ত্রকেও জানার ইচ্ছে হয়। এই জানার ইচ্ছে নিয়ে খুব বেশি দূর এগোতে পারি না।

কারণ তন্ত্র সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অবগত না হয়ে ওই পথে হাঁটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। দুহাজার পনেরোর মাঝামাঝি একটি বই আমার হাতে আসে, নাম ‘তন্ত্রোক্ত বৃহৎ ক্রিয়াকাণ্ড বারিধি’, কিন্তু এ বই আমার তন্ত্র পিপাসাকে বিন্দুমাত্র দমন করতে পারল না। সেই বছরই ভ্রাতৃদ্বিতীয়ার এক শুভ মুহূর্তে আমার কাকা শ্রী শম্ভুনাথ মুখোপাধ্যায়ের কাছে কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশের ‘বৃহৎ তন্ত্রসার’-এর কথা জানতে পারি।

এবং বেশ কিছুদিনের মধ্যেই পড়ে ফেলি সে বই। তন্ত্রের মার্গদর্শন থেকে শুরু করে উপাচার নিয়ে নানা দিশার কথা বলা আছে সে বইতে এবং তন্ত্র পিপাসুদের কাছে এই বই গীতার সমান এবং তন্ত্র একটি গুরুমুখী বিদ্যা, গুরুর আদেশ ছাড়া কার্য সফল হওয়া সম্ভব নয় এমন বিষয় এই বইতে অনেকবার উল্লেখ করা হয়েছে। এই বই পড়া ছাড়াও আমি আমার তন্ত্র অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে বহু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার কথা অনেকের মুখেই শুনেছি। তন্ত্রক্রিয়ার শাস্তিস্বস্ত্যয়ন বাদে অন্যান্য ক্রিয়ার ফল যে কতটা মারাত্মক হতে পারে বহু লোকমুখে শোনা কাহিনিতে তার আভাস পেয়েছি। এমনকী নিজের চোখেও এমন মানুষ দেখেছি যে তন্ত্রের অপপ্রয়োগে পাগল হয়ে গেছে। আমার গল্পগুলো অনেকটা সেই কাঠামোর ওপরই দাঁড়িয়ে আছে।

এবার আসি গল্পের কথায়, এই বইতে যে চারটি গল্প আছে তাতে তন্ত্র এবং দেশ-বিদেশের নানা দেব-দেবী ও অপদেব-দেবীর বিষয় উল্লেখ আছে। এই দেব-দেবী বা অপদেব-দেবীরা কি কেবল গল্পকথা বা লোকমুখে হয়ে আসা আলোচনায় সীমাবদ্ধ না আসলেই এঁদের অস্তিত্ব আছে সে তর্কে না গিয়ে গল্পের রসাস্বাদন করাই ভালো। এই গল্পগুলোর মাধ্যমে আমি কোনো ভাবেই কোনো অপবিজ্ঞানকে প্রশ্রয় দিতে চাইনি। তবে তন্ত্রের স্বরূপ না জেনে সে পথে হাঁটা যে কতটা বিপজ্জনক আমি সে কথাই বলতে চেয়েছি এই গল্পগুলোর মাধ্যমে।

এবার আসি আমার সাহিত্য জগতে প্রবেশের কিছু কথায়। বছর দুয়েক আগে একজন অত্যন্ত গুণী মানুষের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ হয় আমার। তিনি হলেন বাংলাদেশের রহস্য-রোমাঞ্চ লেখক ডঃ মুহম্মদ আলমগীর তৈমুর স্যার। তিনি আমাকে দারুণ উৎসাহ দেন কিছু লেখার জন্য। ডায়রির পাতা ভরে লিখতে থাকি একের পর এক গল্প, জানতাম না সেগুলো কেমন হচ্ছে? কোনো একদিন আমি লিখে ফেলি ‘রক্ষাকবচ গল্পটি। একটি জিনিস আদান-প্রদানের সূত্র ধরে সেই সময় হঠাৎ আমার আলাপ হয় এই সময়ের খুব প্রতিভাধর এক লেখকের সঙ্গে। দেবপুরুষের মতো দেখতে তাকে, লজ্জার মাথা খেয়ে আমি রক্ষাকবচের হাতে লেখা খসড়াটি তাকে দিই। কিন্তু আমার মতো একজন অজানা মানুষের লেখা ও সে সেই দিনই অতি যত্ন সহকারে পড়ে, আমায় জানায় লেখা নাকি বেশ ভালো এবং আরো লিখতে।

ধন্যবাদ অভীক মুখোপাধ্যায়, তুমি না থাকলে রক্ষাকবচের পর আর অন্য গল্প লেখাই হত না। আর যার কথা না বললেই নয়, সে হল বন্ধু মনোজিৎ মুখার্জি। গল্প লিখলেই তো আর হল না, একজন শ্রোতা বা পাঠক চাই, ওই আমার প্রত্যেকটা গল্পের প্রথম শ্রোতা এবং পাঠক। যে প্রতিদিন আমায় মনোবল জুগিয়ে গেছে আরো লেখার জন্য। দ্য কাফে টেবলের ঋণ শোধবার নয়, কারণ ওঁদের জন্যই একটা জমি খুঁজে পেলাম। আমি আমৃত্যু কৃতজ্ঞ থাকব শ্রী অভিষেক আইচ মহাশয় ও অরিজিৎ ভদ্র মহাশয়ের কাছে। আর কথা বলে কাজ নেই, এবার পাঠক প্রবেশ করুক অন্য এক জগতে…

– মনীষ মুখোপাধ্যায়

Rokkhakoboch pdf রক্ষাকবচ pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply