তমোঘ্ন নস্কর এর Dhundhumar pdf ধুন্ধুমার pdf ডাউনলোড করুন আর Dhundhumar pdf in bengali পড়ুন অনলাইনে।
Dhundhumar pdf ভূমিকা
ভূমিকা সেই অর্থে কিছুই নেই। আমি এমন এক সময়ে জন্মেছি যে শক্তিমান, বি.আর চোপড়ার মহাভারত থেকে হালফিলের স্টারপ্লাসের মহাভারত, বাহুবলী সব দেখার সুযোগ পেয়েছি। হবিট, নারনিয়া থেকে গোল্ডেন কম্পাস, রাশিয়ান মিথলজিক্যাল ফ্যান্টাসী সিরিজ থেকে বিভিন্ন ওয়েব সিরিজগুলো দেখার সুযোগ পেয়েছি। ভাবনাগুলো মাথায় নিয়ে নাড়াচাড়া করেছি দিনরাত।
বহুদিন ধরেই ইচ্ছা ছিল আলগা পুরাণ আধারিত একটি ফ্যান্টাসী সিরিজ লিখব। কিন্তু সাহস করে উঠতে পারিনি। সেই কাজের জন্য দরকার প্রচুর ইলাসট্রেশন। পড়াশোনা এবং কল্পনার যোগ্য সঙ্গত। ধন্যবাদ দীপ্তাংশু বাবুকে উনি প্লট শুনে আস্থা রেখেছিলেন। Dhundhumar pdf
সাম্প্রতিক কালে কিছু কাজের সুবাদে বেদ, পুরাণ, জীবনী কোষ পড়ার সুযোগ হয়েছিল। সেখান থেকেই আহরণ করি প্লট। ছকা হয় ধুন্ধুমারের প্রথম পর্ব। শম্ভু, নিশুম্ভ, মহিষাসুরকে তো সবাই চেনেন কিন্তু ধুন্ধু কে? আর ধুন্ধুমার-ই বা কে? পুরানো কথায় কথায় সত্যি- কল্পনায় মিশিয়ে গল্প বলতে চেয়েছি। Dhundhumar pdf
যেমন বললাম আমি গল্প বলতে চেয়েছি। অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চারে ভরা আমাদের নিজস্ব একটা ফ্যান্টাসী আখ্যান। যার চরিত্ররা কিছুটা পৌরাণিক, কিছুটা মনগড়া। গল্পটাও কিছু বাস্তবের সুতো বাকিটা কল্পনার গিঁট দিয়ে দিয়ে জোড়া। আপনাদের ভালোলাগাই আমার প্রাপ্তি, আমার পাথেয়। পাঠ শুভ হোক।
তমোঘ্ন নস্কর
বারুইপুর, কলকাতা
Dhundhumar pdf প্রথম দিকের কথা
সামনের তিরন্দাজ বাহিনীকে পিছিয়ে আসতে বললেন বিশেষ। এবারে শাঈধর বিশেষ পায়নে তৈরি তীরগুলিকে ব্যবহার করতে হবে। কুলকুরি বা ধুন্ধুগড় অবস্থানগতভাবেই দুর্গম। গিরিবর্গের মাঝে এই দুর্গম দুর্গ অধিগ্রহণ করা অসম্ভব কিন্তু কুলায়ম দুর্জয় পুরুষ, আজকে এই দুর্গ তিনি দখল করবেনই। তার চাইতে বড় কথা এ অসুরকে বধ করা প্রয়োজন। সূর্যবংশী বা ইক্ষ্বাকু বংশের কুল গুরু হন বশিষ্ঠ অথচ কি ধৃষ্টতা বশিষ্ঠ-র সাথে অসীম বা ধুন্ধু বিরোধ করে। আসলে এ বিরোধ, সত্যের বিরুদ্ধে অহংকারের। একে না জিতলে ইক্ষ্বাকু বংশের সমূহ সর্বনাশ। কারণ ইক্ষ্বাকুই এখন মানবকুলের ত্রাতা।
দেবতাদের ভোগ পৌঁছানোর আর কোনো উপায় থাকবে না। অসুরেরা যেদিন থেকে সপ্ত পাতালের অধিকার পেয়েছে প্রেত, যক্ষ, পিশাচ, সর্প সবাই তাদের আধিপত্য স্বীকার করে নিয়েছে কেবল মাত্র মানুষ ছাড়া। সেক্ষেত্রে এ যুদ্ধে পরাজয় হলে সমগ্র মনুষ্যজাতির সমূহ সর্বনাশ। আর তা ছাড়া বশিষ্ঠ তাদের জন্য অনেক করেছেন। কিন্তু এ যুদ্ধ জেতা প্রায় অসম্ভব অসুরেরা ক্রমশই তামসিক শক্তিতে বলীয়ান হয়ে উঠছে। যাদুবিদ্যা ও মায়ায় তাদের সাথে পেরে ওঠা মুস্কিল। তবে আশার কথা একটাই কুরুওকের গণনা বলছে এই বংশের-ই এখন থেকে ৪৭ তম পুরুষ শ্রেষ্ঠ পুরুষ হবে, অতএব বংশগতি বিনাশের ভয় নেই। কারণ ৪৭-তম পুরুষকে যে আসতে হবে। বংশ শেষ হলে সে আসবে কোথা থেকে।
আর ভাবতে পারল না বিশেষ। কুবলয়াশ্ব তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। স্ফটিক এ চোখ রেখে কুবলয় বললেন সামনে যা দেখতে পাচ্ছি তাতে আমাদের খোঁজ সঠিক। ধুন্ধু এর প্রথম অবরোধ শৃঙ্গ ও কুব্জ। ভালো করে নিরীক্ষণ করো স্ফটিকটা নিয়ে… সত্যিই তাই সামনের অবরোধের চেহারা অনেকটা বৃষের ন্যায়। তার দুটি শৃঙ্গ আকৃতির শীর্ষে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র বসানো আছে। সম্মুখভাগ বৃষের মুখের ন্যায় প্রলম্বিত সেখানে একটি বৃহৎ কটাহ। এই কটাহে ফুটন্ত তৈল রয়েছে নীচে আমাদের বাহিনী গেলেই ওরা তৈল নিক্ষেপ শুরু করবে। আরেকটু ভালো করে দেখো, দুই শৃঙ্গের মধ্যভাগে কুজটি পরিলক্ষিত হচ্ছে। কুব্জ বিন্দুটিই সবচাইতে দুর্মদ অবস্থান। একেবারে কেন্দ্রে অবস্থান করছে। আমার বিশ্বাস ওখানে বসানো ক্ষেপণাস্ত্রটি দূরপাল্লার। সামান্য লৌহ খণ্ড নয় বরং ভারী প্রস্তরখণ্ড ক্ষেপণে সক্ষম।
-” তাহলে জয় কি অসম্ভব?”
—” না জয় সম্ভব তার জন্য আমাদের পন্থা বদল করতে হবে। আমাদেরকে ভাবতে হবে কীভাবে আমরা লড়াই দিতে পারি। তবে প্রথমে আমাদের এই প্রথম অবরোধের বৃষটিকে ভেদ করতে হবে।”
এমন সময় সংকেত শোনা গেল। স্ফটিকে চোখ রেখেই দেখল, দুটি শকট এসে থেমেছে পাকদণ্ডির মুখে। চালকদ্বয় রক্তবর্ণ কাপড়ে নিজেদের আপাদমস্তক ঢেকে রেখেছে। ঝটতি বাহনে উঠে সেদিকে অশ্বকে চালিত করল কুয়াশ্ব। কুবলয়-কে নামতে দেখেই তারা নতজানু হয়ে বসল।
মুখের অবগুণ্ঠন সরাতেই প্রকাশ পেল আগন্তুকদের মুখ। সর্বনাশ, অসুর! কুবলয়ের সাথে কিছু ঘটতে পারে ভেবে তীর বেগে বাহন নিয়ে কুবলয়ের পিছে নীচে নেমে এলেন বিশেষ আর উঘনি উসনি তার সহযোদ্ধা যোগ্য সহধর্মিণী!
মৃদু হেসে এগিয়ে এলেন কুবলয়াশ্ব বললেন “এরা মায়া ও কায়া”। অসুরদের মায়ার সাথে লড়তে গেলে মায়াই তো দরকার। ব্যূহে ধুন্ধুর অবস্থান ও তাড়ন পদ্ধতি জানতে হবে। মনে রেখো, ধুন্ধু কিন্তু সাক্ষাৎ মায়া। কোনো সাধারণ অসুর নয়। মানুষের কাম, ক্রোধ, বাসনা নিয়ে ধন্দ সৃষ্টি করতে পারে বলেই সে ধুন্ধু। আর তাই সে অসীম।
আরেক বিষয় চিন্তা করেছি, এই ব্যূহ ভেদ করতে হলে আমাদেরকে দূরপাল্লার শর নিক্ষেপ করতে হবে। আমাদের দ্বারা প্রস্তুত শরগুলি বহুদূর ছোটার জন্য পলকা। তদুপরি এই পাথরের ফাঁকফোকর দিয়েই যাবে। সেক্ষেত্রে পাথরের গাত্রে ঘর্ষণে তার সংহারক শক্তি অনেকখানি হ্রাস পাবে তাই আমাদেরকে বিশেষ কিছু ভাবতেই হত। Dhundhumar pdf
এরা এই শকটে এনেছে এক বিশেষ শর ও রাসায়নিক। যার পায়ন আমরা শিখিনি। কেবল অসুররাই পারে। আকন্দের আটা, হুডুবিষাণ ( মেষশৃঙ্গ), কয়লা, পায়রা ও ইঁদুরের বিষ্ঠা একত্র করে তেল মাখিয়ে শস্ত্রের ধারে প্রলেপ দিয়ে তারপর তাকে হস্তি, অশ্বদুগ্ধ ও শিশ্ন তরলের মিশ্রণ দ্বারা পান দেওয়া। তারপর তাতে মিশ্রিত হয়েছে কুহক, কালীয় ও শঙ্খ নাগের বিষ। এ শর সাক্ষাৎ মৃত্যুদূত। পরিবর্তে এরা চায় ধুন্ধু বধ হলে, এরা মহাতল, সুতল ও রসাতলের স্বায়ত্তশাসনাধিকার।
Dhundhumar pdf download link
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.