দিন শেষে pdf – রবিন জামান খান Din Shase pdf – Robin Zaman Khan

দিন শেষে pdf - রবিন জামান খান Din Shase pdf - Robin Zaman Khan
দিন শেষে pdf - রবিন জামান খান Din Shase pdf - Robin Zaman Khan

রবিন জামান খানের Din Shase pdf দিন শেষে pdf ডাউনলোড করুন ও Din Shase pdf দিন শেষে pdf পড়ুন।

দিন শেষে pdf - রবিন জামান খান Din Shase pdf - Robin Zaman Khan
দিন শেষে pdf – রবিন জামান খান Din Shase pdf – Robin Zaman Khan

Din Shase pdf দিন শেষে pdf কাহিনিঃ

হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে এক রোগির মৃত্যুর পরই সক্রিয় হয়ে উঠলো একাধিক গোষ্ঠি। ভয়ঙ্কর মানুষগুলোর উদ্দেশ্য একদমই অজানা। বাধ্য হয়ে প্রাণ বাঁচাতে অজ্ঞাত একজনের সাহায্য নিতে হয়। ডাক্তার তুলিকে। অজ্ঞাত সেই লোকের উদ্দেশ্যও অস্পষ্ট। কাকে বিশ্বাস করতে হবে আর কার কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে সে জানে না। দিন শেষে ক্ষমতা, লোভ, বিশ্বাসঘাতকতা আর প্রতিহিংসার পর কার উদ্দেশ্য চরিতার্থ হয়? দিন শেষে পাঠক খুঁজে পাবেন এর জবাব।

Din Shase pdf দিন শেষে pdf ভূমিকা

আমার প্রথম থ্রিলার উপন্যাস ২৫শে মার্চ যখন লিখি তখন বাংলায় লেখা ইতিহাস আশ্রিত খ্রিলারের কোর রেফারেন্স ছিল না আমার সামনে, ফলে অনেককিছুই বুঝতে এবং লিখতে সমস্যা হয়েছে। ২৫শে মার্চ প্রকাশিত হবার পর যখন ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেল, আমি বেশ খানিকটা অবাকই হয়েছিলাম। কিন্তু সেইসঙ্গে এটাও মনে হয়েছিল বাংলায় খিলার লিখতে হলে, বিশেষ করে ভিন্ন ভিন্ন জনরায় লিখতে হলে আমার নিজেকে আরো অনেক বেশি ভাঙতে হবে, এক্সপেরিমেন্ট করতে হবে। সেই ভাবনা থেকেই একেবারে বিচিত্র ধরন আর ভিন্ন ভিন্ন ধারায় বেশ কিছু নভেলা লিখেছিলাম উদ্দেশ্যটা ছিল নিজেকে ভেঙে-গড়ে ঠিক করা। তবে সেই সুবাদে লেখা হয়ে যায় বেশ কিছু দারুণ গল্প, যে গল্পগুলো পাঠকদের মনে এবং লেখক হিসেবে আমার মনে আলাদা একটা স্থান করে নিয়েছে।

বরফ গলা নদী pdf – জহির রায়হান Borof Gola Nodi pdf – Jahir Rayhan

কারণ একভাবে বলতে গলে এই গল্পগুলোর আজকের আমার লেখক স্বত্ত্বাকে পরিণত করেছে। এই নভেলাগুলো প্রথমে বই আকারে প্রকাশিত থাকলেও, মাঝে কিছুদিন প্রেফ ই-বুক আকারেই প্রকাশিত ছিল। অন্যধারা’র ফারুক ভাই যখন এগুলোকে অবাকই হয়েছিলাম। ফারুক ভাইয়ের ইচ্ছাতেই আবারো এগুলো নিয়ে কাজ করা, সে-জন্য ফারুক ভাইকে ধন্যবাদ নভেলাগুলোর দারুণ প্রচ্ছদের জন্য প্রিয় ছোট ভাই লেখক প্রকাশক এবং প্রচ্ছদশিল্পী রুদ্র কায়সারকেও অনেক ধন্যবাদ। পাঠকদেরকেও ধন্যবাদ এতবছর পরেও নভেলাগুলো নিয়ে তাদের আগ্রহ একটুও কমেনি সেজন্য ৷ সবাই ভালো থাকবেন।

Din Shase pdf দিন শেষে pdf নমুনাঃ

বিরক্তির সাথে আরেকবার ঘড়ি দেখলো তুলি৷ ডিউটি শেষ হতে আরো প্রায় একঘন্টা বাকি। সময়টা যেন কিছুতেই কাটতে চাইছে না আজ। এই সময়ে ইমার্জেলিতে রোগির ভিড় কমই থাকে কিন্তু আজ একেবারেই নেই। বিগত পাঁচঘন্টা ধরে বসে বসে বই পড়া ছাড়া অন্য কোন কাজই ছিল না ওর। আজ দু-সপ্তাহ ধরে ফেসবুক আযাকাউন্টটাও ডি-আ্যাকটিভ করে রেখেছে, তাই ফেবুতেও ঢোকার কোন ইচ্ছে নেই। ইমার্জেলিতে ডাক্তারদের রুমে একটা এলসিডি টিভি থাকলেও ওটা ছাড়তে এতোটুকু ইচ্ছে করছে না। ওর সাথে একজন দেখা করতে আসার কথা, সে-ও ‘আসেনি। ভেবেছিল মানুষটা এলে, কথা বললে, ভালো লাগবে৷ এমনিতেই গত কয়েকদিন ধরে মনটা অসম্ভব খারাপ, তার ওপর বিরক্তিকর সময় কাটানোর কারণে অসহ্য লাগছে।

বইটা ডেস্কের ওপর উল্টে রেখে রুমের এক কোনায় রাখা ইলেকট্রিক কেটলিটা অন করে দিলো ও বয়াম থেকে দু-চামচ কফি মগে নিয়ে তার সাথে এক চামচ চিনি নিলো। এই মুহূর্তে মন খারাপের একমাত্র উষধ-কড়া কফি। তুলির অন্য কোন নেশা নেই কিন্তু সে ভয়াবহ কফি আসক্ত। দিনে অন্তত ছয়-সাত কাপ কফি না হলে ওর চলে না। কফিটাও হতে হয় ‘মনমতো, একটু কড়া। মেশিনের কফি কখনোই খায় না সে, সুযোগমতো ‘নিজেই বানিয়ে নেয়। বাসায় অফিসে সবখানে ওর কফি বানানোর ব্যবস্থা আছে। ইলেকট্রিক কেটলিতে পানি ফুটতে লাগলো ফুটস্ত পানি মগের ভেতরে ছেড়ে দিতেই কফির সুমাণ ছড়িয়ে পড়লো ঘরে। কফি বানানো শেষ করে মগটা হাতে নিয়ে রুমের বাইরে বেরিয়ে এলো সে।

বেশিরভাগ হাসপাতালের মতো এই সুবিশাল হাসপাতালেরও ইমার্জেপি এরিয়া নিচতলায়। মেট্রনকে জানালো ওপরে যাচ্ছে, যদি কোন ইমার্জেলি দরকার পড়ে তবে যেন ওকে কল দেয়া হয়। বয়স্ক মেট্রন একটু বাঁকা চোখে একবার ওর দিকে তাকিয়ে কফির মগের দিকে তাকালো। “কি, হয়েছে, কোন সমস্যা?” তুলি জিজ্ঞেস করলো তাকে। মেট্রন কিছু না বলে শুধু মাথা নাড়ালো। তুলি গট-গট করে হেটে তার সামনে দিয়ে এগিয়ে গেল সিঁড়ির দিকে। মেট্রনের বাঁকাচোখে তাকানোর কারণটা ও বুঝতে পেরেছে। সব হাসপাতালের মতো এখানেও ডাক্তার আর নার্সদের মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। তার ওপর মেট্রনরা হলো নার্সদের লিডার। এই মেট্রন আবার বাকি সব মেট্রনদেরও নেত্রি, সেইসাথে কী কী সব সংগঠনের হোমরা-চোমরা৷

এ-ধরনের মানুষের মধ্যে সবসময়ই জুনিয়র ডাক্তারদের ওপর খবরদারি করার মনোভাব দেখা যায়। যেহেতু ইমার্জেসি ডিউটিতে ডাক্তারদের বাইরে যাবার নিয়ম নেই সেজন্যে মেট্রন বাঁকাচোখে ওর দিকে তাকাচ্ছিলো। ও নিশ্চিত, এই ব্যাপারটা সিনিয়র ডাক্তারদের কাছে লাগবে। লাগালে লাগাক, তুলি ওসব কেয়ার করে না। কফির কাপ নিয়ে ও চলে এলো দোতলায় । এখানে সিঁড়ির পাশ দিয়ে একটা রুমে প্রবেশ করে ওটার বাইরের দরজা খুলে সোজা চলে এলো ছোট একটা টেরেসে ৷ এটা ওর খুব প্রিয় একটা জায়গা। এখান থেকে চট্টগ্রাম শহরের অনেকটা অংশ চোখে পড়ে৷ রাতের শহর দেখতে দেখতে কফির ‘কাপে চুমুক দিতে লাগলো। আচমকা ওর চোখে ভেসে উঠলো বাবার মুখটা।

Din Shase pdf download link
Download / Read Online

Be the first to comment

Leave a Reply