
শুকতারা ডিসেম্বর ২০২১ পিডিএফ Suktara December 2021 pdf ডাউনলোড করুন ও শুকতারা ডিসেম্বর ২০২১ পিডিএফ Suktara December 2021 pdf পড়ুন।

শুকতারা ডিসেম্বর ২০২১ পিডিএফ Suktara December 2021 pdf রিভিউঃ
বাংলা ভাষায় সর্বাধিক প্রচারিত ও জনপ্রিয় ছোটদের সেরা মাসিক ম্যাগাজিন শুকতারা প্রতি মাসের শুরুতেই প্রকাশিত হয়। শুকতারা ডিসেম্বর ২০২১ নানা রুপে চৈত্রসংক্রান্তি pdf এ জনপ্রিয় শিশুতোষ লেখকদের লেখা গল্প প্রকাশিত হয়েছে। এ সংখ্যায় প্রকাশিত গল্পগুলো হলো গ্লোব, সিদুর সিঁদকাঠি, পতাকা, পরিমল, মানুষ চুরি, নীঠুরপুরের নীলপাহাড়, মহাকাশের ছোঁয়া, চাঁদে ওটা কিসের ছায়া, বাবুন এবং মা, দীপ্তিময়ী, হাতির হামলায় যন্ত্রদানব, তিতলিদের বাড়ি।
শুকতারা ডিসেম্বর ২০২১ পিডিএফ Suktara December 2021 pdf নমুনাঃ
কর বিছানো লালচে মাটিতে বসে ঘণ্টা দুয়েক ধরে ছোটো অথচ দারুণ শক্তিশালী টেলিস্কোপে চোখ রেখে রাতের পরিষ্কার আকাশ নিরীক্ষণ করে চলেছেন প্রবীণ জ্যোতির্বিজ্ঞানী শেরিডন গ্রে। তিনি দেখলেন, পৃথিবী থেকে চাঁদকে যেমনটি দেখাত তেমন স্পষ্ট না হলেও মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীকে কতকটা তেমনটাই দেখাচ্ছে। তফাে একটাই—চাঁদকে দেখাত সাদাটে আর পৃথিবীকে লাগছে নীলচে উলের গোলার মতো। এছাড়াও কালো আকাশে চোখে পড়ছে মঙ্গলের দুই উপগ্রহ ফোবোস ও ডিমোসকে ।
হ্যাঁ মঙ্গল। সৌরজগতের চতুর্থ ও পৃথিবীর সবথেকে কাছের গ্রহ। সূর্য থেকে যার গড় দূরত্ব ২২ কোটি ৮০ লক্ষ ৬০ হাজার কিলোমিটার। ৬৯৭০ কি.মি, ব্যাস বিশিষ্ট এই লাল গ্রহই অধুনা মানবজাতি ও সমগ্র জীবকুলের কাছে দ্বিতীয় ও নবীন পৃথিবী । কারণ মহাকাশে যেটা আছে সেটা পৃথিবী নামক গ্রহটির অবশিষ্ট মাত্র, যা আজ থেকে প্রায় পঞ্চাশ বছর আগে ধ্বংস হয়ে গেছে এবং সেইসঙ্গে তার বাসিন্দারাও এখন ধ্বংসস্তূপে রূপান্তরিত। যারা বিপদের আগামবার্তা পেয়ে সতর্ক হতে পেরেছিল তারাই শুধু মহাকাশযানে পাড়ি দিয়ে ভাড়াটিয়া হয়েছে এই লাল গ্রহের। তারপর তিলে তিলে টেরাফর্মিং করে মঙ্গলকে করা হয়েছে জীবকুলের বাসযোগ্য।
‘টেরা’ শব্দের অর্থ পৃথিবী এবং ‘ফর্মিং’ অর্থে গড়ে তোলা। বরাতজোরে বেঁচে যাওয়া পৃথিবীর মানুষগুলি তিনটি জিনিসকে ভিত্তি করে পরের বাড়িকে নিজেদের মতো গড়েছে—বুদ্ধি, পরিশ্রম আর ‘দ্য কেস ফর মার্স” নামক একটি অমূল্য গ্রন্থ। সে এক দুর্দান্ত অভিনব পন্থা!
সেই কবে থেকে মঙ্গল নিয়ে মানুষের জল্পনা-কল্পনা শুরু। তার চরম পরিণতি ১০ অক্টোবর ১৯৬০ সালে সোভিয়েত রাশিয়ার মঙ্গলের পথে প্রথম মহাকাশযান প্রেরণ; তবে সে উদ্দেশ্য সফলতা পায় ওই ঘটনার চার বছর পর ২৮ নভেম্বর আমেরিকার ‘মেরিনার ৪’ মহাকাশযানের হাত ধরে। এরপর তো বেশ কয়েক বছর ধরে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে মঙ্গলে মহাকাশযান পাঠানো নিয়ে রীতিমতো একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়। পরিস্থিতি শেষটায় এমনই ঘোরতর আকার নেয় যে পৃথিবীর সমস্ত ধনকুবেরদের মধ্যে রেষারেষি শুরু হয় মঙ্গলে আগাম জমি কেনা নিয়ে। তারপর বাকিটা তো ইতিহাস।
১৯৯৬-৯৭ সাল নাগাদ একদিকে যখন রাশিয়া, আমেরিকা মঙ্গলে একটার পর একটা মহাকাশযান পাঠাচ্ছে, এমনকি জাপানও ভিড় থেকে নোজোমি’-কে মঙ্গলে ছুড়ে দিতে কার্পণ্য করেনি, তখন অন্যদিকে আমেরিকার বুকে বসে রবার্ট জুব্রিন নামক এক অ্যাপোনোটিকাল ইঞ্জিনিয়ার লিখে ফেললেন তাঁর যুগান্তকারী সৃষ্টি ‘দ্য কেস ফর মার্স’।
শেরিডন যেখানে বসে আছেন সেই জায়গাটির নাম রুট অফ অলিম্পিকা। তাঁর পিছনে অনেক দূরে অন্ধকারের মধ্যে মাথা ভুলে দাঁড়িয়ে অলিম্পিকা—মঙ্গলের সবচেয়ে বৃহত্তম আগ্নেয় পর্বত। সেই পাহাড়ের সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা উঁচু উঁচু লোহার দণ্ডগুলি হল ‘মাদার পোস্ট’। এখানকার বায়ুমণ্ডল পৃথিবীর তুলনায় হালকা হলেও তা ৯৫.৩ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড-এ পরিপূর্ণ এবং অক্সিজেনের পরিমাণও নেহাতই কম। তাই জীবকুলের বেঁচে থাকবার জন্য জুব্রিন সাহেবের পরিকল্পনামাফিক ওই লোহার দণ্ডের মাথায় বসানো এক একটি ছোটো ছোটো চেম্বারে কার্বনেট যৌগ ভেঙে রাসায়নিক পদ্ধতিতে অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন তৈরি করে মিশিয়ে দেওয়া হচ্ছে বাতাসে। মায়ের মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে প্রাণীদের বাঁচিয়ে রাখবার জন্য এই যন্ত্রের নাম দেওয়া হয়েছে ‘মাদার পোস্ট’।
এইরকম যন্ত্র অলিম্পিকা পাহাড় জুড়ে মাত্র ২৯০টি বসানো সম্ভব হওয়ায় মানুষের বসতি পাহাড়ের পাদদেশ ছেড়ে বেশিদূর এগোতে পারেনি। এছাড়াও এই যন্ত্র সময়ে সময়ে বাতাসে কিছু অতি প্রয়োজনীয় জলীয় বাষ্পও নিক্ষেপ করছে।
মঙ্গলের মাটি পৃথিবীর মতো চাষবাসের উপযুক্ত না হওয়ায় খাদ্যাভাবের সম্ভাবনাও প্রবল। তাই অলড্রিন জোহানস নামক এক বৈজ্ঞানিক এমন কয়েক প্রজাতির শস্যবীজ আবিষ্কার করেছেন যা লোহাসমৃদ্ধ মাটিতেও ভালো ফসল ফলাতে পটু। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে খাদ্যের সংকট না থাকলেও গম, ভুট্টা, জোয়ার প্রভৃতি সামান্য কয়েকটি ফসল ছাড়া বেশি কিছু চাষ করা সম্ভব হয়নি। কিন্তু প্রচেষ্টা চলছে। এই গ্রহে জলের অস্তিত্ব সম্বন্ধেও বৈজ্ঞানিকদের দুশ্চিন্তার শেষ ছিল না।
কিন্তু পৃথিবীর ধ্বংসের বেশ কয়েককাল আগেই জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি স্বয়ংক্রিয় মহাকাশযানের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন— মঙ্গলের উত্তর মেরুর খুব কাছেই ৮০০ কি.মি. লম্বা ও ৩৯ কি.মি. চওড়া একটি বিশালাকার উপত্যকার পৃষ্ঠতলের গভীরে সহস্র কোটি বছর ধরে বরফের স্তর জমে আছে। ফলত এই উপত্যকাকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে জল শোধনাগার। মাটির স্তর কেটে বরফ ভেঙে তা শোধনাগারে প্রচণ্ড উত্তাপে গলিয়ে বারংবার শোধনের পর সরবরাহ করা হচ্ছে শহরের বিভিন্ন জল সংরক্ষণাগারে।
শুকতারা ডিসেম্বর ২০২১ পিডিএফ Suktara December 2021 pdf ডাউনলোড করুন এখান থেকে ও শুকতারা ডিসেম্বর ২০২১ পিডিএফ Suktara December 2021 pdf পড়ুন এখান থেকে।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.