আবু জাফর এর সাহিত্যে সমাজ ভাবনা pdf বাংলা সাহিত্যে এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। সাহিত্যে সমাজ ভাবনা pdf টি পড়ুন।
সাহিত্যে সমাজ ভাবনা pdf লেখকের কথা
নির্ভুলভাবে একটা বই বের করা যে কতো কঠিন কাজ তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন। নির্ভুলভাবে শব্দ ছাপা হয়েছে কিনা দেখতে গিয়ে হয়তো বাক্য ব্যবহারে ত্রুটি থেকে যায় কিংবা বাক্যের ত্রুটি মোচন করতে গিয়ে শব্দের বানানে ভুল থেকে যায়। আর বইটি যখন সঙ্গত কারণে অত্যন্ত তাড়াহুড়ার মধ্য দিয়ে বের করা হয় তখন এ ধরনের প্রমাদ থেকে মুক্তি পাওয়া সত্যিই কঠিন। এই বইটি বেশ তাড়াহুড়ার মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে এবং সেই কারণে বানান ভুলতো বটেই, বাক্য গঠনেও ত্রুটি থাকা অস্বাভাবিক নয়— আমি সহৃদয় পাঠক-পাঠিকার কাছ থেকে সেই কারণে আগে থেকেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। ক্ষমা চাচ্ছি এই আশ্বাসের ভিত্তিতে যে এর পরের সংস্করণে বইটি যথাসম্ভব ত্রুটিহীনভাবে বের করা হবে।
বাংলা একাডেমীর গবেষণা বিভাগের উপ পরিচালক ড. সুকুমার বিশ্বাস খুবই বিশ্বস্ততার সঙ্গে পরীক্ষকদ্বয়ের কাছ থেকে পৌনঃপুনিক- তাগাদার মাধ্যমে বইয়ের পরীক্ষিত পাণ্ডুলিপি আনিয়ে তা ছাপানোর ব্যাপারে যে আগ্রহ ও শ্রম স্বীকার করেছেন তা সত্যিই মনে রাখার মতো। মুদ্রণ বিভাগের আফজল সাহেবের আন্তরিক সহযোগিতার কথাও মনে পড়ছে।
বাংলা একাডেমী থেকে বইটি প্রকাশিত হওয়ায় বান্ধবী সুলতানা (গুড়িয়া) খুবই আনন্দিত— তার সহর্ষ সেই অভিব্যক্তি আমার মনের মধ্যে গাঁথা রইলো। সাহিত্যে সমাজ ভাবনা pdf
বইটির সবগুলি প্রবন্ধ বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিলো— প্রত্যেকটি প্রবন্ধের নীচে তারিখসহ সে সব তথ্য সন্নিবিষ্ট করা হয়েছে। সাহিত্যে সমাজ ভাবনা pdf
এই বই উৎসর্গ করেছি আমার প্রয়াত অগ্রজকে। তিনি বরিশাল সরকারী মহিলা কলেজে ইংরেজী সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। প্রাবন্ধিক হিসেবে তাঁর খ্যাতি আছে। ‘সাহিত্যের দিগন্ত’ নামে তাঁর একমাত্র প্রবন্ধের বই পুঁথিঘর থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বইটি পড়লে বোঝা যায় তাঁর বৈদগ্ধ্যে কোনো ফাঁকি ছিল না। ১৯৮৯ সালের ৩রা নভেম্বরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি আকস্মিকভাবে মারা যান।
তাঁর মৃত্যুর শোকাবহ স্মৃতির ভার আমি বয়ে বেড়াচ্ছি। আমার জীবনে তাঁর মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ কোনোকিছুতেই সম্ভব নয়— আমরা দুজনে ছিলাম অভিন্নহৃদয়ের মানুষ। গভীর শ্রদ্ধা ও প্রগাঢ় ভালবাসার মধ্যদিয়ে যে মানুষটিকে জ্যেষ্ঠ সহোদর হিসেবে পেয়েছিলাম তাঁকে এভাবে হারাতে হবে একথা যখনই ভাবি তখনই সবকিছুকেই নিরানন্দময় মনে হয়, এক ধরনের বিষাদময়তা বা বিষণ্ণতা আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। এ গ্রন্থ তিনি দেখে যেতে পারলেন না, যদিও আমার সান্ত্বনা এটুকু যে এর অধিকাংশ প্রবন্ধই তিনি পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। বইটি তাকে উৎসর্গ করতে পেরে এই মুহূর্তে বেদনার ভার কিছুটা লাঘব হচ্ছে।
আবু জাফর
সাহিত্যে সমাজ ভাবনা pdf সূচিপত্র
রবীন্দ্রনাথের মুৎসুদ্দি মধুসূদন
রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রেক্ষাপটে রবীন্দ্রনাথের ‘চার অধ্যায়’
নজরুল কাব্যে পুঁথি ও পুরাণের ব্যবহার
সমাজ বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে কয়েকজন কল্লোলীয় গল্পকার
লাল সালু : দেশকাল
সুকান্ত সমীক্ষা
এয়াকুব মানস ও তাঁর সাহিত্য পরিচয়
ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে কংগ্রেসী নেতাদের আপোষমূলক রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ হিসেবে বঙ্গদেশ তথা ভারতবর্ষে উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিক থেকে ইংরেজ সরকারকে দেশ ছাড়া করার এক মরণপণ বৈপ্লবিক আদর্শ গড়ে উঠেছিল। প্রশাসনিক ক্ষেত্রে বড় বড় ইংরেজ কর্মকর্তাদের খতম না করলে ইংরেজ সরকার কোনদিনই এ দেশ ত্যাগ করবে না, এই অগ্নিমন্ত্রে দীক্ষা নিয়ে চাপেকার ভ্রাতৃদ্বয়, ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী, ভগৎ সিং, শুকদেব, রাজগুরু, চন্দ্রশেখর, বিনয়, দীনেশ, বাদল, যতীন, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, মাতঙ্গিনী হাজরা, সত্যেন, রাজেন প্রভৃতি থেকে শুরু করে হাজার হাজার বাঙ্গালী ও অবাঙ্গালী তরুণ কিভাবে হাসতে হাসতে মৃত্যুযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তার গৌরবময় ইতিহাস অল্পবিস্তর সবারই জানা আছে।
সশস্ত্র বিপ্লবীদের এ আন্দোলন সম্পূর্ণভাবে সফল না হবার পেছনে অনেক কারণ বিদ্যমান ছিল। তার মধ্যে দু’টি প্রধান কারণের কথা এখানে উল্লেখ করা যায়। প্রথম কারণ দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙক্ষাকে সম্পৃক্ত না করে বিচ্ছিন্নভাবে এ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। দুই, ভারতবর্ষের দুই বৃহত্তর রাজনৈতিক দল অর্থাৎ ইংরেজ সরকার সৃষ্ট ও সরকার-লালিত কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ ঐ আন্দোলনের পরিপোষকতা করেনি, বরঞ্চ বলা চলে ঐ দুটি দলই চরমপন্থী আন্দোলনের ঘোর বিরোধিতা করেছিল। যাই হোক, আমাদের আলোচনার বিষয় তা নয়। আমাদের আলোচ্য বিষয় এমন একটি বিতর্কিত ও স্পর্শকাতর রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কেন রবীন্দ্রনাথ জীবনের উপান্তে পৌঁছে বিপ্লব বিরোধী একখানা উপন্যাস লেখার জন্য এত আগ্রহী হলেন?
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.