রবিন জামান খানের Arohee Andho Prohor pdf আরোহী অন্ধ প্রহর pdf ডাউনলোড করুন ও Arohee Andho Prohor pdf আরোহী অন্ধ প্রহর pdf পড়ুন।
Arohee Andho Prohor pdf আরোহী অন্ধ প্রহর pdf কাহিনিঃ
অত্যন্ত সাধারণ জীপনযাপনে অভ্যস্ত ইফতির জীবনটা আকস্মিক বদলে যায় একটি ঘটনায়। সাইকেল চালিয়ে অফিসে যাবার পথে সাক্ষি হয়ে যায় ভয়ঙ্কর এক অপরাধের। কী করবে সেটা ঠিক করার আগেই জড়িয়ে পড়ে সে। একদিকে নষ্ট রাজনীতির ক্ষমতায় মদদপুষ্ট ক্ষমতাবান প্রতিপক্ষ, অন্যদিকে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তাহীনতার দুশ্চিন্তা-এমন অবস্থা সবকিছু নির্ভর করছে একজন সাধারণ সাইকেল আরোহীর ব্রেক, পেডাল আর গতির ওপরে। আরোহীর আসনে আপনাকে স্বাগতম।
দেশের অন্যতম প্রভাবশালী পরিবারের একমাত্র ছেলেকে ব্ল্যাকমেইল করতে গিয়ে নিজেদের বিপদ ডেকে আনে দুই যুবক। ঘটনার ধারবাহিকতায় তাদের সাথে জড়িয়ে পড়ে আরো অনেকেই। একটি অপরাধের প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় আরো অপরাধ। কিছু মানুষের ভুল-ভ্রান্তি, লোভ-লালসা আর অপরাধের বিস্তৃত ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্টি হয় এক জটিল সমীকরণের-যে-সমীকরণের সমাধান নিহিত আছে অন্ধ প্রহর-এ।
Arohee Andho Prohor pdf আরোহী অন্ধ প্রহর pdf নমুনাঃ
কথাটা মনে হতেই ইফতির মনটা দু-ভাগে ভাগ হয়ে গেল।
একটা অংশ বলল, এ দেশের মানুষের কি আইনের প্রতি কোনই শ্রদ্ধাবোধ নেই? সাথে সাথে মনের অন্য অংশটা বলে উঠলো, তুমি সেটা এতোদিনে বুঝলে! মনে মনে বিরক্তবোধ করলো ও। অল্প-স্বল্প নয়, অনেক বেশি বিরক্ত। এই দেশের মানুষের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ তো দূরে থাক নিজের প্রতিই কোন আত্মসম্মানবোধ নেই। নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত না থেকে বেশিরভাগ লোকে অন্যের কাজে বাগড়া দিতেই বেশি পছন্দ করে।
আরি বাবা, আমি সাইকেল চালাই তো তোর বাপের কি? মনে-মনে কথাটা বলে বলল। তারপর সাইকেলটাকে রাস্তার এক পাশে দাঁড় করিয়ে নেমে এলো। মাথার হেলমেটটা খুলে হাতে নিতেই টুপ-টুপ করে কয়েক ফোঁটা ঘাম কপাল থেকে নাকের ওপর গড়িয়ে পড়লো। বিরক্তির সাথে পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখ মুছে এগিয়ে গেল রাস্তার পাশে অবস্থিত একটা টঙ দোকানের দিকে।
কয়েকদিন যাবত তীব্র গরম পড়েছে ঢাকায়। এই গরমে প্রতিদিন খিলগাঁও থেকে ধানমন্ডি সাইকেল চালিয়ে আসা বেশ কঠিন একটা কাজ হলেও ইফতি সেটা বেশ উপভোগ করে। আর ঝামেলাও বেঁধেছে এটা নিয়েই।
সে একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। শিক্ষকতায় ভালো দক্ষতা দেখানোর কারণে অল্প সময়ের ভেতরে পদোন্নতি পেয়ে অ্যাসিট্যান্ট প্রফেসর হয়েছে সম্প্রতি। পদোন্নতি পাবার পরপরই প্রতিদিন অফিসে যাতায়াত করার জন্যে একটা সাইকেল কিনেছে। সাইকেল চালাতে ওর বেশ ভালো লাগে। আর এই জ্যামের শহরে সাইকেলে যাতায়াত করতে সময়ও লাগে অনেক কম। কারন অনেক দ্রুত চলাচল করা যায়। সাইকেল চালানো নিয়ে ওর কোন সমস্যা নেই কিন্তু এটা কেউই মেনে নিতে পারছে না।
প্রথমেই ওদের পাশের ফ্ল্যাটের আংকেল ওকে সাইকেল চালাতে দেখে জানতে চাইলেন, “বাবা, এখন কতো বেতন পাও?” ওর বেতনের অঙ্কটা শুনে তিনি চোখ কপালে তুলে বললেন, “তাইলে সাইকেল চালাও ক্যান? একটা মটরসাইকেল কিনতে পারো না?”
এই থেকে শুরু; পাশের বাসার আঙ্কেল, এলাকার মুরুব্বি, তমুক বড়ভাই ছোটভাই সবারই এক জিজ্ঞাসা- কেন সে সাইকেল চালাবে?
অদ্ভুত এক দেশ! তারচেয়েও অদ্ভুত এখানকার মানুষের চিন্তা-ভাবনা! এই ঢাকা শহরে জ্যামের কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় কাটাতে হয়। এরপরও ঢাকা শহরে নাকি প্রতিদিন গড়ে দশটা নতুন প্রাইভেট কার রেজিস্ট্রেশন হয় মানে, মাসে প্রায় তিনশ নতুন গাড়ি নামে ঢাকার রাস্তায়। যে-শহরে অতিরিক্ত গাড়ির কারনে ঘন্টার পর ঘন্টা জ্যামে কাটাতে হয় সে শহরে গাড়ি কিনলে লোকে বাহবা দেয় আর সাইকেল চালালে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করে। কী অদ্ভুত! অবশ্য এই দেশের বেশিরভাগ মানুষ এভাবেই চিন্তা করে। সরকারি চাকরি করে যে-লোক ঘুষ খায় না, সে হল বোকা। আর যে ঘুষ খেয়ে দেশ ধ্বংস করে দিচ্ছে সে এই সমাজের নায়ক!
একটু আগে বেশ ভালো মুডে সাইকেল চালিয়ে অফিসে যাচ্ছিলো সে, গ্রিন রোডে গ্রিন-লাইফ হাসপাতালের সামনে একটা গাড়ি আরেকটু হলেই রঙ টার্ন নিয়ে ওর সাইকেলে ধাক্কা লাগিয়ে দিচ্ছিলো। কোনমতে ব্রেক চেপে ও সামলে নেয়। গাড়িটা একটু সামনে এগোতেই ও একেবারে গাড়ির সামনে সাইকেল থামিয়ে ড্রাইভারকে সরাসরি জবাবদিহি সে রঙ টার্ন নিলো? এমন সময় সেখানে এসে পুলিশ। পুরো ঘটনা তার চোখের সামনেই ঘটেছে কিছু না বলে উল্টো ওকে অভিযুক্ত করতে থাকে “আরে, রাখেন মিয়া! চালান তো সাইকেল করেন।”
Arohee Andho Prohor pdf download link
Download / Read Online
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.