গোপালচন্দ্র রায়ের Rabindranather Hashya-Parihas pdf রবীন্দ্রনাথের হাস্য-পরিহাস pdf ডাউনলোড করুন।
Rabindranather Hashya-Parihas pdf সূচীপত্র
জোড়াসাঁকো নয়—একসাকো
ফ্রডের ভূত রবির গ্রহণ গান ও আবৃত্তি প্ৰতিপচ্চন্দ্ৰমাইৰ ক্ষিতি টলা
গার্জেন
দাড়িওয়ালা অন্নপূর্ণা
লোভনীয় পানীয়
কবিরাজ
এখনো হিংসা গেল না
দুগ্ধপোষ্য
মাথাটা নীচু করে রাখাই ভাল
ঐ সময়েই তো ভাল লাগবার কথা
সেই জন্যই তো আপনাকে দিতে চাইলাম সরস্বতীর তুলি
আমিই কেনে কলম কিনি
বপুর মর্যাদা
নেপালবাবুর দণ্ড
জগদানন্দবাবুর বানান
অচলায়তন
পদসেবা
আয়তনে চেনা
তোপ পড়ল
ছাত্রদের খাওয়া
রচনা বলি
চাঁদে ঢাকা দেওয়া
পান্তুয়া
আহারেণ ধনঞ্জয় শুধু কাসি শুনেছি
দেহরঞ্জনেও ওস্তাদ
পিতৃ-আজ্ঞা পাদুকা পুরাণ
চোখের জল সারপ্রাইজ
পা
পায়ের মাধুর্য
সুগৃহিণী
বলডুইন
চক্ষুলজ্জা
শ্রীচরণকমলেষু
সম্পত্তি দান চীনা খা
শুধু দোতলাটা ছেড়ে দিলেই হবে
ওতেই তা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে
পৌত্তলিক বাদোর
সৈনিক
এখনো দুমন কুমার সম্ভব
সুরেন মৈত্রর ঝুঁটি
ঘোরবাবু
সানাই
মা ফলেষু কদাচন
বঙ্গবাসী
মুদ্রা
শিশুনাগ
ঠিকানা
সিনেমা দেখা হ’ল?
বৈতরণীর তীরে-আমাকে
আহার
চা-পান
পানমার্গে অগ্রগতি
নোঙর করাই রইলেন সজীব
নেপোলিয়নের কথা মনে হয়েছিল
ভূত
বাঘেরা যখন পান খেতো বিবাদ
পৌত্তলিক বাদোর
সৈনিক
এখনো দুমন কুমার সম্ভব
সুরেন মৈত্রর ঝুঁটি
ঘোরবাবু
সানাই
মা ফলেষু কদাচন
বঙ্গবাসী
মুদ্রা
শিশুনাগ
ঠিকানা
সিনেমা দেখা হ’ল?
বৈতরণীর তীরে-আমাকে
আহার
চা-পান
পানমার্গে অগ্রগতি
নোঙর করাই রইলেন সজীব
নেপোলিয়নের কথা মনে হয়েছিল
ভূত
বাঘেরা যখন পান খেতো বিবাদ
Rabindranather Hashya-Parihas pdf ভূমিকা
কবি তখন শিলাইদহে পদ্মার উপরে বজরায় বাস করছেন। চরের গায়ে দুটি বজরা পাশাপাশি বাঁধা। একটিতে কবি নিজে, অপরটিতে শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক অজিতকুমার চক্রবর্তী। অজিতবাবু পীড়িত হয়ে স্বাস্থ্যোদ্ধারের আশায় এখানে এসেছেন। এই সময় কবির আমন্ত্রণে ঔপন্যাসিক চাকচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় একবার শিলাইদহে আসেন চাকবাবু এলে অজিতবাবুর বজরার তাঁর থাকার ব্যবস্থা হ’ল। চাকবাবু অজিতবাবুর বজরায় বিছানাপত্র রেখে কবির বজরায় কবিকে প্রণাম করতে গেলেন। উভয় বজরায় যাতায়াতের জন্য এক বজরা থেকে অপর বজরা পর্যন্ত একটা তা পাতা ছিল। চারুবাবু কবিকে প্রণাম করে অজিতবাবুর বজরায় যাবার জন্য উঠলে কবি বললেন—দেখো চাক, তক্তার উপর দিয়ে সাবধানে যেয়ো । মনে রেখো এটা জোড়াসাঁকো নয়—এক সাঁকো।
ঔপন্যাসিক চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় তখন ‘প্রবাসী’ পত্রিকার সহকারী সম্পাদক। চারুবাবু একদিন সন্ধ্যায় কবির সঙ্গে তাঁর জোড়াসাঁকোর বাড়ীতে দেখা করতে গেছেন। চারুবাবু গিয়ে দেখেন, কবির কাছে লোকের পর লোক আসছেন। কেউ এসে নতুন গান শিখে নিচ্ছেন, কেউ তাঁকে দিয়ে কিছু পড়িয়ে শুনছেন, কেউ নানা বাজে কথা পেড়ে বকর বকর করছেন। আর কবি অপরিসীম ধৈর্যের সঙ্গে তাঁদের সকলের মন রক্ষা করছেন। রাত্রি আটটা বেজে গেলে চারুবাবু উঠি উঠি করছেন, এমন সময় এক ভদ্রলোক এলেন। তিনি এসেই কবিকে জিজ্ঞাসা করলেন -আচ্ছা, ফ্রডের স্বপ্নতত্ত্ব সম্বন্ধে আপনার মত কি? আমার তো মনে হয়– ব’লে তিনি অনর্গল বক্তৃতা আরম্ভ করে দিলেন। Rabindranather Hashya-Parihas pdf
কিছুক্ষণ শুনে কবি তাঁকে বললেন-দেখ, তোমার সঙ্গে বুঝি চারুর পরিচয় নেই ? ও সম্পাদক মানুষ, ওর সঙ্গে আলাপ করে রাখলে তোমার ফ্রডের কিছু হিল্লে হতে পারে। সে ভদ্রলোক কবির ব্যঙ্গ বুঝতে পারলেন না। তাই তিনি কেবল একবার ‘ও’ বলে আবার বকতে লাগলেন। তাঁর বকুনি আর থামে না দেখে রাত্রি প্রায় দশটা নাগাদ চারুবাবু উঠবার উপক্রম করলেন। চারুবাবুকে চলে যেতে উদ্ভূত দেখে কবি বললেন—চাক, তুমি চলে যেও না। তোমার সঙ্গে আমার বিশেষ দরকার আছে। তুমি আর একটু বোস। Rabindranather Hashya-Parihas pdf
এতক্ষণ পরে সে ভদ্রলোক উঠলেন। ভদ্রলোক চলে গেলে কবি কুপিতভাবে চারুবাবুকে বললেন—চারু, তোমাকে আমি আমার বন্ধু বলেই এতদিন জানতাম, কিন্তু সে ভ্রম আজ আমার ঘুচে গেল। চারুবাবু বিস্মিত হয়ে কবির মুখের দিকে চাইতেই কবি হেসে বললেন – তুমি আমাকে ঐ ফ্র ডের ভূতের হাতে অসহায় অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যাচ্ছিলে কোন্ আক্কেলে! কোথায় কি অন্যায় করলেন, যার জন্য কবি ক্ষুণ্ন হলেন— চারুবাবু এতক্ষণ তাই ভাবছিলেন। কিন্তু এখন কবির এই কথা শুনে তিনি যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন। এবার সেই ভদ্রলোক ফ্রয়েড নামকে কি ভাবে যে বারে বারে ফ্র ড. উচ্চারণ করছিলেন, এই নিয়ে কবি এবং চাকবাবু উভয়েই খুব হাসতে লাগলেন। Rabindranather Hashya-Parihas pdf
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.